রাধা বিনোদ পাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৮ নং লাইন:
}}
 
'''ডঃ রাধাবিনোদ পাল''' (২৭ জানুয়ারি ১৮৮৬ - ১০ জানুয়ারি ১৯৬৭) একজন [[বাঙালি]] আইনবিদ এবং [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] সাবেক উপাচার্য ছিলেন। তিনি [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] পর [[দূরপ্রাচ্যর ট্রায়াল জন্য আন্তর্জাতিক সামরিক আদালত|দূরপ্রাচ্যে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারার্থে স্থাপিত আন্তর্জাতিক সামরিক আদালতের]] বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। "জাপান-বন্ধু ভারতীয়" বলে খ্যাতি রয়েছে তাঁর।তার। জাপানের ইতিহাসে রাধা বিনোদের নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। [[জাপান|জাপানের]] [[টোকিও]] শহরে তাঁরতার নামে জাদুঘর, সড়ক ও স্ট্যাচু রয়েছে। [[জাপান বিশ্ববিদ্যালয়|জাপান বিশ্ববিদ্যালয়ে]] একটি রিসার্চ সেন্টার রয়েছে। তিনি আইন সম্পর্কিত বহু গ্রন্থের রচয়িতা।
 
== প্রাথমিক জীবন ==
২৪ নং লাইন:
 
== শিক্ষাজীবন ==
তার প্রাথমিক জীবন চরম দারিদ্রের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামের গোলাম রহমান পণ্ডিতের কাছে তাঁরতার শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি। [[কুষ্টিয়া হাইস্কুল|কুষ্টিয়া হাইস্কুলে]] তিনি মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত লেখাপড়া করেন।{{cn}} ১৯২০ সালে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে আইনে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯১৯-২০ খ্রিস্টাব্দে [[ময়মনসিংহ|ময়মনসিংহের]] [[আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ|আনন্দমোহন কলেজে]] অধ্যাপনা দিয়ে তাঁরতার কর্মজীবনের শুরু। ১৯২৫-১৯৩০ মেয়াদে এবং পরবর্তীতে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] আইনে অধ্যাপনা করেন। পরে [[কলকাতা হাইকোর্ট|কলকাতা হাইকোর্টে]] আইন পেশায় যোগদান করেন। ১৯৪১-৪৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৪-৪৬ মেয়াদে তিনি [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bonikbarta.com/magazine-post/102/রাধাবিনোদ-পাল--/|শিরোনাম=রাধাবিনোদ পাল|শেষাংশ=গৌতম কুমার রায়|প্রথমাংশ=|তারিখ=২৪ আগস্ট, ২০১৬|ওয়েবসাইট=|প্রকাশক=বণিকবার্তা|সংগ্রহের-তারিখ=১৩.০১.২০১৭}}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref><ref name="prothom-alo"/>
 
== কৃতিত্ব ==
প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব রাধা বিনোদ পালের সুখ্যাতি শুধু পাকিস্তান-ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ১৯৪৬-৪৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত জাপানের রাজধানী [[টোকিও]] মহানগরে জাপানকে [[নানচিং গণহত্যা]] সহ [[দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধ|দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধে]] চীনাদের উপর জাপানি সেনাবাহিনীর দীর্ঘ কয়েক দশকের নৃশংসতার অভিযোগে যুদ্ধাপরাধী সাব্যস্ত করে যে বিশেষ আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হয়, তিনি ছিলেন সেই আদালতের অন্যতম বিচারপতি। তিনি তাঁরতার ৮০০ পৃষ্ঠার বিচক্ষণ রায় দিয়ে জাপানকে “যুদ্ধাপরাধ”-এর অভিযোগ থেকে মুক্ত করেন। এ রায় বিশ্বনন্দিত ঐতিহাসিক রায়ের মর্যাদা লাভ করে। তার এ রায় [[জাপান]]কে সহিংসতার দীর্ঘ পরম্পরা ত্যাগ করে সভ্য ও উন্নত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশে প্রধানতম সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল।
 
== সম্মান ==
তিনি জাপান-বন্ধু ভারতীয় বলে খ্যাতি অর্জন করেন।<ref name="prothom-alo">[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2011-12-02/news/205535 জাপানিদের রাধা বিনোদ পাল]</ref> রাধাবিনোদ পালকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করা হয় নিহোন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ১৯৬৬ সাল। জাপান সম্রাট [[হিরোহিতো]]<nowiki/>র কাছ থেকে জাপানের সর্বোচ্চ সম্মানীয় পদক ‘কোক্কা কুনশোও’ গ্রহণ করেছিলেন। জাপানের রাজধানী [[টোকিও]] তে তার নামে রাস্তা রয়েছে। [[কিয়োটো]] শহরে তাঁরতার নামে রয়েছে জাদুঘর, রাস্তার নামকরণ ও স্ট্যাচু<ref name=":0" />। টোকিও ট্রায়াল টেলিসিরিয়ালটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের ট্রায়াল নিয়ে নির্মিত হলে তার চরিত্রে অভিনয় করেন ভারতীয় অভিনেতা [[ইরফান খান]]।
 
== মৃত্যু ==