হিন্দু সংস্কার আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পৃষ্ঠা: হিন্দু সংস্কার আন্দোলনের অধিকাংশেরই সূত্রপাত হয় ঊনবিংশ শত...
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৫:৫১, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হিন্দু সংস্কার আন্দোলনের অধিকাংশেরই সূত্রপাত হয় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে। এই সকল আন্দোলনে প্রাচীন উপনিষদ ও বেদান্ত শাস্ত্রের এক নূতনতর ব্যাখ্যা প্রদত্ত হয় এবং মনোযোগ দেওয়া হয় সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে। [১]এই সকল আন্দোলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল ভারতের তদনীন্তন ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীদের পাশ্চাত্য শ্রেষ্ঠত্ব ও শ্বেতাঙ্গ প্রাধান্যের ধারণাকে খর্ব করা। এবং এই চেতনা থেকেই একটি দেশাত্মবোধক চেতনার সৃষ্টি হয়; যা থেকে জন্ম নয় স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক আদর্শের। [২]

ইতিহাস

সামাজিক সংস্কার আন্দোলন

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (বিহিপ)

ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন

ব্রাহ্ম সমাজ

 
রাজা রামমোহন রায় প্রাচীন ঔপনিষদিক গ্রন্থগুলি থেকে একটি আধুনিক যুক্তিবাদী ভারতের চিত্রকল্প কল্পনা করেন।

ব্রাহ্মসমাজ ছিল ব্রিটিশ ভারতের প্রথম যুগের হিন্দু সংস্কার আন্দোলনগুলির অন্যতম। বাঙালি সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায় এই আন্দোলনের সূচনা করেন। রামমোহন রায় প্রাচীন ঔপনিষদিক গ্রন্থগুলি থেকে একটি যুক্তিবাদী 'আধুনিক' ভারতের রূপকল্প অঙ্কণ করেছিলেন। তিনি সনাতন হিন্দুধর্মের পৌত্তলিকতা ও আনুষ্ঠানিকতার তীব্র বিরোধিতা করে একটি একেশ্বরবাদী ধর্মমত প্রচার করেন। তবে তিনি মূলত জোর দেন সমাজ সংস্কারের উপর। তিনি জাতিভেদ প্রথার বিপক্ষে ও নারীর সমানাধিকারের সপক্ষে লড়াই করেন।[৩] তবে ব্রাহ্মরা ব্রিটিশ সরকার ও উচ্চশিক্ষিত হিন্দু সমাজের দাক্ষিণ্য লাভে সমর্থ হলেও, তাঁদের বৈদান্তিক মতবাদ ও একেশ্বরবাদী দৃষ্টিভঙ্গি সাধারণ জনমানসে আলোড়ন সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়। তবে প্রাচীন ভারতীয় ধর্মগ্রন্থগুলি সম্পর্কে যুক্তিবাদী ব্যাখ্যাপ্রদান ও হিন্দু আধ্যাত্মিকতার শৃঙ্খলায়ণে তাঁদের অবদান ছিল অনস্বীকার্য।[২]

আর্য সমাজ

আর্যসমাজ ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগের অন্যতম প্রধান হিন্দু সংস্কার আন্দোলনের নাম। আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী পৌত্তলিকতা, বর্ণভেদ প্রথা, অস্পৃশ্যতা ও বাল্যবিবাহের বিরোধিতা করেন এবং নারীর সমমর্যাদার সপক্ষে মত প্রকাশ করেন। তিনি যতটা ইসলাম ও খ্রিষ্টধর্মের বিরোধী ছিলেন, ততটাই বিরোধী ছিলেন ব্রাহ্মণবাদের। তিনি মনে করতেন, বৈদিক জ্ঞানের অপব্যাখ্যার ক্ষেত্রে প্রধানত ব্রাহ্মণ্যবাদই দায়ী।[১] আর্যসমাজ একটি সামাজিক আন্দোলন হলেও রামপ্রসাদ বিসমিল [৪], শ্যামজি কৃষ্ণবর্মা, ভাই পরমানন্দ, লালা লাজপত রায় প্রমুখ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক বিপ্লবী ও রাজনৈতিক নেতা এই মতবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন।[৫]

=== স্বামী বিবেকানন্দ ===
 
বিশ্বধর্মমহাসভার মঞ্চে স্বামী বিবেকানন্দ

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Chetan Bhatt (2001)
  2. Peter van der Veer, Hartmut Lehmann, Nation and religion: perspectives on Europe and Asia, Princeton University Press, 1999
  3. Thomas R. Metcalf, A Concise History of India, Cambridge University Press, 2002
  4. Bhagat Singh, Why I am an atheist, Selected Writings of Shaheed Bhagat Singh by Bhagat Singh, Shiv Verma, National Book Centre, 1986
  5. Michael Francis O'Dwyer, India as I knew it, 1885-1925, Published by Constable, 1926

বহিঃসংযোগ