কুরআন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
15RAYHAN (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
15RAYHAN (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৯ নং লাইন:
 
===সংকলন===
মহানবী স. এর জীবদ্দশায় তাঁর তত্ত্বাবধানে প্রথম পূর্ণ [[ কুরআন]] লিপিবদ্ধ হয়।কিন্তু এগুলো এক জায়গায় একত্রিত করা হয়নি।প্রথম খলিফা [[হযরত আবু বকর]] রা.-এর যুগে দ্বাদশ [[হিজরি]] সালে [[ইয়ামামা]]র [[যুদ্ধে]] সত্তর জন [[হাফেজ]]ে [[কুরআন]] [[শাহাদাত]] বরণ করেন।এতে হযরত [[ওমর]] রা. উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তিনি [[খলিফা]] [[ আবু বকর ]] রা.-কে বলেন,"এভাবে[[ জেহাদজিহাদ]]ে [[ হাফেজ]]গন [[ শহিদশহীদ]] হতে থাকলে[[ কুরআন]]েরর অনেক অংশ বিলুপ্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। অতএব,আপনি [[কুরআন]][[মাজিদ]] একত্রে[[সংকলন]]ের ব্যাবস্তা গ্রহন করুন।" প্রথমে [[আবু বকর]] রা. রাজি না হলেও [[ওমর]] রা. এর অনুরোধে রাজি হন।কুরআন সংরক্ষণের এ দ্বায়িত্ব [[রাসূল স.]] এর যুগের ওহি লেখক সাহাবি [[যায়েদ ইবনে সাবেত]] রা. এর উপর প্রদান করা হয়।
[[যায়েদ ইবনে সাবিতসাবেত]] রা. নিজে [[হাফেজ]]ে [[কুরআন]] ছিলেন।তিনি [[কুরআন]] [[সংকলন]] করার ব্যাপারে দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন।একটি হলো-কুরআনের আয়াতটি সংশ্লিষ্ট [[সাহাবিসাহাবা]] মুখস্থ বলবেন,অপরটি হলো তিনি [[মহানবী]] স. এর যুগে লিখিত ঐ [[আয়াত]]টি প্রদর্শন করবেন।তিনি লিখিত ছাড়া [[কুরআন]]ের [[আয়াত]] সত্যায়নের জন্য যতেষ্ট মনে করেননি। তিনি বহু যাচাই বাছাই করতঃসাহাবায়ে কেরামের নিকট রক্ষিত রাসুলুল্লাহ স. এর জীবদ্দশায় লিখিত বিভিন্ন পাণ্ডুলিপি থেকে সে সময়ের আবিষ্কৃত বিশেষ [[কাগজ]]ে গ্রন্থাকারে [[কুরআন]] লিপিবদ্ধ করেন।
লিপিবদ্ধ [[কুরআন]]টি [[হযরত আবু বকর]] রা.-তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।তাঁর ওফাতের পর,এটি হযরত [[ওমর]] রা.-এর হেফাজতে থাকে।তাঁর শাহাদাতের পর,তাঁরই ওসিয়ত অনুসারে [[কুরআন]]ের এ প্রতিলিপিটি নবি করিম স. এর স্ত্রী বিবি [[হাফসা]] রা.-এর নিকট গচ্ছিত থাকে।
তৃতীয় [[খলিফা]] [[উসমান ]] রা. -এর যুগে ইসলামি সম্রাজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটে। [[ইসলাম]]ের এ প্রসারের ফলে বিভিন্ন [[জাতি]] ও [[ভাষাবাষি]] লোকেরা দলে দলে [[ইসলাম]] কবুল করে।তাঁদের অনেকেই [[কুরআন]]ের গঠন পদ্ধতি অনুসরণ করে [[কুরআন]]ের বিশেষ [[শব্দ]] উচ্চারণ করতে পারত না।বিশেষ করে [[আরমেনিয়া]] এবং [[আজারবাইজান]] যুদ্ধে সমবেত [[মুসলমান]]দের [[কুরআন]] পাঠ পদ্ধতির বিভিন্নতা দেখে বিশিষ্ট [[সাহাবি]] [[হুযাইফা]] রা.]] [[খলিফা]] [[উসমান]] রা.-কে বিষয়টি অবহিত করেন।তিনি অবিলম্বে এ নিয়ে নেতৃস্থানীয় [[সাহাবিসাহাবা]]দের সাথে পরামর্শ করে চার জন বিশিষ্ট [[সাহাবিসাহাবা]] সমন্বয়ে একটি বোর্ড গঠন করেন। এ চার জন সাহাবি[[সাহাবা]] হচ্ছেন-
১)[[যায়েদ ইবনে সাবিত]] রা.
২)[[আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর]] রা.
৩৮ নং লাইন:
এবং ৪)[[আব্দুর রহমান ইবনে হারিস]] রা.
হযরত [[উসমান]] রা.-এর উদ্দোগে [[হিজরি]] ২৪ সালে শেষবারের মতো কুরআন সংকলনের এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বোর্ড হযরত [[হাফসা]] রা.-এর নিকট সংরক্ষিত মূল কপিটি সংগ্রহ করেন।উক্ত বোর্ড পূর্বলিখিত প্রতিলিপিটি অনুসরণ করে পাঠ ও উচ্চারনের বিভিন্নতা দূর করার জন্য শুধু [[কুরাইশ]]ি উচ্চারণ ও [[ভাষা]]য় তার আরও সাতটি প্রতিলিপি প্রস্তুত করেন।
বর্ণিত আছে যে,সাতটি প্রতিলিপি তৈরি করে [[মক্কা]],[[শাম]],[[ইয়ামনইয়েমেন]],[[বাহরাইন]],[[বসরা]] ও [[কুফা]] প্রদেশে একটি করে প্রেরণ করা হয়।আর রাজধানী [[মদিনা]]তে একটি কপি [[খলিফা]]র নিকট সংরক্ষিত রাখা হয়। এরপর বিভ্রান্তি নিরসনের জন্য বিক্ষিপ্তভাবে সংরক্ষিত প্রতিলিপিগুলো সকলের কাছ থেকে সংগ্রহ করে বিনষ্ট করে দেওয়া হয়। এভাবে [[ইসলাম]]ের তৃতীয় [[খলিফা]] হযরত [[উসমান]] রা.-এর পত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে [[পবিত্র]][[কুরআন]] সংকলিত ও বিভিন্ন [[প্রদেশ]]ে প্রেরিত হয় বিধায় তাঁকে "جمع القرآن " বা কুরআন সংগ্রহকারী বলা হয়।
 
==ইসলামে গুরুত্ব==