ফলাফল (ক্রিকেট): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বাংলা পরিভাষা যোগ |
|||
১ নং লাইন:
'''ফলাফল''' [[ক্রিকেট পরিভাষা|ক্রিকেটীয় পরিভাষাবিশেষ]]। দুই দলের মধ্যকার [[ক্রিকেট]] খেলায় ‘জয়’,
== জয় ও পরাজয় ==
প্রতিপক্ষের তুলনায় অধিক [[রান (ক্রিকেট)|রান]] সংগ্রহের মাধ্যমে যে ফলাফল আসবে তা ‘জয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এছাড়াও সকল [[ইনিংস]] খেলা সম্পন্ন হবার পর যদি রান বেশী থাকে, তাহলেও জয় হিসেবে চিহ্নিত হবে। খেলায় এক পক্ষ বেশী রান করলে জয় ও অপর পক্ষ কম রান তুললে
== সমতা (টাই) ==
{{মূল নিবন্ধ|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে টাই খেলার তালিকা}}
একটি খেলায় তখনই সমতা বা ‘টাই’ হিসেবে ফলাফল ঘোষণা করা হয় যখন খেলা শেষে উভয় দলের রান সংখ্যা সমান হয়। কেবলমাত্র সর্বশেষে [[ব্যাটিং (ক্রিকেট)|ব্যাটিংকারী]] দল তাদের ইনিংস খেলাকালেই এ সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। যেমন: সকল ইনিংস খেলা সম্পন্ন হয়েছে কিংবা সীমিত ওভারের খেলায় নির্দিষ্ট [[ওভার (ক্রিকেট)|ওভার]] খেলা হয়েছে কিংবা খারাপ [[আবহাওয়া]] অথবা মন্দালোকের কারণে খেলা বন্ধ হলেও এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য।
[[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটে]] এটি অপ্রত্যাশিত ঘটনাবিশেষ। কেবলমাত্র দুইবার [[
[[একদিনের আন্তর্জাতিক|একদিনের ক্রিকেটের]] কিছু সংস্করণে, বিশেষ করে [[টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক|টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে]] [[সুপার ওভার]] কিংবা [[bowl-out|বোল-আউটে]] সমতা ভাঙন বা "টাইব্রেক" করে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। অন্যথায় ফলাফল সমতা বা টাই হিসেবে পরিগণিত হবে। কিছু ক্ষেত্রে খেলার ফলাফলকে আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যানে
== অমীমাংসিত (ড্র) ==
১৬-ধারায় বর্ণিত সংজ্ঞানুসারে খেলা সমাপনান্তে জয় অথবা টাই না হলে খেলার ফলাফল অমীমাংসিত বা ‘ড্র’ হিসেবে আখ্যায়িত হবে।
কোন কারণে একটি দল বা উভয় দল তাদের ইনিংসগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে না পারলে ফলাফল অমীমাংসিত বা ড্র হয়। খেলায় ওভারের সংখ্যা অনির্ধারিত হলে একটি দল জয়লাভে সক্ষম না হলেও ব্যাটিং করে অল-আউট না হলে ড্র হিসেবে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারে। এ সময় দলের দুই বা ততোধিক ব্যাটসম্যান খেলা শেষ হবার পূর্ব-পর্যন্ত ক্রিজে অবস্থান করবেন ও [[অপরাজিত (ক্রিকেট)|অপরাজিত]] থাকবেন।
অন্যদিকে, [[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলিংকারী দল]] ব্যাটিং দলকে প্রয়োজনীয় রান সংগ্রহে বাঁধা দিবে। উভয় দলের রানের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও খেলাটি তখন অমীমাংসিত বা ড্র হিসেবে গণ্য হবে।
== ফলাফলহীন ==
সীমিত ওভারের খেলায় খেলা শুরুর পর সম্পূর্ণ করা না হলে
সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলায় প্রত্যেকটি দলকে ফলাফল আনয়ণে পর্যাপ্তসংখ্যক ওভার ব্যাটিং করতে হয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত একদিনের আন্তর্জাতিকে কমপক্ষে ২০ ওভার ও টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে কমপক্ষে ৫ ওভার ব্যাটিং করার আদর্শ মানদণ্ডে নিয়ে আসা হয়েছে। যদি প্রত্যেক দল ঐ নির্ধারিতসংখ্যক ওভার মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়, তাহলেই খেলায় ফলাফল নিয়ে আসা সম্ভবপর। প্রয়োজনে [[ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি]] প্রয়োগ কিংবা [[প্রতিযোগিতা|প্রতিযোগিতায়]] পূর্বে নির্ধারিত আইনের মাধ্যমে ফলাফল প্রদান করা হবে।
২৭ নং লাইন:
একটি খেলা ‘পরিত্যক্ত’ ঘোষণা করা হবে - যদি আবহাওয়া কিংবা আকস্মিকভাবে উদ্ভূত অন্য কোন পরিস্থিতির কারণে খেলা অনুষ্ঠিত না হলে। কোন খেলা শুরুর লক্ষ্যে বোলার তার প্রথম ওভার করার জন্য দৌঁড়ানো শুরু না করলে কর্মকর্তাগণ খেলাটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে পারেন। তখন খেলাটি ‘বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই পরিত্যক্ত’ পরিভাষা ফলাফলে উল্লেখ করা হয়। এ ধরনের খেলা আনুষ্ঠানিকভাবে [[cricket statistics|পরিসংখ্যানগত রেকর্ডে]] উল্লেখ করা হয় না।
জুলাই, ২০০৪ সালের পূর্বে এ ধরনের ফলাফল করা হতো যদি টস করা সত্ত্বেও খেলাটিতে কোন [[ক্রিকেট বল|বল]] মাঠে গড়ানো না হতো। ২০০৪ সাল থেকে [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল]] (আইসিসি) কর্তৃপক্ষ [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট|আন্তর্জাতিক খেলাগুলোর]] বিষয়ে আদেশনামা জারী করে যে, খেলায় টস হবার পর বল মাঠে গড়ানো না হবার কারণে পরিত্যক্ত হলে
== সিদ্ধান্ত প্রদান ==
৩৪ নং লাইন:
[[শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল|শ্রীলঙ্কা দল]] সাময়িকভাবে [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডের]] বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। আম্পায়ার [[Darrell Hair|ড্যারেল হেয়ার]] [[throwing (cricket)|বল ছুঁড়ে]] মারার অভিযোগে [[মুত্তিয়া মুরালিধরন|মুত্তিয়া মুরালিধরনকে]] বোলিংয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে এ ঘটনা ঘটে।
টেস্ট খেলায় এ ঘটনায় একবার কোন একটি দলকে জয় প্রদান করা হয়েছে। ড্যারেল হেয়ার ও [[বিলি ডকট্রোভ]] ২০০৬ সালে সফরকারী [[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তান দলের]] বিপক্ষে ইংল্যান্ড সিরিজের চতুর্থ টেস্টে এ স্বীকৃতি পায়। ২০ আগস্ট, ২০০৬ তারিখে চতুর্থ দিন নির্ধারিত সময়ে চা বিরতির পর মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানায়। হেয়ার অভিযোগ করেন যে, পাকিস্তানী বোলারেরা বলে আঁচড় কেটে ক্ষতের সৃষ্টি করেছিল। এ ঘটনায় তিনি কোন খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করেননি। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে আইসিসি’র সাধারণ সভায় ফলাফল পরিবর্তন করে
== ফলাফল স্বীকার ==
৫৩ নং লাইন:
খেলায় এক দল পরাজয় স্বীকার করলে বা খেলতে অস্বীকৃতি জানালে খেলায় ‘পরাজয় স্বীকার’ কিংবা ‘খেলায় পুরস্কৃত’রূপে ঘোষণা করা হয়।
সময়ের অভাবহেতু খেলা শেষ না হলে ফলাফল
== তথ্যসূত্র ==
|