আলীর গুপ্তহত্যা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৫ নং লাইন:
{{Shia Islam}}
 
[[আলী ইবনে আবু তালিব]]কে, [[ইসলাম| ইসলামে]] চতুর্থ খোলাফায়ে রাশেদীন, ইবনে মুলজিম নামে একজন খারেজী [[৬৬১]] সালের ২৬ জানুয়ারীতে বর্তমান [[ইরাক|ইরাকে]] অবস্থিত [[কুফা]]র শাহী মসজিদে হত্যা করে। ৪০ হিজরীর ২১ (বা ১৯) [[রমজান]] (২৮ জানুয়ারী ৬৬১ খ্রিস্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ) এ ইবনে মুজলিম বিষাক্ত বিষে মাখা একটি তলোয়ার দিয়ে হযরত আলীর মাথায় আঘাত করে এবং এই আঘাতের কারণেই ঘটনার দুইদিন পর ৬২ বা ৬৩ বছর বয়সে [[আলী|হযরত আলী]] শাহাদাত বরণ করেন।<ref name="Brill-ali">{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Veccia Vaglieri |প্রথমাংশ=Laura|লেখক-সংযোগ=Laura Veccia Vaglieri|শিরোনাম=ʿAlī b. Abī Ṭālib.|বিশ্বকোষ=Encyclopædia of Islam, Second Edition|সংগ্রহের-তারিখ=2016-06-03 |প্রকাশক=Brill Online |ইউআরএল=http://referenceworks.brillonline.com/entries/encyclopaedia-of-islam-2/ali-b-abi-talib-COM_0046| আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=| অকার্যকর-ইউআরএল= no}}</ref> [[উমর ইবনুল খাত্তাব|হযরত উমর]] ও [[উসমান ইবন আফ্ফান|হযরত উসমানের]] পর তৃতীয় খলিফা হিসেবে তিনি হত্যাকান্ডের শিকার হন।
 
৬৫৬ খ্রীস্টাব্দে হযরত উসমানের হত্যাকান্ডের পর হযরত আলী খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন। [[খলিফা]] হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই মুয়াবিয়া ১ সহ বিভিন্ন গোত্র তাঁরতার বিরোধিতা করতে থাকে। ইসলামী শাসনের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম ফিৎনা নামে একটি সামরিক যুদ্ধ সংগঠিত হয় যা খোলাফায়ে রাশেদীনদের শাসনের ইতি ঘটায় এবং উমাইয়া শাসনের গোড়াপত্তন ঘটায়। ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে খলিফা উসমান ইবনে আফফানের হত্যাকান্ডের পর এটি শুরু হয় এবং হযরত আলীর [[খিলাফত|খেলাফতের]] চার বছরকাল ধরে যুদ্ধটি চলতে থাকে। সিফফিনের যুদ্ধে (৬৫৭) হযরত আলী মুয়াবিয়া ১ এর সাথে মধ্যস্থতা করতে রাজী হলে তাঁরতার দলের কিছু সৈন্য তাঁরতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে, পরবর্তীতে তারা খারেজী (যারা আলীকে ত্যাগ করেছিল) হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তারা হযরত আলীর কিছু সমর্থককে হত্যা করে, তবে ৬৫৮ খ্রিস্টাব্দেরখ্রিষ্টাব্দের জুলাইয়ে সংগঠিত নাহরাওয়ান যুদ্ধে আলীর সৈন্যরা তাদের ধ্বংস করে দেয় ।<ref name="Madelung">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ = Madelung|প্রথমাংশ = Wilferd|লেখক-সংযোগ = Wilferd Madelung|শিরোনাম = The Succession to Muhammad: A Study of the Early Caliphate|প্রকাশক=Cambridge University Press|ইউআরএল=http://www.cambridge.org/au/academic/subjects/history/middle-east-history/succession-muhammad-study-early-caliphate|বছর = 1997|আইএসবিএন = 978-0-521-64696-3}}</ref>{{rp|২৬০-২৬১}}
 
ইবনে মুজলাম [[মক্কা]]য় আল-বুরাক ইবনে আব্দ আল্লাহ এবং আমর ইবনে বকর আল-তামিমি নামক অন্য দুইজন খারেজীর সাথে সাক্ষাত করে এবং তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে মুসলমানদের দুর্দশার জন্য আলী, মুয়াবিয়া এবং [[আমর ইবনে আস্]]ই, [[মিশর|মিশরের]] শাসনকর্তা, দায়ী। [[নাহরাওয়ান যুদ্ধ|নাহরাওয়ান যুদ্ধে]] তাদের সঙ্গীদের মৃত্যুর প্রতিশোধ এবং সে সময়কার শোচনীয় অবস্থা নিরসনের জন্য তারা এই তিনজনকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। হযরত আলীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ইবনে মুলজাম কুফার পথে রওনা হন। সেখানে তিনি এক মহিলার প্রেমে পড়েন যার পিতা এবং ভাই [[নাহরাওয়ান যুদ্ধ|নাহরাওয়ান যুদ্ধে]] মৃত্যুবরণ করেন। মহিলাটি এই শর্তে বিয়ে করতে রাজী হয় যে যদি সে আলী হত্যা করতে পারে তাহলেই সে ইবনে মুজলামকে বিয়ে করবে। ফলস্বরূপ, [[কুফা শাহী মসজিদ| কুফা শাহী মসজিদে]] ইবনে মুজলাম হযরত আলীকে ছুরিকাঘাত করেন। হযরত আলীর শাহাদাতের পর, [[হাসান ইবনে আলী]] ইবনে মুজলামকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।<ref name="Brill-ibn Muljam">{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Veccia Vaglieri |প্রথমাংশ=Laura|লেখক-সংযোগ=Laura Veccia Vaglieri|শিরোনাম=Ibn Muld̲j̲am.|বিশ্বকোষ=Encyclopædia of Islam, Second Edition|সংগ্রহের-তারিখ=2016-06-03 |প্রকাশক=Brill Online |ইউআরএল=http://referenceworks.brillonline.com/entries/encyclopaedia-of-islam-2/ibn-muldjam-COM_0339| আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=| অকার্যকর-ইউআরএল= no}}</ref>
২৭ নং লাইন:
তিনি আরো এরশাদ করেন
<blockquote>আমি জ্ঞানের শহর, আলী ঐ শহরের দরজা।{{cn}}</blockquote>
আবু বকরের মৃত্যুর পর উমর খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হন। ৬৪ বছর বয়সে উমর এক আততায়ির হাতে মুত্যুবরণ করেন। উমরের মুত্যুর পর আলী, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর চাচাত ভাই এবং জামাতা, এবং উসমান খেলাফতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। উসমান একটি নির্বাচক পরিষদের ভোটে খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন। ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে উসমানের হত্যাকান্ডের পর হযরত আলী খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন।<ref name="Robinson"/>{{rp|২০৩-২০৪}}
 
আলীর খেলাফত আর [[প্রথম ফিতনা]] সমসাময়িক ছিল।<ref name="Brill-Muawiya"/> উসমানের মৃত্যুর পাঁচ দিন পর হযরত আলী যদিও চতুর্থ ''[[রশিদুন]]'' (সঠিক পথপ্রদর্শক) হিসেবে নির্বাচিত হন, তিনি তার শাসনামলে প্রচুর বিরোধীতার সম্মুখীন হন।
একদিকে [[মক্কা]]তে হযরত আয়শা, তালহা এবং [[আল-যুবায়ের]] তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে এবং অন্যদিকে [[প্রথম মুয়াবিয়া|মুয়াবিয়া]], পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের উমাইয়া শাসক, আলীকে নতুন খলিফা হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলস্বরূপ খেলাফত লাভের জন্য একটি সামরিক যুদ্ধ সংগঠিত হয়। হযরত আলীর বিরোধিরা উসমানের হত্যাকারীদের শাস্তির জোর দাবি করেছিল। ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে সংগঠিত [[উষ্ট্রের যুদ্ধ| উষ্ট্রের যুদ্ধে]] হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর সহধর্মিনী হযরত বিবি আয়শা এবং অন্যান্য সাহাবাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে বাধ্য হন এবং যুদ্ধে জয়লাভ করেন। এরপর, ৬৫৭ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে হযরত আলী [[প্রথম মুয়াবিয়া|মুয়াবিয়ার]] বিরুদ্ধে [[সিফফিনের যুদ্ধ| সিফফিনের যুদ্ধে]] অবর্তীণ হন। মুয়াবিয়ার সাথে হযরত আলীর একটি চুক্তির মাধ্যমে [[সিফফিনের যুদ্ধ|যুদ্ধটির]] অবসান ঘটে।<ref name="Robinson"/>{{rp|২০৩-২০৪}} আর [[প্রথম ফিতনা]] সমসাময়িক ছিল।<ref name="Brill-Muawiya"/> উসমানের মৃত্যুর পাঁচ দিন পর হযরত আলী যদিও চতুর্থ ''[[রশিদুন]]'' (সঠিক পথপ্রদর্শক) হিসেবে নির্বাচিত হন, তিনি তার শাসনামলে প্রচুর বিরোধীতার সম্মুখীন হন।
 
হযরত আলীর দলের একদল সৈন্য, পরবর্তীতে যারা [[খারেজী]] বা খাওয়ারিজ (যারা আলীকে ত্যাগ করেছিল) হিসেবে পরিচিতি লাভ করে, [[সিফফিনের যুদ্ধ| সিফফিনের যুদ্ধে]] মুয়াবিয়ার সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিরোধিতা করতে থাকে। তারা ধর্মের ব্যাপারে মানুষের বিচারের বিরোধিতা করে এবং "বিচার শুধুমাত্রই আল্লাহর একার" এই স্লোগানটি প্রচার করতে থাকে।<ref name="higgins"/>{{rp|৩৯০}} ৬৫৮ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে তারা তাদের চুক্তির শপথ ভঙ্গ করে, বিদ্রোহ শুরু করে এবং জনসম্মুখে হুমকি দিতে থাকে যে যারা তাদের সাথে যোগদান করবে না তারা তাদেরকে হত্যা করবে। হযরত আলী তাদেরকে [[নাহরাওয়ান যুদ্ধ|নাহরাওয়ান যুদ্ধে]] পরাজিত করেন। খারেজীদের হত্যাকান্ড ছিল হযরত আলীর খেলাফতের সবচেয়ে সমস্যাপূর্ণ ঘটনা, কারণ
মুয়াবিয়ার বিরুদ্ধে সংহঠিত যুদ্ধে খারেজিরা বলিষ্ঠভাবে অংশগ্রহণ করে।<ref name="Madelung"/>{{rp|২৬১}}
ইবনে মুজলাম অন্য দুই খারেজী, আল বুরাক ইবনে আব্দ আল্লাহ এবং আমর ইবনে বকর আল-তামিমি, যারা প্রত্যেকেই কিন্দার অধিবাসী ছিলেন বলে মনে করা হয়, [[মক্কা]]য় স্বাক্ষাত করেন এবং হজ্বব্রতের শেষে তারা একটি দীর্ঘ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, মুসলিম সাম্রাজ্যের এই পরিস্থিতির জন্য হযরত আলী, মুয়াবিয়া এবং [[আমর ইবনে আস্]]ই, [[মিশর|মিশরের]] শাসনকর্তা, দায়ী এবং [[নাহরাওয়ান যুদ্ধ|নাহরাওয়ান যুদ্ধে]] তাদের সঙ্গীদের মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে তাদেরকে হত্যা করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে তলোয়ার উঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তারা হত্যাকান্ডের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন এবং পছন্দ অনুযায়ী প্রত্যেকে তাদের শত্রুকে বেছে নেয়।<ref name="Islamica">{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Faramarz Haj|প্রথমাংশ১=Manouchehri|শেষাংশ২=Matthew|প্রথমাংশ২=Melvin-Koushki|শেষাংশ৩=Shah-Kazemi|প্রথমাংশ৩=Reza|শেষাংশ৪=Bahramian|প্রথমাংশ৪=Ali|শেষাংশ৫=Pakatchi|প্রথমাংশ৫=Ahmad|শেষাংশ৬=Muhammad Isa|প্রথমাংশ৬=Waley|শেষাংশ৭=Daryoush|প্রথমাংশ৭=Mohammad|শেষাংশ৮=Tareh|প্রথমাংশ৮=Masoud|শেষাংশ৯=Brown|প্রথমাংশ৯=Keven|শেষাংশ১০=Jozi|প্রথমাংশ১০=Mohammad Reza|শেষাংশ১১=Sajjadi|প্রথমাংশ১১=Sadeq|শেষাংশ১২=Gholami|প্রথমাংশ১২=Rahim|শেষাংশ১৩=Bulookbashi|প্রথমাংশ১৩=Ali A.|শেষাংশ১৪=Negahban|প্রথমাংশ১৪=Farzin|শেষাংশ১৫=Alizadeh|প্রথমাংশ১৫=Mahbanoo|শেষাংশ১৬=Gholami|প্রথমাংশ১৬=Yadollah|শিরোনাম=ʿAlī b. Abī Ṭālib.|বিশ্বকোষ=Encyclopaedia Islamica|ইউআরএল=http://referenceworks.brillonline.com/entries/encyclopaedia-islamica/ali-b-abi-talib-COM_0252|প্রকাশক=[[Brill Publishers|Brill]]}}</ref>