গুরু রাম দাশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''গুরু রাম দাস''' (<small></small><span class="IPA" title="Representation in the International Phonetic Alphabet (IPA)">[ɡʊru ɾɑm dɑs]</span>; ১৫৩৪-১৫৮১) ছিলেন [[শিখধর্ম|শিখধর্মের]] দশ [[শিখ গুরু|শিখ গুরুর]]  চতুর্থ গুরু। ৩০ আগস্ট ১৫৭৪ সালে তিনি শিখ গুরুর পদ পান। ২৪ সেপ্টেম্বর ১৫৩৪ সালে রাম দাস [[পাঞ্জাব অঞ্চল]], [[লাহোর|লাহোরের]] চুনা মান্ডিতে  জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরতার বাবা ছিলেন হরি দাস ও তাঁরতার মা অনুপ দেবী( দয়া কৌর)। গুরু অমর দাসের কনিষ্ঠ কন্যা বিবি বানি, ছিলেন তাঁরতার স্ত্রী। তাঁদেরতাদের তিন পুত্র ছিল : পৃথ্বী চাঁদ, মহাদেব ও [[গুরু অর্জন|গুরু]] অর্জন।

একজন গুরু হিসাবে, তাঁরতার অন্যতম প্রধান অবদান ছিল শিখ সমাজেের কাঠামো সংগঠিত করা। উপরন্তু, তিনি লাভার রচয়িতা ছিলেন যেটি হচ্ছে, [[শিখ]] [[বিবাহ|বিবাহের]] চারটি  মন্ত্র। তিনি রামদাসপুর নগরের পরিকল্পনাকারী এবং স্রষ্টা, যা পরে শিখদের পবিত্র শহর [[অমৃতসর]] হয়ে ওঠে। টাং গ্রামের মালিকের কাছ থেকে ৭০০ টাকায় জমি কিনে, তিনি ১৫৭৪ সালে নগরটির প্রতিষ্ঠা করেন। এর আগে ১৫৬৪ সালে গুরু রাম দাস, সুলতানবিন্দ গ্রামের কাছাকাছি, সন্তোকসর সরোবর নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন (এক উৎস অনুযায়ী,১৫৭০ সাল)। এই নির্মাণ কার্য, ১৫৮৮ সালের আগে শেষ করা সম্ভব হয়নি। ১৫৭৪ সালে, গুরু রাম দাস তাঁরতার বাসভবন নির্মাণ করে, সেখানে চলে যান।  সেই সময়ে, এটি '''গুরু দা চক''' হিসাবে পরিচিত ছিল (পরে, এটি '''চক রাম দাস''' হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠে)। [[অমৃতসর|অমৃতসরে]]  গুরুদুয়ারা [[হরমন্দির সাহিব]], যা '''<nowiki/>'ঈশ্বরের আবাস'''<nowiki/>' এছাড়াও''' দরবার সাহিব''' নামে পরিচিত, তাঁরইতারই পরিকল্পিত।

প্রচলিত শিখ বিয়ের অনুষ্ঠান, যেটি আনন্দ কারজ হিসাবে পরিচিত, সেটি গুরু রাম দাস  রচিত চার-স্তবকেের স্তবগান  কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে নব দম্পতি গুরু রাম দাসের স্তবকগুলির একটি করে লাবাস্তবক পড়েন এবং গুরু গ্রন্থ সাহিবকে কেন্দ্র করে একটি করে পাক ঘুরতে থাকেন। প্রথম পাকটি, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে, গৃহস্থ জীবনে প্রবেশ করার জন্য। দ্বিতীয় পাকে ঈশ্বরের ইচ্ছায় দুটি প্রাণের মিলন বর্নিত হয়। তৃতীয় পাকে, নবদম্পতিকে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান  হিসাবে বর্ণনা করা হয়, যেহেতু তাঁরাতারা গুরুর সান্নিধ্যে, ঈশ্বরের প্রার্থনা করেছেন। চতুর্থ পাকে, বর্নিত হয় যে  দম্পতিরা তাঁদেরতাদের ইচ্ছা অনুসারে একে অপরকে পেয়েছেন এবং অভিনন্দিত হয়েছেন।