গুয়াদালকিবির: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৯৪ নং লাইন:
গুয়াদালকিবির উপত্যকায় সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয় শীতকালে। নদীর উচ্চগতিতে হওয়া এই বৃষ্টিপাতের জল বিভিন্ন উপনদীগুলির মাধ্যমে গুয়াদালকিবির নদীকে পুষ্ট করে। এছাড়া বসন্তকালে সিয়েরা মোরেনার বরফ গলার হার বৃদ্ধি পেলে সেই জলও গুয়াদালকিবির নদীর মাধ্যমেই প্রবাহিত হয়। এই দুইরকম জলে পুষ্ট হলেও নদীতে জলের জোগান সর্বদা সমান থাকে না। নদীর উচ্চগতিতে জলের এই অনিয়মিত জোগানের পরিমাণ ৫.১ ও নিম্নগতিতে মোহনার কাছে ৩.৪০।
 
গুয়াদালকিবির নদীর বন্যা এক নিয়মিত ব্যাপার। বিশেষ করে [[সেভিয়া প্রদেশ|সেভিয়া প্রদেশের]] নীচু সমভূমিতে এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। তবে নদীর জলে বন্যার এই সমস্যা বর্তমানে আন্দালুসিয়ার রাজধানী অঞ্চলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু [[কর্দোবা]], [[আন্দুখার]], [[মনতোরো]], [[লোরা দেল রিও]] ও নদী উপত্যকার অন্যান্য শহর ও অঞ্চলে এই সমস্যা এখনও যথেষ্ট প্রকট। ১৯৯৬'এর ডিসেম্বর, ১৯৯৭'এর ডিসেম্বর, এবং ২০১০'এর ফেব্রুয়ারি ও ডিসেম্বরের বন্যা এই সমস্যারই সাক্ষী। বিংশ শতাব্দীর ভয়াবহতম বন্যা হয় এই অঞ্চলে ১৯৬৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে; কর্দোবায় তখন জলপ্রবাহের হার দাঁড়ায় ৫৪০০ কিউবিক মিটার/ সেকেন্ড ও সেভিয়ায় ৬৭০০ কিউবিক মিটার/ সেকেন্ড। এরপর থেকে গুয়াদালকিবির উপত্যকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে নতুন নীতি প্রনয়ণ করা হয় তার মূল লক্ষ্যই হল মূল নদী বা তার কোনও উপনদীতেই জলস্ফীতির এই হার যাতে আর কখনও ফিরে না আসে। সেই উদ্দেশ্যে মূল নদী ও তার বিভিন্ন উপনদীতে বাঁধ নির্মাণ করে অতিরিক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয় ও বড় বড় জলাধার নির্মিত হয়। এর ফলে জলস্ফীতির সমস্যা যে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে তার প্রমাণ - ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে বন্যার সময়েও সেভিয়ায় জলপ্রবাহের হার যথাক্রমে ৩৮১০ কিউবিক মিটার/ সেকেন্ড ও ৩২৩৪ কিউবিক মিটার/ সেকেন্ড'এর উপরে ওঠেনি। আরও সাম্প্রতিক কালে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন্যার সময় কর্দোবায় জলপ্রবাহের হার ছিল ২৪০০ কিউবিক মিটার/ সেকেন্ড ও সেভিয়ায় ৩১৭৪ কিউবিক মিটার/ সেকেন্ড; ঐ বছরেরই ডিসেম্বরে গুয়াদালকিবিরিরের অন্যতম বড় উপনদী খেনিলের অস্বাভাবিক জলস্ফীতির কারণে (১০০০ কিউবিক মিটার/ সেকেন্ড'এরও বেশি) সেভিয়ায় জলপ্রবাহের হার দাঁড়ায় ৩৫৮৪ কিউবিক মিটার/ সেকেন্ড।
 
==তথ্যসূত্র==