লিওনেল প্যালেরিট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৬৪ নং লাইন:
বর্ণাঢ্যময় খেলোয়াড়ী জীবনে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রভূতঃ খ্যাতি ছিল তার। ১৯০২ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে দুইবার টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন লিওনেল প্যালেরিট। সমসাময়িক খেলোয়াড়েরা তাকে ঐ সময়ের অন্যতম সেরা আক্রমণধর্মী খেলোয়াড়ের মর্যাদা দিয়েছেন। তার স্মরণে দ্য টাইমস উল্লেখ করে যে, সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন লিওনেল প্যালেরিট।<ref name=timesobit>The Times, Wednesday, Mar 29, 1933; pg. 6; Issue 46405; col D</ref> তবে, পরবর্তী শীতকালে সফরে যেতে অনাগ্রহতার কারণে প্যালেরিটের টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হাতছাড়া করেন। ফলশ্রুতিতে আরও টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ নষ্ট হয় তার।
রেপটন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন লিওনেল প্যালেরিট। বিদ্যালয়ের ক্রিকেট দলে চার বছর খেলেন। তন্মধ্যে, শেষ দুই বছর দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর অক্সফোর্ডের অরিয়্যাল কলেজে চলে যান। অক্সফোর্ডে চার বছর থাকাকালে প্রত্যেক বছরই [[Blue (university sport)|ব্লু]] লাভে সক্ষমতা দেখান তিনি। এছাড়াও, ১৮৯২ ও ১৮৯৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় দলের অধিনায়কত্ব করেন। সমারসেটে থাকাকালে নিয়মিতভাবে [[Herbie Hewett|হার্বি হিউইটের]] সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৮৯২ সালে প্রথম উইকেট [[Partnership (cricket)|জুটিতে]] তার সাথে ৩৪৬ রান তুলে [[কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে]] নতুন রেকর্ড স্থাপন করেন।
পরবর্তী দশকে ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় শৌখিন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুলেন। সাত মৌসুমে সহস্রাধিক প্রথম-শ্রেণীর রান সংগ্রহ করেছেন। দুইটি দ্বি-শতকও হাঁকিয়েছেন তিনি। ১৮৯৫ সালে [[Hampshire County Cricket Club|হ্যাম্পশায়ারের]] বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৯২ রান তুলেছেন। তৎকালীন সমারসেটের এ রেকর্ডটি ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত টিকেছিল।
৭৫ নং লাইন:
২৭ মে, ১৮৭০ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিখ্যাত সমুদ্র অবকাশ যাপন কেন্দ্র গ্রাঞ্জ-ওভার-স্যান্ডসে লিওনেল প্যালেরিটের জন্ম।<ref name="whoswho">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ukwhoswho.com/view/article/oupww/whowaswho/U215105 |শিরোনাম=Palairet, Lionel Charles Hamilton |কর্ম=Who Was Who. ''[[A & C Black]]. 1920–2008'' |প্রকাশক=Online edition Oxford University Press |তারিখ=December 2007 |সংগ্রহের-তারিখ=19 November 2012}}{{ODNBsub}}</ref> হেনরি হ্যামিল্টন প্যালেরিট ও এলিজাবেথ অ্যান বিগ দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ ছিলেন।<ref name="hug">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=ZPtpj7KhjwkC&pg=RA1-PA71 |শিরোনাম=Huguenot Pedigrees |শেষাংশ=Lart |প্রথমাংশ=Charles E. |প্রকাশক=Genealogical Publishing Company |অবস্থান=London |প্রকৃত-বছর=1924 |বছর=2002 |পাতা=71 |আইএসবিএন=0-8063-0207-0 |এলসিসিএন=67028595}}</ref> তার পিতা হুগুইনট বংশোদ্ভূত। [[ক্রিকেট|ক্রিকেটের]] প্রতি সুগভীর আগ্রহ ছিল তার। ১৮৬০-এর দশকের শেষার্ধ্বে [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের]] পক্ষে দুইটি [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর খেলায়]] অংশ নিয়েছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Players/31/31857/31857.html |শিরোনাম=Player Profile: Henry Palairet |প্রকাশক=CricketArchive |সংগ্রহের-তারিখ=19 November 2012}}</ref> সমারসেটের ক্লেভডনে অবস্থিত রেভারেন্ড এস. কর্নিশ স্কুলে প্রথম পড়াশোনা করেন। সেখানে তিনি উপর্যুপরি সাত বলে সাত [[উইকেট]] পেয়েছিলেন। এরপর রেপটন স্কুলে স্থানান্তরিত হন।<ref name="wisdenobit">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/155655.html |শিরোনাম=Obituary: Lionel Palairet |প্রকাশক=ESPNcricinfo |সংগ্রহের-তারিখ=19 November 2012}}</ref> রেপটনে সর্বক্রীড়ায় দক্ষতা প্রদর্শনে সক্ষম হন। দুই, এক ও অর্ধ-মাইলের [[Middle-distance running|মাঝারীপাল্লার দৌঁড়ে]] বিদ্যালয়ের রেকর্ড ভঙ্গ করেন। ১৮৮৬ থেকে ১৮৮৯ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের [[first eleven|প্রথম একাদশে]] খেলেন। তন্মধ্যে, শেষ দুই বছর বিদ্যালয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৮৯ সালে [[সি. বি. ফ্রাই|সি. বি. ফ্রাইয়ের]] পর বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সেরা ক্রীড়াবিদের সম্মাননা লাভ করেন।<ref name="repton">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/stream/reptonschoolregi00messuoft/reptonschoolregi00messuoft_djvu.txt |শিরোনাম=Repton School register : supplement to 1910 edition |শেষাংশ=Messiter |প্রথমাংশ=Minna |প্রকাশক=Edson (Printers) Limited |অবস্থান=London |বছর=1922 |পাতা=112 |সংগ্রহের-তারিখ=19 November 2012}}</ref> রেপটনের সর্বশেষ বছরে ২৯-এর অধিক গড়ে রান তুলেন ও ১৩-এর কম গড়ে ৫৬ উইকেট লাভ করেছিলেন।<ref name="coty">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/154805.html |শিরোনাম=Batsman of the Year – 1893: Lionel Palairet |প্রকাশক=ESPNcricinfo |সংগ্রহের-তারিখ=19 November 2012}}</ref>
লিওনেল প্যালেরিটের শুরুর দিকের বেশ কিছু সফলতার জন্য পিতার সহযোগিতা বেশ গুরুত্ব পায়। তিনি পরবর্তীকালে [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটারদ্বয়]] - [[Frederick Martin (cricketer)|ফ্রেডরিক মার্টিন]] ও [[William Attewell|উইলিয়াম অ্যাটওয়েলের]] ন্যায় পেশাদার খেলোয়াড়দেরকে দুই পুত্রের উত্তরণে ইস্টার হলিডেতে বোলিং করতে অর্থ ব্যয় করেন। এছাড়াও, পরবর্তী ক্রিকেট মৌসুমে
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
৮৬ নং লাইন:
১৮৯২ সালে প্যালেরিটকে অক্সফোর্ড দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়। [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেনের]] ভাষ্য মতে, মৌসুমটি সর্বাধিক সফলতম ছিল। প্যালেরিট নিজেকে [[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলার]] হিসেবে তুলে ধরার প্রয়াস চালান। কেবলমাত্র [[George Berkeley (cricketer)|জর্জ বার্কলি]] তার তুলনায় অধিক বল করেছিলেন।<ref name="Bolton1892">Bolton (1962), pp. 140–144.</ref> সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। তন্মধ্যে, জেন্টলম্যানের বিপক্ষে অক্সফোর্ডের প্রথম ইনিংসে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3795.html |শিরোনাম=Oxford University v Gentlemen of England: University Match 1892 |প্রকাশক=CricketArchive |সংগ্রহের-তারিখ=19 November 2012}}</ref> এরপর ল্যাঙ্কাশায়ারের উভয় ইনিংসে চারটি করে উইকেট তুলে নেন ও খেলায় তিনি অর্ধ-শতকেরও সন্ধান পান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3802.html |শিরোনাম=Oxford University v Lancashire: University Match 1892 |প্রকাশক=CricketArchive |সংগ্রহের-তারিখ=19 November 2012}}</ref> ফিরতি খেলায় ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে নিজস্ব ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৬/৮৪ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3824.html |শিরোনাম=Lancashire v Oxford University: University Match 1892 |প্রকাশক=CricketArchive |সংগ্রহের-তারিখ=19 November 2012}}</ref> পরের খেলায় সাসেক্সের বিপক্ষে দুইটি মনোজ্ঞ ইনিংস খেলেন ও বোলিং করেন যা বোল্টনের ভাষ্য মতে খেলায় বেশ প্রভাববিস্তার করে।<ref name="Bolton1892"/> বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় কেমব্রিজের মুখোমুখি হন। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে বিদায় নেন। তবে, [[Malcolm Jardine|ম্যালকম জারদিন]] ও [[Vernon Hill|ভার্নন হিলের]] সেঞ্চুরির বদৌলতে অক্সফোর্ড ৩৬৫ রান তুলে। কেমব্রিজ দল ১৬০ রানে অল-আউট হলে [[ফলো-অন|ফলো-অনের]] কবলে পড়ে। ৩৮৮ রানে গুটিয়ে গেলে অক্সফোর্ডের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৮৪। [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|ফিল্ডিং]] চলাকালে প্যালেরিট আহত হন। ব্যাটিং উদ্বোধনের জন্য [[Frank Phillips (cricketer)|ফ্রাঙ্ক ফিলিপসকে]] তার স্থলে দাঁড় করান। শুরুটা অক্সফোর্ড ভালো করতে পারেনি। ১৭/২ থাকা অবস্থায় ছিল। প্যালেরিট পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। প্রায় দেড়ঘন্টা ক্রিজ আঁকড়ে থেকে ৭১ রান তুলেন ও দলের বিজয়ে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন। ১৮৯২ সালে অক্সফোর্ডের পক্ষে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থানে আরোহণ করেন। ৩৬.৩৫ গড়ে ৫০৯ রান তুলেন ও ২২.২৮ গড়ে ২৮ উইকেট পান।<ref name="Bolton1892"/>
বিশ্ববিদ্যালয় খেলায় অসামান্য ভূমিকার কারণে মর্যাদাসম্পন্ন জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের খেলায় তাকে মনোনীত করা হয়। লর্ডস ও ওভালের ঐ খেলাগুলোয় তিনি জেন্টলম্যানের পক্ষাবলম্বন করেন। সমারসেটে ফিরে জুলাইয়ে শুরুতে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষ সেঞ্চুরি হাঁকান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3842.html |শিরোনাম=Gloucestershire v Somerset: County Championship 1892 |প্রকাশক=CricketArchive |সংগ্রহের-তারিখ=20 November 2012}}</ref> আগস্টের শেষদিকে [[ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|ইয়র্কশায়ারের]] বিপক্ষে ১৩২ রান তুলেন। এ সময় হিউইটের সাথে ৩৪৬ রানে জুটি গড়েন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3881.html |শিরোনাম=Somerset v Yorkshire: County Championship 1892 |প্রকাশক=CricketArchive |সংগ্রহের-তারিখ=20 November 2012}}</ref> এ পর্যায়ে ১৮৬৯ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম উইকেট জুটিতে [[ডব্লিউ. জি. গ্রেস]] ও [[ব্রান্সবি কুপার|ব্রান্সবি কুপারের]] ২৮৩ রানে জুটির সংগ্রহকে ম্লান করে দেন তারা।<ref>Roebuck (1991), p. 62.</ref> যদিও
১৮৯৩ সালে উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক তাকে বর্ষসেরা পাঁচজন খেলোয়াড়ের একজনরূপে স্বীকৃতি দেয়। এ প্রসঙ্গে উইজডেন মন্তব্য করে যে, তেমন কোন সন্দেহে নেই যে ক্রিকেট বিশ্ব এরচেয়ে অধিক স্বীকৃতি দিতে কালবিলম্ব করবে।<ref name="coty"/>
|