সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mohsinkakon (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস: অন্য উৎস থেকে অনুলিপি করা লেখা বাতিল
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২২ নং লাইন:
==ইতিহাস==
সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ১৯৪৬ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে ১৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে '''জামালপুর কলেজ''' নামে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন জামালপুর মহকুমা মাদারগঞ্জের ''আলহাজ আশেক মাহমুদ তালুকদার'' এর নামে ''জামালপুর কলেজ''কে আশেক মাহমুদ কলেজ নামকরণ করা হয়। প্রথমদিকে কলেজটি [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালযয়ের]] অধীন পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৯২ সালে থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালযয়ের অধিভূক্ত। ১৯৭৯ সালে কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৯২ সালে বাংলা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রথম অনার্স কোর্স চালু করা হয়। বর্তমানে {{কখন}} কলেজটিতে ১৪টি বিষয়ে অনার্স ও ৪টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। আয়তনের দিক থেকে রংপুর [[কারমাইকেল কলেজ|কারমাইকেল কলেজের]] পরেই সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অবস্থান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.banglanews24.com/education/news/bd/415510.details|শিরোনাম=জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজে ৭ বিষয়ে মাস্টার্স চালু :: BanglaNews24.com mobile|প্রথমাংশ=|শেষাংশ=BanglaNews24.com|প্রকাশক=}}</ref>
 
১৯৪৬ সালে জামালপুর কলেজ নামে বর্তমান সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ঐতিহাসিক এ পথ চলার পেছনের ইতিহাস আরো পুরোনো। ১৮৪৫ সালে জামালপুরে মহকুমা স্থাপনের পর ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা করে জামালপুরের তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক আর সি দত্ত ও কিছু বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি জামালপুর শহর অঞ্চলে একটি কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ উপলক্ষে ১৯৪০ সালে করোনেশন রিডিং ক্লাবে এক সভায় কার্যকরি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে চাঁদা আদায় করে একটি প্রাথমিক তহবিল গঠন করা হয়। এছাড়া অপর এক সভায় প্রত্যেক ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টকে ২০০ টাকা করে চাঁদা ধরা হয়। শুধু তাই নয়, এতদঅঞ্চলে সাধারণ জনগণও কলেজ স্থাপনে এগিয়ে আসেন এবং সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করেন। ফলে কলেজ স্থাপনের প্রাথমিক তহবিল নিশ্চিত হয়। ১৯৪১ সালের ১০ই জুন প্রভিশনাল ওয়ার্কি কমিটির সভায় সরকারি ইটখোলা  (কৈ-এর বিল) নামক স্থানে কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং কলেজ স্থাপনের জন্য ইটখোলা কলেজকে দান করার জন্য সরকারের নিকট দরখাস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু ১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কারণে কলেজ স্থাপনের কাজ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়। ১৯৪৪ সালের ৮ই ডিসেম্বর কলেজের সাংগঠনিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং উক্ত সভায় কলেজ এফিলিয়েশন প্রাপ্তির জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। ২৯/০৬/১৯৪৫ তারিখে ৩৮১৩/- টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমাদানের পর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে সরকারি ইটখোলা (৩১) একত্রিশ একর জমি জামালপুর কলেজ দীর্ঘমেয়াদি ইজারা পায়। তৎকালে জামালপুরে যে পাবলিক মেলা অনুষ্ঠিত হতো সেখান থেকেও কলেজের জন্য ২০,০০০/- টাকা চাঁদা সংগ্রহ করা হয় এবং জেলা কমিটির দানের টাকা নিয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের যাত্রা শুরু হয়। কলেজ প্রতিষ্ঠার পর মাদারগঞ্জের কৃতী সন্তান আলহাজ্ব আশেক মাহমুদ তালুকদার ৪০,০০০ টাকা অনুদান প্রদান করলে ১৯৪৭ সালে জামালপুর কলেজ নাম পরিবর্তন করে নামকরণ করা হয় আশেক মাহমুদ কলেজ। ১৯৭৯ সালে সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রত্যেক মহকুমা শহরে একটি করে কলেজ জাতীয়করণ করলে এটিও তার আওতায় ঐ বছর জাতীয়করণ করা হয়। দানবীর আলহাজ্ব আশেক মাহমুদ তালুকদার ছাড়াও স্থানীয় জনগণ ও জামালপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ কলেজ উন্নয়নে সাহায্য-সহযোগিতা করেন। ফলে বিভিন্ন জনের সাহায্য-সহযোগিতায় কলেজের জন্য ৪৪.২০ একর জায়গা পাওয়া যায়।
 
==অনুষদ সুমহ==