ত্রিদেবী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
ব্রহ্মই আদ্যাশক্তি
৩৬ নং লাইন:
 
হিন্দুধর্মে শিব ও শক্তির কোনো পার্থক্য নেই। শিব ও দুর্গা পরস্পরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। খ্রিস্ট ধর্মের হাইপোস্ট্যাটিক ইউনিয়ন তত্ত্বের সাথে এর গভীর মিল আছে, যেখানে বলা হয়েছে, খ্রিস্টের মনুষ্যত্ব ও দেবত্ব এক ও অবিচ্ছেদ্য। শিব হলেন পরমেশ্বর, যার সেই ঐশ্বরিক রূপ শক্তিরই দান। দুর্গা, পার্বতী কিংবা কালীকে পুজো করা শিবের পুজো করারই সমান, আবার শিবের পূজা ও শক্তির পূজা অভিন্ন।
 
 
'''আদ্যাশক্তি''' হলেন পরম ''ব্রহ্ম''
 
আর ব্রহ্ম যে কি তা মুখে বলে বোঝানো যায়। হৃদয় দিয়ে উপলব্দি করতে হয়।
ব্রহ্ম নিরাকার, ব্রহ্মের সাকার রুপই আদ্যাশক্তি মহামায়া।
এই ব্রহ্মান্ড মায়াদ্বারা আচ্ছাদিত, তাই আমরা সবাই মায়াবদ্ধ জীব।
আদ্যাশক্তি মহামায়া জীবের সৎ কর্মে প্রসন্ন হয়ে ব্রহ্ম চৈতন্য দান করেন।
তখন জীব চৈতন্য শক্তি ফিরে পেয়ে নিজেকে ব্রহ্মের স্বরুপ দর্শন করে।
নিজে পরম ব্রহ্মের সাথে লীন হয়ে স্বয়ং ব্রহ্ম হয়ে যান।
 
ব্রহ্মান্ড সৃষ্টির একটি গল্প
 
এক ঋষি মহাদেবকে প্রশ্ন করেছিলেন।
হে মহাদেব আপনার পিতা কে?
মহাদেব বললেন আমার পিতা স্বয়ং ব্রহ্ম।
 
ঋষি আবার প্রশ্ন করলেন।
তাহলে আপনার পিতামহ কে?
মহাদেব বললেন বিষ্ণুদেব আমার পিতামহ।
 
ঋষি আবারও প্রশ্ন করলেন।
আপনার পিতা স্বয়ং ব্রহ্ম, বিষ্ণুদেব আপনার পিতামহ, তাহলে আপনার প্রোপিতামহ কে?
মহাদেব একটু হেঁসে উওর দিলেন আমিই আমার প্রোপিতামহ।
 
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, ব্রহ্মের এই লীলার শুরু নেই শেষও নেই।
আবার বলা যায় যেখানে শুরু সেখানেই শেষ।
 
মহাদেব পরম ব্রহ্মের আধার, আদ্যাশক্তি মহামায়া পরম ব্রহ্মের মহাশক্তি বা চৈতন্য।
মহাদেব আদ্যাশক্তি একই মহাশক্তির চেতনা।
 
আর এই চেতনার প্রধান চৈতন্য হলেন বিষ্ণুদেব,
বিষ্ণুদেবের শক্তি হলেন মাতা মহালক্ষী।
 
জগৎ তের প্রান সঞ্চারের জন্য আবির্ভূত পিতামহ ব্রহ্মা।
পিতামহ ব্রহ্মার শক্তি হলেন মাতা স্বরসতী।
 
ব্রহ্মা বিষ্ণু শিব হচ্ছেন ত্রিমূর্তি।
ত্রিদেবের আবির্ভাবের উৎস হচ্ছেন আদ্যাশক্তি মহামায়া।
নারীদের কাছেই একমাএ জন্ম দেওয়ার শক্তি থাকে।
 
ব্রহ্ম নিরলিপ্ত কিন্তু যখন চৈতন্য শক্তিতে রুপান্তর হয় তখন চক্র আকার ধারন করে।
যার কোন শুরু বা শেষ নেই।
 
উদাহারন
সময় দিয়ে উদাহারন দেওয়া যাক, ঘরির গোলাকার আকৃতি একটি চক্র,
এই চক্রের যেখান থেকে সময় শুরু হয় শেষ হয়। যেখান শেষ হয় আবার শুরু হয়।
কালচক্র ঠিক এমন যা ব্রহ্মের মধ্যে লীন থাকে।
 
==ত্রিদেবীর মাহাত্ম্য==