জোন অব আর্ক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Aishik Rehman (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২১ নং লাইন:
}}
 
'''জোন অফ আর্ক''' ([[জানুয়ারি ৬]], [[১৪১২]] – [[মে ৩০]], [[১৪৩১]]) পরাধীন [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] মুক্তিদাত্রী বীরকন্যা এবং রূপকথাতুল্য এক নেত্রী। জান্ দার্ক(Jeanne ď Arc), যিনি ইংরেজিতে Joan Of Arc নামে পরিচিত। ইংরেজদের সঙ্গে [[শতবর্ষ ব্যাপী যুদ্ধ]] এর(১৩৩৭-১৪৫৩) সময় তিনি ফ্রান্সের সৈন্যবাহিনীকে নেতৃত্ব দেন। তাঁরতার স্মরণে ফ্রান্সে অনেক স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে।
 
== জন্ম ==
২৭ নং লাইন:
 
== দৈববাণী শোনা এবং রাজার সাথে সাক্ষাৎ ==
জোন লেখাপড়া জানতেন না। কথিত আছে, মাত্র তের বছর বয়সে মাঠে ভেড়ার পাল চরাবার সময় তিনি দৈববাণী শুনতে পান যে তাঁকেতাকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার ও ফ্রান্সের প্রকৃত রাজাকে ক্ষমতায় পূনর্বহাল করার জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। এই দৈববানী তাঁরতার জীবনকে আমূল পালটে দেয়।
 
এর পর জোন অনেক চেষ্টা করে ফ্রান্সের পলাতক রাজা সপ্তম চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন এবং দেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য তাঁরতার কাছে সৈন্য প্রার্থনা করেন। রাজা প্রথমে অবজ্ঞা প্রদর্শন করলেও [[যাজক সম্প্রদায়|যাজক সম্প্রদায়ের]] পরামর্শে জোনকে সৈন্যসাহায্য দিতে সম্মত হন।
 
== জোনের অভিযান ==
জোন সাদা পোশাক পরিধান করে একটি সাদা ঘোড়ায় চড়ে [[পঞ্চক্রুশধারী তরবারি]] হাতে ৪০০০ সৈন্য নিয়ে ১৪২৯ সালের ২৮শে এপ্রিল অবরুদ্ধ নগরী [[অরলেয়াঁ|অরলেয়াঁয়]] প্রবেশ করেন। প্রথম আক্রমণেই তাঁরাতারা জয়লাভ করেন এবং এরপর তাঁদের একের পর এক সাফল্য আসতে থাকে। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরাতারা ইংরেজ সৈন্যদের কবল থেকে [[তুরেলবুরুজ]] শহর উদ্ধার করেন। এর পর [[পাতে'র যুদ্ধ|পাতে'র যুদ্ধেও]] ইংরেজরা পরাজিত হয়। জুন মাসে জোন তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে শত্রুদের ব্যূহ ভেদ করে [[রীইঁ]](Reims) নগরী অধিকার করেন। এরপর ১৬ই জুলাই সপ্তম চার্লস ফ্রান্সের রাজা হিসেবে আবার সিংহাসনে অভিষিক্ত হন এবং এভাবে জোন ফ্রান্সকে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে দেন। জোনের মাধ্যমে ফ্রান্স ইংল্যান্ডের মধ্যকার [[শতবর্ষ ব্যাপী যুদ্ধ]] অবসান ঘটে।
 
== জোনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও হত্যা ==
ফ্রান্সের স্বাধীনতার পর ইংরেজরা জোনকে জব্দ করার ফন্দি আঁটতে থাকে। [[কঁপিঞ্যান্]](Compiègne) শহরের বহির্ভাগে শত্রুসৈন্যদের ওপর আক্রমণকালে ফ্রান্সের রাজনৈতিক দল [[বার্গেন্ডি কর্মী|বার্গেন্ডি-কর্মীদের]] বিশ্বাসঘাতকতার সুযোগ নিয়ে ইংরেজরা জোনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তারপর এক ইংরেজ পাদ্রির অধীনে তাঁরতার বিচারকাজ চলে। বিচারে তাঁরতার কার্যকলাপকে প্রচলিত ধর্মমতের বিরোধী আখ্যা দিয়ে তাঁকেতাকে 'ডাইনি' সাব্যস্ত করা হয়। আইনে এর শাস্তির বিধান ছিল জীবন্ত পুড়িয়ে মারা। এই রায় অনুসারে জোনকেও তাই ১৪৩১ খ্রিষ্টাব্দে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। তাঁরতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ফরাসিরা চিরতরে ফ্রান্সে ইংরেজদের সকল অধিকার ও চিহ্ন মুছে দেয়ার প্রয়াস পায়। পৃথিবীর ইতিহাসে জোন অফ আর্ক এক প্রেরণার নাম।
 
[[বিষয়শ্রেণী:ফ্রান্সের ইতিহাস]]