লুই পাস্তুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১৫ নং লাইন:
| signature = Louis Pasteur Signature.svg
}}
'''লুই পাস্তুর''' ({{lang-fr|Louis Pasteur ''লুই পাস্ত্যোর্''}}) ([[ডিসেম্বর ২৭]], [[১৮২২]] – [[সেপ্টেম্বর ২৮]], [[১৮৯৫]]) একজন [[ফ্রান্স|ফরাসি]] [[অণুজীববিজ্ঞান|অণুজীববিজ্ঞানী]] ও রসায়নবিদ।<ref>[http://www.eoas.info/biogs/P000693b.htm "Pasteur, Louis - Biographical entry - Encyclopedia of Australian Science". eoas.info. Retrieved 23 March 2010.]</ref> তিনিই প্রথম [[আবিষ্কার]] করেন যে অণুজীব [[অ্যালকোহল|অ্যালকোহলজাতীয়]] পানীয়ের পচনের জন্য দায়ী। জীবাণুতত্ত্ব ও বিভিন্ন রোগ নির্মূলে বিভিন্ন
== প্রারম্ভিক জীবন ==
লুই পাস্তুর ১৮২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] জুরা প্রদেশের দোল শহরে জন্মগ্রহণ করেন ও আরবোয়া শহরে বেড়ে উঠেন।<ref>James J. Walsh (1913). "Louis Pasteur". Catholic Encyclopedia. New York: Robert Appleton Company.</ref> দরিদ্র পিতা সেখানকার একটি ট্যানারিতে চাকুরি করতেন। [[১৮৪৭]] সালে পাস্তুর ফ্রান্সের [[একোল]] থেকে [[পদার্থবিদ্যা]] ও [[রসায়ন|রসায়নে]] ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে তিনি [[জৈব যৌগ|জৈব যৌগের]] [[আলোক সমাণুতা]] নিয়ে [[গবেষণা]] করেন। তিনি দেখান যে, আলো যখন জৈব যৌগের দ্রবনের ভেতর দিয়ে যায় তখন এর দিক পরিবর্তন ঘটে। তিনি প্রস্তাব করেন যে, একই জৈব যৌগ যাদের গঠন এক, তারা [[সমাণু]] হতে পারে যদি তারা একে-অপরের আলো প্রতিবিম্ব হয়।
১৮৪৮ সালে দিজোঁ লিসিতে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য রসায়নের অধ্যাপক হিসেবে চাকুরী করেন। সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টরের কন্যা [[মারি লরেন্ত|মারি লরেন্তের]] সাথে প্রণয়ে আবদ্ধ হন। ২৯ মে, ১৮৪৯ সালে
== কর্মজীবন ==
৩১ নং লাইন:
=== জীবনের উৎপত্তি ===
পাস্তুর এখন মদে ব্যক্টেরিয়ার উৎস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তৎকালীন সময়ে অনেকে ধারণা করতেন ব্যাক্টেরিয়া নির্জীব বস্তু থেকে আপনা আপনি সৃষ্টি হয়। এর বিপক্ষেও অনেকে বিজ্ঞানী ছিলেন। গ্রিক [[দার্শনিক]] [[এরিস্টটল|এরিস্টটলের]] সময় থেকেই এই [[বিতর্ক]] ছিল, কিন্তু কোন বিজ্ঞানসম্মত উত্তর ছিল না। পাস্তুর পরীক্ষার মাধ্যমে দেখান, নির্জীব বস্তু থেকে ব্যাক্টেরিয়া বা কোন রকম জীবনের সূত্রপাত হতে পারে না। তিনি প্রমাণ করেন, মদে বাতাস ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে ব্যাক্টেরিয়া আসে।
পাস্তুর
পাস্তুরের পরীক্ষা স্বতঃজননবাদকে (Theory of spontaneous generation) ভুল প্রমাণ করেছে। স্বতঃজননতত্ত্বের দাবীদারদের সবাই বিশ্বাস করতেন জটিল জীব তার পূর্ণ অবয়বে নিজে নিজেই 'সৃষ্টি' হয়। যেমন, এরিস্টটল বিশ্বাস করতেন কিছু মাছ এবং পতংগের মত ছোট প্রানী স্বতঃস্ফুর্তভাবে উদ্ভূত হয় । ব্রিটিশ গবেষক আলেকজান্দার নীডহ্যাম (১১৫৭-১২১৭) বিশ্বাস করতেন ফার গাছ সমুদ্রের লবণাক্ত পানিতে ফেলে রাখলে তা থেকে রাজহাঁস জন্ম নেয়। জ্যান ব্যাপটিস্ট হেলমন্ট (১৫৮০-১৬৪৪) ভাবতেন ঘর্মাক্ত নোংরা অন্তর্বাস ঘরের কোনায় ফেলে রাখলে তা থেকে ইঁদুর আপনা আপনিই জন্ম নেয়। বিজ্ঞানী পুশে (১৮০০-১৮৭২) বিশ্বাস করতেন খড়ের নির্যাস থেকে ব্যাকটেরিয়া বা অণুজীব স্বতঃস্ফুর্তভাবেই জন্ম নেয়[2]। পাস্তুরের গবেষণা মূলতঃ এই
=== রেশম শিল্প ===
|