জয়দ্রথ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
0টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 1টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৮ নং লাইন:
===='''দ্রৌপদীকে অপহরণ'''====
পাণ্ডবদের কাম্যকবনে অবস্থানকালে জয়দ্রথ দৌপদী [[দ্রৌপদী]]<nowiki/>কে দেখে মুগ্ধ হন এবং আশ্রমে পাণ্ডবদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে দ্রৌপদীকে অপহরণ করে
পালাতে থাকেন। কিন্তু ওই সময় পাণ্ডবরা মৃগয়া শেষ করে আশ্রমে প্রত্যাবর্তন করে দ্রৌপদীর ধাত্রী- কন্যার নিকট সমস্ত বিষয় অবগত হন। এরপর পাণ্ডবরা জয়দ্রথের অনুসরণ করেন। পাণ্ডবদের সাথে যুদ্ধে জয়দ্রথের সৈন্যরা পরাস্ত ও নিহত হওয়ায় পর তিনি দ্রৌপদীকে রথ থেকে নামিয়ে দিয়ে পালাতে থাকেন। কিন্তু ভীম ও অর্জুন তাঁকেতাকে বন্দী করেন। ভীম হত্যা করতে উদ্যত হলে যুধিষ্ঠির তাকে বোন দু:সলার বৈধব্যের কথা মনে করিয়ে দেন। এবং যুধিষ্ঠির ও অর্জুনের অনুরোধে ভীম তাঁকেতাকে হত্যা না করে তাঁরতার মাথা কামিয়ে ছেড়ে দেন।
 
===='''তপস্যা'''====
এই অপমানের প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য ইনি মহাদেবের তপস্যা করে অর্জুন ভিন্ন সমস্ত পাণ্ডবকে অন্তত একদিনের জন্য জয় করতে পারার বর লাভ করেন।ফলে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অভিমন্যুবধের জন্য দ্রোণ যে চক্রব্যূহ নির্মাণ করেছিলেন, তার দ্বাররক্ষী ছিল জয়দ্রথ। নকুল ও সহদেবকে ইনি পরাজিত করেন, এমনকি প্রবল চেষ্টা করেও ভীম তাকে অতিক্রম করে ব্যুহে ঢুকতে পারেননি এই একদিনের জন্যে। এই চক্রব্যূহ মধ্যে প্রবিষ্ট অভিমন্যু নিহত হন। এই সময় অর্জুন সংসপ্তকদের সাথে যুদ্ধে নিযুক্ত থাকার জন্য ব্যূহ মুখে উপস্থিত হতে সক্ষম হননি। সন্ধ্যাকালে শিবিরে ফিরে অভিমন্যুবধের সংবাদ শুনে অর্জুন প্রতিজ্ঞা করেন যে
সুর্যাস্তের পূর্বেই তিনি জয়দ্রথকে হত্যা করবেন অথবা অগ্নিকুণ্ডে প্রবেশ করে প্রাণত্যাগ করবেন। এই প্রতিজ্ঞার বিষয় জেনে জয়দ্রথ পালানোর চেষ্টা করলে- দুর্যোধন ও দ্রোণ তাঁকেতাকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরদিন জয়দ্রথকে রক্ষার জন্য দ্রোণ প্রথমে একটি শকটব্যূহ রচনা করেন। এই ব্যূহের ভিতরে গর্ভব্যূহ এবং গর্ভব্যূহের মধ্যে সুচীব্যূহের বিন্যাস করেন। পরে উক্ত সুচীব্যূহের মধ্যে বিশাল সৈন্যশ্রেণীর ভিতর জয়দ্রথকে লুকিয়ে রাখেন।
===='''মৃত্যু'''====
অর্জুন যথাসাধ্য চেষ্টা করেও
জয়দ্রথের কাছে পৌঁছাতে অসমর্থ হলে- কৃষ্ণ যোগবলে চক্রদ্বারা সুর্যকে
আচ্ছাদিত করে দেন ফলে দিন থাকতেই সন্ধ্যা সৃষ্টি হলে জয়দ্রথ আত্মপ্রকাশ করে নির্ভয়ে সুর্যাস্ত দেখতে থাকেন। তখন কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন যে জয়দ্রথের পিতা বৃদ্ধক্ষত্র জয়দ্রথের জন্মকালে দৈববাণী শুনেছিলেন যে রণস্থলে জয়দ্রথের মুণ্ডুচ্ছেদ হবে, তখন তিনি এই অভিসম্পাত করেন যে যে তাঁরতার পুত্রের মস্তক ভূলুণ্ঠিত করবে তাঁরতার মস্তক শতধা বিদীর্ণ হবে। যুদ্ধকালে বৃদ্ধক্ষত্র স্যমন্তপঞ্চকদেশের বহির্ভাগে তপস্যা করছিলেন। এই কারণে কৃষ্ণের পরামর্শে অর্জুন
কৌতূহলী ও অসতর্ক জয়দ্রথের মাথা
এক শরাঘাতে কেটে ফেলেন এবং তা
২৩ নং লাইন:
ফলে এই মাথা মাটিতে পতিত হওয়ায়
তাঁরতার নিজের মাথাও শত ভাগে বিদীর্ণ হয়।
 
==তথ্যসূত্র==