এ. জে. এয়ার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪৫ নং লাইন:
===অধিবিদ্যা অসার===
এ. জে. এয়ার অন্যান্য যৌক্তিক ইতিবাদীর মতো [[অধিবিদ্যা]] বা তত্ত্ববিদ্যার আলোচনাকে অসার বলেছেন। তিনি বলেন, যৌক্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, অধিবিদ্যার [[অতীন্দ্রিয় সত্তা]] সম্পর্কিত শব্দগুলো [[সত্য]]ও নয়, [[মিথ্যা]]ও নয়, বরং অর্থহীন। তিনি উল্লেখ করেন, অভিজ্ঞতামূলক হেতুবাক্য থেকে অভিজ্ঞতা-বহির্ভূত কোনোকিছু বৈধভাবে নিঃসৃত হতে পারে না। অতীন্দ্রিয় সত্তার বর্ণনা দিতে গিয়ে অধিবিদ্যকগণ কেবল কথার তুবড়ি উড়ান। অতীন্দ্রিয় অধিবিদ্যার কথা কান্ত (Immanuel Kant)ও বলেছেন। তবে কান্তের সাথে এয়ারের পার্থক্য এই যে, কান্ত [[জ্ঞানতাত্ত্বিক]] দৃষ্টিভঙি থেকে আর এয়ার ভাষার যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে অধিবিদ্যার অসারতা প্রমাণের প্রচেষ্টা চালান।
এয়ার অধিবিদ্যার কঠোর সমালোচনা করেছেন। তার মতে, অধিবিদ্যকগণ এমন ধরণেরধরনের বাক্য ব্যবহার করেন, যা অর্থপূর্ণ বাক্যের শর্তাবলিকে লঙ্ঘন করে। অর্থপূর্ণ বাক্যের মানদণ্ড সম্পর্কে তার বক্তব্য: এর প্রতিটি শব্দের স্বতঃসত্যতা ও তথ্যগততা থাকতে হবে। তত্ত্ববিদ্যক বাক্য [[গণিত]], [[যুক্তিবিদ্যা]] বা প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো নয়, তাই এগুলো সত্যও নয়, মিথ্যাও নয়, বরং অর্থহীন। এগুলোকে কোনোভাবেই যাচাই করা যায় না। ফলে, অধিবিদ্যা বর্জনীয়।
===যাচাইকরণ নীতি===
এয়ার মনে করেন, কোনো বাক্যের অর্থ সেই বাক্যের যাচাইকরণ নীতির উপর নির্ভরশীল। তিনি ''ব্যবহারিক'' যাচাইকরণ ও ''নীতিগত'' যাচাইকরণের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করেন। ব্যবহারিক যাচাইকরণ নীতি হলো কোনো বাক্যকে সরাসরি যাচাই করা। কিন্তু এমন অনেক তাৎপর্যপূর্ণ বাক্য রয়েছে, যাদের সরাসরি যাচাই করা যায় না। সেগুলোকে নীতিগতভাবে যাচাই করতে হয়। যেমন: ‘চাঁদে সাপ আছে’- এ-বাক্যকে ব্যবহারিক বা সরাসরিভাবে যাচাই করা যায় না, নীতিগতভাবে যাচাই করতে পারি। কারণ চাঁদে গিয়ে এ-বাক্যের সত্য-মিথ্যা যাচাই করা যাবে। ফলে এ-বাক্যের ব্যবহারিক যাচাইযোগ্যতা না থাকলেও নীতিগত যাচাইযোগ্যতা রয়েছে এবং এ-কারণেই এটি অর্থপূর্ণ। কিন্তু অধিবিদ্যক বাক্য, যেমন, ‘পরমসত্তা অস্তিত্বশীল’-এধরণেরএধরনের বাক্য নীতিগত দিক থেকেও যাচাই করা যায় না। কীভাবে এগুলো যাচাই করা সম্ভবপর হবে, আমরা তাও জানি না। ফলে, অধিবিদ্যক বাক্যগুলো অর্থহীন।
এয়ার ''সবল'' ও ''দুর্বল'' অর্থেও যাচাইকরণ নীতির পার্থক্য নির্দেশ করেন। যে যাচাইয়ের সাহায্যে কোনো বাক্যকে নিশ্চিতরূপে প্রতিপাদন করা যায়, এয়ার তাকে সবল যাচাইকরণ নীতি বলেছেন। এই নীতি অত্যন্ত কঠোর, কারণ এটি মেনে নিলে অণেক সার্বিক বাক্যকে অর্থপূর্ণ বলে গ্রহণ করা যায় না। যেমন: ‘সকল মানুষ মরণশীল’- এ-জাতীয় সার্বিক বচন সবল অর্থে যাচাইযোগ্য নয়। এ-অসুবিধে দূর করার জন্য এয়ার দুর্বল যাচাইকরণ নীতির আশ্রয় নেন। যে যাচাইকরণ নীতির মাধ্যমে কোনো বাক্যের অর্থ নিশ্চিতরূপে যাচাই করা না গেলেও সম্ভাব্যভাবে তার অর্থ প্রতিপাদন করা যায় তাকে তিনি দুর্বল যাচাইকরণ নীতি বলেছেন। তার দুর্বল যাচাইকরণ নীতি অনুসারে তথ্যসম্পর্কিত বাক্য ব্যতিরেকেও সাধারণ বাক্য এবং অতীত বা ঐতিহাসিক ঘটনাবলি সম্পর্কিত বাক্যের অর্থ ও তাৎপর্য নির্ধারণ করা যায়।
===দর্শনের কাজ===