মির্যা আগা মুহম্মদ বাকের: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৩৩ নং লাইন:
== জীবনী ==
১৭৪০ সালের ৯ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের অদূরে গিরিয়ার প্রান্তরে আলিবর্দীর সঙ্গে সরফরাজ খানের যুদ্ধ হয়।<ref name="কিশোরগঞ্জ">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |লেখক=তাহমীদুল ইসলাম |শিরোনাম=মির্জা মুহম্মদ আলিবর্দী খাঁ |ইউআরএল=http://www.kishorgonj.com/?p=8665 |তারিখ=আগস্ট ০৭, ২০১১ |সংগ্রহের-তারিখ=আগস্ট ১০, ২০১৪ |প্রকাশক=কিশোরগঞ্জ ডট কম}}</ref> এ-যুদ্ধে [[সরফরাজ খান|সরফরাজ খানের]] পতনের পর [[বঙ্গ|বাংলার]] নবাব হন আলীবর্দী খান। কিন্তু উড়িষ্যা তখন বাংলার অন্তর্ভুক্ত হলেও আলীবর্দী খান তা অধিকার করতে পারেন নি। উড়িষ্যার নায়েব নাযিম দ্বিতীয় মুর্শিদ কুলি আলীবর্দীর আধিপত্য অস্বীকার করেন, ফলে উড়িষ্যা তার অধীনেই থেকে যায়। এ অবস্থায় আলীবর্দীর নিকট থেকে বাংলা পুনর্দখলের জন্য আগা বাকের তার শ্বশুর দ্বিতীয় মুর্শিদ কুলির সাথে যোগ দেন। তিনি উড়িষ্যা রাজ্যের [[কটক]] থেকে বালাসোর অভিমুখে অগ্রসর হন এবং ১৭৪০ সালের ডিসেম্বরের দিকে [[বিহার]] রাজ্যের [[ফুলওয়ারী শরিফ|ফুলওয়ারী শরিফে]] শিবির স্থাপন করেন। তিনি যুদ্ধে মারাত্মকভাবে আহত এবং ১৭৪১ সালের ৩ মার্চ পরাজিত হন। এরপর তিনি তার আহত জামাতা বাকেরকে নিয়ে মসলিপল্টমে পালিয়ে যান। দ্বিতীয় মুর্শিদ কুলির বন্ধু উড়িষ্যার [[খুর্দা জেলা]]র জমিদারের সমোচিত হস্তক্ষেপের ফলে
১৭৪১ সালে আগা বাকের বুযুর্গ উমেদপুরে একটি বড় গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন। নিজের নামে এ গঞ্জের নামকরণ করেন [[বাকেরগঞ্জ উপজেলা|বাকেরগঞ্জ]]। বাকেরগঞ্জ তৎকালীন একটি গুরূত্বপূর্ণ বন্দর-শহর রৃপে গড়ে ওঠে। এ অঞ্চলে [[পারস্য|পারসিক]] ও [[আর্মেনিয়া|আর্মেনীয়]] বণিক এবং [[কাশ্মীর|কাশ্মীরি]] খাজারা লবণ ও চামড়ার ব্যবসা করতেন। আগা বাকের সম্ভবত ঢাকায় অবস্থান করতেন এবং তার প্রতিনিধির মাধ্যমে জমিদারি পরিচালনা করতেন। আগা বাকের ও তার পুত্র আগা সাদেক মুর্শিদাবাদ প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন এবং তারা স্পষ্টভাবে নবাব [[সিরাজউদ্দৌলা|সিরাজউদ্দৌলার]] অনুসারী ছিলেন। ঢাকার নায়েব নাযিম [[নওয়াজিশ মুহম্মদ খান|নওয়াজিশ মুহম্মদ খানের]] দুজন প্রতিনিধি ছিলেন হোসেন কুলি খান এবং হোসেনউদ্দিন খান, যাঁরা তার ভ্রাতুষ্পুত্র ছিলেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা হোসেন কুলি খান ও হোসেনউদ্দিন খানকে ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে অভিযুক্ত করেন এবং আগা সাদেকের সহায়তায় ১৭৫৪ সালে হোসেনউদ্দিনকে হত্যা করান। একই বছর ১৭৫৪ সালে নিহত হোসেনউদ্দিনের আত্মীয় এবং ঢাকা শহরের কোতোয়াল মির্জা আলী নকী এ হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য আগা বাকেরের বাড়ি আক্রমণ করেন। আগা সাদেক তার বৃদ্ধ পিতা মির্জা আগা বাকেরকে জনতার রোষের মধ্যে ফেলে রেখে পেছনের দরজা দিয়ে [[মুর্শিদাবাদ|মুর্শিদাবাদে]] পালিয়ে যান। বর্তমান [[ঢাকা]]র আগা সাদেক ময়দানের উত্তর পাশের একটি সমাধিতে মির্জা আগা বাকেরকে সমাহিত করা হয়।<ref name="আগা বাকের, মির্জা-বাংলাপিডিয়া"/>
|