হুমায়ূন আহমেদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সর্বশেষ সম্পাদিত ২টি পরিবর্তন প্রত্যাখ্যান ও InternetArchiveBot-এর করা 3691909 নং সংশোধন পুনরুদ্ধার
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪৮ নং লাইন:
[[ঢাকা কলেজ]] থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]]ে [[রসায়ন]] এবং [[নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়|নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে]] পলিমার রসায়ন শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[রসায়ন]] বিভাগের [[অধ্যাপক]] হিসাবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে লেখালেখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে অধ্যাপনা ছেড়ে দেন।
 
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাকে আটক করে এবং নির্যাতনের পর হত্যার জন্য গুলি চালায়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।<ref name="bonikbarta.com">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://bonikbarta.com/magazine-post/167/%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%82%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6--/ |শিরোনাম=‘হুমায়ূন আহমেদ’ : ফয়জুল লতিফ চৌধুরী |প্রকাশক=বণিকবার্তা }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রথম উপন্যাস ''[[নন্দিত নরকে]]'', ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়। সত্তর দশকের এই সময় থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তার গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। তার সৃষ্ট [[হিমু (চরিত্র)|হিমু]] এবং [[মিসির আলি]] ও [[শুভ্র]] চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। বিজ্ঞান কল্পকাহিনীও তার সৃষ্টিকর্মের অন্তর্গত, তার রচিত প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ''তোমাদের জন্য ভালোবাসা''। তার টেলিভিশন নাটকসমূহ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। সংখ্যায় বেশি না হলেও তার রচিত গানগুলোও জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার রচিত অন্যতম উপন্যাসসমূহ হলো ''[[মধ্যাহ্ন]]'', ''[[জোছনা ও জননীর গল্প]]'', ''মাতাল হাওয়া'', ''লীলাবতী'', ''[[কবি (হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস)|কবি]]'', ''[[বাদশাহ নামদার]]'' ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্যের উপন্যাস শাখায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে [[বাংলা একাডেমি]] প্রদত্ত [[বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার]] লাভ করেন। এছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে [[বাংলাদেশ সরকার]] তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা [[একুশে পদক|একুশে পদকে]] ভূষিত করে।
 
তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো সর্ব সাধারণ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। ১৯৯৪-এ তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক]] ''[[আগুনের পরশমণি (চলচ্চিত্র)|আগুনের পরশমণি]]'' মুক্তি লাভ করে। চলচ্চিত্রটি [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র|শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] সহ আটটি পুরস্কার লাভ করে। তার নির্মিত অন্যান্য সমাদৃত চলচ্চিত্রগুলো হলো ''[[শ্রাবণ মেঘের দিন]]'' (১৯৯৯), ''[[দুই দুয়ারী]]'' (২০০০), ''[[শ্যামল ছায়া (চলচ্চিত্র)|শ্যামল ছায়া]]'' (২০০৪), ও ''[[ঘেটু পুত্র কমলা]]'' (২০১২)। ''শ্যামল ছায়া'' ও ''ঘেটু পুত্র কমলা'' চলচ্চিত্র দুটি বাংলাদেশ থেকে বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে [[একাডেমি পুরস্কার|অস্কারের]] জন্য দাখিল করা হয়েছিল। এছাড়া ''ঘেটু পুত্র কমলা'' চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য তিনি [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক|শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] লাভ করেন।
৫৫ নং লাইন:
=== প্রারম্ভিক জীবন ===
==== জন্ম ও শৈশব ====
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দেরখ্রিষ্টাব্দের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানের]] [[ময়মনসিংহ]] জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার [[মোহনগঞ্জ|মোহনগঞ্জে]] তার মাতামহের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/humayun-ahmeds-mother-passes-away-43577|শিরোনাম=Humayun Ahmed's mother passes away|তারিখ=২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪|সংগ্রহের-তারিখ=১২ মার্চ ২০১৮|সংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]]|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> তার পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ]] চলাকালে তৎকালীন [[পিরোজপুর জেলা|পিরোজপুর]] মহকুমার উপ-বিভাগীয় পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/news-detail-211132|শিরোনাম=Hindus attacked, raped|তারিখ=২২ নভেম্বর ২০১১|সংগ্রহের-তারিখ=১২ মার্চ ২০১৮|সংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]]|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> তার বাবা সাহিত্যানুরাগী মানুষ ছিলেন। তিনি পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। [[বগুড়া]] থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন, গ্রন্থের নাম ''দ্বীপ নেভা যার ঘরে''। তার মা'র লেখালেখির অভ্যাস না থাকলেও শেষ জীবনে একটি আত্মজীবনী গ্রন্থ রচনা করেছেন যার নাম ''জীবন যে রকম''।<ref>''জীবন যে রকম'', আয়েশা ফয়েজ, সময় প্রকাশনী, ২০০৮।</ref> পরিবারে সাহিত্যমনস্ক আবহাওয়া ছিল। তার অনুজ [[মুহম্মদ জাফর ইকবাল]] দেশের একজন শিক্ষাবিদ এবং কথাসাহিত্যিক; সর্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা [[আহসান হাবীব (লেখক)|আহসান হাবীব]] রম্য সাহিত্যিক এবং কার্টুনিস্ট।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ntvbd.com/bangladesh/15064/নুহাশপল্লীতে-হুমায়ূন-আহমেদকে-শ্রদ্ধা/print |শিরোনাম=নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদকে শ্রদ্ধা |প্রকাশক=এনটিভি অনলাইন |লেখক=নাসির আহমেদ |তারিখ=১৯ জুলাই ২০১৫ |সংগ্রহের-তারিখ=১ মে ২০১৬}}</ref> তার তিন বোন হলেন সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহিদ, ও রোকসানা আহমেদ।<ref name="palo-283390">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-08-24/news/283390 |শিরোনাম=হুমায়ূনের কবরে স্বজনেরা |সংবাদপত্র=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |তারিখ=২৪ আগস্ট ২০১২}}</ref>
 
তার রচিত আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা থেকে জানা যায় যে ছোটকালে হুমায়ূন আহমেদের নাম রাখা হয়েছিল শামসুর রহমান; ডাকনাম কাজল। তার পিতা (ফয়জুর রহমান) নিজের নামের সাথে মিল রেখে ছেলের নাম রাখেন শামসুর রহমান। পরবর্তীতে আবার তিনি নিজেই ছেলের নাম পরিবর্তন করে ‌''হুমায়ূন আহমেদ'' রাখেন। হুমায়ূন আহমেদের ভাষায়, তার পিতা ছেলে-মেয়েদের নাম পরিবর্তন করতে পছন্দ করতেন। তার ছোট ভাই [[মুহম্মদ জাফর ইকবাল|মুহম্মদ জাফর ইকবালের]] নাম আগে ছিল ''বাবুল'' এবং ছোটবোন সুফিয়ার নাম ছিল ''শেফালি''। ১৯৬২-৬৪ সালে [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামে]] থাকাকালে হুমায়ুন আহমেদের নাম ছিল বাচ্চু।