ভারতের জাতীয় পতাকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ ক্যাট-এ-লট: বিষয়শ্রেণী:জাতীয় পতাকা থেকে বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী পতাকা-এ স্থানান্তরিত |
|||
২২ নং লাইন:
[[চিত্র:1931 Flag of India.svg|thumb|220px|right| ১৯৩১ সালে গৃহীত পতাকা; এটি [[আজাদ হিন্দ ফৌজ|আজাদ হিন্দ ফৌজের]] যুদ্ধপতাকারূপেও ব্যবহৃত হয়]]
[[চিত্র:Flag of the Indian Legion.svg|thumb|220px|right| [[আজাদ হিন্দ]] পতাকা, [[নাৎসি জার্মানি]]র [[ফ্রি ইন্ডিয়া লিজিয়ন|ফ্রি ইন্ডিয়া লিজিয়নে]] প্রথম উত্তোলিত]]
ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারত ছিল [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ শাসনের]] অধীনে। [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন]] শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন দেশীয় রাজ্যের শাসকেরা ভিন্ন ভিন্ন নকশার একাধিক পতাকা ব্যবহার করতেন। ১৮৫৭ সালের [[সিপাহী বিদ্রোহ|মহাবিদ্রোহের]] পরে ভারত প্রত্যক্ষভাবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে এলে ভারতের তদনীন্তন ব্রিটিশ শাসকবর্গ একক ভারতীয় পতাকার ধারণাটি প্রথম উত্থাপন করেন। পাশ্চাত্য হেরাল্ডিক আদর্শে নির্মিত [[স্টার অফ ইন্ডিয়া (পতাকা)|স্টার অফ ইন্ডিয়া]] ছিল কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া সহ অন্যান্য ব্রিটিশ উপনিবেশের পতাকাগুলির সমরূপীয়। ব্লু ও রেড এনসাইন পতাকাদুটির ঊর্ধ্ব-বাম কোয়াড্র্যান্টে থাকত [[ইউনিয়ন ফ্ল্যাগ]] এবং দক্ষিণার্ধ্বের মধ্যভাগে রাজমুকুট-বেষ্টিত একটি "স্টার অফ ইন্ডিয়া"। স্টারটি যে "ভারতীয়ত্ব"-এর প্রকাশক, তা বোঝাতে [[রানি ভিক্টোরিয়া]]
[[চিত্র:British Raj Red Ensign.svg|left|thumb|alt=A British Red Ensign (a red flag with the Union Jack placed at the top left corner) charged with the Star of India (five pointed star inside a circular band tied at the bottom)|ব্রিটিশ ইন্ডিয়া রেড এনসাইন]] [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] সময় রেড এনসাইন ব্রিটিশ ভারতের প্রতিনিধিরূপে সর্বাপেক্ষা অধিক গুরুত্ব অর্জন করেছিল। [[সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ]] এবং ১৯৪৫-৪৭ সময়পর্বে [[জাতিসংঘ|জাতিসংঘে]] এই পতাকাটিই ভারতের পতাকা হিসেবে ব্যবহৃত হত।<ref>http://www.crwflags.com/fotw/flags/in-colon.html</ref>
বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে [[ব্রিটিশ রাজ|ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের]] অধীনতাপাশ থেকে মুক্তিলাভের উদ্দেশ্যে [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন]] তার গুরুত্ব অর্জন করতে শুরু করলে, একটি জাতীয় পতাকার প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুভূত হয়। ১৯০৪ সালে [[স্বামী বিবেকানন্দ|স্বামী বিবেকানন্দের]] [[আয়ারল্যান্ড|আইরিশ]] শিষ্যা [[ভগিনী নিবেদিতা]] ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকার রূপদান করেন। এই পতাকাটি ''ভগিনী নিবেদিতার পতাকা'' নামে অভিহিত হয়। লাল চতুষ্কোণাকার এই পতাকার কেন্দ্রে ছিল [[বজ্র (হিন্দুধর্ম)|বজ্র]] ও [[:en: Nelumbo nucifera|শ্বেতপদ্ম]] সম্বলিত একটি হলুদ ইনসেট। পতাকায় "বন্দে মাতরম" কথাটি [[বাংলা লিপি|বাংলায়]] লিখিত ছিল। লাল রং ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক, হলুদ বিজয়ের ও শ্বেতপদ্ম পবিত্রতার প্রতীক।<ref name="FOTW">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
১৯০৬ সালের ৭ অগস্ট [[কলকাতা|কলকাতার]] পার্সিবাগান স্কোয়ারে [[বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)|বঙ্গভঙ্গ]] বিরোধী এক সভায় প্রথম ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলিত হয়। এই পতাকা উত্তোলন করেন [[শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু]]। পতাকাটি ''[[কলকাতা পতাকা]]'' নামে পরিচিত হয়। এই পতাকায় উপরে, মধ্যে ও নিচে যথাক্রমে কমলা, হলুদ ও সবুজ রঙের তিনটি আনুভূমিক ডোরা ছিল। উপরের ডোরায় আটটি অর্ধ-প্রস্ফুটিত পদ্ম এবং নিচের ডোরায় সূর্য ও অর্ধচন্দ্র অঙ্কিত ছিল। মাঝে [[দেবনাগরী]] হরফে লিখিত ছিল "বন্দে মাতরম" কথাটি।<ref name="AICC">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
১৯০৭ সালের ২২ জুলাই [[জার্মানি]]র [[স্টুটগার্ট]] শহরে [[ভিখাজি কামা]] অন্য একটি ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেন। এই পতাকার উপরে ছিল সবুজ, মধ্যে গেরুয়া ও নিচে লাল রং। সবুজ রং ছিল ইসলামের প্রতীক ও গেরুয়া হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের প্রতীক। সবুজ ডোরাটির উপর [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] আটটি প্রদেশের প্রতীক হিসেবে আটটি পদ্মের সারি অঙ্কিত ছিল। মধ্যের ডোরায় দেবনাগরী হরফে "বন্দে মাতরম" কথাটি লিখিত ছিল এবং নিচের ডোরায় পতাকাদণ্ডের দিকে অর্ধচন্দ্র ও উড্ডয়নভাগের দিকে একটি সূর্য অঙ্কিত ছিল। [[ভিখাজি কামা]], [[বিনায়ক দামোদর সাভারকর|বীর সাভারকর]] ও [[শ্যামজি কৃষ্ণ বর্মা]] একযোগে এই পতাকাটির নকশা অঙ্কন করেছিলেন।<ref name="AICC"/> [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ]] ছড়িয়ে পড়লে [[বার্লিন কমিটি]]তে ভারতীয় বিপ্লবীরা এই পতাকাটি গ্রহণ করেন। সেই থেকে এটি '' বার্লিন কমিটি পতাকা'' নামে অভিহিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে [[মেসোপটেমিয়া]]য় সক্রিয়ভাবে এই পতাকাটি ব্যবহৃত হয়েছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |
১৯১৭ সালে [[বাল গঙ্গাধর তিলক]] ও [[অ্যানি বেসান্ত]] পরিচালিত [[হোমরুল আন্দোলন]] একটি নতুন পতাকার জন্ম দেয়। এই পতাকায় পাঁচটি লাল ও চারটি সবুজ আনুভূমিক ডোরা ছিল। উপরের বাঁদিকে আয়তাকার [[ইউনিয়ন পতাকা]] ছিল আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষিত [[ডোমিনিয়ন]] মর্যাদা লাভের প্রতীক। উপরের উড্ডয়নভাগে ছিল সাদা অর্ধচন্দ্র ও তারা। [[হিন্দু|হিন্দুদের]] পবিত্র [[সপ্তর্ষি মণ্ডল|সপ্তর্ষি মণ্ডলের]] প্রতীকরূপে সাতটি সাদা তারা পতাকায় খচিত ছিল। এই পতাকাটি অবশ্য সর্বসাধারণ্যে জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যর্থ হয়।<ref name="AICC"/>
এক বছর আগে ১৯১৬ সালে অধুনা [[অন্ধ্রপ্রদেশ|অন্ধ্রপ্রদেশের]] [[মছলিপত্তনম]] শহরের নিকটস্থ ভাটলাপেনামারু গ্রামের বাসিন্দা [[পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া]] একটি সাধারণ জাতীয় পতাকার রূপদানের চেষ্টা করেন।
মহাত্মা গান্ধীর ইচ্ছানুসারে একটি নতুন পতাকার নকশা করা হয়। এই ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকার উপরে ছিল সাদা, মধ্যে সবুজ ও নিচে নীল; যা যথাক্রমে সংখ্যালঘু ধর্মসম্প্রদায়, মুসলমান ও হিন্দুদের প্রতীক। তিনটি ডোরা জুড়ে খচিত ছিল চরকার ছবি। আনুভূমিক তেরঙা ডোরা সম্বলিত এই পতাকাটি [[আয়ারল্যান্ডের জাতীয় পতাকা]]র সমরূপ ছিল। উল্লেখ্য, আয়ারল্যান্ডের পতাকা আরেকটি প্রধান [[ব্রিটিশ সাম্রাজ্য]] বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক।<ref name="FOTW"/> জাতীয় কংগ্রেসের [[আমেদাবাদ]] অধিবেশনে এটি উত্তোলিত হয়। যদিও [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস]] কখনই এটিকে সরকারি পতাকা হিসেবে গ্রহণ করেনি। স্বাধীনতা আন্দোলনে এর ব্যাপক প্রয়োগও অন্যদিকে চোখে পড়ে না।
৪৫ নং লাইন:
একই সময় [[আজাদ হিন্দ ফৌজ]] ব্যবহৃত পতাকায় "Azad Hind" (আজাদ হিন্দ) কথাটি ও চরকার পরিবর্তে একটি লম্ফমান বাঘের ছবি যুক্ত করা হয়। এটি ছিল [[মহাত্মা গান্ধী]]র অহিংস আন্দোলনের বিরুদ্ধে [[সুভাষচন্দ্র বসু]]র সশস্ত্র সংগ্রামের অনাস্থার প্রতীক। [[মণিপুর|মণিপুরে]] প্রথমবার সুভাষচন্দ্র এই পতাকাটি উত্তোলন করেন।
স্বাধীনতা প্রাপ্তির কয়েকদিন পূর্বে ভারতের জাতীয় পতাকার বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য [[গণপরিষদ]] স্থাপিত হয়। গণপরিষদ [[রাজেন্দ্র প্রসাদ|রাজেন্দ্র প্রসাদের]] নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে। এই কমিটির সদস্যরা ছিলেন [[মৌলানা আবুল কালাম আজাদ]], [[সরোজিনী নাইডু]], [[চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী]], [[কে এম মুন্সি]] ও [[বি আর আম্বেডকর]]। পতাকা কমিটি স্থাপিত হয় ১৯৪৭ সালের ২৩ জুন। এই সময় এই কমিটি পতাকা নিয়ে আলোচনা শুরু করে। তিন সপ্তাহ পরে ১৯৪৭ সালের ১৪ জুলাই
== নকশা ==
৮৩ নং লাইন:
|}
সর্বোচ্চ ব্যান্ডের সরকারি (সিএমওয়াইকে) মূল্য হল (0,50,90,0) – এটি [[কমলা (রঙ)|কমলা]] রঙের অনুরূপ – যার সিএমওয়াইকে = (0,54,90,0)। প্রকৃত গাঢ় গেরুয়ার সিএমওয়াইকে মূল্য যথাক্রমে (4, 23, 81, 5)) ও (0, 24, 85, 15))।<ref name="FOTW"/> পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করেন [[পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া]]।<ref name="Funmunch">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
== প্রতীক ==
৯০ নং লাইন:
স্বাধীনতাপ্রাপ্তির কয়েকদিন পূর্বে বিশেষভাবে গঠিত [[গণপরিষদ]] এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে ভারতের জাতীয় পতাকাকে সব দল ও সম্প্রদায়ের নিকট গ্রহণযোগ্য করে হতে হবে।<ref name="FOTW"/> এই কারণে, [[অশোকচক্র]] সম্বলিত গেরুয়া, সাদা ও সবুজ ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা গৃহীত হয়। [[সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন]], যিনি পরবর্তীকালে ভারতের প্রথম [[ভারতের উপরাষ্ট্রপতি|উপরাষ্ট্রপতি]] হয়েছিলেন, তিনি গৃহীত পতাকার প্রতীকতত্ত্বটি ব্যাখ্যা করে নিম্নলিখিত ভাষায় তার গুরুত্ব বর্ণনা করেন:
{{cquote|''ভাগোয়া'' বা গেরুয়া রঙ ত্যাগ ও বৈরাগ্যের প্রতীক। আমাদের নেতৃবৃন্দকে পার্থিব লাভের প্রতি উদাসীন ও আপন আপন কাজে যত্নবান হইতে হইবে। মধ্যস্থলে সাদা আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বভাবের পথপ্রদর্শক সত্যপথ আলোর প্রতীক। সবুজ মৃত্তিকা তথা সকল প্রাণের প্রাণ উদ্ভিজ্জ জগতের সহিত আমাদের সম্বন্ধটি ব্যক্ত করিতেছে। সাদা অংশের কেন্দ্রস্থলে ''[[অশোকচক্র]]'' [[ধর্ম (হিন্দু দর্শন)|ধর্ম]] অনুশাসনের প্রতীক। ''[[সত্য]]'' ও ''ধর্ম'' এই পতাকাতলে কর্মরত সকলের নিয়ন্ত্রণনীতি হইবে। এতদ্ভিন্ন, চক্রটি গতিরও প্রতীক। স্থবিরতায় আসে মৃত্যু। জীবন গতিরই মধ্যে। পরিবর্তনকে বাধাদান ভারতের আর উচিত হইবে না, তাহাকে সম্মুখে অগ্রসর হইতে হইবেই। এই চক্রটি শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের গতিশীলতার প্রতীক।<ref name="NIC">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== উৎপাদন প্রক্রিয়া ==
১২৭ নং লাইন:
|}
১৯৫০ সালে ভারতে সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তার এক বছর পরই, অর্থাৎ ১৯৫১ সালে, [[ভারতীয় মানক ব্যুরো]] (বিএসআই) প্রথম বার জাতীয় পতাকা উৎপাদন সংক্রান্ত কিছু বিনির্দেশ জারি করে। ১৯৬৪ সালে ভারত মেট্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করলে এই বিনির্দেশে কিছু সংশোধনী আনা হয়। তারপর ১৯৬৮ সালের ১৭ অগস্ট পুনরায় সংশোধিত হয় এগুলি।<ref name="Code2002"/> আকার, ডাই রং, ক্রোমাটিক মূল্য, উজ্জ্বলতা, ব্যবহৃত সুতোর সংখ্যা ও উত্তোলনরজ্জু সহ পতাকা উৎপাদনের সকল আবশ্যিক বিষয়ের উল্লেখ এই বিনির্দেশে পাওয়া যায়। এই নির্দেশনামা কঠোরভাবে অনুসৃত হয়। পতাকা উৎপাদনে কোনো খুঁত রাখা আইনত অপরাধ; এবং তার শাস্তি জেল, জরিমানা অথবা দুইই।<ref name="KVIC">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|
পতাকা উৎপাদনের জন্য একমাত্র [[খাদি]] নামক হস্তচালিত তাঁতবস্ত্রই ব্যবহার করা যায়। তুলা, রেশম ও উল ছাড়া অন্যকিছু খাদির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। পতাকা উৎপাদনে দুই ধরনের খাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে; প্রথমটি হল খাদি-বান্টিং, যা দিয়ে পতাকার মূল অংশটি প্রস্তুত করা হয় এবং দ্বিতীয়টি হল হালকা বাদামি রঙের খাদি-ডাক বস্ত্রখণ্ড, যেটি পতাকাকে পতাকাদণ্ডের রজ্জুর সঙ্গে ধরে রাখে। খাদি-ডাক এক অপ্রচলিত বয়নপদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে তিনটি সুতো একত্রে জালের আকারে বোনা হয়। উল্লেখ্য, প্রচলিত বয়নপদ্ধতিতে দুটি সুতোকে একসঙ্গে বোনা হয়ে থাকে। খাদি-ডাক অত্যন্ত দুর্লভ এক বয়নপদ্ধতি। ভারতে এক ডজনেরও কম বয়নশিল্পী এই ধরনের বয়নে সক্ষম। নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, প্রতি সেন্টিমিটারে ১৫০টি সুতোর বেশি বা কম থাকবে না, প্রতি সেলাইয়ে চারটি করে সুতো থাকবে<ref name="KVIC"/> এবং এক বর্গফুট পতাকার ওজন ২৫ গ্রামের বেশি বা কম হবে না।<ref name="Code2002"/><ref name="Bhatt">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |
উত্তর [[কর্ণাটক|কর্ণাটকের]] [[ধরওয়াদ]] ও [[বাগালকোট]] জেলার নিকটস্থ গদগের দুটি তাঁত ইউনিট থেকে বয়নকৃত খাদি আনা হয়। বর্তমানে [[হুবলি]]-ভিত্তিক [[কর্ণাটক খাদি গ্রামোদ্যোগ সংযুক্ত সংঘ]] ভারতের একমাত্র লাইসেন্স-প্রাপ্ত জাতীয় পতাকা উৎপাদন ও সরবরাহ ইউনিট। [[খাদি উন্নয়ন ও গ্রামীণ শিল্প কমিশন]] (কেভিআইসি) ভারতে পতাকা উৎপাদন ইউনিট স্থাপনের জন্য অনুমতি প্রদানের ক্ষমতাপ্রাপ্ত। তবে বিনির্দেশ অগ্রাহ্য করা হলে বিএসআই অনুমতিপ্রাপ্ত সংস্থার অনুমতি বাতিল করে দিতে পারে।<ref name="Code2002"/>
১৩৮ নং লাইন:
== পতাকাবিধি ==
২০০২ সালের পূর্বাবধি ভারতের সাধারণ নাগরিকবৃন্দ জাতীয় ছুটির দিনগুলি ছাড়া অন্য সময়ে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকারী ছিলেন না। শিল্পপতি [[নবীন জিন্দাল]] পতাকাবিধি ভঙ্গ করে
|
অন্যদিকে ভারতীয় সংঘ বনাম যশোবন্ত শর্মা মামলায়<ref>(2004) 2 SCC 510</ref><!-- Please expand/complete this ref --> পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, জাতীয় পতাকাবিধি বিধিবদ্ধ আইন না হলেও এই বিধির বিধিনিষেধগুলি জাতীয় পতাকার গৌরবরক্ষার্থে অবশ্য পালনীয়। জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকার পরম অধিকার নয়; এটি অর্জিত অধিকার এবং সংবিধানের ৫১ ক ধারা অনুযায়ী এটি মান্য করা উচিত।
=== পতাকার সম্মান ===
ভারতীয় আইন অনুসারে জাতীয় পতাকার ব্যবহার সর্বদা "মর্যাদা, আনুগত্য ও সম্মান" ("dignity, loyalty and respect") সহকারে হওয়া উচিত। "প্রতীক ও নাম (অপব্যবহার রোধ) আইন, ১৯৫০" ("The Emblems and Names (Prevention of Improper Use) Act, 1950") অনুসারে জারি করা "ভারতীয় পতাকা বিধি – ২০০২" ("Flag Code of India – 2002") পতাকার প্রদর্শনী ও ব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা বহন করে। সরকারি বিধিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকা কখনই মাটি বা জল স্পর্শ করবে না; এটিকে টেবিলক্লথ হিসেবে বা কোনো প্লাটফর্মের সম্মুখে আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না; জাতীয় পতাকা দিয়ে কোনো মূর্তি, নামলিপি বা শিলান্যাস প্রস্তর আবরিত করা যাবে না ইত্যাদি। ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা বস্ত্র, উর্দি বা সাজপোষাক হিসেবে ব্যবহার করা যেত না। ২০০৫ সালের ৫ জুলাই সরকার পতাকাবিধি সংশোধন করে বস্ত্র বা উর্দি হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করেন। যদিও নিম্নাবরণ বা অন্তর্বাস হিসেবে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে।<ref name="Belt">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
=== পতাকা ব্যবহার ===
১৭৬ নং লাইন:
=== যানবাহনে প্রদর্শনী ===
কেবলমাত্র [[ভারতের রাষ্ট্রপতি|রাষ্ট্রপতি]], [[ভারতের উপরাষ্ট্রপতি|উপরাষ্ট্রপতি]], [[ভারতের প্রধানমন্ত্রী|প্রধানমন্ত্রী]], রাজ্যপাল ও লেফট্যানেন্ট গভর্নরগণ, [[মুখ্যমন্ত্রী|মুখ্যমন্ত্রীগণ]], ক্যাবিনেট মন্ত্রীগণ ও ভারতীয় সংসদ ও রাজ্য বিধানসভার জুনিয়র ক্যাবিনেট সদস্যগণ, [[লোকসভা]] ও রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষগণ, [[রাজ্যসভা]] ও রাজ্য বিধানপরিষদের চেয়ারম্যানগণ, [[ভারতের সুপ্রিম কোর্ট|সুপ্রিম কোর্ট]] ও হাইকোর্টের বিচারপতিগণ এবং [[ভারতীয় সেনাবাহিনী|সেনাবাহিনী]], [[ভারতীয় বিমানবাহিনী|বিমানবাহিনী]] ও [[ভারতীয় নৌবাহিনী|নৌবাহিনীর]] ফ্ল্যাগ-র্যাঙ্ক আধিকারিকবৃন্দই নিজেদের যানবাহনে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের অধিকারী।
[[চিত্র:India flag emblem.jpg|200px|thumb|[[বেঙ্গালুরু]]র [[বিধানসৌধ|বিধানসৌধের]] উপর ভারতের জাতীয় পতাকা ও রাষ্ট্রীয় প্রতীক]]
রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গেলে
=== অর্ধনমন ===
২১২ নং লাইন:
== তথ্যসূত্র ==
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি |
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি |
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি |
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি |
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি |
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== আরও পড়ুন ==
* {{সাময়িকী উদ্ধৃতি |
== বহিঃসংযোগ ==
|