হেনরি কিসিঞ্জার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
৩টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩০ নং লাইন:
}}
 
'''হেনরি কিসিঞ্জার''' ({{IPAc-en|icon|ˈ|k|ɪ|s|ɪ|n|dʒ|ər}}; ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজিতেঃ]] Henry Kissinger); (জন্মঃ [[২৭ মে]], [[১৯২৩]]) জার্মান-বংশোদ্ভূত আমেরিকান শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক বিজ্ঞানী, কূটনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.merriam-webster.com/dictionary/Kissinger |শিরোনাম=Kissinger - Definition from the Merriam-Webster Online Dictionary |প্রকাশক=Merriam-Webster|সংগ্রহের-তারিখ=2009-10-23}}</ref> তাঁরতার পুরো নাম ''হেঞ্জ আলফ্রেড হেনরি কিসিঞ্জার''। [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের]] জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর [[প্রেসিডেন্ট]] [[রিচার্ড নিক্সন]] এবং প্রেসিডেন্ট [[জেরাল্ড ফোর্ড]] সরকারদ্বয়ের [[প্রতিরক্ষা মন্ত্রী]] হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মেয়াদ শেষ হলেও অদ্যাবধি অনেক প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে তার [[মতবাদ]] সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করতে দেখা যায়।
 
== বৈদেশিক নীতি ==
[[হোয়াইট হাউস|হোয়াইট হাউসে]] অবস্থানকালীন রিচার্ড নিক্সন, হেনরি কিসিঞ্জারের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে [[রিয়েলপলিটিক|রিয়েলপলিটিকের]] মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Byrnes|প্রথমাংশ=Sholto|শিরোনাম=Time to rethink realpolitik|ইউআরএল=http://www.newstatesman.com/north-america/2009/02/obama-kissinger-world-russia|প্রকাশক=New Statesman|সংগ্রহের-তারিখ=25 June 2011}}</ref> ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে কিসিঞ্জার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের [[বৈদেশিক নীতি|বৈদেশিক নীতিতে]] অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ সময় তিনি [[ডিটেন্টে]] নীতির মাধ্যমে [[সোভিয়েত ইউনিয়ন]], [[গণপ্রজাতন্ত্রী চীন|গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের]] সাথে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমেরিকার সম্পর্ক বজায় রাখেন। [[প্যারিস শান্তি সম্মেলন|প্যারিস শান্তি সম্মেলনেরও]] প্রধান আলোচক ছিলেন তিনি। [[ভিয়েতনাম যুদ্ধ|ভিয়েতনাম যুদ্ধে]] আমেরিকার সম্পৃক্ততারও ইতি ঘটান হেনরি কিসিঞ্জার। অনেক ধরনের আমেরিকান নীতি এ সময়ে সৃষ্ট হয়। তন্মধ্যে [[কম্বোডিয়ায় বোমাবর্ষণ|কম্বোডিয়ায় বোমাবর্ষণের]] ঘটনায় তাঁরতার সম্পৃক্ততা এখনো [[বিতর্ক|বিতর্কের]] পরিবেশ সৃষ্টি করে। কিসিঞ্জার এখনো বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে বহাল তবিয়তে অবস্থান করছেন।<ref>A press release issued by the 45th [[Munich Conference on Security Policy]] on February 8, 2009 declared "[H]is voice continues to bear weight and authority throughout the globe." see [http://www.securityconference.de/konferenzen/2009/ewald_von_kleist_preis.php?sprache=en&] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20090629043800/http://www.securityconference.de/konferenzen/2009/ewald_von_kleist_preis.php?sprache=en& |তারিখ=২৯ জুন ২০০৯ }} Munich Security Conference - February 6, 2009 Press Release</ref>
 
১৯৭৩ সালে [[আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ|আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের]] প্রেক্ষাপটে কিসিঞ্জার মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা হিসেবে ইসরায়েলকে [[সিনাই উপত্যকা]] থেকে সেনা প্রত্যাহারে বাধ্য করান। এরফলে তাঁরতার রাজনৈতিক দূরদর্শীতার পরিচয় পাওয়া যায় যা [[তৈল সঙ্কট]] উপশমে সহায়তা করেছিল।
 
== বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭১ ==
৪১ নং লাইন:
 
সাম্প্রতিক বছরে কিসিঞ্জার নিক্সনের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতার কথকতা ফাঁসের প্রেক্ষাপটে পুণরায় সংবাদ মাধ্যমে আলোচিত হন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে তদানীন্তন [[ভারতের প্রধানমন্ত্রী|ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী]] [[ইন্দিরা গান্ধী|শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী]] সম্বন্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। এছাড়াও তিনি যুদ্ধের অব্যবহিত পরেই ভারতীয়দের সম্পর্কেও শিষ্টাচার বহির্ভূত শব্দ প্রয়োগ করেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি
|coauthors=Keefer, Edward C.; Smith, Louis J. |শিরোনাম=150. Conversation Among President Nixon, the President’s Assistant for National Security Affairs (Kissinger), and the President’s Chief of Staff (Haldeman), Washington, November 5, 1971, 8:15–9:00 a.m. |সাময়িকী=Foreign Relations, 1969–1976 |খণ্ড=E-7 |সংখ্যা নং=19 |বছর=2005 |প্রকাশক=U.S. Department of State |ইউআরএল=http://www.state.gov/r/pa/ho/frus/nixon/e7/48529.htm |সংগ্রহের-তারিখ=December 30, 2006}}</ref> অবশ্য, পরবর্তীকালে কিসিঞ্জার তাঁরতার এ ধরনের বিরূপ মন্তব্য ও শিষ্টাচার বহির্ভূত শব্দ ব্যবহারের জন্য [[ক্ষমা]] প্রার্থনা করেন।<ref name="apology">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/4640773.stm |শিরোনাম=Kissinger regrets India comments |তারিখ=July 1, 2005 |সংগ্রহের-তারিখ=2006-12-15 |প্রকাশক=BBC}}</ref>
 
ক্ষমা প্রার্থনা পর ২০০৭ সালের [[অক্টোবর|অক্টোবরের]] প্রথমদিকে ভারতের প্রধান বিরোধী দলনেতা [[লাল কৃষ্ণ আদভানী|লাল কৃষ্ণ আদভানী'র]] সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি ভারত-মার্কিন পারমাণবিক চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আদভানী'র [[ভারতীয় জনতা পার্টি|ভারতীয় জনতা পার্টির]] প্রতি তাঁরতার সমর্থন ব্যক্ত করেন।
 
[[এপ্রিল]], ২০০৮ সালে কিসিঞ্জার বলেন যে, ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে সমান্তরালভাবে চলছে। এরফলে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম [[মিত্রদেশ]] হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।<ref name=hoover>[http://www.hoover.org/multimedia/uk/17980579.html Kissinger on War & More] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120125115002/http://www.hoover.org/multimedia/uncommon-knowledge/26765 |তারিখ=২৫ জানুয়ারি ২০১২ }}. ''[[Uncommon Knowledge]]''. Filmed on April 3, 2008. Retrieved August 10, 2009.</ref>
 
== দ্য ট্রায়াল অব হেনরি কিসিঞ্জার ==
[[ক্রিস্টোফার হিচেন্স]] নামীয় একজন ব্রিটিশ-আমেরিকান [[সাংবাদিক]] ও [[লেখক]] কিসিঞ্জারের [[রাজনীতি|রাজনৈতিক]] ভূমিকা নিয়ে প্রধান সমালোচনাকারী হিসেবে পরিচিতি পান। ২০০১ সালে রচিত [[দ্য ট্রায়াল অব হেনরি কিসিঞ্জার]] শিরোনামের বইয়ে কিসিঞ্জারকে একজন [[যুদ্ধাপরাধী|যুদ্ধাপরাধীরূপে]] আখ্যায়িত করেন। বইটিতে [[ইন্দোচীন]], [[বাংলাদেশ]], [[চিলি]], [[সাইপ্রাস]] এবং [[পূর্ব তিমুর|পূর্ব তিমুরের]] মুক্তিকামী জনতা, [[বিপ্লবী|বিপ্লবীদেরকে]] [[হত্যা]] করতে উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধকরণ, [[অপহরণ]] এবং [[নির্যাতন|নির্যাতনের]] মতো বিষয়গুলো তাঁরতার বিরুদ্ধে উপস্থাপন করা হয়।<ref>[http://www.slate.com/id/2074678/ The latest Kissinger outrage. - Slate Magazine]. Slate.com. Retrieved on 2011-11-25.</ref><ref>[http://www.thirdworldtraveler.com/Kissinger/CaseAgainst1_Hitchens.html The Case Against Henry Kissinger Part One by Christopher Hitchens]. Thirdworldtraveler.com. Retrieved on 2011-11-25.</ref><ref>[http://www.newstatesman.com/200105140041 Show us the papers, Hitchens. Henry Kissinger has finally met his match in Christopher Hitchens. But do they deserve each other? Frances Stonor Saunders goes into battle with two mighty egos]. New Statesman. Retrieved on 2011-11-25.</ref><ref>[http://fullcomment.nationalpost.com/2010/12/14/christopher-hitchens-latest-nixon-tape-buries-kissingers-reputation/ Christopher Hitchens: Latest Nixon tape buries Kissinger’s reputation | Full Comment | National Post]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}. Fullcomment.nationalpost.com. Retrieved on 2011-11-25.</ref> উক্ত [[বই|বইটিকে]] উপজীব্য করে একই [[শিরোনাম|শিরোনামে]] ২০০২ সালে একটি [[প্রামাণ্যচিত্র]] নির্মাণ করা হয়।
 
== চলচ্চিত্রায়ণ ==
৫৮ নং লাইন:
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==
হেনরি কিসিঞ্জার প্রথম [[বিয়ে]] করেন অ্যান ফ্লেশার নামীয় এক [[মহিলা|মহিলাকে]]। এ সংসারে দুই সন্তান - ''এলিজাবেথ'' এবং ''ডেভিড'' রয়েছে। ১৯৬৪ সালে তাদের মধ্যেকার [[বিবাহ-বিচ্ছেদ]] ঘটে। দশ বছর পর [[ন্যান্সী কিসিঞ্জার|ন্যান্সী ম্যাগিনেস-কে]] বিবাহ করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |কর্ম=Time Magazine |ইউআরএল=http://www.time.com/time/magazine/article/0,9171,908532,00.html |শিরোনাম=Somebody to Come Home To |তারিখ=April 8, 1974}}</ref> তাঁরাতারা এখন কানেক্টিকাটের কেন্টে এবং নিউইয়র্ক সিটিতে বসবাস করছেন।
 
ডেভিড [[কোনান ও'ব্রায়ান|কোনান ও'ব্রায়ানের]] নিয়ন্ত্রাধীন [[কোনাকো]] টেলিভিশন প্রোডাকশনের প্রধান ছিলেন। এরপর [[এনবিসি ইউনিভার্সেল|এনবিসি ইউনিভার্সেলে]] নির্বাহী হিসেবে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন।<ref name="pr-nuts">{{cite press release | url = http://www.thefutoncritic.com/news.aspx?id=20050525nuts02 | title = NBC Universal Television Studio Co-President David Kissinger Joins Conaco Productions as New President | date = 2005-05-25 | publisher = [[NBC Universal Television Studio]] }}</ref> [[ডিপ্লোমেসি]] গেমসকে কিসিঞ্জারের সবচেয়ে প্রিয় [[খেলা]] হিসেবে একটি খেলাধূলা [[সাময়িকী|সাময়িকীর]] সাথে সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছেন।<ref name="G&P">''Games & Puzzles'' magazine, May 1973.</ref>
৬৫ নং লাইন:
 
== নোবেল পুরস্কার ==
১৯৭৩ সালে হেনরি কিসিঞ্জার ও [[লে ডাক থো]] যৌথভাবে [[নোবেল শান্তি পুরস্কার|নোবেল শান্তি পুরস্কারে]] ভূষিত হন। জানুয়ারি, ১৯৭৩ সালে [[ভিয়েতনাম যুদ্ধ|উত্তর ভিয়েতনাম]] ও [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের]] মধ্যেকার [[যুদ্ধ বিরতি]] এবং সেখান থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের প্রেক্ষাপটে তাঁকেতাকে এ [[পুরস্কার]] প্রদান করা হয়। কিন্তু লে ডাক থো পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান কেননা তখনো [[যুদ্ধ]] চলছিল।<ref>[http://www.timesonline.co.uk/tol/news/world/article6868007.ece de Sousa, Ana Naomi (9 October 2009). "Top ten Nobel Prize rows". The Times (London: Times Newspapers Limited). Retrieved 25 May 2010.]</ref> কিন্তু তাদেরকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের ফলে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়। এরফলে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির দুইজন সদস্য পদত্যাগ করেন। কিন্তু যখন এ পুরস্কারের বিষয়টি ঘোষিত হয়, তখনও উভয় পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত ছিল।<ref>Abrams, Irwin (2001). p. 219.</ref> অনেক [[সমালোচক|সমালোচকদের]] অভিমত, কিসিঞ্জার [[শান্তি]] প্রণেতা ছিলেন না; বরঞ্চ [[যুদ্ধ|যুদ্ধের]] ব্যাপক প্রসারে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রেখেছিলেন।<ref>Abrams, Irwin (2001). p. 315.</ref>
 
== সম্মাননা ==