ভারত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

|national_motto = ''"[[সত্যমেব জয়তে]]"'' <small>([[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]])(हिन्दी- सत्यमेव जयते)</small><br /> "সত্যই জয়লাভ করে"<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.india.gov.in/knowindia/state_emblem.php |titleশিরোনাম=State Emblem -''inscription''|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-06-17 |formatবিন্যাস=HTML |publisherপ্রকাশক= ''National Informatics Centre (NIC)''}}</ref>

|national_anthem = ''[[জনগণমনঅধিনায়ক জয় হে]]'' <br />{{small|"জনগণমনঅধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা"}}{{lower|0.2em|{{sfn|Wolpert|2003|p=1}}}}<ref name="india.gov.in">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://india.gov.in/india-glance/national-symbols |titleশিরোনাম=National Symbols &#124; National Portal of India |publisherপ্রকাশক=India.gov.in |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=6 July 2013}}</ref><br /><center>[[চিত্র:Jana Gana Mana instrumental.ogg]]</center>

|other_symbol_type = <span class="plainlinks">[[জাতীয় স্তোত্র]]<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://parliamentofindia.nic.in/ls/debates/vol12p1.htm |titleশিরোনাম=CONSTITUENT ASSEMBLY OF INDIA&nbsp;— VOLUME XII |publisherপ্রকাশক=parliamentofindia.nic.in, National Informatics Centre |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-06-29 |dateতারিখ=1950-01-24 |workকর্ম=Constituent Assembly of India: Debates |quoteউক্তি=The composition consisting of the words and music known as Jana Gana Mana is the National Anthem of India, subject to such alterations in the words as the Government may authorise as occasion arises; and the song Vande Mataram, which has played a historic part in the struggle for Indian freedom, shall be honoured equally with Jana Gana Mana and shall have equal status with it. |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110721173243/http://parliamentofindia.nic.in/ls/debates/vol12p1.htm |আর্কাইভের-তারিখ=২০১১-০৭-২১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>

|other_symbol = ''[[বন্দে মাতরম]]''<small><br />''মা-কে বন্দনা করি''</small><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=''National Song'' - Know India portal |urlইউআরএল=http://india.gov.in/knowindia/national_song.php |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-08-30 |publisherপ্রকাশক=National Informatics Centre(NIC) |yearবছর=2007}}</ref>

| official_languages = '''কেন্দ্রীয় স্তরে''':{{hlist |[[হিন্দি]]|[[ইংরেজি]]{{efn|[[দেবনাগরী লিপি|দেবনাগরী লিপিতে]] লিখিত [[হিন্দি]] কেন্দ্রীয় সরকারের দাপ্তরিক ভাষা এবং [[ইংরেজি]] হল "সহকারী অফিসিয়াল ভাষা"{{sfn|Ministry of Home Affairs 1960}}{{sfn|National Informatics Centre|2005}}<ref name="india.gov.in2">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=https://india.gov.in/india-glance/profile |titleশিরোনাম=Profile &#124; National Portal of India |publisherপ্রকাশক=India.gov.in |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=23 August 2013 |deadurlঅকার্যকর-ইউআরএল=no |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130830064815/http://india.gov.in/india-glance/profile |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=30 August 2013 |df=dmy-all }}</ref> [[States and union territories of India|States and union territories]] can have a different official language of their own other than Hindi or English.}}<ref>{{Citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://rajbhasha.nic.in/UI/pagecontent.aspx?pc=MzU%3d |titleশিরোনাম=Constitutional Provisions – Official Language Related Part-17 Of The Constitution Of India |languageভাষা=Hindi |websiteওয়েবসাইট=[[National Informatics Centre]] |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=1 December 2017 |deadurlঅকার্যকর-ইউআরএল=yes |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161108170457/http://www.rajbhasha.nic.in/UI/pagecontent.aspx?pc=MzU= |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=8 November 2016 |df= }}</ref>}}<br/>{{collapsible list

|title = [[ভারতের_সরকারি_ভাষাসমূহভারতের সরকারি ভাষাসমূহ#ভারতের_রাজ্য_ও_কেন্দ্রশাসিত_অঞ্চলগুলিতে_বর্তমানে_ব্যবহৃত_ভাষাসমূহভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বর্তমানে ব্যবহৃত ভাষাসমূহ|'''রাজ্য''']] '''স্তরে''' এবং<br />[[ভারতের রাষ্ট্রভাষা#সংবিধানের অষ্টম তফসিলভুক্ত সরকারি ভাষা|'''অষ্টম তফসিল''':]]<ref name="langoff">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://nclm.nic.in/shared/linkimages/NCLM50thReport.pdf |titleশিরোনাম=Report of the Commissioner for linguistic minorities: 50th report (July 2012 to June 2013) |pagesপাতাসমূহ= |publisherপ্রকাশক=Commissioner for Linguistic Minorities, Ministry of Minority Affairs, Government of India |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=26 December 2014 |deadurlঅকার্যকর-ইউআরএল=yes |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160708012438/http://nclm.nic.in/shared/linkimages/NCLM50thReport.pdf |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=8 July 2016 |df=dmy-all }}</ref>

|area_km2 = 3287590<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://india.gov.in/india-glance/profile|titleশিরোনাম=Profile|workকর্ম=india.gov.in}}</ref>

|HDI_ref = <ref name="UN">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://hdr.undp.org/sites/default/files/2016_human_development_report.pdf|titleশিরোনাম=Human Development Report 2016 Summary|publisherপ্রকাশক=The United Nations |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=21 March 2017}}</ref>

|Gini_ref =<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Income Gini coefficient|urlইউআরএল=http://hdr.undp.org/en/content/income-gini-coefficient|websiteওয়েবসাইট=United Nations Development Program|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=14 January 2017}}</ref>

''ভারত'' নামটির উৎপত্তি চন্দ্রবংশীয় [[পুরাণ|পৌরাণিক]] রাজা [[ভরত (সম্রাট)|ভরতের]] নামানুসারে। কথিত আছে এই ''বর্ষ'' বা অঞ্চলটি রাজা ভরতকে দান করা হয়েছিল বলে এর নাম ''ভারতবর্ষ''। ইংরেজি ''ইন্ডিয়া'' (India) শব্দটি এসেছে [[সিন্ধু নদ|সিন্ধু নদের]] আদি [[ফার্সি ভাষা|ফার্সি]] নাম ''হিন্দু'' থেকে।<ref>"India", ''Oxford English Dictionary'', second edition, 2100a.d. Oxford University Press</ref> এছাড়াও প্রাচীন গ্রিকরা ভারতীয়দের ''ইন্দোই'' (Ινδοί; অর্থাৎ, ''ইন্দাস'' (সিন্ধু) নদী অববাহিকার অধিবাসী) নামে অভিহিত করতেন।<ref name="basham">{{বই উদ্ধৃতি |firstপ্রথমাংশ=A. L. |lastশেষাংশ=Basham |titleশিরোনাম=The Wonder That Was India |publisherপ্রকাশক=South Asia Books |yearবছর=2000 |idআইডি={{আইএসবিএন|0-283-99257-3}}}}</ref> স্বাধীনতার পর [[ভারতের সংবিধান|ভারতের সংবিধানে]] ও লোকমুখে ''ভারত'' নামটিই প্রচলিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| titleশিরোনাম=Official name of the Union|urlইউআরএল=http://indiacode.nic.in/coiweb/fullact1.asp?tfnm=00%201|workকর্ম=Courts Informatics Division, [[National Informatics Centre]], Ministry of Comm. and Information Tech

|quoteউক্তি=Name and territory of the Union- India, that is Bharat, shall be a Union of States.|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-08-08}}</ref> এছাড়া মধ্যযুগে উত্তর ভারত অর্থে [[ফার্সি]] ''হিন্দুস্তান'' (বা ''হিন্দুস্থান''; সিন্ধুনদের দেশ) শব্দটিও ব্যবহৃত হত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই শব্দটি সমগ্র ভারত অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি

|titleশিরোনাম = Hindustan

|urlইউআরএল = http://www.britannica.com/eb/article-9040520/Hindustan

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-06-18

|publisherপ্রকাশক = [[Encyclopædia Britannica]], Inc.

|yearবছর= 2007}}</ref>

{{mainমূল নিবন্ধ|ভারতের ইতিহাস|ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস}}

[[মধ্যপ্রদেশ]] রাজ্যের [[ভীমবেটকা প্রস্তর ক্ষেত্র]] ভারতে মানববসতির প্রাচীনতম নিদর্শন। এক লক্ষ বছর আগেও এখানে মানুষের বসবাস ছিল।<ref>Javid, Ali and Javeed, Tabassum. ''World Heritage Monuments and Related Edifices in India''. 2008, page 19</ref><ref>http://originsnet.org/bimb1gallery/index.htm</ref> প্রায় ৯০০০ বছর আগে এদেশে স্থায়ী মানববসতি গড়ে উঠে; যা কালক্রমে পশ্চিম ভারতের ইতিহাস-প্রসিদ্ধ [[সিন্ধু সভ্যতা|সিন্ধু সভ্যতার]] রূপ ধারণ করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম = Introduction to the Ancient Indus Valley |urlইউআরএল=http://www.harappa.com/indus/indus1.html

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-06-18 |yearবছর= 1996 |publisherপ্রকাশক = Harappa}}</ref> এই সভ্যতার আনুমানিক সময়কাল ৩৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এরপর ভারতে [[বৈদিক যুগ|বৈদিক যুগের]] সূত্রপাত হয়। এই যুগেই [[হিন্দুধর্ম]] তথা প্রাচীন ভারতীয় সমাজের অন্যান্য সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলির আবির্ভাব ঘটে। বৈদিক যুগের সমাপ্তিকাল আনুমানিক ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। আনুমানিক ৫৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয় [[মহাজনপদ]] নামে অনেকগুলি স্বাধীন রাজতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজ্য।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | authorলেখক= Krishna Reddy | titleশিরোনাম = Indian History | yearবছর= 2003 | publisherপ্রকাশক = Tata McGraw Hill | locationঅবস্থান = New Delhi | isbnআইএসবিএন = 0070483698 | pagesপাতাসমূহ = A107 }}</ref>

খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে [[চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য]] প্রতিষ্ঠিত ও [[অশোক|মহামতি অশোকের]] শাসিত [[মৌর্য সাম্রাজ্য|মৌর্য সাম্রাজ্যের]] অধীনে দক্ষিণ এশিয়ার সিংহভাগ অঞ্চল একত্রিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম = Maurya dynasty |urlইউআরএল = http://www.livius.org/man-md/mauryas/mauryas.html |authorলেখক = Jona Lendering |accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-06-17}}</ref>

খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মধ্য এশিয়া থেকে ভারতে [[ইসলাম|ইসলামের]] অনুপ্রবেশ ঘটে। এর ফলে সমগ্র উত্তর ভারত প্রথমে [[দিল্লীর সুলতান|সুলতানি]] ও পরে [[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল সাম্রাজ্যের]] অন্তর্ভুক্ত হয়। [[আকবর|মহামতি আকবরের]] রাজত্বকালে দেশে একাধারে যেমন সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচনা হয়, তেমনই প্রতিষ্ঠিত হয় হিন্দু-মুসলমানের ধর্মীয় সম্প্রীতি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.edwebproject.org/india/mughals.html|titleশিরোনাম=The Mughal Legacy}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.easternbookcorporation.com/moreinfo.php?txt_searchstring=13880|titleশিরোনাম=The Mughal World : Life in India's Last Golden Age}}</ref> ক্রমে ক্রমে মুঘল সম্রাটগণ উপমহাদেশের এক বৃহৎ অংশে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপনে সক্ষম হন। যদিও [[উত্তর-পূর্ব ভারত|উত্তর-পূর্বাঞ্চলে]] প্রাধান্যকারী [[অসম|অসমের]] [[অহোম]] রাজশক্তি এবং আরও কয়েকটি রাজ্য মুঘল আগ্রাসন সফলভাবে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিল।

১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির]] হস্তগত হয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://india.gov.in/knowindia/history_freedom_struggle.php|titleশিরোনাম=History : Indian Freedom Struggle (1857-1947)|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-10-03|publisherপ্রকাশক=[[National Informatics Centre|National Informatics Centre (NIC)]]|quoteউক্তি=And by 1856, the British conquest and its authority were firmly established.|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20091227213048/http://india.gov.in/knowindia/history_freedom_struggle.php|আর্কাইভের-তারিখ=২০০৯-১২-২৭|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা [[সিপাহী বিদ্রোহ|ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ]] বা [[সিপাহী বিদ্রোহ|সিপাহি বিদ্রোহ]] নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় [[ব্রিটিশ রাজতন্ত্র|ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের]] প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে।

বিংশ শতকে [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস]] ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|স্বাধীনতা আন্দোলনের]] সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতা [[মহাত্মা গান্ধী]] লক্ষাধিক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন।<ref name="CONCISE ENCYCLOPEDIA 3">{{বই উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম = Concise Encyclopedia|publisherপ্রকাশক = Dorling Kindersley Limited |yearবছর = 1997 |pagesপাতাসমূহ = 455 |isbnআইএসবিএন = 0-7513-5911-4}}</ref> স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষলগ্নে [[সুভাষচন্দ্র বসু|নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু]] ও তাঁরতার [[আজাদ হিন্দ ফৌজ|আজাদ হিন্দ ফৌজের]] সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। [[১৯৪৭]] খ্রিস্টাব্দেরখ্রিষ্টাব্দের [[আগস্ট ১৫|১৫ আগস্ট]] ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি [[ভারত বিভাগ|বিভক্ত]] হয়ে গঠন করে [[পাকিস্তান]] রাষ্ট্র।<ref name="CONCISE ENCYCLOPEDIA..">{{বই উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম = Concise Encyclopedia |publisherপ্রকাশক = Dorling Kindersley Limited |yearবছর = 1997 |pagesপাতাসমূহ = 322 |isbnআইএসবিএন = 0-7513-5911-4}}</ref> ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়।<ref name="CIA">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=CIA Factbook: India |workকর্ম=CIA Factbook| urlইউআরএল=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/in.html |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-03-10}}</ref>

|titleশিরোনাম = India Profile

|urlইউআরএল = http://www.nti.org/e_research/profiles/India/index.html

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-06-20

|yearবছর = 2003

|publisherপ্রকাশক = Nuclear Threat Initiative (NTI)

}}</ref> বর্তমানে পৃথিবীর অতিদ্রুত-বর্ধনশীল এক অর্থব্যবস্থা হিসাবে ভারত সারা বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতেও সক্ষম হয়েছে।<ref name="ERS">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.ers.usda.gov/Briefing/India/|titleশিরোনাম=India is the second fastest growing economy|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-08-05|formatবিন্যাস=|workকর্ম=Economic Research Service (ERS)|publisherপ্রকাশক=United States Department of Agriculture (USDA)|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110520002800/http://www.ers.usda.gov/Briefing/India/|আর্কাইভের-তারিখ=২০১১-০৫-২০|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>

:{{mainমূল নিবন্ধ|ভারতের ভূগোল}}

|lastশেষাংশ=Ali

|firstপ্রথমাংশ=Jason R.

|titleশিরোনাম=Greater India

|journalসাময়িকী=Earth-Science Reviews

|volumeখণ্ড=72

|yearবছর=2005

|pagesপাতাসমূহ=170–173

|doiডিওআই=10.1016/j.earscirev.2005.07.005

|refসূত্র=ali}}</ref> এই ভূখণ্ড গঠনের প্রধান ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াটি শুরু হয় আজ থেকে ৭৫ কোটি বছর পূর্বে, যখন দক্ষিণের অতিমহাদেশ [[গন্ডোয়ানা|গন্ডোয়ানার]] অংশ হিসাবে ভারতীয় উপমহাদেশ উত্তর-পূর্ব দিকে সরতে শুরু করে। তৎকালীন অসংগঠিত [[ভারত মহাসাগর|ভারত মহাসাগরব্যাপী]] এই সরণ স্থায়ী হয় ৫০ কোটি বছর।<ref name=ali/> এর পরে উপমহাদেশটির সঙ্গে [[ইউরেশীয় পাত|ইউরেশীয় পাতের]] সংঘর্ষ ঘটে এবং উপমহাদেশের পাতটি ইউরেশীয় পাতের তলায় অবনমিত হয়ে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতমালা [[হিমালয়|হিমালয়ের]] উত্থান ঘটায়। এই পর্বতমালা বর্তমানে ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক বেষ্টন করে আছে।<ref name=ali/> উত্থানশীল হিমালয়ের দক্ষিণ পাদদেশে অবস্থিত সমুদ্রে পাতসঞ্চরণের ফলে একটি বৃহৎ খাত সৃষ্টি হয়, এবং কালক্রমে নদীর পলি জমে<ref>{{Harvnb|Dikshit|Schwartzberg|2007|p=7|Ref=dikshit}}</ref> এই খাতটি গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে পরিণত হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি

|lastশেষাংশ=Prakash

|titleশিরোনাম=Holocene tectonic movements and stress field in the western Gangetic plains

|journalসাময়িকী=Current Science

|volumeখণ্ড=79

|yearবছর=2000

|pagesপাতাসমূহ=438–449

|urlইউআরএল=http://www.ias.ac.in/currsci/aug252000/prakash.pdf

|formatবিন্যাস=PDF}}</ref> এই সমভূমির পশ্চিমে [[আরাবল্লী পর্বতশ্রেণী]] কর্তৃক বিচ্ছিন্ন হয়ে অবস্থান করছে [[থর মরুভূমি]]।<ref>{{Harvnb|Dikshit|Schwartzberg|2007|p=11|Ref=dikshit}}</ref> মূল ভারতীয় পাতটি আজ ভারতীয় উপদ্বীপ রূপে অবস্থান করছে। এটিই ভারতের প্রাচীনতম ও ভৌগোলিকভাবে সর্বাপেক্ষা দৃঢ় অংশ। উত্তরদিকে মধ্য ভারতে অবস্থিত [[সাতপুরা পর্বতশ্রেণী|সাতপুরা]] ও [[বিন্ধ্য পর্বতমালা|বিন্ধ্য]] পর্বতমালা পর্যন্ত এই উপদ্বীপ বিস্তৃত। এই সমান্তরাল পর্বতমালাদুটি পশ্চিমে [[গুজরাট|গুজরাটের]] [[আরব সাগর]] উপকূল থেকে পূর্বে [[ঝাড়খণ্ড|ঝাড়খণ্ডের]] [[কয়লা]]-সমৃদ্ধ ছোটনাগপুর মালভূমি পর্যন্ত ব্যাপ্ত।<ref>{{Harvnb|Dikshit|Schwartzberg|2007|p=8|Ref=dikshit}}</ref> দক্ষিণে উপদ্বীপীয় ভূখণ্ডে [[দাক্ষিণাত্য মালভূমি]] বামে ও ডানে যথাক্রমে [[পশ্চিমঘাট পর্বতমালা|পশ্চিমঘাট]] ও পূর্বঘাট পর্বতমালাদ্বয় দ্বারা উপকূলীয় সমভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন।<ref name=britan-weghats>{{Harvnb|Dikshit|Schwartzberg|2007|pp=9-10|Ref=dikshit}}</ref> এই মালভূমিতেই ভারতের প্রাচীনতম প্রস্তরগঠনটি পরিলক্ষিত হয়; যার কিয়দংশের বয়স ১০০ কোটি বছরেরও বেশি। এইভাবে ভারত বিষুবরেখার উত্তরে ৬°৪৪' ও ৩৫°৩০' উত্তর অক্ষাংশ<ref>India's northernmost point is the region of the disputed [[Siachen Glacier]] in Jammu and Kashmir; however, the Government of India regards the entire region of the former princely state of [[Jammu and Kashmir]] (including the [[Northern Areas (Pakistan)|Northern Areas]] currently administered by Pakistan) to be its territory, and therefore assigns the longitude 37° 6' to its northernmost point.</ref> ও ৬৮°৭' ও ৯৭°২৫' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।<ref name="yearbook">{{Harv|Government of India|2007|p=1}}</ref>

{{mainমূল নিবন্ধ|ভারতের জলবায়ু}}

{{mainমূল নিবন্ধ|ভারতের উদ্ভিদ|ভারতের প্রাণী}}

|titleশিরোনাম = Biodiversity Profile of India (Text Only)

|urlইউআরএল = http://ces.iisc.ernet.in/hpg/cesmg/indiabio.html

|authorলেখক = Dr S.K.Puri

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-06-20

|titleশিরোনাম = The Wildlife Protection Act, 1972

|urlইউআরএল = http://www.helplinelaw.com/docs/wildlife/index.php

|publisherপ্রকাশক = Helplinelaw.com

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-06-16

|yearবছর= 2000}}</ref> ও বাঘ সংরক্ষণের জন্য [[ব্যাঘ্র প্রকল্প]] চালু হয়। এর সঙ্গে ১৯৮০ সালে প্রবর্তিত হয় অরণ্য সংরক্ষণ আইন<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি

|titleশিরোনাম = The Forest Conservation Act, 1980

|urlইউআরএল = http://www.advocatekhoj.com/library/bareacts/forestconservation/index.php?Title=Forest(Conservation)Act,1980

|publisherপ্রকাশক = AdvocateKhoj.com

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-11-29

|yearবছর= 2007}}</ref> ভারতে অভয়ারণ্যের সংখ্যা পাঁচশোর অধিক। সঙ্গে দেশে ১৩টি জৈবক্ষেত্র সংরক্ষণও করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি

|titleশিরোনাম = Biosphere Reserves of India

|urlইউআরএল = http://www.cpreec.org/pubbook-biosphere.htm

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-06-17}}</ref> এর মধ্যে চারটি বিশ্ব জৈবক্ষেত্র সংরক্ষণ নেটওয়ার্কের অন্তর্গত। রামসর কনভেনশন অনুসারে ভারতে পঁচিশটি জলাভূমি আছে; যার একটি [[কলকাতা]] মহানগরীর [[পূর্ব কলকাতা জলাভূমি|পূর্বভাগে]] অবস্থিত।<ref name="Indian Ramsar Sites">

|titleশিরোনাম = The List of Wetlands of International Importance

|urlইউআরএল = http://www.wetlands.org/reports/ris/2IN013en.pdf

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-06-20

|dateতারিখ = June 4, 2007

|publisherপ্রকাশক = The Secretariat of the Convention of on Wetlands

|pagesপাতাসমূহ = p. 18

|formatবিন্যাস = PDF

{{mainমূল নিবন্ধ|ভারতের রাজনীতি}}

|urlইউআরএল = http://news.bbc.co.uk/1/hi/world/south_asia/country_profiles/1154019.stm

|titleশিরোনাম = Country profile: India

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-03-21

|dateতারিখ = 9 January 2007

|publisherপ্রকাশক = BBC

|urlইউআরএল = http://www.un.org/esa/population/pubsarchive/india/ind1bil.htm

|titleশিরোনাম = World's Largest Democracy to Reach One Billion Persons on Independence Day

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-12-06

|workকর্ম = [[United Nations Department of Economic and Social Affairs]]

|publisherপ্রকাশক = [[United Nations]]: [[Commission on Population and Development|Population Division]]

|lastশেষাংশ = Bhambhri

|firstপ্রথমাংশ = Chandra Prakash

|titleশিরোনাম = Politics in India 1991-92

|publisherপ্রকাশক = Shipra Publications

|yearবছর = 1992

|isbnআইএসবিএন = 978-8185402178

|pagesপাতাসমূহ = 118, 143

|urlইউআরএল = http://www.hindu.com/2004/12/24/stories/2004122408870100.htm

|titleশিরোনাম = Narasimha Rao passes away

|publisherপ্রকাশক = [[The Hindu]]

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2008-11-02}}</ref>

|urlইউআরএল = http://www.lse.ac.uk/collections/government/PSPE/pdf/PSPE_WP5_07.pdf

|titleশিরোনাম = The effective space of party competition

|authorলেখক = Patrick Dunleavy, Rekha Diwakar, Christopher Dunleavy

|publisherপ্রকাশক = [[London School of Economics|London School of Economics and Political Science]]

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-10-01

|formatবিন্যাস=PDF}}</ref> ২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (ইউপিএ) লোকসভায় বিপুল সংখ্যক আসনে জয়লাভ করে এবং বিজেপি-বিরোধী বাম সাংসদদের সহায়তায় সরকার গঠন করে। ইউপিএ ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতায় আসে। তবে বামদলগুলি আর এই জোটের সমর্থক নয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি

|lastশেষাংশ = Hermann

|firstপ্রথমাংশ = Kulke

|titleশিরোনাম = A History of India

|publisherপ্রকাশক = Routledge

|yearবছর = 2004

|isbnআইএসবিএন = 978-0415329194

|pageপাতা = 384

:{{mainমূল নিবন্ধ|ভারত সরকার}}

[[১৯৫০]] খ্রিস্টাব্দেরখ্রিষ্টাব্দের [[২৬ জানুয়ারি]] প্রবর্তিত [[ভারতীয় সংবিধান]] বিশ্বের বৃহত্তম ও সর্বাধিক বিস্তারিত ব্যাখ্যাসমৃদ্ধ সংবিধান।<ref name="Pylee2004

">{{বই উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Pylee |firstপ্রথমাংশ=Moolamattom Varkey |titleশিরোনাম=Constitutional Government in India|yearবছর=2004 |publisherপ্রকাশক=S. Chand |pageপাতা=4|chapterঅধ্যায়=The Longest Constitutional Document|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=veDUJCjr5U4C&pg=PA4&dq=India+longest+constitution&as_brr=0&sig=ZpqDCkfUoglOQx0XQ8HBpRWkRAk#PPA4,M1|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-10-31|isbnআইএসবিএন=8121922038|editionসংস্করণ=2nd edition}}</ref> সংবিধানের [[ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা|প্রস্তাবনা]] অংশে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রকে একটি [[সার্বভৌম]], [[সমাজতন্ত্র|সমাজতান্ত্রিক]], [[ধর্মনিরপেক্ষতা|ধর্মনিরপেক্ষ]], [[গণতন্ত্র|গণতান্ত্রিক]] [[সাধারণতন্ত্র]] রূপে বর্ণিত হয়েছে।<ref name="Dutt1998">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Dutt |firstপ্রথমাংশ=Sagarika |yearবছর=1998 |titleশিরোনাম=Identities and the Indian state: An overview |journalসাময়িকী=Third World Quarterly |volumeখণ্ড=19 |issueসংখ্যা নং=3 |pagesপাতাসমূহ=411–434 |doiডিওআই=10.1080/01436599814325}} at p. 421</ref> ভারতে প্রচলিত দ্বিকক্ষবিশিষ্ট [[সংসদ]] ওয়েস্টমিনিস্টার-ধাঁচের একটি সংসদ ব্যবস্থা। এদেশের সরকার প্রথাগতভাবে ‘আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয়’ সরকার ব্যবস্থা হিসাবে বর্ণিত হয়; যার বৈশিষ্ট্য হল একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার ও অপেক্ষাকৃত দুর্বল একাধিক রাজ্য সরকারের সহাবস্থান।<ref name="Wheare1964">{{বই উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Wheare |firstপ্রথমাংশ=K.C. |titleশিরোনাম=Federal Government| editionসংস্করণ=4th edition| yearবছর=1964 |publisherপ্রকাশক=[[Oxford University Press]] |pageপাতা=28}}</ref> যদিও ১৯৯০-এর দশকের শেষভাগ থেকে রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক সংস্কার ও পরিবর্তনের ফলে রাজ্য সরকারগুলির ক্ষমতার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি দেশকে চালিত করছে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার দিকে।<ref name="dencentralisation">{{Citation | last=Echeverri-Gent | first=John | contribution=Politics in India's Decentred Polity | editor1-last=Ayres | editor1-first=Alyssa | editor2-last=Oldenburg | editor2-first=Philip | title=Quickening the Pace of Change | series=India Briefing | place=London | publisher=M.E. Sharpe | year=2002 | isbn=076560812X | pp=19-53}} at pp. 19-20; {{Citation | last=Sinha | first=Aseema | title=The Changing Political Economy of Federalism in India | journal=India Review | volume=3 | issue=1 | year=2004 | pp=25-63 | doi=10.1080/14736480490443085}} at pp 25-33</ref>

ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান হলেন [[ভারতের রাষ্ট্রপতি|রাষ্ট্রপতি]]।<ref name="Sharma1950">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Sharma |firstপ্রথমাংশ=Ram |yearবছর=1950 |titleশিরোনাম=Cabinet Government in India |journalসাময়িকী=Parliamentary Affairs |volumeখণ্ড=4 |issueসংখ্যা নং=1 |pagesপাতাসমূহ=116–126}}</ref> তিনি পরোক্ষভাবে একটি নির্বাচক মণ্ডলী কর্তৃক পাঁচ বছরের সময়কালের ব্যবধানে<ref>{{বই উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Gledhill |firstপ্রথমাংশ=Alan |titleশিরোনাম=The Republic of India: The Development of Its Laws and Constitution| editionসংস্করণ=2nd edition| yearবছর=1964 |publisherপ্রকাশক=Stevens and Sons |pageপাতা=112}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.constitution.org/cons/india/p05056.html|titleশিরোনাম=Tenure of President's office|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-09-02|workকর্ম=The Constitution Of India|publisherপ্রকাশক=Constitution Society|quoteউক্তি=The President shall hold office for a term of five years from the date on which he enters upon his office}}</ref> নির্বাচিত হন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.constitution.org/cons/india/p05054.html|titleশিরোনাম=Election of President|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-09-02|workকর্ম=The Constitution Of India|publisherপ্রকাশক=Constitution Society|quoteউক্তি=The President shall be elected by the members of an electoral college}}</ref> অন্যদিকে ভারতের সরকার প্রধান হলেন [[ভারতের প্রধানমন্ত্রী|প্রধানমন্ত্রী]]। অধিকাংশ শাসনক্ষমতা ন্যস্ত থাকে তাঁরতার হাতেই।<ref name="Sharma1950"/> [[রাষ্ট্রপতি]] কর্তৃক নিযুক্ত<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.constitution.org/cons/india/p05075.html|titleশিরোনাম=Appointment of Prime Minister and Council of Ministers|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-09-02|workকর্ম=The Constitution Of India|publisherপ্রকাশক=Constitution Society|quoteউক্তি=The Prime Minister shall be appointed by the President and the other Ministers shall be appointed by the President on the advice of the Prime Minister.}}</ref> প্রধানমন্ত্রীকে প্রথাগতভাবে সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ট আসনপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দল বা জোটের সমর্থন লাভ করতে হয়<ref name="Sharma1950"/>। রাষ্ট্রপতি, [[ভারতের উপরাষ্ট্রপতি|উপরাষ্ট্রপতি]] ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদ (যার কার্যনির্বাহী সমিতি হল ক্যাবিনেট)—এই নিয়ে গঠিত ভারতের শাসনবিভাগ। দপ্তরযুক্ত মন্ত্রীদের সকলকেই সংসদের কোনও না কোনও কক্ষের সদস্য হতে হয়। ভারতীয় সংসদীয় ব্যবস্থায় শাসনবিভাগ আইনবিভাগের অধস্তন। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁরতার মন্ত্রী পরিষদকে [[লোকসভা|সংসদের নিম্নকক্ষের]] কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হয়।<ref name="manorama">{{বই উদ্ধৃতি |firstপ্রথমাংশ=K.M. |lastশেষাংশ=Matthew |titleশিরোনাম=Manorama Yearbook 2003 |publisherপ্রকাশক=[[Malayala Manorama]] |isbnআইএসবিএন=8190046187|pagesপাতাসমূহ=pg 524}}</ref>

ভারতের আইনবিভাগ হল দ্বিকক্ষবিশিষ্ট [[ভারতীয় সংসদ|সংসদ]]। এটি গঠিত হয়েছে [[রাজ্যসভা]] নামক একটি উচ্চকক্ষ ও [[লোকসভা]] নামক একটি নিম্নকক্ষ নিয়ে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Gledhill |firstপ্রথমাংশ=Alan |titleশিরোনাম=The Republic of India: The Development of Its Laws and Constitution| editionসংস্করণ=2nd edition| yearবছর=1964 |publisherপ্রকাশক=Stevens and Sons |pageপাতা=127}}</ref> রাজ্যসভার সদস্যসংখ্যা ২৪৫; এঁদের দপ্তরকাল ছয় বছর।<ref name="Parliament">{{ওয়েব উদ্ধৃতি

|urlইউআরএল = http://parliamentofindia.nic.in/

|titleশিরোনাম = Parliament of India

|publisherপ্রকাশক = http://parliamentofindia.nic.in/

ভারতে এককেন্দ্রিক ত্রি-স্তর বিচারব্যবস্থা প্রচলিত। এই বিচারব্যবস্থা [[ভারতের প্রধান বিচারপতি|প্রধান বিচারপতির]] নেতৃত্বে [[ভারতের সুপ্রিম কোর্ট|সুপ্রিম কোর্ট]], ২১টি [[ভারতের হাইকোর্টসমূহ|হাইকোর্ট]] ও অসংখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের সমন্বয়ে গঠিত।<ref name="Neuborne2003">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Neuborne |firstপ্রথমাংশ=Burt |yearবছর=2003 |titleশিরোনাম=The Supreme Court of India |journalসাময়িকী=International Journal of Constitutional Law |volumeখণ্ড=1 |issueসংখ্যা নং=1 |pagesপাতাসমূহ=476–510 |doiডিওআই=10.1093/icon/1.3.476}} at p. 478.</ref> [[ভারতে মৌলিক অধিকার|মৌলিক অধিকার]], কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে বিবাদ ও হাইকোর্টের আপিল বিচার এলাকা সংক্রান্ত মামলাগুলির ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের মূল বিচার এলাকার অন্তর্গত।<ref name="SCjurisdiction">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.supremecourtofindia.nic.in/new_s/juris.htm |titleশিরোনাম=Jurisdiction of the Supreme Court |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-10-21 |authorলেখক=Supreme Court of India |publisherপ্রকাশক=National Informatics Centre |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080718024715/http://www.supremecourtofindia.nic.in/new_s/juris.htm |আর্কাইভের-তারিখ=২০০৮-০৭-১৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> এই বিচারব্যবস্থা স্বতন্ত্র<ref name="Neuborne2003"/> এবং আইন ঘোষণা এবং সংবিধান-বিরোধী কেন্দ্রীয় বা রাজ্য আইন প্রতিহত করার ক্ষমতাযুক্ত।<ref name="Sripati1998">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Sripati |firstপ্রথমাংশ=Vuayashri |yearবছর=1998 |titleশিরোনাম=Toward Fifty Years of Constitutionalism and Fundamental Rights in India: Looking Back to See Ahead (1950-2000) |journalসাময়িকী=American University International Law Review |volumeখণ্ড=14 |issueসংখ্যা নং=2 |pagesপাতাসমূহ=413–496}} at pp. 423-424</ref> সংবিধানের অভিভাবকত্ব ও ব্যাখ্যাদান সুপ্রিম কোর্টের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অন্তর্গত।<ref name="Pylee2004-2">{{বই উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Pylee |firstপ্রথমাংশ=Moolamattom Varkey |titleশিরোনাম=Constitutional Government in India |yearবছর=2004 |publisherপ্রকাশক=[[S. Chand]] |pageপাতা=314|chapterঅধ্যায়=The Union Judiciary: The Supreme Court|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=veDUJCjr5U4C&pg=PA314&lpg=PA314&dq=indian+supreme+court+is+interpreter+of+constitution&source=web&ots=EC_OWxDg86&sig=gjLfEY1UInjql72jBtO-VOgoeK4&output=html|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-11-02|isbnআইএসবিএন=8121922038|editionসংস্করণ=2nd edition}}</ref>

{{mainমূল নিবন্ধ|ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল}}

ভারত [[ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল|২৯টি রাজ্য ও সাতটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলবিশিষ্ট]] একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সাধারণতন্ত্র। ভারতে প্রত্যেক রাজ্যে নির্বাচিত রাজ্য সরকার অধিষ্ঠিত রয়েছে; নির্বাচিত সরকার রয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল [[পন্ডিচেরী|পুদুচেরি]] ও [[দিল্লী জাতীয় রাজধানী অঞ্চল|দিল্লিতেও]]। অপর পাঁচটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রাষ্ট্রপতির প্রত্যক্ষ শাসনাধীন; এই অঞ্চলগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রশাসক নিয়োগ করে থাকেন। ১৯৫৬ সালে [[রাজ্য পুনর্গঠন আইন]] বলে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্যগুলি স্থাপিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.commonlii.org/in/legis/num_act/sra1956250/|titleশিরোনাম=States Reorganisation Act, 1956|workকর্ম=Constitution of India|publisherপ্রকাশক=Commonwealth Legal Information Institute|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-10-31|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080516123014/http://www.commonlii.org/in/legis/num_act/sra1956250/|আর্কাইভের-তারিখ=২০০৮-০৫-১৬|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}; See also: [[Political integration of India]]</ref> তারপর থেকে এই কাঠামোটি মোটামুটি অপরিবর্তিত রয়েছে। তৃণমূল স্তরে শাসন ও প্রশাসন পরিচালনার লক্ষ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি মোট [[ভারতের জেলাগুলির তালিকা|৬১০টি জেলায়]] বিভক্ত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://districts.gov.in/|titleশিরোনাম=Districts of India|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-11-25|publisherপ্রকাশক=[[National Informatics Centre|National Informatics Centre (NIC)]]|workকর্ম=Government of India|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071011005759/http://districts.gov.in/|আর্কাইভের-তারিখ=২০০৭-১০-১১|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> জেলাগুলি আবার [[মহকুমা]] বা তহসিলে এবং গ্রামে বিভক্ত।

:{{mainমূল নিবন্ধ|ভারতের বৈদেশিক সম্পর্ক|ভারতের সামরিক বাহিনী}}

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আন্তরিক। ১৯৫০-এর দশকে ভারত [[আফ্রিকা]] ও [[এশিয়া|এশিয়ার]] ইউরোপীয় উপনিবেশগুলির স্বাধীনতার স্বপক্ষে সওয়াল করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.anc.org.za/ancdocs/history/solidarity/significance.html|titleশিরোনাম=Significance of the Contribution of India to the Struggle Against Apartheid1 by M. Moolla|সংগ্রহের-তারিখ=৩ ডিসেম্বর ২০০৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20091011215144/http://www.anc.org.za/ancdocs/history/solidarity/significance.html|আর্কাইভের-তারিখ=১১ অক্টোবর ২০০৯|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> [[শ্রীলঙ্কা|শ্রীলঙ্কায়]] ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ ও [[মালদ্বীপ|মালদ্বীপে]] অপারেশন ক্যাকটাস—এই দুই ক্ষেত্রে ভারত তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সামরিক মধ্যস্থতায় অংশ নেয়।

[[কমনওয়েলথ|কমনওয়েলথের]] এক সদস্য ভারত, [[জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন|জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনেরও]] প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=History of Non Aligned Movement |urlইউআরএল=http://www.nam.gov.za/background/history.htm |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-08-23 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://www.webcitation.org/6174YxJPe?url=http://www.nam.gov.za/background/history.htm |আর্কাইভের-তারিখ=২০১১-০৮-২১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ভারত-চীন যুদ্ধ ও ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর [[সোভিয়েত ইউনিয়ন|সোভিয়েত ইউনিয়নের]] সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আন্তরিক হয়ে ওঠে। ফলে [[যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রের]] সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়। [[ঠান্ডা যুদ্ধ|ঠান্ডা যুদ্ধের]] সমাপ্তি পর্যন্ত সেই সম্পর্ক একই রকম থাকে। [[কাশ্মীর|কাশ্মীরকে]] কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের তিনটি যুদ্ধ হয়। ১৯৭১ সালে [[বাংলাদেশের]] স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় মিত্র বাহিনী বাংলাদেশকে সহায়তা করে।<ref name="IB">{{বই উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=A History of the Twentieth Century|yearবছর=2002|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=jhwY1j8Ao3kC&pg=PA486&lpg=PA486&dq=india+creation+of+bangladesh&source=web&ots=LuQAQJVYik&sig=UA_kWLaz3CnoH4QBioUXU6THqkQ&hl=en&sa=X&oi=book_result&resnum=9&ct=result#PPA487,M1|pagesপাতাসমূহ=486–87|authorলেখক=Martin Gilbert|isbnআইএসবিএন=006050594X|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2008-11-03}}</ref> এছাড়াও ১৯৮৪ সালে [[সিয়াচেন হিমবাহ]] ও ১৯৯৯ সালে [[কার্গিল যুদ্ধ|কার্গিলকে]] কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

বর্তমানকালে, ভারত যে সকল প্রতিষ্ঠানে নিজ প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছে সেগুলি হল [[আসিয়ান|অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস]] (আসিয়ান) <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.heritage.org/Research/AsiaandthePacific/bg2008.cfm|titleশিরোনাম=India's Expanding Role in Asia: Adapting to Rising Power Status<!-- Bot generated title -->|সংগ্রহের-তারিখ=৩ ডিসেম্বর ২০০৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080919074757/http://www.heritage.org/Research/AsiaandthePacific/bg2008.cfm|আর্কাইভের-তারিখ=১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>, [[সার্ক|সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওন্যাল কো-অপারেশন]] (সার্ক) ও [[বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা]] (ডব্লিউটিও)।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://library.fes.de/pdf-files/bueros/genf/50205.pdf|titleশিরোনাম=India's negotiation positions at the WTO<!-- Bot generated title -->|formatবিন্যাস=PDF}}</ref> ভারত চারটি মহাদেশে রাষ্ট্রসংঘের ৩৫টি শান্তিরক্ষা অভিযানে প্রায় ৫৫,০০০ সেনা ও পুলিশ প্রেরণ করেছে।<ref name="UN">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=India and the United Nations |urlইউআরএল=http://www.un.int/india/india_and_the_un_pkeeping.html |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2006-04-22 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20060504184925/http://www.un.int/india/india_and_the_un_pkeeping.html |আর্কাইভের-তারিখ=২০০৬-০৫-০৪ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ব্যাপক সমালোচনা ও সামরিক অনুমোদন সত্ত্বেও পরমাণু কর্মসূচির উপর সার্বভৌমত্ব রক্ষার খাতিরে ভারত [[কম্প্রিহেনসিভ নিউক্লিয়ার-টেস্ট-ব্যান ট্রিটি]] (সিটিবিটি) ও [[নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি]] (এনপিটি)-তে সই করতে উপর্যুপরি অস্বীকার করছে। ভারত সরকারের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার ফলে [[যুক্তরাষ্ট্র]], [[পাকিস্তান]] ও [[চীন|চীনের]] সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে [[দক্ষিণ আমেরিকা]], [[এশিয়া]] ও [[আফ্রিকা|আফ্রিকার]] উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গেও ভারত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে।

[[ভারতীয় সেনাবাহিনী|স্থলসেনা]], [[ভারতীয় বিমানবাহিনী|বায়ুসেনা]] ও [[ভারতীয় নৌবাহিনী|নৌসেনা]] নিয়ে গঠিত [[ভারতের সামরিক বাহিনী]] বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী।<ref name="CIA"/> এই সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে কাজ করে থাকে একাধিক সহকারী বাহিনী; যথা: [[ভারতের আধাসামরিক বাহিনী|আধাসামরিক বাহিনী]], [[ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী|উপকূলরক্ষী বাহিনী]] ও [[স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড]]। [[ভারতের রাষ্ট্রপতি|রাষ্ট্রপতি]] ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। [[রাশিয়া]], [[ফ্রান্স]] ও [[ইসরায়েল]] ভারতের প্রধান অস্ত্রসরবরাহকারী রাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সহকারী দেশ। [[প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন]] (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন বা ডিআরডিও) ব্যালিস্টিক মিসাইল, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধট্যাঙ্ক সহ দেশজ অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কাজ তত্ত্ববধান করে, যাতে সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ভারতকে অধিক মাত্রায় বিদেশি আমদানির উপর নির্ভর করতে না হয়। ১৯৭৪ সালে [[স্মাইলিং বুদ্ধ]] ও ১৯৯৮ সালে [[পোখরান-২]] নামে মোট ছয়টি প্রাথমিক পরমাণু পরীক্ষণের মাধ্যমে ভারত পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। যদিও ভারতের ঘোষিত পরমাণু নীতি হল “প্রথম প্রয়োগ নয়”।<ref name="nuclear">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.afsa.org/fsj/oct02/nair.pdf |titleশিরোনাম=No More Ambiguity: India's Nuclear Policy |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-06-07 |formatবিন্যাস=PDF |workকর্ম= |authorলেখক=Brig. Vijai K. Nair ([[Indian Army]]) |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070927041401/http://www.afsa.org/fsj/oct02/nair.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=২০০৭-০৯-২৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ১০ অক্টোবর, ২০০৮ তারিখে [[ভারত-মার্কিন অসামরিক পরমাণু চুক্তি|ভারত-মার্কিন বেসামরিক পরমাণু চুক্তি]] সাক্ষরিত হয়। তার পূর্বেই [[আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা]] ও [[নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ারস গ্রুপ]] ভারতের উপর থেকে পরমাণু প্রযুক্তি ক্রয়বিক্রয়ের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ফলে ভারত কার্যত পরিণত হয় বিশ্বের ষষ্ঠ পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে।<ref>{{cite|title=India, US seal 123 Agreement |author=Times of India| publisher=Times of India|date=October 11, 2008}}</ref>

|urlইউআরএল = http://rbi.org.in/scripts/WSSView.aspx?Id=11220

|titleশিরোনাম = Weekly Statistical Supplement

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-06-11

|dateতারিখ = June 1, 2007

|publisherপ্রকাশক=[[Reserve Bank of India]] }}</ref> ঘাটতি কমে আসে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেটগুলিতে।<ref name="Revenue surge boosts fiscal health">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল = http://www.business-standard.com/india/storypage.php?autono=269424 |titleশিরোনাম = "Revenue surge boosts fiscal health" |publisherপ্রকাশক = [[Business Standard]]

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2006-12-28}}</ref> যদিও সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ এবং কোনও কোনও সরকারি খাত বেসরকারি ও বৈদেশিক অংশীদারদের নিকট মুক্ত করে দেওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।<ref>{{cite paper |last=Mohan |first=T.T.Ram |authorlink= |title=Privatization in India: Issues and Evidence |version=|publisher=[[Indian Institute of Management]], Ahmedabad|url=http://www.iimahd.ernet.in/psuindia/pdf/ttr1.pdf |format=PDF|accessdate=2007-08-03 }}

</ref><ref>{{ ওয়েব উদ্ধৃতি | urlইউআরএল = http://mospi.nic.in/pressnote_31may07.htm | titleশিরোনাম = Quarterly estimates of gross domestic product, 2006-07 | publisherপ্রকাশক = [[Government of India]] | accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-05-31 | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20070607174840/http://mospi.nic.in/pressnote_31may07.htm | আর্কাইভের-তারিখ = ২০০৭-০৬-০৭ | অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ }}</ref>

ভারতের মোট স্থুল আভ্যন্তরীক উৎপাদন বা জিডিপি ১.২৪৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার<ref name="imf.org"/> যা [[ক্রয়ক্ষমতা সমতা|ক্রয়ক্ষমতা সমতার]] (পিপিপি) পরিমাপে ৪.৭২৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতূল্য। জিডিপি'র মানদণ্ডে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। চলতি মূল্যে ভারতের [[মাথাপিছু আয়]] ৯৭৭ মার্কিন ডলার (বিশ্বে ১২৮তম) যা [[ক্রয়ক্ষমতা সমতা]] (পিপিপি) ভিত্তিক পরিমাপে ২,৭০০ মার্কিন ডলারের সমতূল্য (বিশ্বে ১১৮তম)। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে পরিচিত ভারতের বর্তমান জিডিপিতে পরিষেবা খাতের অবদান ৫৪ শতাংশ ; ইতিমধ্যে কৃষিখাতের অবদান হ্রাস পেয়ে ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং শিল্পখাতের অবদান মাত্র ১৮ শতাংশ। বিগত দুই দশকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ভারতের গড় বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭ শতাংশ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.tni.org/detail_page.phtml?page=archives_vanaik_growth|titleশিরোনাম=The Puzzle of India's Growth|work[[The Telegraph]]|dateতারিখ=2006-06-26|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2008-09-15}}</ref>

৫১৬.৩ মিলিয়ন জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমশক্তির দেশ। এই শক্তির ৬০ শতাংশ নিয়োজিত কৃষিখাতে ও কৃষিসংক্রান্ত শিল্পগুলিতে, ২৮ শতাংশ পরিষেবা ও পরিষেবা-সংক্রান্ত শিল্পে এবং ১২ শতাংশ নিযুক্ত শিল্পখাতে।<ref name="CIA"/> প্রধান কৃষিজ ফসলগুলি হল [[ধান]], [[গম]], তৈলবীজ, তুলা, [[পাট]], [[চা]], [[আখ]] ও [[আলু]]। প্রধান শিল্পগুলি হল অটোমোবাইল, সিমেন্ট, রাসায়নিক, বৈদ্যুতিন ভোগ্যপণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, যন্ত্রশিল্প, খনি, পেট্রোলিয়াম, ভেষজ, ইস্পাত, পরিবহণপরিবহন উপকরণ ও বস্ত্রশিল্প। ভারতের প্রাকৃতিক সম্পদগুলি হল আবাদি জমি, বক্সাইট, ক্রোমাইট, [[কয়লা]], [[হীরক|হিরে]], আকরিক লৌহ, [[চুনাপাথর]], [[ম্যাঙ্গানিজ]], [[অভ্র]], [[প্রাকৃতিক গ্যাস]], [[খনিজ তেল|পেট্রোলিয়াম]] ও [[টাইটানিয়াম]] আকরিক।<ref name="LOC PROFILE"/> ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শক্তির চাহিদাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, ভারত পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের ষষ্ঠ বৃহত্তম ও কয়লার তৃতীয় বৃহত্তম ভোক্তা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://tonto.eia.doe.gov/country/country_energy_data.cfm?fips=IN |titleশিরোনাম=EIA Country Profiles: India |dateতারিখ=2008-06-16 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2008-06-25 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20090102195407/http://tonto.eia.doe.gov/country/country_energy_data.cfm?fips=IN |আর্কাইভের-তারিখ=২০০৯-০১-০২ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>

বিগত দুই দশকের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও ভারত বিশ্বের সর্বাপেক্ষা দারিদ্র্যপীড়িত রাষ্ট্র। শিশু-অপুষ্টির হারও বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় ভারতে সর্বাধিক: ২০০৭ সালের হিসেব অনুযায়ী ৪৬ শতাংশ)।<ref>{{Citation |url=http://siteresources.worldbank.org/SOUTHASIAEXT/Resources/DPR_FullReport.pdf |accessdate=May 7, 2009 |title=Inclusive Growth and Service delivery: Building on India’s Success |date=May 29, 2006 |work=World Bank |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://www.webcitation.org/6174g9eFj?url=http://siteresources.worldbank.org/SOUTHASIAEXT/Resources/DPR_FullReport.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=আগস্ট ২১, ২০১১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref><ref>{{Citation |url=http://www.timesonline.co.uk/tol/news/world/asia/article1421393.ece |accessdate=May 8, 2009 |title=Indian children suffer more malnutrition than in Ethiopia |first=Jeremy |last=Page |date=February 22, 2007 |newspaper=The Times }}</ref> তবে বিশ্বব্যাঙ্ক নির্ধারিত দৈনিক ১.২৫ মার্কিন ডলারের আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখার (২০০৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, [[ক্রয়ক্ষমতা সমতা]] নামমাত্র হিসেবে নগরাঞ্চলে দৈনিক ২১.৬ টাকা ও গ্রামাঞ্চলে দৈনিক ১৪.৩ টাকা) নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ১৯৮১ সালে ৬০ শতাংশ থেকে ২০০৫ সালে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.worldbank.org.in/WBSITE/EXTERNAL/COUNTRIES/SOUTHASIAEXT/INDIAEXTN/0,,contentMDK:21880725~pagePK:141137~piPK:141127~theSitePK:295584,00.html |titleশিরোনাম=New Global Poverty Estimates&nbsp;— What it means for India |publisherপ্রকাশক=World Bank |সংগ্রহের-তারিখ=২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120506043711/http://www.worldbank.org.in/WBSITE/EXTERNAL/COUNTRIES/SOUTHASIAEXT/INDIAEXTN/0,,contentMDK:21880725~pagePK:141137~piPK:141127~theSitePK:295584,00.html |আর্কাইভের-তারিখ=৬ মে ২০১২ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> সাম্প্রতিক দশকগুলিতে ভারত মন্বন্তর প্রতিরোধ করতে পারলেও, দেশের অর্ধেক শিশু ওজন ঘাটতিতে ভুগছে। এই হার সারা বিশ্বের নিরিখে কেবল উচ্চই নয়, এমনকী সাব-সাহারান আফ্রিকার হারের প্রায় দ্বিগুণ।<ref name="underweight">{{citation |url=http://web.worldbank.org/WBSITE/EXTERNAL/COUNTRIES/SOUTHASIAEXT/0,,contentMDK:20916955~pagePK:146736~piPK:146830~theSitePK:223547,00.html |title=India: Undernourished Children: A Call for Reform and Action |work=World Bank }}</ref>

সাম্প্রতিককালে, ভারতের বহুসংখ্যক শিক্ষিত [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]-পটু প্রশিক্ষিত পেশাদারগণ বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা, মেডিক্যাল ট্যুরিজমে ও আউটসোর্সিং-এর কাজে নিযুক্ত হয়েছেন।<ref name = BMJ>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Mudur |firstপ্রথমাংশ=Ganapati |yearবছর= 2004|month=June |titleশিরোনাম=Hospitals in India woo foreign patients |journalসাময়িকী=[[British Medical Journal]] |volumeখণ্ড=328 |issueসংখ্যা নং= |pagesপাতাসমূহ=1338 |idআইডি= |doiডিওআই= 10.1136/bmj.328.7452.1338 |pmid=15178611}}</ref> বর্তমানে ভারত [[সফটওয়্যার]] ও অর্থসংক্রান্ত, গবেষণাসংক্রান্ত ও প্রকৌশলগত পরিষেবার এক বৃহৎ রপ্তানিকারক।

২০০৭ সালে রপ্তানি ও আমদানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।<ref name="Trade">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.thehindubusinessline.com/2008/04/18/stories/2008041850551000.htm|titleশিরোনাম=Rise in Indian services exports less than global average: WTO|dateতারিখ=2008-04-18|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2008-11-16|authorলেখক=G. Srinivasan|publisherপ্রকাশক=[[The Hindu Business Line]]}}</ref> বস্ত্র, রত্ন, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্যাদি ও সফটওয়্যার ভারতের প্রধান রপ্তানি পণ্য। প্রধান প্রধান আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে অপরিশোধিত [[খনিজ তেল|তেল]], যন্ত্রপাতি, [[সার]] ও রাসায়নিক দ্রব্য। ভারতের প্রধানতম বাণিজ্য সহযোগী হল [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]], [[ইউরোপীয় ইউনিয়ন]] ও [[চীন]]। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক [[ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক|ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের]] সদর দপ্তর দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাত [[মুম্বই]] মহানগরীতে অবস্থিত।

{{mainমূল নিবন্ধ|ভারতের জনতত্ত্ব}}

|titleশিরোনাম = Country Profile: India

|urlইউআরএল = http://lcweb2.loc.gov/frd/cs/profiles/India.pdf

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-06-24

|publisherপ্রকাশক = [[Library of Congress]] - [[Federal Research Division]]

|month= December | yearবছর= 2004

|formatবিন্যাস = PDF}}</ref>

২০১৩-১৫ কালপর্বে জাতীয় পর্যায়ে লিঙ্গানুপাত প্রতি হাজার পুরুষের বিপরীতে ৯০০ জন নারী।<ref>[http://niti.gov.in/content/sex-ratio-females-1000-males National Institution for Transforming India]</ref> ২০১১-এর জনমিতি অনুযায়ী ভারতে সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশ, যা পুরুষদের মধ্যে ৮২.১৪ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ৬৫.৪৬ শতাংশ। সাক্ষরতার সর্বনিম্ন হার [[বিহার|বিহার রাজ্যে]]: ৬৩.৮২ শতাংশ।<ref>[http://worldpopulationreview.com/countries/india-population/ World Population Review]</ref> শহর-গ্রাম স্বা‌ক্ষরতার পার্থ‌ক্য ২০০১ সালে ছিল ২১.২ শতাংশ, যা ২০১১ সালে নেমে আসে ১৬.১ শতাংশে। গ্রামীন অঞ্চলগুলোতে স্বা‌ক্ষরতা বৃদ্ধির হার শহর এলাকার তুলনায় দ্বিগুণ।{{sfn|Chandramouli|2011}} সাক্ষরতার হার সর্বাধিক [[কেরল]] রাজ্যে (৯১%)।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.kerala.gov.in/education/|titleশিরোনাম=Kerala's literacy rate|publisherপ্রকাশক=[[Government of Kerala]]|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-12-13|workকর্ম=kerala.gov.in|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080417100819/http://www.kerala.gov.in/education/|আর্কাইভের-তারিখ=২০০৮-০৪-১৭|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>

ভারতের দুটি প্রধান ভাষাগোষ্ঠী হল [[ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠী|ইন্দো-আর্য]] (মোট জনসংখ্যার ৭৪%) ও [[দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠী|দ্রাবিড়]] (মোট জনসংখ্যার ২৪%)। অপরাপর ভাষাগোষ্ঠীগুলি হল [[অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষাগোষ্ঠী|অস্ট্রো-এশিয়াটিক]] ও [[তিব্বতি-বর্মী ভাষাগোষ্ঠী|তিব্বতি-বর্মী]] ভাষাগোষ্ঠী। ভারতের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীয় ভাষা [[হিন্দি]]<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=Languages by number of speakers according to 1991 census|publisherপ্রকাশক= Central Institute of Indian Languages|urlইউআরএল=http://www.ciil.org/Main/Languages/map4.htm|accessmonthday=August 2 |accessyear=2007}}</ref> যা কি-না কেন্দ্রীয় সরকারের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে নির্ধারিত।<ref>Mallikarjun, B. (Nov., 2004), [http://www.languageinindia.com/nov2004/mallikarjunmalaysiapaper1.html Fifty Years of Language Planning for Modern Hindi–The Official Language of India], [http://www.languageinindia.com/index.html ''Language in India''], Volume 4, Number 11. ISSN 1930-2940.</ref> “সহকারী দাপ্তরিক ভাষা” [[ইংরেজি]] প্রশাসন ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত।<ref name=autogenerated1>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Notification No. 2/8/60-O.L. (Ministry of Home Affairs), dated 27 April, 1960|2=|urlইউআরএল=http://www.rajbhasha.gov.in/preseng.htm|accessmonthday=July 4|accessyear=2007|সংগ্রহের-তারিখ=৫ ডিসেম্বর ২০০৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071006230547/http://www.rajbhasha.gov.in/preseng.htm|আর্কাইভের-তারিখ=৬ অক্টোবর ২০০৭|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও ইংরেজির প্রাধান্য প্রশ্নাতীত। ভারতের সংবিধান [[বাংলা]]-সহ [[ভারতের রাষ্ট্রভাষা|২২টি ভাষাকে]] সরকারি ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। এগুলি হয় প্রচলিত, নয় ধ্রুপদি ভাষা। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে ধ্রুপদি ভাষার মর্যাদা পেয়ে আসা [[তামিল]] ও [[সংস্কৃত]]<ref>{{Citation|last = Seaver | first = Sanford B. | title = The Dravidian Languages | year = 1998 | publisher = Taylor and Francis. Pp. 436 |isbn=0415100232 | url = http://books.google.com/books?id=CF5Qo4NDE64C&printsec=frontcover#PPA6,M1}}. Quote: "Tamil ... It is therefore one of India's two classical languages, alongside the more widely known Indo-Aryan language Sanskrit." 2. {{Citation|last=Ramanujan |first= A. K.| authorlink = A. K. Ramanujan | title = Poems of Love and War: From the Eight Anthologies and the Ten Long Poems of Classical Tamil | publisher= New York: Columbia University Press. Pp. 329 | year = 1985 | isbn = 0231051077|url =http://books.google.com/books?id=nIybE0HRvdQC&printsec=frontcover&source=gbs_summary_r&cad=0#PPR9,M1}} Quote: "Tamil, one of the two classical languages of India, is a Dravidian language spoken today by 50 million Indians, ..."</ref> এবং [[কন্নড়]] ও [[তেলুগু]] ভাষাকে ভারত সরকার নিজস্ব একটি যোগ্যতাসূচকবলে ধ্রুপদি ভাষার মর্যাদা দান করেছে।<ref name="antiquity">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://pib.nic.in/release/release.asp?relid=44340|titleশিরোনাম=Declaration of Telugu and Kannada as classical languages|workকর্ম=Press Information Bureau|publisherপ্রকাশক=Ministry of Tourism and Culture, Government of India|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2008-11-19}}</ref> ভারতে উপ-ভাষার সংখ্যা ১,৬৫২টি।<ref name="Manorama">{{বই উদ্ধৃতি |firstপ্রথমাংশ=K.M. |lastশেষাংশ=Matthew |titleশিরোনাম=Manorama Yearbook 2003 |publisherপ্রকাশক=[[Malayala Manorama]] |yearবছর=2006 |isbnআইএসবিএন=81-89004-07-7 |pagesপাতাসমূহ=pg 524}}</ref>

৮০ কোটিরও বেশি (৮০.৫%) ভারতবাসী [[হিন্দু]]। অন্যান্য ধর্মসম্প্রদায়গুলির মধ্যে রয়েছে [[ইসলাম|মুসলমান]] (১৩.৪%), [[খ্রিস্টধর্ম|খ্রিস্টান]] (২.৩%), [[শিখ ধর্ম|শিখ]] (১.৯%), [[বৌদ্ধধর্ম|বৌদ্ধ]] (০.৮%), [[জৈনধর্ম|জৈন]] (০.৪%), [[ইহুদি]], [[পারসি]] ও [[বাহাই ধর্ম|বাহাই]] ধর্মাবলম্বী মানুষ।<ref name="CensusRel">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=Census of India 2001, Data on Religion |workকর্ম=Census of India |urlইউআরএল=http://www.censusindia.gov.in/Census_Data_2001/India_at_glance/religion.aspx |accessmonthday=November 22 |accessyear=2007}}</ref> উল্লেখ্য, ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম হিন্দু, শিখ, জৈন, জরাথ্রুষ্টবাদী ও বাহাই ধর্মা‌বলম্বী জনসংখ্যা রয়েছে এবং ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা সমগ্র বিশ্বের নিরিখে তৃতীয়-বৃহত্তম এবং অ-মুসলমান প্রধান দেশগুলির মধ্যে বৃহত্তম। দেশে আদিবাসী জনসংখ্যা ৮.১%।<ref name="Tribal">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=Tribes: Introduction |publisherপ্রকাশক= Ministry of Tribal Affairs, [[Government of India]] |urlইউআরএল=http://tribal.gov.in/index2.asp?sublinkid=542&langid=1|accessmonthday=April 12 |accessyear=2007|workকর্ম= [[National Informatics Centre]]}}</ref><ref>[http://www.thehindu.com/features/friday-review/religion/global-muslim-population-estimated-at-157-billion/article30568.ece Global Muslim population estimated at 1.57 billion] {{webarchiveওয়েব আর্কাইভ|urlইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130601012428/http://www.thehindu.com/features/friday-review/religion/global-muslim-population-estimated-at-157-billion/article30568.ece |dateতারিখ=1 June 2013 }}. The Hindu (8 October 2009)</ref><ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.uscirf.gov/sites/default/files/resources/2012ARChapters/india%202012%20two-pager.pdf|titleশিরোনাম=India Chapter Summary 2012|publisherপ্রকাশক=|deadurlঅকার্যকর-ইউআরএল=no|archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140407100620/http://www.uscirf.gov/sites/default/files/resources/2012ARChapters/india%202012%20two-pager.pdf|archivedateআর্কাইভের-তারিখ=7 April 2014|df=dmy-all}}</ref>

:{{mainমূল নিবন্ধ|ভারতীয় সংস্কৃতি}}

[[চিত্র:Taj Mahal in March 2004.jpg|thumb|[[আগ্রা|আগ্রার]] [[তাজমহল]],[[শাহজাহান]] কর্তৃক পত্নী [[মুমতাজ মহল|মুমতাজ মহলের]] স্মৃতিতে নির্মিত। [[ইউনেস্কো]] এর ''অসামান্য বিশ্বজনীন মূল্য'' বিচার করে এটিকে [[বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান|বিশ্ব ঐতিহ্য ভবন]] ঘোষণা করেছে।<ref name="UNESCO_TM">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://whc.unesco.org/en/list|titleশিরোনাম=Taj Mahal|accessyear=2007|accessmonthday=September 28|publisherপ্রকাশক=UNESCO World Heritage Centre|workকর্ম=World Heritage List|quoteউক্তি=The World Heritage List includes 851 properties forming part of the cultural and natural heritage which the World Heritage Committee considers as having outstanding universal value.}}</ref>]]

আফ্রিকা মহাদেশের পরেই ভারত সংস্কৃতি, ভাষা ও জাতিগতভাবে বিশ্বে সর্বাধিক বৈচিত্র্যপূর্ণ ভৌগোলিক অঞ্চল।<ref name="LOC PROFILE"/> "সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের<ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Baidyanath|firstপ্রথমাংশ=Saraswati|titleশিরোনাম=Interface of Cultural Identity Development|editionসংস্করণ=1stEdition|urlইউআরএল=http://ignca.nic.in/ls_03.htm|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-06-08|isbnআইএসবিএন=81-246-0054-6|chapterঅধ্যায়=Cultural Pluralism, National Identity and Development|yearবছর=2006|pagesপাতাসমূহ=xxi+290pp|nopp=true|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070702222552/http://ignca.nic.in/ls_03.htm|আর্কাইভের-তারিখ=২০০৭-০৭-০২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> মধ্যে ঐক্য"<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Das |firstপ্রথমাংশ=N.K. |coauthors= |yearবছর=2006 |month=July |titleশিরোনাম=Cultural Diversity, Religious Syncretism and People of India: An Anthropological Interpretation|journalসাময়িকী=Bangladesh e-Journal of Sociology |volumeখণ্ড=3 |issueসংখ্যা নং=2nd |pagesপাতাসমূহ= |idআইডি=ISSN 1819-8465 |urlইউআরএল=http://www.bangladeshsociology.org/Content.htm |accessdateসংগ্রহের-তারিখ= 2007-09-27 |quoteউক্তি=The pan-Indian, civilizational dimension of cultural pluralism and syncretism encompasses ethnic diversity and admixture, linguistic heterogeneity as well as fusion, and variations as well as synthesis in customs, behavioural patterns, beliefs and rituals.}}</ref> ভারতীয় সংস্কৃতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই সংস্কৃতি স্বকীয় ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি বৈদেশিক আক্রমণকারী ও বহিরাগত জাতিগুলির থেকে গ্রহণ করা রীতিনীতি, ঐতিহ্য ও ধারণা অঙ্গীভূত করে এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের সংস্কৃতির ওপর নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে।

[[চিত্র:Rabindranath Tagore in 1909.jpg|left|thumb| [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] - এশিয়ার প্রথম<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.time.com/time/asia/asia/magazine/1999/990823/tagore1.html|titleশিরোনাম=Rabindanath Tagore: Asia's First Nobel laureate...|accessyear=2007|accessmonthday=October 3|publisherপ্রকাশক=Time Asia|workকর্ম=}}</ref> সাহিত্যে নোবেল বিজেতা<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://nobelprize.org/nobel_prizes/literature/laureates/1913/index.html|titleশিরোনাম=The Nobel Prize in Literature 1913|accessyear=2007|accessmonthday=October 3|publisherপ্রকাশক=Nobel Foundation|workকর্ম=Nobel Prize Winners}}</ref> এবং [[জনগণমনঅধিনায়ক জয় হে|ভারতের জাতীয় সংগীতের]] রচয়িতা। [[মণিপুরী নৃত্য]] সহ বহু শিল্পকলার পুনরুজ্জীবনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।<ref>{{Harvnb|Massey|2006|p=186}}</ref>]]

ভারতের প্রাচীনতম [[ভারতীয় সাহিত্য|সাহিত্য]] প্রথমে মৌখিকভাবে ও পরে লিখিত আকারে প্রচলিত হয়।<ref name = Sanskrit>{{Harvnb|MacDonell|2004|p=1-40}}</ref> এই রচনাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য [[বেদ]], ভারতীয় মহাকাব্য ''[[রামায়ণ]]'' ও ''[[মহাভারত]]'', নাটক ''অভিজ্ঞানশকুন্তলম্'' ইত্যাদি [[সংস্কৃত সাহিত্য|সংস্কৃত সাহিত্যের]] ধ্রুপদী কীর্তিসমূহ<ref>{{Harvnb|Johnson|1998}}, {{Harvnb|MacDonell|2004|p=1-40}}, and {{Harvnb|Kalidasa|Johnson (editor)|2001}}</ref> এবং [[তামিল ভাষা|তামিলে]] রচিত [[সঙ্গম সাহিত্য]]।<ref name = Tamil>'''1.''' ''Encyclopaedia Britannica'' (2008), [http://original.britannica.com/eb/article-9071111/Tamil-literature "Tamil Literature."] Quote: "Apart from literature written in classical (Indo-Aryan) Sanskrit, Tamil is the oldest literature in India. Some inscriptions on stone have been dated to the 3rd century BC, but Tamil literature proper begins around the 1st century AD. Much early poetry was religious or epic; an exception was the secular court poetry written by members of the ''sangam'', or literary academy (see Sangam literature)." '''2.''' {{Harvnb|Ramanujan|1985|p=ix-x}} [http://books.google.com/books?id=nIybE0HRvdQC&pg=PR9&vq=eight+anthologies&source=gbs_search_r&cad=0_1&sig=ACfU3U3yAk-LoJIs-AdWHCw9nU-OjLUyJA Quote]: "These poems are 'classical,' i.e. early, ancient; they are also 'classics,' i.e. works that have stood the test of time, the founding works of a whole tradition. Not to know them is not to know a unique and major poetic achievement of Indian civilization. Early classical Tamil literature (c. 100 BC–AD 250) consists of the Eight Anthologies (''Eţţuttokai''), the Ten Long Poems (''Pattuppāţţu''), and a grammar called the ''Tolkāppiyam'' or the 'Old Composition.'&nbsp;... The literature of classical Tamil later came to be known as ''Cankam'' (pronounced ''Sangam'') literature. (pp. ix-x)"</ref> আধুনিক কালের ভারতীয় সাহিত্যিকদের মধ্যে সর্বাগ্রগণ্য হলেন ১৯১৩ সালে দেশের প্রথম [[সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার]] বিজয়ী কবি [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]। এছাড়াও ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যরচনার জন্য ভারতীয় অথবা ভারতীয় বংশোদ্ভুত যেসকল লেখকগণ সারা বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছেন তাঁরাতারা হলেন [[অমিতাভ ঘোষ]], মার্কিন-প্রবাসী বাঙালি সাহিত্যিক [[ঝুম্পা লাহিড়ী]], নোবেলজয়ী ব্রিটিশ-ভারতীয় সাহিত্যিক [[ভি এস নাইপল]] প্রমুখ।

[[ভারতীয় চলচ্চিত্র|ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্প]] সমগ্র বিশ্বের বৃহত্তম চলচ্চিত্র শিল্প।<ref name="BBC_1154019">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/country_profiles/1154019.stm|titleশিরোনাম=Country profile: India|accessyear=2007|publisherপ্রকাশক=BBC}}</ref> বাণিজ্যিক হিন্দি সিনেমা প্রস্তুতকারক [[বলিউড]] বিশ্বের সর্বাপেক্ষা সৃষ্টিশীল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।<ref>{{Harvnb|Dissanayake|Gokulsing|2004}}</ref> এছাড়াও [[বাংলা চলচ্চিত্র|বাংলা]], [[কর্ণাটকের চলচ্চিত্র|কন্নড়]], [[মালয়ালম চলচ্চিত্র|মালয়ালম]], [[মারাঠি চলচ্চিত্র|মারাঠি]], [[তামিল চলচ্চিত্র|তামিল]] ও [[তেলুগু চলচ্চিত্র|তেলুগু]] ভাষায় ঐতিহ্যবাহী চলচ্চিত্র শিল্পের আছে।<ref>{{Harvnb|Rajadhyaksha|Willemen (editors)|1999}}</ref>

ভারতে উৎসব প্রকৃতিগতভাবে ধর্মীয়। যদিও অনেক ধর্ম ও জাতি নিরপেক্ষ উৎসবও পালিত হয়ে থাকে। [[দীপাবলি]], [[গণেশ|গণেশ চতুর্থী]], [[উগাদি]], পোঙ্গল, [[দোলযাত্রা]], ওনাম, দশেরা, [[দুর্গাপূজা]], কালীপূজা, জন্মাষ্টমী, [[ঈদুল ফিত্‌র]], [[ঈদুল আজহা]], [[বড়োদিন]], [[বুদ্ধ পূর্ণিমা|বুদ্ধজয়ন্তী]], বৈশাখী প্রভৃতি কয়েকটি জনপ্রিয় উৎসব।<ref name="Indobase">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://festivals.indobase.com/index.html|titleশিরোনাম=18 Popular India Festivals|accessdateসংগ্রহের-তারিখ= 2007-12-23}}</ref> ভারতে তিনটি [[ভারতের জাতীয় দিবস|জাতীয় উৎসব]] পালিত হয়; এগুলি হল স্বাধীনতা দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবস ও [[গান্ধী জয়ন্তী]]। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক উৎসবও যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। ধর্মাচরণও দৈনন্দিন ও গণজীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে গণ্য হয়।

ভারতে সনাতন পারিবারিক মূল্য বিশেষ সম্মানের অধিকারী। একাধিক প্রজন্মের মিলনক্ষেত্র পিতৃতান্ত্রিক যৌথ পরিবারগুলিই ভারতীয় পরিবারতন্ত্রের আদর্শ বলে বিবেচিত হয়। যদিও আজকাল নগরাঞ্চলগুলিতে ছোটো ছোটো নিউক্লিয়ার পরিবারের উদ্ভব ঘটতে দেখা যায়।<ref name="makar">{{বই উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=An American's Guide to Doing Business in India|authorলেখক=Eugene M. Makar|yearবছর=2007}}</ref> ভারতে বিবাহ আয়োজিত হয় পাত্র ও পাত্রীর পিতামাতা ও অন্যান্য গুরুজনস্থানীয় আত্মীয়বর্গের সম্মতিক্রমে। আয়োজিত বিবাহ ভারতে এক অতিমাত্রায় লক্ষিত বিবাহরীতি।<ref name = Nilufer>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ = Medora| firstপ্রথমাংশ = Nilufer| titleশিরোনাম = Mate Selection Across Cultures| chapterঅধ্যায় = Mate selection in contemporary India: Love marriages versus arranged marriages | editorসম্পাদক = Hamon, Raeann R. and Ingoldsby, Bron B.|pagesপাতাসমূহ=209–230| publisherপ্রকাশক = SAGE | isbnআইএসবিএন=0761925929|yearবছর = 2003 }}</ref> বিবাহবন্ধন সারাজীবনের বন্ধন বলে বিবেচিত হয়।<ref name = Nilufer/> তাই এদেশে বিবাহবিচ্ছেদের হারও অত্যন্ত কম।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.divorcerate.org/divorce-rate-in-india.html|titleশিরোনাম=Divorce Rate In India|সংগ্রহের-তারিখ=৩ জুলাই ২০০৯|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140412164909/http://www.divorcerate.org/divorce-rate-in-india.html|আর্কাইভের-তারিখ=১২ এপ্রিল ২০১৪|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> ভারতে বাল্যবিবাহ প্রথা আজও প্রচলিত যদিও বাল্যবিবাহের হার ক্রমহাসমান। ইউনিসেফের স্যাম্পেল সার্ভে এবং ভারতের জনগণনা অনুযায়ী ২০০৬-এ যেখানে ৪৭% নারীর বিবাহ হত ১৮ বছর বয়সের আগে, ২০১৬ সালে সেই স্ংখ্যা ২৭%।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://unicef.in/Whatwedo/30/Child-Marriage|titleশিরোনাম=Child-Marriage}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://ncpcr.gov.in/showfile.php?lang=1&level=1&sublinkid=1214&lid=1463|titleশিরোনাম=A statistical analysis of child marriage of india}}</ref>

:{{mainমূল নিবন্ধ|ভারতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইতিহাস|ভারতীয় প্রজাতন্ত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি}}

:{{mainমূল নিবন্ধ|ভারতের খেলাধূলা}}

ভারতীয় দলের ডেভিস কাপ বিজয়ের পর থেকে ভারতে [[টেনিস|টেনিসের]] জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে [[ফুটবল]] [[পশ্চিমবঙ্গ]], [[উত্তর-পূর্ব ভারত]], [[গোয়া]] ও [[কেরল|কেরলে]] বেশ জনপ্রিয়।<ref name = Soccer>{{Harvnb|Majumdar|Bandyopadhyay|2006|p=1-5}}</ref> [[ভারত জাতীয় ফুটবল দল]] বহুবার [[সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন কাপ]] জিতেছে। ভারত ১৯৫১ ও ১৯৮২ সালে [[এশিয়ান গেমস]] আয়োজন করেছিল। এছাড়াও ভারত ছিল ১৯৮৭ ও ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ ছিল; ভারত ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ। [[দাবা]] খেলার উদ্ভবও হয়েছিল ভারতে। দেশে গ্রান্ডমাস্টার দাবাড়ুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ দাবা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় একটি খেলা।<ref name="Anand crowned World champion">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.rediff.com/sports/2008/oct/29anand.htm|titleশিরোনাম=Anand crowned World champion|dateতারিখ=10-29-2008|publisherপ্রকাশক=Rediff|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2008-10-29}}</ref> এছাড়াও দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় খেলা হল [[কাবাডি]], খো খো, ও গুলি ডান্ডা ইত্যাদি। ভারতে প্রাচীন যোগব্যায়াম এবং বিভিন্ন ভারতীয় মার্শাল আর্ট, কালারিপ্পায়াত্তু, বার্মা কলাই ইত্যাদি আজও জনপ্রিয়। ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক ক্রীড়া পুরস্কার হল [[রাজীব গান্ধী খেলরত্ন]] ও [[অর্জুন পুরস্কার]] (খেলোয়াড়দের জন্য) এব দ্রোণাচার্য পুরস্কার (কোচিং-এর জন্য)।

{{Portalপ্রবেশদ্বার|ভারত}}

|lastশেষাংশ=Brown

|firstপ্রথমাংশ=Judith M.

|yearবছর=1994

|titleশিরোনাম=Modern India: The Origins of an Asian Democracy

|publisherপ্রকাশক=[[Oxford University Press]]

|locationঅবস্থান=[[Oxford]] and New York

|pagesপাতাসমূহ= xiii, 474

|isbnআইএসবিএন=0198731132

|urlইউআরএল=http://www.oup.com/uk/catalogue/?ci=9780198731139

|refসূত্র=md

|lastশেষাংশ=Kulke

|firstপ্রথমাংশ=Hermann

|yearবছর=2004

|titleশিরোনাম=A History of India

|publisherপ্রকাশক=Routledge

|seriesধারাবাহিক=4th edition

|pagesপাতাসমূহ=xii, 448

|isbnআইএসবিএন=0415329205

|urlইউআরএল=http://www.amazon.com/History-India-Hermann-Kulke/dp/0415329205/

|refসূত্র=hi

|lastশেষাংশ=Metcalf

|firstপ্রথমাংশ=Barbara

|yearবছর=2006

|titleশিরোনাম=A Concise History of Modern India (Cambridge Concise Histories)

|publisherপ্রকাশক=[[Cambridge University Press]]

|locationঅবস্থান=[[Cambridge]] and New York

|pagesপাতাসমূহ=xxxiii, 372

|isbnআইএসবিএন=0521682258

|urlইউআরএল=http://www.amazon.com/Concise-History-Modern-Cambridge-Histories/dp/0521682258/

|refসূত্র=barb

|lastশেষাংশ=Spear

|firstপ্রথমাংশ=Percival

|yearবছর=1990

|titleশিরোনাম=A History of India

|publisherপ্রকাশক=Penguin Books

|locationঅবস্থান=New Delhi and London

|isbnআইএসবিএন=0140138366

|urlইউআরএল=http://www.amazon.com/History-India-Vol-2/dp/0140138366/ref=pd_ybh_a_6/104-7029728-9591925

|refসূত্র=spear

|lastশেষাংশ=Stein

|firstপ্রথমাংশ=Burton

|yearবছর=2001

|titleশিরোনাম=A History of India

|publisherপ্রকাশক=Oxford University Press

|locationঅবস্থান=New Delhi and [[Oxford]]

|pagesপাতাসমূহ=xiv, 432

|isbnআইএসবিএন=0195654463

|urlইউআরএল=http://www.amazon.com/History-India-World/dp/0631205462/ref=pd_ybh_a_7/104-7029728-9591925

|refসূত্র=stein

|lastশেষাংশ=Thapar

|firstপ্রথমাংশ=Romila

|authorlinkলেখক-সংযোগ=Romila Thapar

|yearবছর=1990

|titleশিরোনাম=A History of India

|publisherপ্রকাশক=Penguin Books

|locationঅবস্থান=New Delhi and London

|isbnআইএসবিএন=0140138358

|urlইউআরএল=http://www.amazon.com/History-India-Penguin/dp/0140138358/

|refসূত্র=thapar

|lastশেষাংশ=Wolpert

|firstপ্রথমাংশ=Stanley

|authorlinkলেখক-সংযোগ=Stanley Wolpert

|yearবছর=2003

|titleশিরোনাম=A New History of India

|publisherপ্রকাশক=Oxford University Press

|locationঅবস্থান=[[Oxford]] and New York

|isbnআইএসবিএন=0195166787

|urlইউআরএল=http://www.amazon.com/New-History-India-Stanley-Wolpert/dp/0195166787/

|refসূত্র=wol

|lastশেষাংশ=Dikshit

|firstপ্রথমাংশ= K.R.

|titleশিরোনাম= Encyclopædia Britannica

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ= 2007-09-29

|yearবছর= 2007

|pagesপাতাসমূহ= 1–29

|chapterঅধ্যায়= India: The Land

|chapterurlঅধ্যায়ের-ইউআরএল= http://www.britannica.com/EBchecked/topic/285248/India

|refসূত্র=dikshit}}

|lastশেষাংশ=Government of India

|yearবছর=2007

|titleশিরোনাম=India Yearbook 2007

|publisherপ্রকাশক=Publications Division, Ministry of Information & Broadcasting

|isbnআইএসবিএন=81-230-1423-6

|refসূত্র=iy07}}

|lastশেষাংশ=Heitzman

|yearবছর=1996

|titleশিরোনাম=India: A Country Study

|publisherপ্রকাশক=Library of Congress (Area Handbook Series)

|isbnআইএসবিএন=0-8444-0833-6

|refসূত্র=worden}}

|lastশেষাংশ=Posey

|yearবছর=1994

|titleশিরোনাম=The Living Earth Book of Wind and Weather

|publisherপ্রকাশক=Reader's Digest Association

|isbnআইএসবিএন=0-8957-7625-1

|refসূত্র=posey}}