কোলি স্মিথ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
অপ্রয়োজনীয় বিষয়শ্রেণী বাদ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৬৪ নং লাইন:
অত্যন্ত মারকূটে ব্যাটসম্যান ছিলেন কোলি স্মিথ। এছাড়াও, অফ স্পিন বোলার হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডারের মর্যাদা উপভোগ করেছেন। বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার [[জিম লেকার|জিম লেকারকে]] আদর্শ হিসেবে মেনেছেন। ফলশ্রুতিতে এক পর্যায়ে জিম ডাকনামে পরিচিতি পান।<ref>''[[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]]'' 1958, p. 60.</ref>
 
১৯৫৪-৫৫ মৌসুম থেকে ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে নিজ [[জন্মভূমি]] জ্যামাইকার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিয়মিতভাবে খেলে গেছেন তিনি। নিজস্ব তৃতীয় প্রথম-শ্রেণীর খেলায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে জ্যামাইকার পক্ষে ১৬৯ রান তুলেন। ফলশ্রুতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টিনিবদ্ধ হয় তাঁরতার দিকে।
 
== টেস্ট ক্রিকেট ==
২৬ মার্চ, ১৯৫৫ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে কোলি স্মিথের। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে সিরিজের প্রথম টেস্টে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০৪ রানের [[টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে শতরানের তালিকা|অভিষেক সেঞ্চুরি]] করেন তিনি। কিন্তু পরের টেস্টে জোড়া [[শূন্য রান|শূন্য]] হাঁকানোর ফলে দলের বাইরে চলে যেতে হয় তাঁকে।তাকে। এরপর চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্টে অংশ নেন। সমগ্র সিরিজে ২৫.৭৫ গড়ে ২০৬ রান তুলেন। এছাড়াও বল হাতে ৬৮.০০ গড়ে ৫ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।<ref>''Wisden'' 1956, p. 863.</ref>
 
১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। প্রথম টেস্টে ৬৪ রান তুলেন। চতুর্থ উইকেটে [[এভারটন উইকস|এভারটন উইকসের]] সাথে ১৬২ রানের জুটি গড়েন মাত্র ১০০ মিনিটে। অবশ্য পরবর্তী তিন টেস্টে ব্যাট হাতে তেমন সফলতা লাভ করেননি কোলি স্মিথ। সমগ্র সিরিজে ১৫.৬০ গড়ে ৭৮ রান তুললেও ১৮.৫৩ গড়ে ১৩ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় টেস্টে ২/১ ও ৪/৭৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন।<ref>''Wisden'' 1957, pp. 829–38.</ref>
 
১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন কোলি স্মিথ। প্রথম টেস্টে ১৬১ ও তৃতীয় টেস্টে ১৬৮ রানের ইনিংস খেলে সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হন। এক পর্যায়ে [[ব্রায়ান স্ট্যাদাম|ব্রায়ান স্ট্যাদামকে]] নিয়ে কার পার্কে গাড়ি চালনায় চলে যান বলে জানা যায়। ফলশ্রুতিতে, উইজডেন কর্তৃক ১৯৫৮ সালের সংস্করণে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে নামাঙ্কিত হন মূলতঃ তাঁরতার ব্যাটিং, বোলিং ও চমকপ্রদ ফিল্ডিংয়ের জন্য।<ref>''Wisden'' 1958, p. 59.</ref>
 
১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন তিনি। ঐ সিরিজে ৪৭.১৬ গড়ে ২৮৩ রানসহ ৩৮.০০ গড়ে ১৩ উইকেট লাভ করেন কোলি স্মিথ। ভারত সফরে যান ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে। স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ৩৫.৮৭ গড়ে ২৮৭ রান তুলেন তিনি। এছাড়াও, ২৯.৬৬ গড়ে ৯ উইকেট পান। তন্মধ্যে, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম টেস্টে ১০০ রান তুলেন। এরপর বল হাতে নিয়ে ৩/৯৪ ও ৫/৯০ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। কিন্তু পাকিস্তান সফরে তিন টেস্টে অংশ নিয়ে কম সাফল্য পান। ১৬.২০ গড়ে ৮১ রান ও ২০.০০ গড়ে ৩ উইকেট পান তিনি।
৮০ নং লাইন:
মাত্র ২৬ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের স্টাফোর্ডশায়ার এলাকার স্টোক-অন-ট্রেন্টে ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে কোলি স্মিথের দেহাবসান ঘটে। ১৯৫৯ সালে গাড়ি দূর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।<ref name="car">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=A South African great arrives |ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/magazine/content/story/149202.html |প্রকাশক=ESPN Cricinfo |সংগ্রহের-তারিখ=8 May 2017}}</ref>
 
৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৪:৪৫ ঘটিকায় দূর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় সঙ্গী [[গারফিল্ড সোবার্স|গ্যারি সোবার্স]] ও [[Tom Dewdney|টম ডিউডনি]] সাথে ছিলেন। দাতব্য খেলায় অংশ নিতে তাঁরাতারা ভ্রমণ করছিলেন। ঐ সময় সোবার্স চালকের আসনে ছিলেন। তবে, যানজটের কারণে খেলাটি বেশ দেরীতে শুরু হয়। অ্যান্ড্রু সন্ডার্স নামীয় এক গাড়ী চালক ১০ টনের গাড়ীতে গবাদীপশু নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্টাফোর্ডশায়ারের স্টোনের কাছাকাছি এ৩৪ এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়।<ref name=times7sep>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |সংবাদপত্র=The Times |তারিখ=7 September 1959 |পাতা=10 |শিরোনাম=Three West Indian cricketers hurt - Car crash: O.G. Smith "critical"}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://news.google.com/newspapers?id=0Rc1AAAAIBAJ&sjid=BKYLAAAAIBAJ&pg=5055%2C860382 |শিরোনাম=Six sportsmen injured in road accidents |সংবাদপত্র=The Glasgow Herald |তারিখ=7 September 1959 |পাতা=1}}</ref>
 
এ সময় স্মিথ পিছনে ঘুমোচ্ছিলেন ও সামনে ছিটকে পড়েন। শুরুতে তাঁরতার আঘাত তেমন গুরুতর ছিল না যা সোবার্সকে তিনি বলেছিলেন। ডিউডনি মন্তব্য করেন যে, আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করো না। কিন্তু তাঁরতার মেরুদণ্ডে গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় ও এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তিনদিন পর তাঁরতার মৃত্যু ঘটে। তাঁরতার দেহ জ্যামাইকায় নিয়ে যাওয়া হলে ৬০০০০ লোকের সমাগমে শবযাত্রা হয়। জ্যামাইকার মে পেন সমাধিক্ষেত্রের ফলকে খোদাই করা আছে: দক্ষ ক্রিকেটার, নিঃস্বার্থ বন্ধু, সমৃদ্ধময় বীর, বিশ্বস্ত সেবক, সাহসী যোদ্ধারূপে।<ref>[http://sharenews.com/archives/sports20091014dewdney-reflects-collie-smithe28099s-life/ Dewdney reflects on Collie Smith's life] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20151222140418/http://sharenews.com/archives/sports20091014dewdney-reflects-collie-smithe28099s-life/ |তারিখ=২২ ডিসেম্বর ২০১৫ }} Retrieved 8 May 2013</ref>
 
তবে, সোবার্স ও ডিউডনি তেমন মারাত্মকভাবে আহত হননি। ঘটনার পর সোবার্সকে পুলিশী জেরার মুখোমুখি হতে হয়।<ref name=times12sep>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |সংবাদপত্র=The Times |তারিখ=12 September 1959 |পাতা=10 |শিরোনাম=News in brief - Prosecution notice on cricketer}}</ref> ১১ নভেম্বর তারিখে স্টোনের ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সোবার্সকে দায়িত্বজ্ঞানহীন অবস্থায় গাড়ী চালনার অভিযোগ আনা হয়। সোবার্স বন্ধনী ব্যবহার করেননি ও বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক চালকের গাড়ীর মুখোমুখি হন। সোবার্সকে ১০ পাউন্ড জরিমানা প্রদান করা হয় ও ১৬.১৭ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ গুণতে হয়। এছাড়াও, এক মাসের জন্য তাঁরতার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। তবে, সোবার্স নিজেকে দোষী হিসেবে মনে করেননি। তিনি দাবী করেন যে, গাড়ীর বাতিতে বিভ্রান্তির কবলে পড়েছিলেন।<ref name=times12nov>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |সংবাদপত্র=The Times |তারিখ=12 November 1959 |পাতা=16 |শিরোনাম=West Indian cricketer fined - Chairman refers to a "disastrous episode"}}</ref>
 
== মূল্যায়ন ==
স্মিথের মৃত্যুর এক বছর পর কেন চ্যাপলিন ‘দ্য হ্যাপি ওয়ারিয়র’ শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। মাইটি মাউস ও ওয়েসাইড প্রিচার ডাকনামে পরিচিত পেয়েছেন কেননা, তিনি চার্চে পড়াশোনা করতে পছন্দ করতেন। স্মিথের জন্মস্থান ট্রেঞ্চ টাউনে বয়েজ টাউন ক্লাবের রাস্তাটি পরবর্তীকালে তাঁরতার স্মরণে কোলি স্মিথ ড্রাইভ নামে পুণঃনামাঙ্কিত হয়।
 
১৯৫৮ সালে স্বদেশী [[ক্লাইড ওয়ালকট|ক্লাইড ওয়ালকটের]] সাথে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটারের]] সম্মাননায় অভিষিক্ত হন কোলি স্মিথ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricketarchive.com/Archive/Players/Overall/Wisden_Cricketers_of_the_Year.html |শিরোনাম=Wisden Cricketers of the Year |সংগ্রহের-তারিখ=2009-02-21 |প্রকাশক=CricketArchive|ভাষা= English}}</ref>