নাগরিকত্ব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ahmmedrejowan (আলোচনা | অবদান) সংশোধন, সম্প্রসারণ, অনুবাদ |
|||
৭ নং লাইন:
প্রত্যেক দেশেরই নিজস্ব নীতি, বিধান এবং মানদন্ড রয়েছে যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে নাগরিক হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। একজন ব্যক্তিকে কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে নাগরিক হিসেবে অভিহিত করা যায় বা তাকে নাগরিকত্ব দেয়া যায়। সাধারণত একজন ব্যক্তি জন্মের মাধ্যমে সরাসরি একটি দেশের নাগরিক হয়ে যায়, আর অন্যান্য বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আবেদন করার প্রয়োজন পড়ে।
* '''জন্মসুত্রে''' (''jus sanguinis'')- যদি কোনো ব্যক্তির পিতা-মাতার যে কোনো একজন বা উভয়ই যদি কোনো একটি দেশের নাগরিক হন, তবে সেই ব্যক্তির সেই দেশের নাগরিক হওয়ার অধিকার থাকতে পারে। পূর্বে এটি শুধুমাত্র পিতার দিক থেকে বিবেচনা করা হত, কিন্তু বিংশ শতকের লিঙ্গ সমতার ফলে এটি এখন সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। নাগরিকত্ব দেয়া হয় কোনো ব্যক্তির পূর্বপুরুষ বা তার জাতিগত পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে। এই বিষয়টি ইউরোপের জাতি-রাষ্টের ধারণার সাথে সম্পর্কিত। রক্তের সম্পর্ক থাকলে যদি কোনো ব্যক্তির পিতা-মাতার একটি দেশের নাগরিকত্ব থাকে এবং সে যদি সেই দেশের বাইরে জন্মগ্রহণ করে তবে সেও নাগরিক বলে গন্য হবে। কিছু দেশ ([[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
*'''একটি দেশে জন্মগ্রহণের মাধ্যমে''' (''jus soli'')- কিছু ব্যক্তি যে দেশে জন্মগ্রহণ করেন, স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেই দেশের নাগরিক হয়ে যান। [[ইংল্যান্ড]] থেকে এই ধরণের নাগরিকত্বের উৎপত্তি হয়েছিল। যারাই এ রাজ্যে জন্মগ্রহণ করতো তারা রাজ্যের নাগরিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হত এবং বেশির ভাগ দেশেই এটি একটি সাধারণ আইন। [[আমেরিকা অঞ্চল|আমেরিকার]] বেশিরভাগ দেশ নিঃশর্তভাবে তাদের দেশে জন্মানোর কারণে নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে, যদিও অন্যান্য সকল দেশে এটি প্রায় বিলুপ্তই হয়ে গেছে।
**অনেক ক্ষেত্রে, ভুখন্ড অথবা পিতামাতার সম্পর্ক কিংবা উভয়টির মাধ্যমেই '''দেশে জন্মানোর মাধ্যমে প্রাপ্ত''' (''jus soli'') এবং '''জন্মসূত্রে প্রাপ্ত'''(''jus sanguinis'') নাগরিকত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।
*'''বিবাহসূত্রে''' (''jus matrimonii'')- অনেক দেশ একজন ব্যক্তিকে সে দেশের নাগরিককে বিয়ে করার কারণে দ্রুত নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে। এই ধরণের নাগরিকত্ব দেওয়া দেশ গুলোতে [[
*'''রাষ্ট্র প্রদত্ত নাগরিকত্ব'''- একটি দেশে আইনানুযায়ী প্রবেশকৃত এবং সে দেশে বসবাসের অনুমতি প্রাপ্ত অথবা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রাপ্ত ব্যক্তিকে রাষ্ট্র সাধারণত নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে। তারা সাধারণত সেখানে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বসবয়াস করে। অনেক রাষ্ট্র এধরণের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য কিছু শর্তারোপ করে। যেমন, তার ভাষাজ্ঞান যাচাই, পূর্বের দেশের জীবনযাপন, ভাল আচারণ (কোনো গুরুতর অপরাধের দলিল না থাকা), নৈতিক চরিত্র (যেমন, মাতাল না হওয়া বা জুয়া না খেলা), নতুন রাষ্ট্র ও তার শাসকের প্রতি আনুগত্যের শপথ গ্রহণ এবং পুর্বের দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করা।
*'''বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব বা [[অর্থনৈতিক নাগরিকত্ব]]-''' বিত্তশালী লোকজন নাগরিকত্ব এবং একটি পাসপোর্টের বিনিময়ে সম্পত্তি বা ব্যবসায় বিনিয়োগ, সরকারী বন্ধক কেনা অথবা সরাসরি নগদ অর্থ দান করে। যদিও এটি বৈধ এবং সাধারণত এর সংখ্যা সিমিত, তবুও এই পদ্ধতিটি বিতর্কিত বলে বিবেচিত হয়। বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে সর্বনিম্ন ১০০,০০০ মার্কিন ডলার (৭৪,০০০ ব্রিটিশ পাউন্ড) থেকে সর্বোচ্চ ২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২.১৯ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড) খরচ করতে হবে।
|