ডেভিড অ্যাটনবারা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ei holo ovik (আলোচনা | অবদান)
Fixed typo, Added links
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৪ নং লাইন:
| footnotes =
}}
'''স্যার ডেভিড ফ্রেডরিক অ্যাটনবারা''' ({{lang-en |Sir David Frederick Attenborough}}), (জন্ম: [[৮ই মে]], [[১৯২৬]], [[লন্ডন]], [[ইংল্যান্ড]]) প্রখ্যাত ব্রিটিশ সম্প্রচারক, লেখক এবং [[প্রামাণ্যচিত্র]] নির্মাতা। টেলিভিশনে নতুন ধারার প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের মাধ্যমে প্রকৃতি, জীবজগৎ, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও বিজ্ঞানের নানা বিষয় সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য তিনি বিখ্যাত। বিশেষ করে [[বিবিসি]] ন্যাচারাল হিস্টরি ইউনিটের তত্ত্বাবধায়নে নির্মিত নয়টি ন্যাচারাল হিস্টরি ডকুমেন্টারি সিরিজ, যা "লাইফ কালেকশন" নামেও জনপ্রিয়, তিনি হলেন সে সিরিজের লেখক এবং উপস্থাপক। সিরিজটি ভূপৃষ্ঠের উদ্ভিদ ও প্রাণীদের নিয়ে ব্যাপক জরিপভিত্তিক আলোচনার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধ।‌ তাঁরতার প্রধান আগ্রহের বিষয় [[প্রাকৃতিক ইতিহাস]]। তিনি বিখ্যাত চলচ্চিত্র প্রযোজক ও অভিনেতা [[রিচার্ড অ্যাটনবারা|স্যার রিচার্ড অ্যাটনবারার]] ছোট ভাই।
 
তাঁকেতাকে [[গ্রেট ব্রিটেন]]ের একজন জাতীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়, যদিও তিনি এই সম্বোধনটি পছন্দ করেন না। ২০০২ সালে বিবিসির [[যুক্তরাজ্য]]ভিত্তিক জনমত জরিপ "১০০ সেরা ব্রিটন"এ তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি টেলিভিশনে একাধারে সাদাকালো, রঙিন, হাই‌ ডেফিনিশন আর [[ফোর কে]] প্রযুক্তির অনুষ্ঠানের সম্প্রচারক হিসেবে [[বাফটা]] (BAFTA) তথা "ব্রিটিশ একাডেমি অব ফ্লিম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্ট অ্যাওয়ার্ড" অর্জন করেছেন।{{সত্যতা}}
 
অ্যাটনবারা পড়াশোনা করেছেন [[কেমব্রিজ]]ের ক্লেয়ার কলেজে। ১৯৪৭ সালে সেখান থেকেই এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করার পর ১৯৪৯ সালে একটি প্রকাশনা সংস্থায় চাকরি শুরু করেন। ১৯৫২ সালে [[ব্রিটিশ ব্রডক্যাস্টিং কর্পোরেশন]] তথা বিবিসি-র একটি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের পর তিনি বিবিসির সাথে যুক্ত হয়ে যান। তাঁরতার জীবন শুরু হয় টেলিভিশন প্রযোজক হিসেবে। [[সরীসৃপ]] সংরক্ষণবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক জ্যাক লেস্টারের সাথে মিলে ১৯৫৪ সালে তিনি ''জু কোয়েস্ট'' (Zoo Quest) নামে একটি টিভি অনুষ্ঠানের ধারণা নিয়ে আসেন। এই অনুষ্ঠানে বনে এবং চিড়িয়াখানায় প্রাণীদের সরাসরি দেখানো হতো। এর মাধ্যমে বিবিসির কর্মপরিসর অনেক বেড়ে যায়।
 
১৯৬৫ সালে বিবিসির দ্বিতীয় টিভি চ্যানেল বিবিসি-২ প্রতিষ্ঠার পর অ্যাটনবারাকে চ্যানেলটির নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব নিয়ে তিনি বেশ কিছু অভূতপূর্ব এবং আলোড়ন সৃষ্টিকারী টিভি অনুষ্ঠানের প্রযোজনা এবং পৃষ্ঠপোষকতা করেন যার মধ্যে রয়েছে কল্পকাহিনিভিত্তিক ''দ্য ফরসাইট সেগা'', জ্যাকব ব্রনোফস্কির ''দি অ্যাসেন্ট অফ ম্যান'' এবং কেনেথ ক্লার্কের ''সিভিলাইজেশন''।
 
১৯৬৮ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি সমগ্র বিবিসি-র টেলিভিশন প্রোগ্রামিং বিভাগের পরিচালক ছিলেন। কিন্তু বিবিসি-র সাধারণ পরিচালক পদের জন্য তাকে আহ্বান জানানোর সম্ভাবনা তৈরি হলে তিনি পদত্যাগ করেন, কারণ তাঁরতার মূল আগ্রহ সরাসরি অনুষ্ঠান নির্মাণে, টেবিল-চেয়ারে বসে প্রশাসনিক কাজ করায় নয়।<ref>[[:en:Life on Air: David Attenborough's 50 Years in Television|Life on Air: David Attenborough's 50 Years in Television]] অ্যাটনবারার জীবন সম্পর্কে একটি বিবিসি প্রামাণ্য চিত্র</ref>
এরপর তিনি স্বাধীনভাবে ধারাবাহিক অনুষ্ঠান নির্মাণ শুরু করেন। প্রথমদিকে তিনি [[নৃবিজ্ঞান]] এবং প্রাকৃতিক ইতিহাসের উপর অনেকগুলো বহুল প্রশংসিত টিভি অনুষ্ঠানের রচনা, এবং ধারাবিবরণী করেছেন; যার মধ্যে রয়েছে ''লাইফ অন আর্থ'', ''দ্য লিভিং প্ল্যানেট'', ''দ্য ট্রায়ালস অফ লাইফ'' এবং ''দ্য লাইফ অফ বার্ডস''। পরবর্তী ধারাবাহিকগুলোতে তাঁকেতাকে [[বিশ্ব উষ্ণায়ন]]ের উপর গুরুত্ব দিতে দেখা গেছে।<ref>[http://www.britannica.com/EBchecked/topic/42130/Sir-David-Attenborough Sir David Attenborough], এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, ১৮ই মার্চ ২০১৩ তারিখে সংগৃহীত</ref>
 
== কর্ম ==