শিখধর্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
১৯ নং লাইন:
| style = padding:8px;
}}
শিখধর্মের উৎস হল গুরু নানক ও
শিখধর্ম একটি [[সর্বেশ্বরবাদ|সর্বেশ্বরবাদী]] (কোনো কোনো দিক থেকে)<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Mark Juergensmeyer|প্রথমাংশ=Gurinder Singh Mann|লেখক-সংযোগ=|বছর=2006|শিরোনাম=The Oxford Handbook of Global Religions|প্রকাশক=Oxford University Press|অবস্থান=US|আইএসবিএন=978-0-19-513798-9|পাতা=41}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Ardinger|প্রথমাংশ=Barbara|লেখক-সংযোগ=|বছর=2006|শিরোনাম=Pagan Every Day: Finding the Extraordinary in Our Ordinary Lives|প্রকাশক=Weisfer|অবস্থান=|আইএসবিএন=978-1-57863-332-6|পাতা=13}}</ref> এবং [[প্রকাশিত ধর্ম]]।<ref name="Nesbitt2005">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Nesbitt|প্রথমাংশ=Eleanor M.|শিরোনাম=Sikhism: a very short introduction|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=fvTK_CfkeasC&pg=PP6|সংগ্রহের-তারিখ=19 July 2010|তারিখ=15 November 2005|প্রকাশক=Oxford University Press|আইএসবিএন=978-0-19-280601-7|পাতা=136}}</ref> শিখধর্মে ‘ঈশ্বর’ ধারণা হল “[[ওয়াহেগুরু|ওয়াহিগুরু]]” – যা [[নিরঙ্কর|নিরাকার]], [[অকাল|অনন্ত]] ও [[অলখ নিরঞ্জন|দৃষ্টির অগম্য]] (অর্থাৎ, যা চর্মচক্ষে দেখা যায় না): ‘নিরঙ্কর’, ‘অকাল’ ও ‘অলখ’। শিখ ধর্মশাস্ত্রের শুরুর অক্ষরটি হল ‘১’ – যা ‘ঈশ্বরে’র বিশ্বজনীনতার প্রতীক। শিখ শাস্ত্রমতে, ‘ঈশ্বর’ হলেন সর্বব্যাপী ও সর্বশক্তিমান।
[[File:Amritsar-golden-temple-00.JPG|thumb|[[হরমন্দির সাহিব]] (লোকমুখে স্বর্ণমন্দির নামে পরিচিত) হল শিখদের একটি পবিত্র ধর্মস্থান।]]
৪২ নং লাইন:
| পাতা = 12}}</ref> এই ‘সত্ত্বা’র কোনো লিঙ্গের উল্লেখ শিখধর্মে নেই (যদিও অনুবাদে এটিকে পুরুষ হিসেবেই দেখানো হয়)। এটি ‘অকাল পুর্খ’ (সময় ও বিশ্বের অতীত) এবং ‘নিরঙ্কর’ (নিরাকার)। এছাড়া, নানক লিখেছেন যে, একাধিক বিশ্বে তিনি প্রাণ সৃষ্টি করেছেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Dev|প্রথমাংশ=Nanak |লেখক-সংযোগ=Guru Nanak|শিরোনাম=Gurū Granth Sāhib |ইউআরএল=http://www.srigranth.org/servlet/gurbani.gurbani?Action=Page&Param=15&punjabi=t&id=632#l632 |সংগ্রহের-তারিখ=15 June 2006 |পাতা=15 |উক্তি=You are the One True Lord and Master of all the other beings, of so many worlds.}}</ref>
নানক আরও লিখেছেন যে, ‘অকাল’কে বোঝা মানুষের অসাধ্য।<ref name="p252"/> তবে একই সময়ে এটি সম্পূর্ণ অজ্ঞাতও নয়। ‘অকাল’ সকল সৃষ্টিতে সর্বব্যাপী (‘[[সর্ব ব্যাপক]]’) এবং আধ্যাত্মিকভাবে যাঁরা জাগরিত হন
[[গুরু গ্রন্থ সাহিব|গুরু গ্রন্থ সাহিবের]] প্রথম চরণে উল্লিখিত [[মূল মন্তর]] এবং তার নির্দিষ্ট [[রাগ (সংগীত)|রাগ]]:
৭৩ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ|শিখ গুরু}}
[[File:Sikh Gurus with Bhai Bala and Bhai Mardana.jpg|thumb|upright|১৯শ শতাব্দীর একটি দুষ্প্রাপ্য [[তাঞ্জোর চিত্রকলা|তাঞ্জোর]] শৈলীর চিত্রে দশ শিখ গুরু এবং [[ভাই বালা]] ও [[ভাই মর্দানা]]।]]
[[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত ভাষায়]] ‘গুরু’ শব্দের অর্থ শিক্ষক, সহায়ক বা উপদেশদাতা। ১৪৬৯ থেকে ১৭০৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দশ জন নির্দিষ্ট শিখ গুরু শিখধর্মের প্রথা ও দর্শন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রত্যেক গুরু পূর্বতন শুরুর শিক্ষার সঙ্গে নতুন কথা যোগ করেন এবং সেগুলি কার্যে পরিণত করেন। এর ফলে শিখধর্মের জন্ম হয়। গুরু নানক ছিলেন শিখধর্মের প্রথম গুরু এবং তিনি
গুরু নানকের উত্তরসূরি ছিলেন [[গুরু অঙ্গদ]]। তৃতীয় শিখ গুরু [[গুরু অমর দাস|গুরু অমর দাসের]] সময়কাল শিখধর্মের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। গুরু নানকের শিক্ষা ছিল মোক্ষের অনুসন্ধান করা। গুরু অমর দাস জন্ম, বিবাহ ও মৃত্যু-সংক্রান্ত স্বতন্ত্র প্রথা অনুমোদন করে অনুগামীদের নিয়ে একটি পৃথম সম্প্রদায় গড়ে তোলেন। এছাড়া তিনি ''মানজি'' ([[ডায়োসিস|ডায়োসিসের]] সমতুল্য) নামে একটি যাজক ব্যবস্থাও স্থাপন করেন।<ref name="p254" />
গুরু অমর দাসের উত্তরসূরি ও জামাতা [[গুরু রাম দাস]] [[অমৃতসর]] শহরটি স্থাপন করেন। এই শহরেই [[হরমন্দির সাহিব]] অবস্থিত এবং এটি শিখদের কাছে পবিত্রতম শহর হিসেবে পরিচিত। [[গুরু অর্জন]] শিখদের সংগঠিত করতে শুরু করলে [[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল]] কর্তৃপক্ষ
[[File:Interior of Akal Takht.jpg|thumb|[[অকাল তখত|অকাল তখতের]] অভ্যন্তরভাগ।]]
|