মোহাম্মদ আবদুল মমিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৩২ নং লাইন:
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
মো. আবদুল মমিনের জন্ম [[চাঁদপুর জেলা|চাঁদপুর জেলার]] সদর উপজেলার কামরাঙ্গা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম হায়দার আলী মুন্সি এবং মায়ের নাম নোয়াবজান বিবি। তাঁর স্ত্রীর নাম মোসা. আমেনা খাতুন। তাঁর তিন ছেলে ও এক মেয়ে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |
== কর্মজীবন ==
৪০ নং লাইন:
মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে আখাউড়া যুদ্ধে মো. আবদুল মমিন যথেষ্ট সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শন করেন। [[৩০ নভেম্বর]] থেকে [[৫ ডিসেম্বর]] পর্যন্ত আখাউড়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর কয়েকটি দল অংশ নেয়। মো. আবদুল মমিনের দল আখাউড়ার উত্তর দিকে সিঙ্গারবিল হয়ে অগ্রসর হয়। সিঙ্গারবিলের আশপাশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বড় রকমের সংঘর্ষ হয়। মুক্তিযোদ্ধারা সিঙ্গারবিল জেটি ও পার্শ্ববর্তী রাজাপুর দখল করেন। এরপর তাঁরা আজমপুর রেলস্টেশনে আক্রমণ চালান। মুক্তিযোদ্ধাদের অপর দল ১ ডিসেম্বর দুপুরে আজমপুর রেলস্টেশন দখল করেছিল; কিন্তু পাকিস্তানি সেনারা পাল্টা আক্রমণ করে কয়েক ঘণ্টা পর স্টেশনটি পুনর্দখল করে। তখন ‘এস’ ফোর্সের অধিনায়ক কে এম সফিউল্লাহ আজমপুর রেলস্টেশন পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেন। এরপর মো. আবদুল মমিনের দল সেখানে আক্রমণ চালায়।
[[১৬ ডিসেম্বর]] ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন; কিন্তু ঢাকা শহরের একটি অংশ (মিরপুর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী অবাঙালিদের (বিহারি) দখলে থেকে গেল। তারপর কেটে গেল আরও প্রায় দেড় মাস। অবাঙালিরা আত্মসমর্পণ করল না। এরপর সরকার নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্দেশ দিল সেখানে অভিযান চালানোর। মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে আক্রমণ চালানোর আগে অবাঙালিদের আবার নির্দেশ দিলেন আত্মসমর্পণ করতে। তারা আত্মসমর্পণ না করে বরং আকস্মিক আক্রমণ চালাল মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর। শুরু হয়ে গেল ভয়াবহ যুদ্ধ। রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারাই বিজয়ী হন; কিন্তু অবাঙালিদের হাতে শহীদ হলেন লেফটেন্যান্ট সেলিম, মো. আবদুল মমিনসহ প্রায় দেড়শ জন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মো. আবদুল মমিন।
মিরপুর ছিল অবাঙালি অধ্যুষিত এলাকা। ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে মিত্রবাহিনীর ১০ বিহার রেজিমেন্ট মিরপুরে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার কাছে নিয়োজিত থাকে। সেখানে বিপুলসংখ্যক অস্ত্রধারী অবাঙালি আত্মগোপন করেছিল। [[৩০ জানুয়ারি]] থেকে মুক্তিযোদ্ধারা (দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পুলিশ) মিরপুরে অভিযান শুরু করে। তাঁরা সেখানে যাওয়া মাত্র প্রচণ্ড আক্রমণের সম্মুখীন হন। <ref name="shatoMonishi">{{বই উদ্ধৃতি|
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
|