বাংলাদেশে ব্যাংকিং: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হলেও এর ব্যাংকিং ব্যবস্থা কিছুটা দুর্বল, বিশেষ করে যেসকল গ্রাহক সেবা সরকারী ব্যাংকসমূহ কর্তৃক পরিচালিত হয়ে থাকে।
 
সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো অন্যান্য উন্নত দেশের ব্যাংকিং কাঠামো অনুসরণ করতে চাইলেও বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু অনভিজ্ঞ এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত নীতিনির্ধারকদের জন্য তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
৬ নং লাইন:
== ইতিহাস ==
=== স্বাধীনতার পূর্বে ===
বাাংলার প্রথম আধুনিক [[ব্যাংক]] ছিল 'হিন্দুস্থান ব্যাংক', যা ১৭৭০ সালে [[কলকাতা|কলকাতায়]] প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দে বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত এটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান 'মেসার্স আলেক্সান্ডার এন্ড কোম্পানি' এর একটি শাখা হিসেবে পরিচালিত হয়েছিলো। ব্যাংকটির কার্যক্রম কলকাতা এবং এর আশে পাশের কয়েকটি অঞ্চলে পরিচালিত হতো।
 
কলকাতা ভিত্তিক কিছু ব্যাংক ১৯' শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত এসেও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে নি।এদের মধ্যে জেনারেল ব্যাংক অব বেঙ্গল অ্যান্ড বিহার (১৭৩৩-৭৫); বেঙ্গল ব্যাংক (১৭৮৪-৯১); (পরবর্তী ব্যাংক অব বেঙলের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই);  জেনারেল ব্যাংক (পরবর্তীতে জেনারেল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া) (১৭৮৬-৯১); বাণিজ্যিক ব্যাংক (১৮১৯-৩৩);  কলকাতা ব্যাংক (১৮২৪-২৯);  ইউনিয়ন ব্যাংক (১৮২৯-৪৮);  সরকারি সঞ্চয় ব্যাংক (১৮৩৩-অজানা); এবং মির্জাপুর ব্যাংক (১৮৩৫-৩৭) উল্লেখযোগ্য।
 
১৮০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতা ব্যাংক অনেক প্রাচীন হলেও কিছু ক্ষেত্রে এখনো এর অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। ব্যাংকটির নাম পরিবর্তন করে ১৮০৯ সালে ব্যাংক অব বেঙ্গল রাখা হয় এবং 'ইম্পেরিয়াল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া'র সাথে ১৯২১ সালে একত্রিত করা হয়, পরবর্তীতে ১৯৫৫ সালে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় রুপান্তর করা হয়।
৬৩ নং লাইন:
১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে এবং আশির দশকের শুরুতে সরকারের উৎসাহে কৃষি উন্নয়ন ও বেসরকারী শিল্পের মাধ্যমে ঋণদানের প্রক্রিয়াগুলোতে পরিবর্তন আসে।বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কৃষক ও জেলেদের ঋণ প্রদান করে বৃদ্ধি করে।১৯৭৭-৮৫ এর মধ্যে ব্যাংকের গ্রামীণ শাখার সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩৩০ এ পৌঁছায়।বেসরকারি শিল্পের প্রবৃদ্ধির কারণে [[বাংলাদেশ ব্যাংক]] ও [[বিশ্বব্যাংক]] ক্রমবর্ধমান উঠতি বেসরকারি উৎপাদন খাতে তাদের ঋণ সহায়তা প্রদান করছে।জিডিপির মোট শতকরা হিসাবে বেসরকারি কৃষিতে তফসিলভুক্ত ব্যাংকের অগ্রগতি ১৯৭৯ অর্থবছরে ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৯৮৭ অর্থবছরে ১১ শতাংশ হলেও বেসরকারি উৎপাদনে অগ্রগতি হয়েছে ১৩ শতাংশ থেকে ৫৩ শতাংশ।
 
ইতোমধ্যে অর্থ-অগ্রাধিকার খাতের পরিবর্তনের ফলে প্রশাসন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হয়।ঋণগ্রহীতা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তখনো কোনো টেকসই প্রজেক্ট-এপ্রাইজাল ব্যাবস্থা গৃহিত হয় নি।ঋণগ্রহীতা ও প্রকল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের হাতে পর্যাপ্ত স্বায়ত্তশাসন ছিলনা,প্রায়শই বিভিন্ন কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ লক্ষ করা যেত।কার্যত,ব্যাংকগুলো তখন নতুন করে ঋণ দেওয়া থেকেও প্রাপ্য বকেয়া আদায়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছিল কেননা বকেয়া সমস্যা দূর করার জন্য হিসাব সংরক্ষণ ও ঋণ সংগ্রহ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না।ঋণখেলাপের ব্যাপারটি যেন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল কেননা ঋণগ্রহীতারা ঋণ পরিশোধে ব্যার্থ হচ্ছিলো।ঋণ প্রদান শুধুমাত্র বেসরকারি ব্যাক্তিদের অনুদান সহায়তা হিসেবে দেওয়া হতো।যারা কিনা অর্থনৈতিক কারন থেকেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে বেশি ঋণ পেত। ১৯৮৬ অর্থবছরে কৃষি ঋণের বকেয়া আদায়ের হার ছিল মাত্র ২৭ শতাংশ,শিল্প ঋণের ক্ষেত্রে আরও খারাপ অবস্থা ছিল। এই দুরবস্থার ফলে অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ব্যবস্থাপনা ও ঋণ শৃঙ্খলা জোরদার করতে সরকার ও ব্যাংকগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য প্রধান ঋণদাতারা চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। ফলস্বরূপ,১৯৮৭ সালের দিকে বকেয়া আদায়ের হার বাড়তে শুরু করে। ১৯৮৭ সালের শুরুর দিকে অর্থ, ঋণ ও ব্যাংকিং বিষয়ক জাতীয় কমিশন বাংলাদেশের ঋণসুদ হার ব্যবস্থার পরিবর্তনের প্রস্তাব দেয়, যার অনেকগুলো নীতিই ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সাথে [[আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল|আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের]] স্বাক্ষরিত তিন বছরের ক্ষতিপূরণমূলক অর্থায়ন সুবিধা নিয়ে তৈরি করা।
 
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় অন্যতম সমস্যা ছিল [[গ্রামীণ ব্যাংক]], যেটি সরকারী প্রকল্প হিসেবে ১৯৭৬ সালে এবং স্বাধীন/স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসেবে ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে।আশির দশকের শেষের দিকে ব্যাংকটি কোনো বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াই হত-দরিদ্র মানুষদের আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যৌক্তিক শর্তে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া শুরু করে।এর গ্রাহক ছিল মূলত ভূমিহীন মানুষেরা যারা বাসস্থানসহ অন্যান্য সব আর্থিক কার্যক্রমের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ নিত।ব্যাংকটির ৭০ শতাংশ ঋণগ্রহীতাই ছিল মহিলা,যারা কিনা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নজরে আসতো না। গ্রামীণ উদ্যোক্তারা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে নলকূপ,রাইস মিলস্,ওয়েল মিলস্,তাঁতের কলের