কানন দেবী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বহু প্রতিভার কানন দেবী অভিনয়ের পাশাপাশি নৃত্য এবং সঙ্গীতেও ছিলেন পারদর্শী। প্রায় ৭০-এর অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও বিজ্ঞাপন চিত্রেও দেখা যায় তাকে। কানন দেবীর আত্মজীবনী ''সবারে আমি নমি''। শিল্প মাধ্যমে অসাধারণ অবদানের জন্যে [[ভারত সরকার]] তাঁকেতাকে ১৯৬৪ সালে [[পদ্মশ্রী]] উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি [[দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার]] লাভ করেন।

১৯২৬ সালে [[জয়তিশ বন্দোপাধ্যায়|জয়তিশ বন্দোপাধ্যায়ের]] ''[[জয়দেব (১৯২৬-এর চলচ্চিত্র)|জয়দেবে]]'' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে কানন দেবীর অভিনয়ের শুরু হলেও তার সত্যিকারের অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৩০ সালে। মূলত দারিদ্রতার কারণে কিশোর বয়স থেকেই তাঁকেতাকে পর্দায় নগ্নতার দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে। ১৯৩১ সালে জয়তিশ বন্দোপাধ্যায়ের ''[[জোর বরাত]]'' পূর্ণাঙ্গ সবাক চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে নায়ক তাঁকেতাকে জড়িয়ে ধরে ঠোটে চুমু খাওয়ায় তিনি অপমানিত ও ব্যাথিত বোধ করেন। যদিও পরিচালকের নির্দেশেই নায়ক তাকে না জানিয়েই এই কাজ করেছিলেন। অভিভাবকহীন নিম্নবিত্তের মেয়ে হওয়ায় নানাভাবে তাঁকেতাকে অর্থের লোভ দেখিয়ে নগ্ন দৃশ্যে অভিনেয়ের জন্যে বাধ্য করা হতো। ১৯৩৫ সালে সতীশ দাশগুপ্তের ''[[বাসব দত্তা]]'' চলচ্চিত্রে তাঁরতার অনিচ্ছায় নগ্নতার প্রদর্শন ছিলো। এছাড়াও তাঁরতার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে পরিচালকেরা অর্থিকভাবেও তাঁকেতাকে ঠকাতেন। ১৯৩৫ সালে মুক্তি পায় তার জয়তিশ বন্দোপাধ্যায়ের ''[[মানময়ী গার্লস স্কুল]]'' এবং এর মাধ্যমেই তিনি নিজেকে চলচ্চিত্র জগতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এরপর ১৯৩৭ সালে ''[[মুক্তি]]'' চলচ্চিত্র তাঁকেতাকে সর্বপ্রথম অভিনেত্রী হিসেবে সফলতা এনে দেয়।<ref name="হার্টথ্রব"/><ref name="kananbala "/>

কানন দেবী ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন।চলচ্চিত্রে ইতিহাসবিদ রবি বসু লিখেছেন যে কানন বালাকে দেখে অনেক যুবক ও প্রৌঢ়ের হৃৎস্পন্দন বেড়ে যেত। রূপবাণী সিনেমা হলে এক উদ্ভ্রান্ত যুবক মোহগ্রস্ত হয়ে তার সিনেমার রোমান্টিক দৃশ্যের সময় পর্দার দিকে ছুটে গিয়েছিল তাকে ধরতে।[[কলকাতা]]র রাস্তায় চট বিছিয়ে তার আলোকচিত্র বিক্রি হত।মহিলারা তাঁরতার ফ্যাশনে শাড়ি-ব্লাউজ পরা শুরু করেন। এমনকি কানের দুলও তৈরি করান তারা।<ref name=" kananbala">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ১= মুরশিদ |প্রথমাংশ১= গোলাম |শেষাংশ২= |প্রথমাংশ২= |বছর= ২০০৫ |শিরোনাম= সুকুমারী থেকে সুচিত্রা |সাময়িকী= অন্যদিন ঈদ সংখ্যা |খণ্ড= |সংখ্যা নং= |পাতাসমূহ= ১০৭ |প্রকাশক= মাজহারুল ইসলাম|ডিওআই= |ইউআরএল= |সংগ্রহের-তারিখ=জানুয়ারি,২০১১ }}</ref>