রাজমালা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
0টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 1টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta14) |
|||
১ নং লাইন:
[[File:Rajmala cover.jpg|right|thumb|কালীপ্রসন্ন বিদ্যাভূষণ সম্পাদিত রাজমালা প্রথম লহরের প্রচ্ছদ]]
'''রাজমালা''' ত্রিপুরা ও তার রাজবংশের ইতিহাস। বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালি ও শ্রীহট্ট ত্রিপুরার রাজার অধিকারে থাকায় রাজমালায় এইসব জায়গার ইতিহাসও বিধৃত। রাজা প্রথম ধর্মমাণিক্যের রাজত্বকালে ১৪৩১
== রচনার ইতিহাস ==
৫২ নং লাইন:
== কৈলাস সিংহের রাজমালা ==
কৈলাসচন্দ্র সিংহের (১৮৫১-১৯১৪) ''রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস'' প্রকাশিত হয় ১৮৯৬ সালে। নাম রাজমালা হলেও এটি রাজকীয় রাজমালা থেকে আলাদা। কৈলাসচন্দ্র বিশ বছর ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণে কর্মরত ছিলেন।
তবে কৈলাসচন্দ্রের গবেষণালব্ধ তথ্যগুলি তখনকার রাজন্যভিত্তিক পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশিত, যার সঙ্গে এখনকার প্রজাতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির অনেক সময়ই ব্যাপক ফারাক দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ভূপেন্দ্র চক্রবর্তীর রাজমালায়
== ভূপেন্দ্র চক্রবর্তীর রাজমালা ==
স্কুলপড়ুয়াদের জন্য সহজ গদ্যে রাজমালা রচনা করেন [[ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্তী]], বহু অলঙ্করণে সমৃদ্ধ এই রাজমালা ১৯৪১ সালে আগরতলা থেকে প্রকাশিত হয়। অলঙ্করণে ছিলেন লেখকের ভাই ও শান্তিনিকেতনের কলাভবনের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী রমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (পরবর্তীকালে কলকাতার সরকারী আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ<ref>[http://www.artnewsnviews.com/view-article.php?article=ramendranath-chakravorty&iid=23&articleid=589 Ramendranath Chakravorty: Pioneer in modern Indian printmaking], সৌমিক নন্দী মজুমদার</ref>) ও
এই বইতে মূল রাজমালার পরিধি ছাড়িয়ে কাহিনীকে ত্রিপুরার শেষ রাজা কিরীটবিক্রমকিশোর পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়েছে। এই গ্রন্থ কালীপ্রসন্ন বিদ্যাভূষণ সম্পাদিত রাজমালার পাঠ অনুযায়ী মহারাজ কল্যাণমাণিক্য অবধি রচিত হয়েছে, তারপরের অংশ গোবিন্দমাণিক্য থেকে কৃষ্ণকিশোরমাণিক্য পর্যন্ত চন্দ্রোদয় বিদ্যাবিনোদ সম্পাদিত রাজমালা অবলম্বনে রচিত। ঈশান চন্দ্রের রাজত্বের সম্পূর্ণ ও বীরচন্দ্রের আংশিক ঐতিহাসিক উপাদান কৈলাস সিংহের রাজমালা থেকে নেওয়া। বীরচন্দ্রের অর্ধ ও রাধাকিশোরের সম্পূর্ণ আলেখ্য কর্ণেল মহিমচন্দ্র ঠাকুরের ''দেশীয় রাজ্য'' অনুসারে রচিত।
৬৮ নং লাইন:
এই বক্তব্যের কারণে গ্রন্থটির ব্যাপক প্রচার হয়, এতটাই যে, প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক [[উইলিয়াম উইলসন হান্টার]] প্রণীত ''A Statistical Account of Bengal'', Vol VI (Tipperah) (১৮৭৬)-এর ইতিহাস অংশ লঙ-রচিত রাজমালার সংক্ষিপ্তসারের ভিত্তিতে লেখা হয়েছিল।<ref>[http://dspace.nehu.ac.in/jspui/handle/1/10227 Rajmala and the Historical Writings in Tripura]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=মে ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}, জে. বি. ভট্টাচার্য, ২০১৩</ref>
পরবর্তী গবেষকরা কলকাতা, ঢাকা ও আগরতলার বিভিন্ন প্রকাশনায় রাজমালার ঐতিহাসিকত্বের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। দীনেশচন্দ্র ভট্টাচার্য রচিত ''স্বাধীন ত্রিপুরার রাজমালা'' (প্রবাসী, ফাল্গুন ১৩৫৪) এবং ''বাংলা সাহিত্যের কতিপয় ঐতিহাসিক কাব্য: রাজমালা, কৃষ্ণমালা, গাজিনামা ও চম্পকবিজয়'' (শাশ্বত ত্রিপুরা: ত্রিপুরা হিতসাধিনী সভার শতবার্ষিকী স্মারক সঙ্কলন, ১৮৭২-১৯৭২, কলকাতা) এবং সুধীরকৃষ্ণ দেববর্মার ''রাজমালা প্রসঙ্গ'' (আগরতলা, ১৯৫৮) এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য। একদল ঐতিহাসিকের মতে পুরো বইটাই অষ্টাদশ শতাব্দী ও ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমাংশের মধ্যে রচিত। এঁদের মধ্যে আছেন প্রসিদ্ধ পুরাতত্ত্ববিদ্ [[দীনেশচন্দ্র সরকার]] (''Some Epigraphical Records of the Medieval Period from Eastern India'', দিল্লী, ১৯৭৯), জ্যোতিষচন্দ্র দত্ত (''An Introduction to the History of Tripura: From Monarchy to Democracy'', কলকাতা, ১৯৮৪) এবং জগদীশ গণচৌধুরী (''Place Names'', স্ব-সম্পাদিত ''An Anthology of Tripura'', নতুন দিল্লী, ১৯৮৫)। আরেক দল ঐতিহাসিক রাজমালায় দেওয়া তথ্যের ঐতিহাসিকতা মেনে নিয়ে তার ভিত্তিতে ইতিহাস রচনায় ব্রতী হয়েছেন। যথা [[দীনেশচন্দ্র সেন]] (''বৃহৎ বঙ্গ'', কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৩৫) এবং
== আখ্যানভাগ ==
৭৬ নং লাইন:
=== পৌরাণিক অংশ ===
রাজমালার কথারম্ভ চন্দ্রবংশীয় রাজা যযাতি থেকে। যযাতি শুক্রাচার্যের শাপে অকালে জরাগ্রস্ত হন। কিন্তু সেই জরা কাউকে দেওয়ার অধিকারও
=== ঐতিহাসিক অংশ ===
৮৯ নং লাইন:
* যশোধরমাণিক্য: জাহাঙ্গীরের সেনা ত্রিপুরা আক্রমণ করে এই রাজাকে বন্দী করে দিল্লী নিয়ে যায়।
* কল্যাণমাণিক্য: শাহজাহানের সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করেন।
* গোবিন্দমাণিক্য: কল্যাণমাণিক্যের পুত্র; ভাই নক্ষত্ররায় সিংহাসনলোভী হওয়ায়
* দ্বিতীয় ধর্মমাণিক্য: এই রাজার আমলে ত্রিপুরার শাসন ব্যবস্থা দ্বিখণ্ডিত হয়। পার্বত্য অংশ স্বাধীন রাজ্য হিসেবে থাকে, আর সমতল অংশ বাংলার নবাবের (তথা মুঘল সাম্রাজ্যের) অধীনে ত্রিপুরার রাজার জমিদারীতে পরিণত হয়। এই জমিদারীর নাম দেওয়া হয় চাকলা রোশ্নাবাদ। পরবর্তী ব্রিটিশ আমলেও এই বন্দোবস্ত কায়েম থাকে।<ref>চাকলা রোশ্নাবাদ বন্দোবস্তের বিস্তৃত বিবরণের জন্য দেখুন: Cumming, J. G., [https://catalog.hathitrust.org/Record/004180815 Survey and settlement of the Chakla Roshnabad Estate in the districts of Tippera and Noakhali, 1892-99]; সংক্ষিপ্ত বিবরণ: ''Chakla Roshnābād'', [http://dsal.uchicago.edu/reference/gazetteer/pager.html?objectid=DS405.1.I34_V10_130.gif Imperial Gazetteer of India, v. 10, p. 124.]</ref>
* [[কৃষ্ণমাণিক্য]]: রাজধানী উদয়পুর থেকে আগরতলায় স্থানান্তর করেন, কুমিল্লায় সতের রত্ন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এই রাজার আমলে ত্রিপুরার পার্বত্য অংশ ব্রিটিশের করদ রাজ্যে পরিণত হয় এবং ত্রিপুরায় ব্রিটিশ রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। রাজার জমিদারী চাকলা রোশ্নাবাদে ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। এই রাজার রাজত্বকাল নিয়ে ''কৃষ্ণমালা'' নামে বই রচিত হয়।
১০৫ নং লাইন:
* [[:en:Tripura Buranji|ত্রিপুরা বুরঞ্জী]]: অহোম রাজদূতদের লেখা দ্বিতীয় রত্নমাণিক্যের সময়কার ত্রিপুরা ভ্রমণ কাহিনী, [http://dli.gov.in/cgi-bin/metainfo.cgi/data14/upload/0021/896?&barcode=99999990331066 ত্রিপুরা দেশের কথা]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }} নামে ১৯৬৫ সালে বাংলায় প্রকাশিত।
* গাজীনামা: শেখ মনুহর রচিত সমশের গাজীর ত্রিপুরা বিজয় সম্পর্কিত কাহিনী।
* [http://www.dli.ernet.in/handle/2015/454256 কৃষ্ণমালা]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}: রামগঙ্গা শর্মা রচিত রাজা কৃষ্ণমাণিক্যের রাজত্বকালের ঘটনাবলী, অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে রচিত, ১৯৯৫
* শ্রেণীমালা: ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে দুর্গামণি উজির রচিত ত্রিপুরার রাজবংশের কুলজি গ্রন্থ।
|