ভারতীয় সংবিধানের সংশোধনীসমূহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৭৫ নং লাইন:
| ৩৩তম সংশোধন
| [[১৯ মে]] [[১৯৭৪]]
| আইনসভার সদস্যদের যাতে তাঁদেরতাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পদত্যাগে বাধ্য না করা যায়, সেজন্য সংবিধানের ১০১ ও ১৯০ নং ধারাদুটি সংশোধন করে পদত্যাগের কার্যকারিতা সংশ্লিষ্ট কক্ষের অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র গ্রহণের উপর নির্ভর করবে বলে স্থির করা হয়।
|-
| [[১৯৭৪]]
২২০ নং লাইন:
| ৪২তম সংশোধন বা ক্ষুদ্র সংবিধান
| [[৩ জানুয়ারি]] [[১৯৭৭]], [[১ এপ্রিল]] [[১৯৭৭]]
| এই সংশোধনের ভারতের সংবিধানের বৃহত্তম সংশোধন। প্রধানমন্ত্রী [[ইন্দিরা গান্ধী|ইন্দিরা গান্ধীর]] আমলে কৃত এই সংশোধনের বাহুল্যের কারণে এটিকে ক্ষুদ্র সংবিধান বা মিনি-কনস্টিটিউশন আখ্যা দেওয়া হয় : <br />এই সংশোধনে [[ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা|প্রস্তাবনায়]] ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দদুটি যোগ করে ভারতকে একটি ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ রূপে ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া প্রস্তাবনায় ‘ঐক্য’-এর পরে ‘সংহতি’ শব্দটিও যুক্ত হয়। <br /> নির্দেশমূলক নীতির আলোচ্য বিষয়ে সংখ্যা বাড়ানো হয়। বেশ কয়েকটি নতুন বিষয় যুক্ত করা হয় : শিশুদের সুস্থ ও স্বাধীনভাবে এবং মর্যাদার সঙ্গে বেড়ে উঠতে পারার জন্য সমান সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করা, সমান সুযোগের ভিত্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন, শিল্প পরিচালন ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা, পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ এবং দেশের অরণ্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। এই সংশোধনীবলে উক্ত অংশগুলি সংযোজনের জন্য সংবিধানের ৩৯ নং ধারা সংশোধন করা হয় এবং মৌলিক অধিকারের উপর নির্দেশমূলক নীতির প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। <br /> মূল সংবিধানে নাগরিকদের কোনও কর্তব্যের উল্লেখ ছিল না। এই সংশোধনীবলে ভারতীয় নাগরিকদের ১০টি কর্তব্যের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়। <br /> এই সংশোধনী বলে ভারতের রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদা ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ের কয়েকটি গুণগত পরিবর্তন করা হয়। মূল সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতিকে সাহায্য ও পরামর্শদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরিচালনাধীন একটি মন্ত্রীপরিষদের অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়েছিল; কিন্তু রাষ্ট্রপতি যে উক্ত মন্ত্রীপরিষদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য, সেকথার উল্লেখ ছিল না। ৪২তম সংবিধান সংশোধনে স্পষ্টরূপে উল্লিখিত হয় যে রাষ্ট্রপতি তাঁরতার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে মন্ত্রীপরিষদের সাহায্য ও পরামর্শ গ্রহণে বাধ্য। <br />লোকসভা ও রাজ্যসভার মেয়াদ ছয় বছর করা হয়। স্থির হয় [[২০০০]] সালের জনগণনার হিসাব পাওয়ার পূর্বাবধি আসন বণ্টনের রাষ্ট্রপতির আদেশের দ্বারা নির্ধারিত হবে। <br /> রাষ্ট্রপতিকে দেশের কোনও অংশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এছাড়া, সংবিধানের ৩৫৬ ধারা সংশোধন করে বলা হয়, রাজ্যে শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা সংক্রান্ত কোনও ঘোষণাকে সংসদের অনুমোদনের জন্য পেশ করলে এবং সংসদ তা অনুমোদন করলে ওই ঘোষণা একবছর বলবৎ থাকবে। সংসদের অনুমোদনক্রমে মোট তিন বছর পর্যন্ত ওই ঘোষণা বলবৎ থাকতে পারে। <br /> আদালত সংবিধান সংশোধন আইনের বৈধতা বিচারের এক্তিয়ার হারায়। এই সংশোধনীবলে কেবলমাত্র সংবিধানে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে কিনা, আদালত শুধুমাত্র সেই বিষয়টিই বিবেচনার ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। <br /> এই সংশোধনীবলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে [[ভারত সরকার|কেন্দ্রীয় সরকারকে]] প্রভূত ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই সংশোধনে একটি নতুন ধারা যোগ করে বলা হয় যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনে কোনো রাজ্যে সশস্ত্রবাহিনী পাঠাতে পারে এবং ওই সশস্ত্রবাহিনী কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে। <br /> এই সংশোধনী বলে সংবিধানের সপ্তম তফসিলভুক্ত যুগ্ম তালিকা সংশোধন করে শিক্ষা, কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশে দেশের যে কোনও অংশে সশস্ত্রবাহিনী পাঠানো, বিচার পরিচালনা, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বাদে অন্যান্য আদালত গঠন, বন্যপ্রাণী ও পক্ষী সংরক্ষণ, জনসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা এবং শ্রমিকদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ যুগ্ম তালিকাভুক্ত করা হয়।
|-
| [[১৯৭৭]]
৪৬৭ নং লাইন:
| ৯১তম সংবিধান সংশোধনীর দ্বারা সংবিধানে কয়েকটি নতুন উপধারা সংযোজিত হয় : <br />
ধারা ৭৫ (১)-এ সংযোজিত হয় – ১ক:- প্রধানমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা লোকসভার মোট সদস্যসংখ্যার ১৫ শতাংশের অধিক হবে না। <br />
১খ:- সংসদের কোনও কক্ষের যে কোনও রাজনৈতিক দলভুক্ত সদস্য যিনি দশম তফসিলের ২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তিনি ১ নং ধারা অনুসারে মন্ত্রী হবার যোগ্যতাও হারাবেন। তাঁরতার এই অযোগ্যতা অযোগ্য ঘোষিত হবার দিন থেকে তাঁরতার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত, অথবা তিনি সংসদের কোনও কক্ষের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী ঘোষিত হওয়া পর্যন্ত (যেটি পূর্বে ঘটবে) বজায় থাকবে।
 
ধারা ১৬৪ ১ক ও ১৬৪ ১খ সংযোজিত হয় – ১ক:- মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা সংশ্লিষ্ট রাজ্য বিধানসভার মোট সদস্যসংখ্যার ১৫ শতাংশের অধিক হবে না। <br />
এই শর্তে যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা ১২ জনের কম হবে না : <br />
পুনর্বার এই শর্তে যে যদি কোনও রাজ্যে ৯১তম সংশোধনী আইন, ২০০৩ জারি হবার পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা কথিত ১৫ শতাংশ অথবা প্রথম অনুবিধিতে উল্লিখিত সংখ্যার অধিক হয় তবে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গণবিজ্ঞপ্তি জারির ছয় মাসের মধ্যে এই ধারা অনুসারে তাতে সমতাবিধান করতে হবে। <br />
১খ:- রাজ্য বিধানসভা বা বিধান পরিষদের (যেসব রাজ্যে বিধান পরিষদ বর্তমান সেগুলির ক্ষেত্রে) যে কোনও রাজনৈতিক দলভুক্ত সদস্য যিনি দশম তফসিলের ২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তিনি ১ নং ধারা অনুসারে মন্ত্রী হবার যোগ্যতাও হারাবেন। তাঁরতার এই অযোগ্যতা অযোগ্য ঘোষিত হবার দিন থেকে তাঁরতার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত, অথবা তিনি রাজ্য আইনসভার কোনও কক্ষের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী ঘোষিত হওয়া পর্যন্ত (যেটি পূর্বে ঘটবে) বজায় থাকবে।
 
সংবিধানের অংশ ১৯-এ ৩৬১খ ধারাটি সংযোজিত হয় – সদনের কোনও কক্ষের যে কোনও রাজনৈতিক দলভুক্ত সদস্য যিনি দশম তফসিলের ২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তিনি কোনও লাভজনক রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। তাঁরতার এই অযোগ্যতা অযোগ্য ঘোষিত হবার দিন থেকে তাঁরতার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত, অথবা তিনি সংসদের কোনও কক্ষের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী ঘোষিত হওয়া পর্যন্ত (যেটি পূর্বে ঘটবে) বজায় থাকবে।
 
অনুচ্ছেদ ১খ থেকে “অনুচ্ছেদ ৩ অথবা বিষয়টি যেরূপ” কথাগুলি বাদ দেওয়া হয়। অনুচ্ছেদ ২(১)-এ “অনুচ্ছেদ ৩, ৪ ও ৫”-এর পরিবর্তে “অনুচ্ছেদ ৪ ও ৫” যোগ করা হয়।