শঙ্খনীল কারাগার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta14)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৩ নং লাইন:
উপন্যাসের কথক ‘খোকা’। তারা ছয় ভাইবোন। তার বড় বোন রাবেয়া। তার বাবা আর রাবেয়ার বাবা ভিন্ন দুই ব্যক্তি। রাবেয়ার মায়ের আগে এক ধনীর সাথে বিয়ে হয়েছিল। সেই পরিবারে জন্মায় রাবেয়া। রাবেয়ার বাবার সাথে রাবেয়ার মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
 
রাবেয়ার মায়ের বাবার বাড়ি অভিজাত শ্রেণীর। রাবেয়ার মায়ের জীবন, রূপলাবণ্য সবই ছিল বড়লোকি। তিনি ভালো গান করতে জানতেন। তাঁরতার বাবার বাড়ি আশ্রয় নেন গরীব শিক্ষার্থী আজহার হোসেন। একদিন তিনি রাবেয়ার মায়ের মুখে গান শুনে তাঁরতার প্রেমে পড়ে যান। তার কয়েকমাস বাদে রাবেয়ার মায়ের সাথে বিয়ে হয় তাঁর।তার। রাবেয়ার মা তাঁরতার বাবার বাড়ির সবকিছু ছেড়ে আজহার সাহেবের সংসারে যান।
 
দীর্ঘ ২৩বছরের সংসারে একে একে খোকা ও তার বাকি চার ভাইবোন জন্মায়। সবচেয়ে ছোট মেয়ে নিনুর জন্মের সময় মারা যান খোকার মা। খোকার মা যেহেতু জন্মগত অভিজাত শ্রেণীর এবং খোকার বাবা যেহেতু দরিদ্র ঘরের ছেলে সেহেতু খোকার মায়ের সাথে তাঁরতার অন্তরঙ্গ হতো না। তবুও তিনি পছন্দ এবং সম্মান করতেন তাঁরতার স্ত্রীকে। কিন্তু তাঁরতার স্ত্রী থাকতেন চুপচাপ, গম্ভীর। রাবেয়া ছাড়া তাঁরতার অন্যান্য সন্তানরাও তাঁরতার স্নেহ পায়নি তেমন। তাঁরতার মনে খুব দুঃখ থাকতো লুকিয়ে। সেজন্যই গানপাগলী হয়েও তিনি সংসারে ২৩ বছরের জীবনে আর কখনও গান করেন নি।
 
খোকা তার ছোটখালার মেয়ে কিটকিকে ভালোবাসতো। কিটকিও খোকাকে ভালোবাসতো। কিন্তু তারা সপরিবারে পাঁচবছরের জন্য ম্যানিলায় যায়। সেখান থেকে একসময় ফিরে আসে, কিন্তু তাঁরতার সাথে খোকার বিয়ে হয় না।
 
খোকার ছোটবোন রুনু বিয়ের আসরে বসলেও তার বিয়া হয় না মনের মানুষের সাথে। সে দুঃখে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। রাবেয়ারও বিয়ে হয় না। কারণ তার গায়ের রং কালো।