হুমায়ূন আহমেদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Habibshohag123 (আলোচনা | অবদান)
Ajairapara (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
৪৫ নং লাইন:
'''হুমায়ূন আহমেদ''' ([[১৩ নভেম্বর]], [[১৯৪৮]] &ndash; [[১৯ জুলাই]], [[২০১২]]) ছিলেন একজন বাংলাদেশী [[ঔপন্যাসিক]], [[ছোটগল্প|ছোটগল্পকার]], [[নাট্যকার]] এবং [[গীতিকার]], চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় [[বাঙালি]] কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bdmorning.com/entertainment/49239 |শিরোনাম=হুমায়ূন আহমেদ, বেঁচে থাকুন |প্রকাশক=বিডি মর্নিং |তারিখ=১৩ নভেম্বর ২০১৫ |সংগ্রহের-তারিখ=১ মে ২০১৬}}</ref>
 
[[ঢাকা কলেজ]] থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]]ে [[রসায়ন]] এবং [[নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়|নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে]] পলিমার রসায়ন শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[রসায়ন]] বিভাগের [[অধ্যাপক]] হিসাবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে অধ্যাপনা ও শিল্পকর্ম একই সাথে চালানোর সিদ্ধান্ত ত্যাগ করেন। লেখালেখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে অধ্যাপনা ছেড়ে দেন।
 
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাঁকে আটক করে এবং নির্যাতনের পর হত্যার জন্য গুলি চালায়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।<ref name="bonikbarta.com">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bonikbarta.com/magazine-post/167/%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%82%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6--/ |শিরোনাম=‘হুমায়ূন আহমেদ’ : ফয়জুল লতিফ চৌধুরী |প্রকাশক=বণিকবার্তা}}</ref> হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রথম উপন্যাস ''[[নন্দিত নরকে]],'' ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়। সত্তর দশকের এই সময় থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। তাঁর সৃষ্ট [[হিমু (চরিত্র)|হিমু]] এবং [[মিসির আলি]] ও [[শুভ্র]] চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। বিজ্ঞান কল্পকাহিনীও তাঁর সৃষ্টিকর্মের অন্তর্গত, তাঁর রচিত প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ''তোমাদের জন্য ভালোবাসা''। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশি না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো ''[[মধ্যাহ্ন]]'', ''[[জোছনা ও জননীর গল্প]]'', ''মাতাল হাওয়া'', ''লীলাবতী'', ''কবি'', ''বাদশাহ নামদার'' ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্যের উপন্যাস শাখায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে [[বাংলা একাডেমি]] প্রদত্ত [[বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার]] লাভ করেন। এছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে [[বাংলাদেশ সরকার]] তাঁকে [[একুশে পদক|একুশে পদকে]] ভূষিত করে।