ইঞ্জিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mahdee Arif (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Mahdee Arif-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে NahidSultanBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
১৫ নং লাইন:
আরেকজন ইঞ্জিনিয়ার এর কথা না বললেই নয়। তিনি হলেন রুডলফ ডিজেল (Rudlof Diesel). প্যারিস এই বিজ্ঞানী ১৮৯২ সালে আরেক ধরনের ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন তাঁর নাম ডিজেল ইঞ্জিন (Diesel Engine)। এই ইঞ্জিনের জ্বালানী হল অন্য শ্রেণীর। বাস, ট্রাক সহ বড় বড় যানবাহন যেগুলোকে অনেক লোড নিতে হয় সেগুলোতে ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়।
বর্তমানে অনেক গাড়ির ইঞ্জিনে জ্বালানী হিসেবে তেলের পরিবর্তে CNG ব্যবহার করা হয়। ইঞ্জিন ডিজাইন, ইঞ্জিন এর জ্বালানী, ইঞ্জিনের তৈরি ধোঁয়া থেকে যে দূষণ ইত্যাদি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আজ ও প্রচুর কাজ হচ্ছে, গবেষনা চলছে।
গাড়ির ইঞ্জিন (4 Stroke) কিভাবে কাজ করে-
ইঞ্জিন নিয়ে অনেকেই বিশেষ করে যারা মেকানিক বা মোটরসাইকেল ফেনাটিক, তারা কম-বেশি কথাবার্তা বলে থাকেন এবং অধিকাংশই এমনভাবে আপনার সামনে সব খুলে বলবে যেন বিশাল রকেট সাইন্স জড়িত এখানে। তাই চেষ্টা করব সিমপ্লি কিছু ব্যাপার খুলে বলতে, ইঞ্জিনের ভেতর কি হয়, কিভাবে হয়।
 
প্রথমেই কিছু টার্মিনোলজির সাথে সবাইকে নতুক করে পরিচয় করায়ে দিব যা প্রতিনিয়ত শুনছেন। টাইমিং চেইন, ক্যামশ্যাফট, ক্র্যাংকশ্যাফট, ভাল্ভ, সিলিন্ডার, পিস্টন…একটা ছবি দিলাম আশা করি পরিষ্কার হবে সব।
 
শ্যাফট দুইটা; একটা, ক্র্যাংক আরেকটা ক্যাম…ক্যামশ্যাফট ভালভের ওপেনিং ক্লোজিং নিয়ন্ত্রণ করে আর ক্র্যাংকশ্যাফট পিস্টনের ওঠা-নামা নিয়ন্ত্রণ করে। আর ক্যাম ও ক্র্যাংকশ্যাফটের মাঝের ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করে টাইমিং চেইন। আর সেজন্যই টাইমিং চেইন যখন সমস্যা করে তখন সেটা সবকিছুতে প্রভাব ফেলে।
 
এবার আসি ইঞ্জিনের ভেতর কি ঘটে তা নিয়ে। আপনার সিংগেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন খোলার সময় দেখবেন মেকানিকরা পিস্টনকে ঘুরিয়ে একটা পজিশনে নিয়ে আসে এবং আর নাড়ায় না যাতে টাইমিং ঠিক থাকে। এর নাম হিসাবে TDC ব্যাবহার করা হয়, যার এভ্রিবিয়েশান হচ্ছে, “টপ ডেড সেন্টার”।অর্থাৎ পিস্টন সর্বোচ্চ পয়েন্টে থাকে।
 
স্ট্রোক ১- ছবিটা কনফিউজিং মনে হতে পারে, কারণ আমি স্ট্রোক বুঝাতে ছবিটা তৈরী করছি। TDC তে দুটা ভাল্ভ ক্লোজ থাকে কিন্তু যখন BDC এর দিকে পিস্টন যাত্রা করে তখন ইনটেইক ভাল্ভ খোলে এয়ার ও ফুয়েল মিক্সার সিলিন্ডারে প্রবেশ করে। স্ট্রোক ১ এখানেই শেষ।
 
স্ট্রোক ২– BDC থেকে যখন পিস্টন TDC এর দিকে যাত্রা করে তখন ইনটেইক ভাল্ভ বন্ধ হয়ে যায়, একে কম্প্রেশান স্ট্রোক বলে কারণ এয়ার ফুয়েল মিক্সার এখানে কম্প্রেস করা হয়।
 
স্ট্রোক ৩– TDC তে পিস্টন পৌছে গেলে স্পার্ক তৈরী হয় এবং কম্বাশচান হয়। এবং পিস্টন BDC এর দিকে ধাবিত হয়। একে পাওয়ার স্ট্রোক বলে আবার এক্সপানশান স্ট্রোকও বলে।
 
স্ট্রোক ৪– একে এক্সহস্ট স্ট্রোক বলে কারণ কম্বাশচানের পর যে এক্সহস্ট গ্যাস তৈরী হয় তা বের হবার জন্য এক্সহস্ট ভাল্ভ খোলে এবং পিস্টন যেহেতু TDC এর দিকে ধাবিত হয় ফলে এক্সহস্ট গ্যাস এক্সহস্ট ভাল্ভ দিয়ে বের হয়ে যায়।
 
আর এই জন্য একে ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন বলে। তাহলে টু স্ট্রোক ইঞ্জিনে কি হয়। সংক্ষেপে বললে, ওখানে ইনটেইক দুইটা গেইট থাকে, বাহিরের এবং ভেতরের। বাহিরের গেইট যখন খোলে তখন ভেতরের গেইট বন্ধ থাকে এবং ভেতরের গেইট খুলে যখন এফু মিক্সার সিলিন্ডারে আসে তখন বাহিরের গেইট বন্ধ থাকে।আর এই বাহিরের দরজা খোলা বন্ধের কাজ নিয়ন্ত্রিত হয় পিস্টন দ্বারা। টু স্ট্রোক ইঞ্জিনে মুভিং পার্টস কম থাকে, তাই খুব কম্প্যাক্ট হয় ফলে ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন থেকে হালকা হয়। পাওয়ার টু ওয়েইট রেশিও তাই হাইয়ার থাকে।
 
একটা ফোর স্ট্রোক ১৫০সিসি ইঞ্জিন ৩৫-৪০কেজি ওজন হয়।
 
আর এই চারটা স্ট্রোকের সমন্বয়ের জন্য কখন কোন ভাল্ভ খুলবে বা বন্ধ হবে পিস্টনের অবস্থান অনু্যায়ি তা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে টাইমিং চেইন + ক্যামশ্যাফট দ্বারা। সিংগেল ক্যামশ্যাফট ব্যবহার করে ইনলেট ও এক্সহস্ট পোর্ট খোলা বন্ধের কাজ করার জন্য “রকার আর্ম” এর সহায়তা নেয়া হয়।
 
== আরও দেখুন ==
৪৪ ⟶ ২২ নং লাইন:
 
[[বিষয়শ্রেণী:ইঞ্জিন]]
En.m.wikipedia.org (how a 4 stroke engine works)