সাগরময় ঘোষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৮ নং লাইন:
তিনি ছিলেন একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তানের জনক। গুরুগম্ভীর স্বভাবের মানুষ হলেও তিনি ছিলেন ব্যবহারে ছিলেন অমায়িক ও বিনয়ী। ব্যক্তি জীবনে নিয়মনিষ্ঠতা তাকে দিয়েছিল সুস্বাস্থ্য ও প্রসন্নতা। [[নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী|কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী]] ছড়া কেটে বলেছিলেন, ‘সাগরদাদা আপনি বুড়ো হলেন না বিলকুল,/ পঁচাত্তরেও তরতাজা মন, ভ্রমরকৃষ্ণ চুল’। <ref>[http://archives.anandabazar.com/archive/1120618/18karcha.html কড়চা]</ref>
 
১৯৯৯ খৃষ্টাব্দেরখ্রিষ্টাব্দের ১৯ ফেব্রুয়ারি ৮৬ বছর বয়সে সাগরময় ঘোষ মারা যান। তার মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য হারায় এক অসামান্য সম্পাদককে।
 
== ''দেশ'' পত্রিকার সম্পাদকীয় দায়িত্ব==
তার জীবনের প্রারম্ভ ঘটনার ঘনঘটায় পূর্ণ। রবীন্দ্রনাথের প্রত্যক্ষ সান্নিধ্য, কলকাতার সিটি কলেজে অধ্যাপনা, ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সরকারের রোষানলে পড়ে কারাবরণ, সরকারি চাকরি, বেঙ্গল ইমিউনিটি এবং দু-একটি পত্রিকায় কিছুকাল কাজ করার পর তিনি ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে ''দেশ'' পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত এক নাগাড়ে তিনি এ সাহিত্যমুখী পত্রিকাটির হাল দৃঢ়তা এবং দক্ষতার সঙ্গে ধরে রেখেছিলেন। ঔপন্যাসিক [[সুবোধ ঘোষ|সুবোধ ঘোষের]] ''তিলাঞ্জলি'', [[সমরেশ বসুর]] দুটি উপন্যাস [[বিবর]] এবং [[প্রজাপতি]] সহ নানা বিতর্কিত রচনা মুদ্রণের দায়ে তিনি অভিযুক্ত হলেও লক্ষ্যে একাগ্র এবং কাজে একনিষ্ঠ থেকেছেন, থেকেছেন নিরাপোষ। নিজে অন্তরালে থেকে নতুন নতুন লেখক-কবি-কথাসাহিত্যিককে আবিষ্কার করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দীর্ঘ দিন একই পদের দায়িত্ব পালন করেও তিনি জ্বরাগ্রস্ত হন নি, বরং সমকালীনতাকে আশ্রয় করে পত্রিকা সাজানোর কাজটি করে গেছেন, দেশকে রেখেছেন চির-আধুনিক। তার সম্বন্ধে কবি [[নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী]] লিখেছিলেন, ‘সাগরদাদা আপনি বুড়ো হলেন না বিলকুল/ পঁচাত্তরেও তরতাজা মন, ভ্রমরকৃষ্ণ চুল’। তার রাশভারী ব্যক্তিত্ব এবং মেজাজের নবীনতা তাকে দিয়েছে তুলনারহিত সাফল্য।<ref name="archives.anandabazar.com"/>
 
''দেশ'' পত্রিকার সঙ্গে সাগরময় ঘোষ-এর নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিলো ৫০ বছরের। সাগরময় ঘোষের এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ''দেশ'' পত্রিকায় যোগ দিয়ে প্রথম যে এসাইনমেন্টটি করেছিলাম তা ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে একটা কবিতা আর গল্প সংগ্রহ করা। সেটা কবিগুরুর মৃত্যুর কয়েক মাস আগে মাত্র। স্বদেশি আন্দোলন করার জন্য একবার জেলে গিয়েছিলেন তিনি। তখন জেলখানায় [[আনন্দবাজার পত্রিকা]]<nowiki/>র সম্পাদক [[অশোক সরকার|অশোক সরকারের]] সঙ্গে পরিচয় ঘটে। তিনিও তখন জেল খাটছিলেন। তাকে তিনটি পদের কথা বলা হয়েছিল। তিনি ''দেশ'' পত্রিকায় চাকরির কাজ বাছাই করেছিলেন। <ref>http://www.bd-pratidin.com/various/2014/09/12/29836</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://www.shahidulazam.com/details.php?nid=283 |সংগ্রহের-তারিখ=১১ জানুয়ারি ২০১৭ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161023231249/http://shahidulazam.com/details.php?nid=283 |আর্কাইভের-তারিখ=২৩ অক্টোবর ২০১৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
৩৩ নং লাইন:
 
== সম্মাননা ==
১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে তিনি [[আনন্দ পুরস্কার]] লাভ করেন। ড. বিধান রায়কে নিয়ে লেখা ''একটি পেরেকের কাহিনী'' গ্রন্থের জন্য [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] তাকে প্রথমবারের মতো ‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় পুরস্কার’-এ ভূষিত করে। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে [[বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়]] তাকে সর্বোচ্চ সম্মাননা ''দেশিকোত্তম''-এ ভূষিত করে।<ref>[http://www.anandabazar.com/todayinhistory আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ-৩]</ref>
 
==তথ্যসূত্র==