ভারতীয় জনতা পার্টি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা |
Nokib Sarkar (আলোচনা | অবদান) ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৫৮ নং লাইন:
১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী [[ইন্দিরা গান্ধী]] ভারতে [[ভারতে জরুরি অবস্থা|জরুরি অবস্থা]] জারি করেন। জনসংঘ জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে। এই সময় অন্যান্য দলের প্রতিবাদীদের সঙ্গে জনসংঘেরও কয়েক হাজার কর্মী কারারুদ্ধ হয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া হয় এবং সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। [[সোশ্যালিস্ট পার্টি (ভারত)|সোশ্যালিস্ট পার্টি]], [[কংগ্রেস (ও)]] ও [[ভারতীয় লোক দল]] সহ কয়েকটি দলের সঙ্গে একত্রিত হয়ে জনসংঘ [[জনতা পার্টি]] গঠন করে। এই দলের প্রধান এজেন্ডা ছিল ইন্দিরা গান্ধীকে ক্ষমতাচ্যুত করা।{{sfn|Guha|2007|p=136}}
১৯৭৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে জনতা পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে [[মোরারজি
পূর্বতন জনসংঘের জাতীয় নেতৃবৃন্দ সচেতনভাবেই জনসংঘের রাজনৈতিক পরিচয় পরিত্যাগ করে জনতা পার্টির রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে গিয়েছিলেন। জনতা পার্টির আদর্শ ছিল গান্ধীবাদী ও হিন্দু ঐতিহ্যবাদী আদর্শ। ক্রিস্টোফ জ্যাফরেলটের মতে, এটি একটি অসম্ভব একত্রীকরণ প্রমাণিত হয়।{{sfn|Jaffrelot|1996|pp=282-283}} জনসংঘের রাজ্য ও স্থানীয় স্তরের নেতৃবৃন্দ আপেক্ষিকভাবে অপরিবর্তিত থেকে যান। এঁরা আরএসএসের সঙ্গে তাঁদের দৃঢ় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেননি। আরএসএসও জনতা পার্টির মধ্য-দক্ষিণপন্থার সঙ্গে নিজেকে খাপ খায়নি।{{sfn|Jaffrelot|1996|pp=292-301, 312}} জনতা পার্টির শাসনকালে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ১৯৭৮-৭৯ সালে আলিগড় ও জামশেদপুরের দাঙ্গায় পূর্বতন জনসংঘের সদস্যরা জড়িয়ে পড়েছিলেন। জনতা পার্টির অন্য প্রধান শাখাগুলি দাবি করতে থাকে জনসংঘ আরএসএসের সংশ্রব ত্যাগ করুক। কিন্তু জনসংঘ তা করতে অস্বীকার করে। এরপর জনতা পার্টির একাংশ দলত্যাগ করে [[জনতা পার্টি (সেক্যুলার)]] গঠন করে। মোরারজি দেশাই সরকার সংসদে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। ফলে মোরারজি দেশাই পদত্যাগ করেন। এরপর কিছুকাল জোট সরকারের শাসনের পর ১৯৮০ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জনতা পার্টি খুবই খারাপ ফল করে। এই নির্বাচনে জনতা পার্টি ৩১টি আসন জয় করেছিল। ১৯৮০ সালের এপ্রিল মাসে নির্বাচনের কিছুদিন পরেই জনতা পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ দলের সেই সব সদস্যদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, যাঁরা দল ও আরএসএসের দ্বৈত সদস্যপদ রক্ষা করছিলেন। এরপরই পূর্বতন জনসংঘের সদস্যরা ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’ নামে নতুন একটি দল গঠন করেন।{{sfn|Jaffrelot|1996|pp=301-312}}{{sfn|Guha|2007|pp=538-540}}
|