জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
G C Dey (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
৫ নং লাইন:
|image =
|image_size = 300px
|caption = ভারতের জাতীয় সঙ্গীতেরসংগীতের স্বরলিপি, হারবার্ট মুরিল কৃত
|prefix = জাতীয় সঙ্গীত
|country = {{IND}}
|author = [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]
১৬ নং লাইন:
 
|sound = Jana Gana Mana instrumental.ogg
|sound_title = জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে (যন্ত্রসঙ্গীতযন্ত্রসংগীত)
}}
'''জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে''' [[ভারত|ভারতের]] জাতীয় সংগীত। এই গানটি [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] কর্তৃক তৎসম [[বাংলা|বাংলা ভাষায়]] রচিত। গানটির রচনাকাল জানা যায় না। [[১৯১১]] খ্রিস্টাব্দে [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|জাতীয় কংগ্রেসের]] একটি সভায় এটি প্রথম গীত হয়। [[১৯৫০]] খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন ভারতের জাতীয় সংগাতরূপে স্বীকৃতি লাভ করে এর প্রথম স্তবকটি। [[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]] রচিত [[বন্দেমাতরম]] গানটিও সমমর্যাদায় জাতীয় সংগীতের স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে ''জনগণমন'' ভারতের ''জাতীয় সংগীত'' বা ''রাষ্ট্রগীত'' (''ন্যাশনাল অ্যানথেম'') ও ''বন্দেমাতরম'' ভারতের ''জাতীয় স্তোত্র'' বা ''রাষ্ট্রগান'' (''ন্যাশানাল সং'') বিবেচিত হয়।
৮৪ নং লাইন:
[[১৯৩৭]] খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সংগীত হিসাবে প্রথম জনগণমন গানটির নাম প্রস্তাব করেন [[সুভাষচন্দ্র বসু]]। [[১৯৪৩]] খ্রিস্টাব্দের [[৫ জুলাই]] [[আজাদ হিন্দ ফৌজ]] গঠনের কথা ঘোষণা করা হয় এবং সেই দিনই প্রথম জাতীয় সংগীত হিসাবে জনগণমন গাওয়া হয়। এরপর ওই বছরের [[২৫ আগস্ট|২৫ অগস্ট]] নেতাজি আনুষ্ঠানিকভাবে [[আজাদ হিন্দ ফৌজ|আজাদ হিন্দ ফৌজের]] সেনাপতির পদ গ্রহণ করেন ও [[২১ অক্টোবর]] সিঙ্গাপুরে আরজি হুকুমৎ-এ-হিন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। এই দিনও জাতীয় সংগীত হিসাবে জনগণমন গাওয়া হয়েছিল। নেতাজি আজাদ হিন্দ সরকারের সেক্রেটারি আনন্দমোহন সহায়ের উপর দায়িত্ব দেন গানটির [[হিন্দি|হিন্দুস্থানী]] অনুবাদের জন্য। তিনি লয়ালপুরের তরুণ কবি হুসেনের সাহায্যে কাজটি সম্পাদন করেন। অনুবাদের সময় মূল গানের সামান্য পরিবর্তন সাধিত হলেও তার ভাব ও সুর অক্ষুণ্ণ থাকে। পরবর্তীকালে আনন্দমোহন সহায়ের লেখা থেকে জানা যায়, এই গান সেই সময় ভারত ও ভারতের বাইরেও বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল এবং [[জাপান]] ও [[জার্মানি|জার্মানির]] বিদ্বান সমাজ এই গান শুনে অভিভূত হয়েছিলেন। [[১৯৪৪]] খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে আজাদ হিন্দ ফৌজ মৌডক রণক্ষেত্রে জয়লাভ করে ভারতের মাটিতে প্রবেশ করে ও সেই দিনই প্রথম ভারতের মাটিতে জনগণমন ভারতের জাতীয় সংগীতরূপে বাজানো হয়। <ref>পশ্চিমবঙ্গ পত্রিকা, নেতাজি সংখ্যা, ১৪০৩ বঙ্গাব্দ, পৃ. ১৬৪-৬৫</ref>
 
== জাতীয় সঙ্গীতেরসংগীতের স্বীকৃতিলাভ ==
{{ভারতের প্রতীক}}
[[চিত্র:Netaji Subhas Chandra Bose.jpg|thumb|left|200px|''জনগণমন''-কে জাতীয় সঙ্গীতের স্বীকৃতি দেবার প্রস্তাব প্রথম রাখেন [[নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু]]]]
৯২ নং লাইন:
 
== ব্যবহার ==
জাতীয় সঙ্গীতেরসংগীতের বাদন বিষয়ে [[ভারতের সামরিক বাহিনী|ভারতীয় সেনাবাহিনীর]] কিছু স্পষ্ট নির্দেশনামা আছে।
* জাতীয় অভিবাদনকালে – ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যগুলির সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল এবং বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানদের (অনুষ্ঠানবিশেষে) জাতীয় অভিবাদন জানানোর সময় জাতীয় সঙ্গীতসংগীত বাজানো হয়। [[১৯৫০]] খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাস থেকে রাজকীয় অভিবাদনের বদলে জাতীয় অভিবাদন জানানোর সময় থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। বিদেশি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানদের জাতীয় অভিবাদন জানানোর সময় প্রথমে সেই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং পরে ভারতের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এখানে মনে রাখা দরকার, এই নির্দিষ্ট কয়েকজন পদাধিকারী ভিন্ন দেশে ছাড়া কারো অভিবাদন জাতীয় সংগীত দ্বারা হয়না। তবে কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় সংগীত দ্বারা অভিবাদন জানানো হয়ে থাকে।
* জাতীয় পতাকা উত্তোলনকালে – প্রতি বছর [[স্বাধীনতা দিবস (ভারত)|স্বাধীনতা দিবস]] ও [[সাধারণতন্ত্র দিবস (ভারত)|সাধারণতন্ত্র দিবস]] জাতীয় পতাকা উত্তোলনকালে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
 
১৪৬ নং লাইন:
প্রাদেশিক গভর্নরদের সেই মতো নির্দেশ দেওয়া হয়। স্পষ্ট হয়ে যায় ''জনগণমন''-এর বিন্যাস সম্পূর্ণ যথাযথ ছিল না, কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল। শুধু শব্দবিন্যাসটিই নয়, সবচেয়ে ছিল জরুরি ছিল সুরটিও – যেন সেটি অর্কেস্ট্রা ও ব্যান্ডে বাজানো যেতে পারে।<ref>ভারতের সংসদে প্রদত্ত এক বক্তব্য, ২৫ অগস্ট, ১৯৪৮, (Our National Songs, Publication Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India, New Delhi, 1962, p.7-8 মূল ইংরেজি থেকে অনূদিত)</ref>}}
 
== জনপ্রিয় মাধ্যমে জাতীয় সঙ্গীতসংগীত ==
'''[http://www.youtube.com/watch?v=lZi3fwP09zw জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে – ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল অ্যানথেম]''' শীর্ষক একটি ঐতিহাসিক ভিডিও ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত হয়। [[২৬ জানুয়ারি]] [[২০০০]] তারিখে [[ভারতের সংসদ|সংসদ ভবনের]] সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতি এই ভিডিওর উদ্বোধন করেন। ভারত বালা প্রযোজিত এই ভিডিওর সংগীত পরিচালনা করেন [[এ আর রহমান]] এবং প্রকাশ করেন [[ভারত সরকার|ভারত সরকারের]] সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রক।