ডেরেক প্রিঙ্গল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১০১ নং লাইন:
 
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
১০ জুন, ১৯৮২ তারিখে [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল|ভারতের]] বিপক্ষে তাঁরতার টেস্ট অভিষেক হয়। একই সালের ১৭ জুলাই তারিখে [[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তানের]] বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে তাঁর।তার।
 
১৯৯২ সাল পর্যন্ত ৩০ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। ৬৯৫ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ৭০ উইকেট পেয়েছেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে ৪৪টি ওডিআইয়ে অংশ নেন। তন্মধ্যে দুইবার ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হয়েছিল তাঁর।তার। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলায়ও অংশ নেন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রিঙ্গলের ব্যাটিং গড় বোলিং গড়ের সমান ছিল।
 
== টেস্ট ক্রিকেট ==
১৯৮২ সালে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। [[ইয়ান বোথাম|ইয়ান বোথামের]] সাথে বেশ কয়েকটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। [[ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড|দল নির্বাচকমণ্ডলী]] উপলব্ধি করেন যে, ১৯৮২ সালে ভারত ও পাকিস্তান সফরে [[ফাস্ট বোলিং|ফাস্ট বোলিংয়ের]] তুলনায় স্পিন বোলিংই অধিক কার্যকর। ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরতে না পারায় ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত দলের বাইরে অবস্থান করতে হয় তাঁকে।তাকে।
 
১৯৮৬ সালে ক্যানাবিস ধূমপানের অভিযোগে ইয়ান বোথামকে ৩ মাসের জন্য সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। ফলশ্রুতিতে প্রিঙ্গল বোথামের কার্যাবলী সম্পাদনে অগ্রসর হন।
১১৩ নং লাইন:
 
== বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ ==
পরের বছরের শীত মৌসুমে ভারত ও পাকিস্তানে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে বোথামের অনুপস্থিতিতে দলে অন্তর্ভূক্ত হন। এশীয় পিচে তাঁরতার বোলিং বেশ অকার্যকররূপে প্রমাণিত হয়। গুজরানওয়ালায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৩ রানের ইনিংস খেললেও ঐ প্রতিযোগিতার অন্য কোন খেলায় অংশ নেননি।
 
বছর শেষে আরেক উদীয়মান অল-রাউন্ডার [[ডেভিড ক্যাপেল|ডেভিড ক্যাপেলের]] কাছ স্থানচ্যূত হন। নর্দাম্পটনের খেলোয়াড় ক্যাপেল তাঁরতার পরিবর্তে সিডনির দ্বি-শতবার্ষিকী টেস্টে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি [[নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল|নিউজিল্যান্ডের]] বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে সফরকারী [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিপক্ষে খেলার জন্য তাঁকেতাকে পুণরায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। টেক্সাকো ট্রফি সিরিজে অংশ নিয়ে দ্রুত এর প্রতিদান দেন ও ৫ উইকেট দখল করেন। লিডসের দ্বিতীয় খেলায় গুরুত্বপূর্ণ ৩৯ রান তুলে দলে সবিশেষ অবদান রাখেন যা দুদলের মধ্যকার পার্থক্য গড়তে সহায়তা করে। এটিই তাঁরতার সেরা অর্জন ছিল।
 
পিঠের অস্ত্রোপাচারের কারণে ইয়ান বোথাম এ মৌসুমে দলের বাইরে অবস্থান করলে তিনি প্রথম দুই টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণে দিশেহারা হয়ে যান। ম্যানচেস্টার টেস্টে ডেভিড ক্যাপেল তাঁরতার পরিবর্তে খেললেও দূর্বল ক্রীড়াশৈলীর কারণে লিডস টেস্টে পুণরায় খেলেন। এবার তিনি ৫ উইকেট দখল করেন। ৫ম টেস্টে তিনি আরও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। ওভাল টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষদিকে দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম স্লিপে [[ডেসমন্ড হেইন্স|ডেসমন্ড হেইন্সের]] ক্যাচ নেয়ার প্রচেষ্টাকালে আঙ্গুলে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন নিয়মিত অধিনায়ক [[গ্রাহাম গুচ]]। তবে ঐ খেলায় তাঁরতার দল পরাজিত হয়।
 
== আসা-যাওয়ার পালা ==
১৯৮৯ সালে আবারো দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে আসা-যাওয়ার পালার কবলে পড়েন প্রিঙ্গল। টেক্সাকো ট্রফিতে বোথাম ও প্রিঙ্গল একত্রে খেলেন। তবে গ্ল্যামারগনের বোলার স্টিভ বারউইকের বলে আঘাতপ্রাপ্ত হলে বোথামকে বাইরে অবস্থান করতে হয়। লিডসের নিচু পিচে চারজন বোলারের অন্যতম হিসেবে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের উপর ছড়ি ঘোরান। তাস্বত্ত্বেও [[দি ওভাল|ওভালের]] চূড়ান্ত টেস্টের পূর্ব-পর্যন্ত তাঁকেতাকে মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়েছে।
 
ওভাল টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে চার [[উইকেট]] দখল করে ইংল্যান্ডের সর্বাপেক্ষা সফল বোলার ছিলেন। পরবর্তী শীত মৌসুমে ইংল্যান্ড দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। দল নির্বাচকমণ্ডলী যুবনীতি গ্রহণ করায় প্রিঙ্গলকে অন্তর্ভূক্ত করেনি। তাঁরতার পরিবর্তে ইংল্যান্ডের নতুন [[অল-রাউন্ডার]] [[ক্রিস লুইস]] দলের সদস্য মনোনীত হন।
 
যুবনীতির সফল বাস্তবায়ন সম্ভব না হওয়ায় ১৯৯১ মৌসুমের শুরুতে প্রিঙ্গলকে আবারো দলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইংল্যান্ড সফরে আসে। মাঝামাঝি সময়ে প্রিঙ্গল তাঁরতার বোলিংয়ের ধরন সুস্পষ্টভাবেই পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যান। কিছুটা ধীরগতিতে ও বলকে সুইংয়ের দিকে মনোনিবেশ ঘটান। এ নতুন ধারায় বোলিং করার ফলে ঐ সিরিজের পুরোটাতেই সফলকাম হন।
 
প্রাণবন্ত হেডিংলি পিচে তাঁরতার বোলিংয়ে টপাটপ উইকেট পড়তে থাকে ও তাঁরতার বিপক্ষে লড়াই করে রান তুলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল ব্যাটসম্যানদেরকে। লর্ডসে তিনি পাঁচ উইকেট পান ও বার্মিংহামে দ্বিতীয় ইনিংসে ক্রিস লুইসের সাথে বেশ বড় জুটি গড়েন। সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে বোথাম ফিরে আসলে তাঁকেতাকে পুণরায় দলের বাইরে চলে যেতে হয়।
 
== নিউজিল্যান্ড সফর ==
পরবর্তী শীতে ১৯৯১-৯২ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ঐ সফরের টেস্ট সিরিজে বেশ আটোসাঁটো বোলিং করেন ডেরেক প্রিঙ্গল। এরপর বিশ্বকাপে তাঁরতার সপ্রতিভ অংশগ্রহণ ছিল ও রীতিমতো তারকা খেলোয়াড়ে পরিণত হন। প্রত্যেক খেলাতেই তিনি বোলিং উদ্বোধনে নামতেন ও মিতব্যয়ীতার দিকে নজর দেন। বিশেষ করে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলায় এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেও পাকিস্তানের কাছে ২২ রানে হেরে যায় তাঁরতার দল।
 
১৯৯২ মৌসুমে বোথাম ও প্রিঙ্গল নিজেদের মাঠে শুরুতে একত্রে খেলেন। তবে উভয়ের মাঝেই দূর্বল ক্রীড়াশৈলীর বহিঃপ্রকাশ ঘটে। লর্ডসে বোথাম তাঁরতার সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন। অন্যদিকে লিডস টেস্টের পূর্ব-পর্যন্ত দল থেকে উপেক্ষিত হন প্রিঙ্গল। পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ে অন্যতম ভূমিকা রাখেন। তবে ওভাল টেস্টে পুণরায় তাঁকেতাকে দেখা যায়। বোলিং উপযোগী পিচে সফলতা পেলেও প্রতিপক্ষের সেরা খেলোয়াড় থাকলে ফলাফল যে-কোন কিছুই হতে পারে। [[ওয়াসিম আকরাম|ওয়াসিম আকরামের]] বলে তাঁরতার অফ স্ট্যাম্প উড়ে যায়।
 
== অবসর ==
১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ভারত সফরে তাঁকেতাকে নেয়া হয়নি। তবে, ১৯৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে [[Texaco Trophy|টেক্সাকো ট্রফিতে]] দলের সদস্য হন। টেস্ট দলে তাঁকেতাকে রাখা না হলে স্বল্পকাল পরই নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেন ডেরেক প্রিঙ্গল।
 
দলীয় সঙ্গীদের তুলনায় প্রিঙ্গল ফ্যাশন সচেতন ও সঙ্গীতের দিকে প্রবল আগ্রহ রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব, ফটোগ্রাফি, লেখালেখিসহ সঙ্গীতের ধারায় সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন।
১৪০ নং লাইন:
'চ্যারিয়টস অব ফায়ার' নামীয় চলচ্চিত্রে [[Extra (actor)|অতিরিক্ত চরিত্রে]] ডেরেক প্রিঙ্গল অভিনয় করেছেন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.imdb.com/title/tt0082158/fullcredits#cast|শিরোনাম=Cast of 'Chariots of Fire'|প্রকাশক=IMDB}}</ref>
 
[[Donald Pringle|ডোনাল্ড প্রিঙ্গল]] তাঁরতার বাবা। ডোনাল্ড [[১৯৭৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|১৯৭৫]] সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে [[পূর্ব আফ্রিকা ক্রিকেট দল|পূর্ব আফ্রিকার]] সদস্যরূপে দুই খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।
 
== তথ্যসূত্র ==
১৫৯ নং লাইন:
{{England Squad 1992 Cricket World Cup}}
{{কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ}}
{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:প্রিঙ্গল, ডেরেক}}
 
{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:প্রিঙ্গল, ডেরেক}}
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৫৮-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি]]