খিলাফত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৮ নং লাইন:
ইসলামী পরিভাষায় খলীফা হলেন এমন ব্যক্তি যিনি যাবতীয় বিষয়ে [[শরিয়াহ|শরীআত]] অনুযায়ী সমস্ত [[উম্মাহ|উম্মাত]]কে পরিচালিত করেন। ইসলামী রাষ্ট্রে খলীফা সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে গভর্ণর, শাসক, নেতা, [[কাজি|কাযী]] নিযুক্ত করেন।
 
== খলিফা হওয়ার শর্তাবলি ==
শর্তগুলোর প্রধান কয়েকটি হল:
# মুসলিম হওয়া
# প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়া
# নেতৃত্ব গ্রহণের প্রতি আগ্রহ না থাকা
# পুরুষ হওয়া
# স্বাধীন হওয়া
# উম্মাহ দরদীন্যায়পরায়ণ হওয়া
# বিবেকসম্পন্ন হওয়া
# বাতিল ও কাফেরদের সাথে আপোষহীন এবং জিহাদি জযবা থাকা
# জ্ঞান (ইলম) থাকা
# আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী হওয়া।
# দ্বীনদার পরহেজগার মুত্তাকী ও সুন্নাতের পাবন্দ থাকা
 
== কুরআনে উল্লেখ ==
কুরআনে নবী দাউদকে খিলাফাত দেয়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, {{উক্তি|"হে দাঊদ, নিশ্চয় আমি তোমাকে যমীনে খলীফা বানিয়েছি, অতএব তুমি মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার করো আর প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয় তাদের জন্য কঠিন আযাব রয়েছে। কারণ তারা হিসাব দিবসকে ভুলে গিয়েছিল।"|{{কুরআন উদ্ধৃতি|38|26|s=ns}}}}
 
== খলিফা নিযুক্ত হওয়ার পদ্ধতি ==
# শূরা পরিষদের দ্বারা নিযুক্ত হওয়া
# পূর্বের খলিফা দ্বারা নিযুক্ত হওয়া
 
== বাইআত ==
ইসলামে '''বাই'আত''' হল আল্লাহর অবাধ্যতা ছাড়া{{refn|খলিফা আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার আদেশ করলে তা মানা বৈধ নয়।|group=টীকা}} খলিফার আনুগত্য করার উপার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।
 
== খলিফাকে অপসারণ ==
যেসব কারণে খলিফাকে অপসারণ করা হয়:
# কুফরী করলে বা ইসলাম পরিত্যাগ করলে
# সালাত পরিত্যাগ করলে বা সালাতের প্রতি আহ্বান পরিত্যাগ করলে
# গুনাহগার,দুশ্চরিত্র,বিলাসবহুল,অহংকারী, অত্যাচারী,বেইন্সাফি,বিজাতীয় সংস্কৃতি ও শত্রুকাফের প্রীতি হলে.
# আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন না করলে
# দ্বীন,রাষ্ট্র ও জনগণ এর অকল্যাণ হলে
# বিবেকবুদ্ধি লোপ পেলে বা শারীরিকভাবে অক্ষম ও ভীতু প্রকৃতির হলে
# সালাত পরিত্যাগ করলে বা সালাতের প্রতি আহ্বান পরিত্যাগ করলে
*রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা দ্বীন,জনগণ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে এবং প্রয়োজনে আলেমদের ফতোয়ার ভিত্তিতে খলিফাকে অপসারণ করে নতুন খলিফা নিযুক্ত করবেন।
# আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন না করলে
# বিবেকবুদ্ধি লোপ পেলে বা শারীরিকভাবে অক্ষম ও ভীতু প্রকৃতির হলে
 
=== বিদ্রোহ ===
*রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা দ্বীন,জনগণ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে এবং প্রয়োজনে আলেমদের ফতোয়ার ভিত্তিতে খলিফাকে অপসারণ করে নতুন খলিফা নিযুক্ত করবেন।
সুস্পষ্ট কুফরে লিপ্ত অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে অস্ত্রের মাধ্যমে বিদ্রোহ করা ইসলামে বৈধ যদি সামর্থ থাকে, কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার বিধান|ইউআরএল=https://islamqa.info/bn/answers/9911|ওয়েবসাইট=[[ইসলামকিউএ.ইনফো]]}}</ref>
 
=== বিদ্রোহ ===
সুস্পষ্ট কুফরে লিপ্ত অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে অস্ত্রের মাধ্যমে বিদ্রোহ করা ইসলামে বৈধ যদি সামর্থ থাকে, কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার বিধান|ইউআরএল=https://islamqa.info/bn/answers/9911|ওয়েবসাইট=[[ইসলামকিউএ.ইনফো]]}}</ref>
 
== ইসলামী খিলাফাতের ইতিহাস ==
৬২২ খ্রিস্টাব্দে ইসলামের নবী মদিনায় প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করেন ও ইসলামী খেলাফত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। তার মৃত্যুর পর পরবর্তী খলিফা হযরত আবু বকর নির্বাচিত হন এবং ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে রাশেদীন খেলাফত প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর মুয়াবিয়া কর্তৃক উমাইয়া খেলাফত প্রতিষ্ঠা হয়। উমাইয়া খিলাফতের পর আব্বাসীয় খেলাফত ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা হয়। ১২৫৮ সালে মঙ্গলদের আক্রমণে খিলাফতের রাজধানী বাগদাদ ধ্বংস হয় ও খেলাফত বিলুপ্ত হয়। মিশরের মামলুক শাসকদের দ্বারা পুনরায় আব্বাসীয় খেলাফত পুনপ্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫১৭ উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান কর্তৃক উসমানীয় খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্র বাহিনী ও জাতীয়তাবাদীদের হাতে উসমানী খেলাফত বিলুপ্তির মুখে পড়ে। ১৯২৪ সালে সর্বশেষ খলিফা দ্বিতীয় আবদুল মজিদকে নির্বাসিত করে কামাল আতাতুর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে খিলাফত বিলুপ্ত করে।
*৬২২ খ্রিস্টাব্দে ইসলামের নবী রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করেন ও ইসলামী খেলাফত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।তার ইন্তেকালের পর পরবর্তী খলিফা হযরত আবু বকর নির্বাচিত হন এবং
*৬৩২ খ্রিস্টাব্দে রাশেদীন খেলাফত প্রতিষ্ঠা হয়।
*এরপর ইমাম হাসান রা. খেলাফত হস্তান্তর করেন মুয়াবিয়া রা. কাছে তাতে উমাইয়া খেলাফত প্রতিষ্ঠা হয়।
*উমাইয়া খিলাফতের পতনের পর আব্বাসীয় খেলাফত ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা হয়।
*১২৫৮ সালে মঙ্গলদের আক্রমণে খিলাফতের রাজধানী বাগদাদ ধ্বংস হয় ও খেলাফত বিলুপ্ত হয়। তার দুবছর পর মিশরের মামলুক শাসকদের দ্বারা পুনরায় আব্বাসীয় খেলাফত পুনপ্রতিষ্ঠিত হয়।
*১৫১৭ আব্বাসীয় খলিফা খেলাফত হস্তান্তর করেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান প্রথম সেলিম এর কাছে তাতে উসমানীয় খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়।
*১৯০৯ তৎকালীন ফ্রান্স রাশিয়া ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীর ষড়যন্ত্রে ইহুদি-খৃস্টান ও পাশ্চাত্যের আদর্শ ও সেকুলার পন্থী তরুণ তুর্কি বিপ্লবীদের মাধ্যমে উসমানী খিলাফতের স্বাধীন খলিফা সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদকে অপসারণ করার মাধ্যমে খিলাফত ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া হয় এবং ইউরোপ বলকান অঞ্চল ও উত্তর আফ্রিকায় থাকা মুসলিম ভূখণ্ডগুলোর সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে চলে যায়।
*১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্র বাহিনী ও ব্রিটিশদের দালাল শরীফ হোসেন ও প্রথম ফয়সাল এর নেতৃত্বে আরব জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহীদের হাতে উসমানী খেলাফতের অধীনে থাকা পবিত্র ভূমি মক্কা,মদিনা,জেরুজালেম সহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম ভূখণ্ডগুলো হাতছাড়া হয়ে যায়।
*১৯২৪ সালে সর্বশেষ খলিফা দ্বিতীয় আবদুল মজিদকে নির্বাসিত করে,তুর্কি জাতীয়তাবাদী পাশ্চাত্যের আদর্শানুসরী ও সেকুলারপন্থী কামাল আতাতুর্ক এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে খিলাফত বিলুপ্ত করে।
 
== আরও দেখুন ==
৫৯ ⟶ ৪৭ নং লাইন:
*[[আব্বাসীয় খিলাফত]]
*[[উমাইয়া খিলাফত]]
*[[ফাতেমীয় খিলাফত]]
*[[উসমানীয় সাম্রাজ্য]] এর [[উসমানীয় খিলাফাত]]
*[[ইসলামি রাষ্ট্র]]
*[[খলিফাদের তালিকা]]
৬৫ ⟶ ৫৪ নং লাইন:
*[[আমিরুল মুমিনিন]]
 
== টীকা ==
{{সূত্র তালিকা|group=টীকা}}
 
== উপরন্তু পড়ুন ==
*[https://web.archive.org/web/20070629130758/http://www.studyislam.com/isp/jsp/IslamBasic/Islamic_State.html The theory of government in Islam], by The Internet Islamic University