আফগানিস্তান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২৮৬ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ|আফগানিস্তানের শিক্ষা}}
[[চিত্র:Female students at Kabul University, 11-13-2007.jpg|thumb|225px|[[কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়|কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে]] ছাত্রী]]
আফগানিস্তানে দুই ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা বিদ্যমান। একটি হল প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত [[মাদ্রাসা]] ব্যবস্থা, যেখানে সম্মাণিত উলামারা[[ওলামা|উলামা]]<nowiki/>গণ [[কুরআন]] পড়া ও লেখা এবং প্রাথমিক গণিত শিক্ষা দেন। অন্য শিক্ষাব্যবস্থাটি [[১৯৬৪]] সালে [[আফগান সংবিধান]] অণুসারেঅনুসারে পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থার অণুসরণেঅনুসরণে প্রবর্তন করা হয়, যেখানে সমস্ত বয়স স্তরে শিক্ষাগ্রহণ বিনামূল্য ও বাধ্যতামূলক ছিল। তবে এই ব্যবস্থার লক্ষ্য পূর্ণ হয়নি। পাঁচ বছরের প্রাথমিক শিক্ষার উপর জোর দেয়া হয়। কাবুল ও অন্যান্য বড় শহরগুলিতে মাধ্যমিক স্কুলের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ আফগানই এমন এলাকায় বসবাস করতেন যেখানে কোন স্কুল ছিল না।
 
একাধিক দশকব্যাপী যুদ্ধ দেশটির শিক্ষাব্যবস্থায় ধ্সধ্বস নামায় এবং একটি সম্পূর্ণ প্রজন্ম কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই বড় হয়ে উঠে। গৃহযুদ্ধের কারণে দেশের প্রায় সমস্ত বিদ্যালয় ও উচ্চতর বিদ্যাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বেশির ভাগ শিক্ষক চাকরি ছেড়ে আফগানিস্তান থেকে চলে যান। এর পরে তালেবানেরা এসে মাদ্রাসা ব্যতীত সকল ধরনের স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে এবং মহিলাদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করে। কেবল কুরআন শরীফ মুখস্থ করা অণুমোদিত ছিল।
গৃহযুদ্ধের কারণে দেশের প্রায় সমস্ত বিদ্যালয় ও উচ্চতর বিদ্যাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বেশির ভাগ শিক্ষক চাকরি ছেড়ে আফগানিস্তান থেকে চলে যান। এর পরে তালেবানেরা এসে মাদ্রাসা ব্যতীত সকল ধরনের স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে এবং মহিলাদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করে। কেবল কুরআন শরীফ মুখস্থ করা অণুমোদিত ছিল।
 
[[২০০১]] সালে তালেবানের পতনের পর দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা আবার নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। [[কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়]] নতুন করে শুরু হয়। [[২০০৬]]-[[২০০৭]] শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৪০ লাখ ছেলেমেয়ে দেশটির প্রায় ৯,৫০০ স্কুলে শিক্ষাগ্রহণ করে। প্রাথমিক শিক্ষা বিনামূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ বছরের বেশি বয়সের আফগানদের মধ্যে সাক্ষরতার হার প্রায় ৩৬ শতাংশ হিসাব করা হয়েছে। তবে পুরুষদের সাক্ষরতার হার (৫১%) নারীদের (২১%) চেয়ে অনেক বেশি।
 
আফগান স্কুলগুলিতে [[দারি ভাষা|দারি]], [[পশতু ভাষা|পশতু]] ও অন্যান্য ভাষা, যেমন- [[উজবেক ভাষা|উজবেক ভাষায়]] পড়ানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সগুলি মূলত [[দারি ভাষা|দারি ভাষায়]] পড়ানো হয়। [[১৯৩২]] সালে প্রতিষ্ঠিত [[কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়]] দেশটির বৃহত্তম ও সবচেয়ে সম্মানিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। [[১৯৩৮]] থেকে [[১৯৬৭]] সালের মধ্যে আরও নয়টি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। [[জালালাবাদ|জালালাবাদে]] [[১৯৬২]] সালে প্রতিষ্ঠিত [[ননগরহার বিশ্ববিদ্যালয়|ননগরহার বিশ্ববিদ্যালয়ে]] চিকিৎসা ও অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয়। এছাড়া [[কান্দাহার]], [[হেরাত]], [[বাল্‌খ]] ও [[বামিয়ান|বামিয়ানে]] ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। [[১৯৬১]] সালের আগে কেবল পুরুষেরাই স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা লাভ করতে পারতেন। এরপর থেকে সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মহিলাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। [[২০০৬]] সালে সহশিক্ষামূলক [[আফগানিস্তান মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠা করা হয়; এখানে শিক্ষার মাধ্যম [[ইংরেজি ভাষা]]। [[মাজার-ই-শরীফ]] শহরে ৬০০ একর এলাকা জুড়ে [[বাল্‌খ বিশ্ববিদ্যালয়]] নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। <ref>[http://www.pajhwok.com/viewstory.asp?lng=eng&id=28303 ''Pakistan grants $10m for Balkh University''], Pajhwok Afghan News.</ref>
 
== পরিবহন ==