১৮৪১ খ্রিস্টাব্দেরখ্রিষ্টাব্দের ২ আগস্ট [[নদিয়া জেলা|নদিয়া জেলার]] দহকুল গ্রামে বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি [[অদ্বৈতাচার্য|অদ্বৈতাচার্যের]] বংশধর ছিলেন। বিজয়কৃষ্ণ [[শান্তিপুর|শান্তিপুরে]] গোবিন্দ গোস্বামীর টোলে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন। তিনি [[কলকাতা]]<nowiki/>য় [[সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়|সংস্কৃত কলেজে]] পড়াশোনা করেন। তারপর কিছুদিন তিনি [[মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, কলকাতা|কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে]] অধ্যয়ন করেছিলেন।
== ব্রাহ্মসমাজে যোগদান ==
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] উৎসাহে [[ব্রাহ্মসমাজ|ব্রাহ্মসমাজে]] যোগদান করেন। [[ব্রাহ্মধর্ম]] প্রচারের কাজে তিনি ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন। ব্রহ্মানন্দ [[কেশবচন্দ্র সেন|কেশবচন্দ্র সেনের]] সঙ্গেও তিনি কাজ করেন। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে তিনি [[ব্রাহ্মসমাজ|ব্রহ্মসমাজের]] আচার্য হন। তার উদ্যোগে [[শান্তিপুর]], ময়মনসিংহ, [[গয়া]] প্রভৃতি অঞ্চলে ব্রাহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়।<ref name=":1">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ইতিহাস সহায়িকা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|প্রকাশক=দি ক্যালকাটা পাবলিশার্স|বছর= জানুয়ারি ২০১৬|আইএসবিএন=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=৯০}}</ref>
== নব্যবৈষ্ণব আন্দোলন ==
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী [[গয়া|গয়াতে]] সাধুদের সংস্পর্শে এসে বৈষনবধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। ফলে তার সঙ্গে ব্রাহ্মসমাজের মতবিরোধ হয় এবং তিনি ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে [[ব্রাহ্মধর্ম]] ত্যাগ করে বৈষ্ণব সাধনায় মগ্ন হন। তিনি যে [[বৈষ্ণবধর্ম]] প্রচার করেন তা '''''নব্যবৈষ্ণবধর্ম''''' নামে পরিচিত। তিনি ছিলেন নব্যবৈষ্ণব আন্দোলনের প্রধান ব্যক্তিত্ব। নারীর উন্নতি ও স্ত্রীশিক্ষার পক্ষপাতী আধুনিক মানুষ ছিলেন তিনি<ref name=":0" /><ref name=":1" />
