গ্যালিলিও গ্যালিলেই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Sammay Sarkar (আলোচনা | অবদান)
→‎ছায়াপথ, বিষমতারা, নীহারিকা: মিল্কিওয়ে -> আকাশগঙ্গা; নক্ষত্রপুঞ্জ বাদ (গ্যালিলিও নতুন গ্যালাক্সি/তারামণ্ডলী কোনটাই আবিষ্কার করেননি)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৭ নং লাইন:
}}
 
'''গ্যালিলিও গ্যালিলি''' ({{IPA-it|ɡaliˈlɛːo ɡaliˈlɛi}}; [[জন্ম]]: [[১৫ ফেব্রুয়ারি]], [[১৫৬৪]] - [[মৃত্যু]]: [[৮ জানুয়ারি]], [[১৬৪২]])<ref>{{ws|"[[s:Catholic Encyclopedia (1913)/Galileo Galilei|Galileo Galilei]]" in the 1913 ''Catholic Encyclopedia''}} by John Gerard. Retrieved 11 August 2007</ref> একজন [[ইতালি|ইতালীয়]] [[পদার্থবিজ্ঞানী]], [[জ্যোতির্বিজ্ঞানী]], [[গণিতজ্ঞ]] এবং [[দার্শনিক]] যিনি [[বৈজ্ঞানিক বিপ্লব|বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের]] সাথে বেশ নিগূঢ়ভাবে সম্পৃক্ত। তাঁরতার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে রয়েছে [[দূরবীক্ষণ যন্ত্র|দূরবীক্ষণ যন্ত্রের]] উন্নতি সাধন যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে, বিভিন্ন ধরণেরধরনের অনেক জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ, নিউটনের গতির প্রথম এবং দ্বিতীয় সূত্র, এবং [[নিকোলাস কোপারনিকাস|কোপারনিকাসের]] মতবাদের পক্ষে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ। বিজ্ঞানী [[স্টিফেন হকিং|স্টিফেন হকিংয়ের]] মতে আধুনিক যুগে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের এতো বিশাল অগ্রগতির পেছনে গ্যালিলিওর চেয়ে বেশি অবদান আর কেউ রাখতে পারেনি। তাকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক,<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম = A Short History of Science to the Nineteenth Century|প্রথমাংশ = Charles|শেষাংশ = Singer|বছর = 1941|প্রকাশক = Clarendon Press|ইউআরএল = http://www.google.com/books?id=mPIgAAAAMAAJ&pgis=1|পাতা =217}}</ref> আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক<ref name="Einstein">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Weidhorn|প্রথমাংশ=Manfred|শিরোনাম=The Person of the Millennium: The Unique Impact of Galileo on World History|বছর=2005|প্রকাশক=iUniverse|আইএসবিএন=0-595-36877-8|পাতাসমূহ=155}}</ref> এবং এমনকি আধুনিক বিজ্ঞানের জনক<ref name=finocchiaro2007>[[#Reference-Finocchiaro-2007|Finocchiaro (2007)]].</ref> হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এরিস্টটলীয় ধারণার অবসানে গ্যালিলিওর [[আবিষ্কার|আবিষ্কারগুলোই]] সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।
 
== জীবনী ==
২৭ নং লাইন:
[[চিত্র:Galileo Galilei01.jpg|thumb|left|200px|ফ্লোরেন্সের উফিজির বাইরে অবস্থিত মূর্তি]]
 
[[১৬১২]] সালে গ্যালিলিও [[রোম|রোমে]] যেয়ে ''Accademia dei Lincei''-তে যোগ দেন। সেখানে তিনি মূলত [[সৌর কলঙ্ক]] পযর্বেক্ষন করতেন। ঐ সালেই [[কোপারনিকাস|কোপারনিকাসের]] মতবাদের বিরোধী মতবাদ প্রচারিত হয় এবং গ্যালিলিও তা সমর্থন করেন। [[১৬১৪]] সালে ''সান্তা মারিয়া নভেলার'' প্রচারবেদিতে দাড়িয়ে ফাদার [[টমাসো কাচ্চিনি]] (Tommaso Caccini, ১৫৭৪ - ১৬৪৮) ব্যাখ্যা সহকারে পৃথিবীর গতি সম্পর্কে গ্যালিলিওর মতবাদ বর্ণনা করেন। এরপর সেই মতবাদের ভিত্তিতে তার বিচার করেন এবং ঘোষণা করেন যে, এগুলো ভয়ঙ্কর এবং ধর্মদ্রোহীতার শামিল। এধরণেরএধরনের অভিযোগ থেকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টায় তিনি রোমে যান। কিন্তু [[১৬১৬]] সালে কার্ডিনাল [[রবার্ট বেলারমাইন]] ব্যক্তিগতভাবে তার মামলাটি হাতে নেন এবং তাকে হেনস্ত করতে শুরু করেন। ধর্মীয় আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধায় কোপারনিকাসের তত্ত্বকে স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং ধর্মীয় আইন হিসেবে কোপারনিকান জ্যোতির্বিজ্ঞান পড়তে বা পড়াতে বাধ্য করা হয়। [[১৬২২]] সালে গ্যালিলিও তার বিখ্যাত বই [[দ্য অ্যাসাইয়ার]] (''Saggiatore'') রচনা করেন যা [[১৬২৩]] সালে স্বীকৃতি পাওয়ার পর প্রকাশিত হয়। [[১৬২৪]] সালে পৃথিবীর প্রথম [[অণুবীক্ষণ যন্ত্র]] তৈরি করেন। [[১৬৩০]] সালে তিনি রোমে ফিরে যান তার রচিত একটি বই প্রকাশের লাইসেন্স নেয়ার জন্য। বইটির নাম ছিল, [[ডায়ালগ কনসারনিং দ্য টু চিফ ওয়ার্ল্ড সিস্টেম্‌স]]। এটি এই লাইসেন্সের আওতায়ই [[১৬৩২]] সালে [[ফ্লোরেন্স]] থেকে প্রকাশিত হয়। ঐ বছরেরই [[অক্টোবর]] মাসে তাকে রোমের [[পবিত্র দপ্তর|পবিত্র দপ্তরের]] (Holy Office) সম্মুখীন হতে হয়। কারণ ছিল "Congregation for the Doctrine of the Faith" (বিশ্বাসের উপদেশাবলীর জন্য সমাবেশ)। আদালত থেকে তাকে একটি দন্ডাদেশ দেওয়া হয় যার মাধ্যমে তাকে পূর্ববর্তী ধ্যান-ধারণা শপথের মাধ্যমে পরিত্যাগের জন্য বলা হয়। এই দন্ডাদেশের কার্যকারিতা প্রমাণের জন্যই তাকে [[সিয়েনা|সিয়েনায়]] একঘরে জীবন কাটাতে হয়। এর কিছু পর [[১৬৩৩]] সালের ডিসেম্বরে তাকে তার নিজ বাড়ি [[আরসেট্রি|আরসেট্রিতে]] ফিরে যাবার অনুমতি দেয়া হয়। [[১৬৩৪]] সালে তার বড় মেয়ের মৃত্যুর পর গ্যালিলিও অনেকটাই ভেঙে পড়েন। বড় মেয়ে সিস্টার সেলেস্টি (১৬০০ - ১৬৩৪) তাকে সবসময় সঙ্গ দিতো, এই অকালমৃত্যুতে তাই গ্যালিলিও হয়ে পড়েন নিঃসঙ্গ। [[১৬৩৮]] সালে গ্যালিলিও [[লিডেন]] থেকে তার সর্বশেষ বই [[টু নিউ সায়েন্সেস]] প্রকাশ করেন। আরসেট্রিতে [[১৬৪২]] সালের [[জানুয়ারি ৮|৮ই জানুয়ারি]] তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার ছাত্র [[ভিনসেঞ্জো ভিভিয়ানি]] তার পাশে ছিলেন।
 
== বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিসমূহ ==