মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
০টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ১টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta15)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩১ নং লাইন:
== ইতিহাস ==
[[File:MGBHS foundation stone.jpg|thumb|[[হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী]] এই বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন]]
[[পূর্ব পাকিস্তান|তৎকালীন পাকিস্তান]] সরকারের শিক্ষা উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী [[হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী]] এই বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] স্বাধীনতার পূর্বে '''সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট বয়েজ হাইস্কুল, মতিঝিল''', যা পরবর্তিতে '''সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুল''' হিসেবে সমধিক পরিচিতি পায়। স্বাধীন বাংলাদেশে বিদ্যালয়টি বর্তমান নামে [[শিক্ষা মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের]] অন্তর্ভুক্ত হয়। [[১৯৯৫]] খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে এই বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কৃত হয় এবং ঐ বছরই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হবার গৌরব অর্জন করেন তৎকালীন প্রধান শিক্ষক রশিদ উদ্দিন জাহিদ।<ref name=Sanad>সনদ, বার্ষিকী'৯৭, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল, ঢাকা থেকে প্রকাশিত, পৃ. ১৮-১৯; সংগ্রহের তারিখ: জানুয়ারি ১৪, ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।</ref>
 
শুরু থেকেই বিদ্যালয়টিতে দিবা শাখা ও প্রভাতি শাখা প্রচলিত ছিল। তখন পূর্ব পাকিস্তানের অধীন ছিল বলে প্রভাতি শাখা ছিল [[উর্দু]] মিডিয়াম, আর দিবা শাখা ছিল বাংলা মিডিয়ামে পড়ালেখার জন্য, এবং শাখাদ্বয়ের নামও ছিল যথাক্রমে 'উর্দু মিডিয়াম' এবং 'বেঙ্গলি মিডিয়াম'। পরে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর দুই শাখাতেই বাংলা মিডিয়ামে পড়ালেখা শুরু হয় এবং শাখাদ্বয়ের নাম যথাক্রমে 'প্রভাতি শাখা' ও 'দিবা শাখা' হয়।
 
=== বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদান ===
পূর্ব পাকিস্তান আমলে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৯৭১ সালের [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে]] সক্রিয় অবদান রাখেন। যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রের ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবহিত আছে, তাঁরাতারা হলেন:
* মাজহারুল হক, মেট্রিকুলেশন পরীক্ষার্থী
* খোকন, মেট্রিকুলেশন পরীক্ষার্থী
৫৬ নং লাইন:
 
== খেলাধুলা ==
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষাসহায়ক পাঠক্রম রয়েছে এবং প্রতি সপ্তাহে একটি পি.টি. ক্লাস বাধ্যতামূলক অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য দুটো মাঠ রয়েছে, যার একটি মূল ভবন দিয়ে ঘেরা, যাকে ''ভিতরের মাঠ'' বলা হয়, আর অন্যটি মুল ভবনের পিছনে, যাকে ''বাইরের মাঠ'' বলা হয়। বাইরের মাঠটিতে [[১৯৯৮]] খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে বড় ধরণেরধরনের উন্নয়ন কাজ করানো হয়। এই মাঠটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আন্তশ্রেণী ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন আন্তঃজেলা ও আন্তঃবিভাগ প্রতিযোগিতা আয়োজনে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ২০০০ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সংযোজিত হয় একটি [[বাস্কেটবল]] খেলার মাঠ। ইনডোর গেমসের মধ্যে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে [[টেবিল টেনিস]] বেশ জনপ্রিয়, এবং বিদ্যালয়ে একাধিক টেবিল টেনিস খেলার টেবিলের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১৯৯৫, ১৯৯৬, ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে Terry Fox Run-এ অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব ফুটবল, ক্রিকেট, খো খো, কাবাডি, টেবিল টেনিস দল, যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের পক্ষে প্রতিযোগিতা করে থাকে। এছাড়া ''নির্মাণ বিদ্যালয় ক্রিকেট''-এ এই বিদ্যালয়ের ক্রিকেট দল ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে অর্জন করে শ্রেষ্ঠ দল হবার গৌরব।{{cn}}
 
== সহশিক্ষা কার্যক্রম ==
বিদ্যালয়ের প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি পাঠক্রমে যোগ করা হয়েছে 'সিসিএ' (কো-কারিকুলার এক্টিভিটিস) ক্লাস, যেখানে শিক্ষার্থীরা পাঠক্রমের বাইরের বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ পান। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মুক্তবুদ্ধির ও মুক্তচিন্তার চর্চার জন্য বিদ্যালয়ে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন আন্তঃসংগঠন। বিদ্যালয়ের আন্তঃসংগঠনের মধ্যে [[স্কাউটিং|স্কাউট]], [[বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি|রেড ক্রিসেন্ট]] এবং [[বিএনসিসি]]'র কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য। এই তিন সংগঠন, বিশেষ করে বিএনসিসি কোরের সদস্যবৃন্দ প্রতি বছর [[বাংলাদেশের বিজয় দিবস|বিজয় দিবসে]] কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে থাকে। অত্র বিদ্যালয়ে [[১৯৮০]] খ্রিস্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ থেকে বিএনসিসি কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এই তিন বাহিনী বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অন্তর্বর্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষ পরিস্থিতি ও দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে থাকে। এমনকি ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে অত্র বিদ্যালয়ের একজন বিএনসিসি ক্যাডেট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী [[শেখ হাসিনা|শেখ হাসিনাকে]] গার্ড অফ ওনার প্রদান করার গৌরব অর্জন করেন।
 
এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ও [[১৯৯৫]] খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে [[বাংলাদেশ টেলিভিশন]] আয়োজিত "জাতীয় বিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা"য় রানার-আপ হবার গৌরব অর্জন করে। এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে [[১৯৯৬]] খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ডিবেটিং ক্লাব। ''ষষ্ঠ স্টামফোর্ড ন্যাশনাল ডিবেট চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১১''-তে বিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলা ফাইনাল বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে বিদ্যালয়টি, এছাড়া সেখানে শ্রেষ্ঠ তার্কিক হন নাফিস ফেরেদৌস সাকিব<ref>''[http://www.sangbad.com.bd/?view=details&type=gold&data=Politics&pub_no=943&menu_id=37&news_type_id=1&val=88892 ক্যাম্পাস : ষষ্ঠ স্টামফোর্ড ন্যাশনাল ডিবেট চ্যাম্পিয়নশিপের জমজমাট সমাপনী]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=জুন ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}'', লেখাপড়া পাতা, দৈনিক সমকাল; প্রকাশকাল: ১৩ জানুয়ারি ২০১২, সংগ্রহের তারিখ: ১৬ জানুয়ারি ২০১২।</ref>।২০১৫ সালে রাজউক ন্যাশনাল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় । ২০১৪ সালের ১৪-ই এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয় [[MGBHS সাংস্কৃতিক সংঘ -সংশপ্তক]]। এটি প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেয় বিদ্যালয়ের তিন ছাত্র ইনান মারশাদ, তাসনীম বিন আলম ও সাদেকীন হায়দার। সংগঠনটি [[জাতীয় শিশু পুরস্কার]]-সহ বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। তাছাড়া, সংগঠনটি বিদ্যালয়ে [[উইকিমিডিয়া,বাংলাদেশ]] এর একটি কর্মশালাও আয়োজন করেছে। <ref>"[http://www.kalerkantho.com/feature/campus/2015/08/12/255229]"।</ref>|
 
== জনস্বার্থমূলক কার্যক্রম ==
[[File:Motijhil Govt Boys School.jpg|thumb|তনু হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রদের মিছিল]]
প্রাকৃতিক দূর্‍্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থেকে সেবার ব্রত রয়েছে এ বিদ্যালয়ের। ১৯৮৮,১৯৯৮,২০০৪ সালের বন্যায় ঢাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলে বিদ্যালয়ের স্থাপিত আশ্রয়কেন্দ্রে অসহায় মানুষদের সাহায্য করা হয়েছিল। ১৯৯১ সালে চট্রগ্রামে জলোচ্ছ্বাস,১৯৯৬ সালে টাঙ্গাইলের টর্নেডোতে আক্রান্ত এলাকার জন্য এবং ২০০৭ সালে সিডর আক্রান্ত দক্ষিনাঞ্চলেরদক্ষিণাঞ্চলের জনগনের সহায়তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।{{cn}}
 
== ফলাফল ==
বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে প্রায় প্রতি বছরই সাফল্য পরিলক্ষিত হয়। যখন শিক্ষা কার্যক্রম প্রাক্তন বিভাগ পদ্ধতিতে পরিচালিত হতো, তখন ১৯৯০ ও ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়ের ৩ জন ছাত্র মাধ্যমিক চূড়ান্ত পরীক্ষা [[এসএসসি|এসএসসিতে]] মেধাতালিকায় স্থান করে নেন। ১৯৯৩ সনে ৩ জন; ১৯৯৪ সনে ৩ জন; ১৯৯৫ সনে ৬ জন; ১৯৯৮ সনে ২ জন এসএসসিতে মেধাতালিকায় স্থান করে নেন (প্রেক্ষিত ১৯৯৯)। এছাড়াও ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান একজন, ঐ বছর জুনিয়র বৃত্তি পান ৪ জন; ১৯৯৮ সালে জুনিয়র বৃত্তিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান ১ জন, সাধারণ বৃত্তি পান ১ জন। ২০১১ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে ফলাফল বিবেচনায় ঢাকার সেরা বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিদ্যালয়টি নবম অবস্থানে অবস্থান করে।২০১৫ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে ফলাফল বিবেচনায় বাংলাদেশের সেরা বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিদ্যালয়টি ষষ্ঠ অবস্থানে অবস্থান করে।
 
== অনুষ্ঠানাদি ==
৮৬ নং লাইন:
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
* বার্ষিকী'১১(প্রসূন), মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য পত্রিকা; প্রকাশকাল: ২০১১ খ্রিস্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ; সংগ্রহের তারিখ: ২৫ অক্টোবর ২০১২।
* বার্ষিকী'৯৯, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য পত্রিকা; প্রকাশকাল: ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ (১৪০৬ বঙ্গাব্দ); সংগ্রহের তারিখ: ১৪ জানুয়ারি ২০১২।
* বার্ষিকী'৯৭, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য পত্রিকা; প্রকাশকাল: ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ (১৪০৪ বঙ্গাব্দ); সংগ্রহের তারিখ: ১৪ জানুয়ারি ২০১২।
 
== বহিঃসংযোগ ==