উসমানীয় সাম্রাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
13টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
২০৯ নং লাইন:
পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলো কর্তৃক নতুন নৌপথ আবিষ্কার হওয়ার তারা উসমানীয়দের বাণিজ্যিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের বাইরে যেতে সক্ষম হয়। ১৪৮৮ সালে পর্তুগিজরা [[উত্তমাশা অন্তরীপ]] আবিষ্কার করে যার ফলে [[ভারত মহাসাগর|ভারত মহাসাগরে]] [[ভারত মহাসাগরে উসমানীয় নৌ অভিযান|উসমানীয়-পর্তুগিজ নৌযুদ্ধ]] শুরু হয়। [[আজুরান সাম্রাজ্য]] এসময় উসমানীয়দের সাথে যোগ দেয়।<ref>COINS FROM MOGADISHU, c. 1300 to c. 1700 by G. S. P. Freeman-Grenville pg 36</ref>
 
জার [[চতুর্থ আইভান]] ভলগা ও কাস্পিয়ান অঞ্চলে রাজ্যবিস্তার করেন। ১৫৭১ সালে ক্রিমিয়ান খান দেভলেত গিরাই উসমানীয়দের সমর্থন প্রাপ্ত হয়ে [[রুশ-ক্রিমিয়ান যুদ্ধ (১৫৭১)|মস্কো জ্বালিয়ে দেন]]।<ref name="Davies2007">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Brian L. Davies|শিরোনাম=Warfare, State and Society on the Black Sea Steppe: 1500–1700|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=XH4hghHo1qoC&pg=PA16|সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|বছর=2007|প্রকাশক=Routledge|আইএসবিএন=978-0-415-23986-8|পাতা=16}}</ref> পরের বছর পুনরায় আক্রমণ করা হয় তবে মুলুডির যুদ্ধে তা প্রতিহত করা হয়। [[ক্রিমিয়ান খানাত]] পূর্ব ইউরোপে আক্রমণ অব্যাহত রাখে<ref name="Subtelny2000">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Orest Subtelny|শিরোনাম=Ukraine|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=HNIs9O3EmtQC&pg=PA106|সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|বছর=2000|প্রকাশক=University of Toronto Press|আইএসবিএন=978-0-8020-8390-6|পাতা=106}}</ref> এবং ১৭শ শতাব্দীর শেষ নাগাদ পূর্ব ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে টিকে ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.econ.hit-u.ac.jp/~areastd/mediterranean/mw/pdf/18/10.pdf |শিরোনাম=The Crimean Tatars and their Russian-Captive Slaves |প্রথমাংশ=Eizo |শেষাংশ=Matsuki |প্রকাশক=Mediterranean Studies Group at Hitotsubashi University |বিন্যাস=PDF |সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110501041101/http://www.econ.hit-u.ac.jp/~areastd/mediterranean/mw/pdf/18/10.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=১ মে ২০১১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}{{dead link|date=April 2014}}</ref>
 
দক্ষিণ ইউরোপে স্পেনের দ্বিতীয় ফিলিপের নেতৃত্বাধীন ক্যাথলিক জোট [[লেপান্টোর যুদ্ধ|লেপান্টোর যুদ্ধে]] উসমানীয় নৌবহরের সাথে লড়াইয়ে জয়ী হয়। তবে উসমানীয়রা দ্রুত সেরে উঠে। ১৫৭৩ সালে ভেনিসের সাথে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা উসমানীয়দেরকে উত্তর আফ্রিকায় তাদের সীমানা বৃদ্ধি ও সংহত করার সুযোগ দেয়।{{sfn|Itzkowitz|1980|p=67}}
২৩৩ নং লাইন:
[[File:January Suchodolski - Ochakiv siege.jpg|thumb|অকহাকভ অবরোধের সময় উসমানীয় সেনাদের দ্বারা রুশ বাহিনীকে প্রতিহতের চেষ্টা, ১৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দ]]
 
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সংস্কার সাধন করা হয়। এজন্য ইস্তানবুল টেকনিকাল ইউনিভার্সিটির মত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.itu.edu.tr/en/?about/history |শিরোনাম=History |প্রকাশক=Istanbul Technical University |সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2011 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120618160944/http://www.itu.edu.tr/en/?about%2Fhistory |আর্কাইভের-তারিখ=১৮ জুন ২০১২ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ১৭৩৪ সালে পাশ্চাত্য গোলন্দাজ কৌশলের সাথে পাল্লা দেয়ার জন্য আর্টিলারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়।<ref name="books.google_a">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Stone|প্রথমাংশ=Norman|সম্পাদক=Mark Erickson, Ljubica Erickson|শিরোনাম=Russia War, Peace And Diplomacy: Essays in Honour of John Erickson|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=xM9wQgAACAAJ|সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|বছর=2005|প্রকাশক=Weidenfeld & Nicolson|আইএসবিএন=978-0-297-84913-1|পাতা=97|অধ্যায়=Turkey in the Russian Mirror}}</ref> ১৭২৬ সালে [[ইবরাহিম মুতেফেরিকা]] উজিরে আজম নেভশেহিরলি দামাত ইবরাহিম পাশা, উজিরে আজম ও অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদেরকে ছাপাখানার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে সক্ষম হন এবং সুলতান তৃতীয় আহমেদ ধর্মীয় বিষয় বাদে অন্যান্য বই ছাপানোর অনুমতি দেন।<ref name="katip celebi">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://vitrine.library.uu.nl/en/texts/Rarqu54.htm |শিরোনাম=Presentation of Katip Çelebi, Kitâb-i Cihân-nümâ li-Kâtib Çelebi |প্রকাশক=Utrecht University Library |তারিখ=5 May 2009 |সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130212030334/http://vitrine.library.uu.nl/en/texts/Rarqu54.htm |আর্কাইভের-তারিখ=১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ১৭২৯ সালে মুতেফেরিকার প্রেস প্রথম বই প্রকাশ করে এবং ১৭৪৩ সাল নাগাদ ২৩ খন্ডে ১৭টি রচনা প্রকাশ করেন যার প্রত্যেক খন্ডের ৫০০ থেকে ১০০০ এর মত কপি ছিল।<ref name="katip celebi" /><ref name="watson">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Watson|প্রথমাংশ=William J.|শিরোনাম=Ibrahim Muteferrika and Turkish Incunabula|সাময়িকী=Journal of the American Oriental Society|বছর=1968|খণ্ড=88|সংখ্যা নং=3|পাতা=435|ডিওআই=10.2307/596868|jstor=596868}}</ref>
 
১৭৬৮ সালে রুশ সমর্থিত ইউক্রেনিয়ান সেনারা উসমানীয়দের নিয়ন্ত্রিত বাল্টায় প্রবেশ করে এবং এখানকার নাগরিকদের উপর গণহত্যা চালায় ও শহরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এর ঘটনা [[রুশ-তুর্কি যুদ্ধ (১৭৬৮-১৭৭৪)|রুশ-তুর্কি যুদ্ধে]] অংশ গ্রহণের জন্য উসমানীয়দের প্রভাবিত করেছে। ১৭৭৪ সালে কুচুকের সন্ধি যুদ্ধ সমাপ্ত করে।{{sfn|Kinross|1979|p = 405}} ১৮শ শতাব্দীর শেষ নাগাদ রাশিয়ার সাথে কিছু লড়াইয়ে পরাজয়ের ফলে কারো কারো মনে ধারণা জন্মায় যে [[পিটার দ্য গ্রেট|পিটার দ্য গ্রেটের]] সংস্কার রুশদের শক্তিশালী করেছে এবং উসমানীয়দেরও সামনে আর পরাজয় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পাশ্চাত্য প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে।<ref name="books.google_a" />
২৪৭ নং লাইন:
[[File:Opening ceremony of the First Ottoman Parliament at the Dolmabahce Palace in 1876.jpg|thumb|[[দলমাবাচ প্রাসাদ|দলমাবাচ প্রাসাদে]] প্রথম [[উসমানীয় সংসদ]] উদ্বোধন, ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দ। [[প্রথম সাংবিধানিক যুগ]] শুধু দুই বছর স্থায়ী ছিল।]]
 
[[তানজিমাত]] যুগে ধারাবাহিক সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে যোগদান, ব্যাংকিং প্রক্রিয়া সংস্কার, সেকুলার আইনের প্রবর্তন<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Ishtiaq|প্রথমাংশ=Hussain|শিরোনাম=The Tanzimat: Secular reforms in the Ottoman Empire|ইউআরএল=http://faith-matters.org/images/stories/fm-publications/the-tanzimat-final-web.pdf|প্রকাশক=Faith Matters}}</ref> ও আধুনিক কারখানার প্রবর্তন করা হয়। ১৮৪০ সালের ২৩ অক্টোবর উসমানীয় ডাক মন্ত্রণালয় স্থাপিত হয়।<ref name="PTT">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.ptt.gov.tr/tr/kurumsal/tarihce.html |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080913233443/http://www.ptt.gov.tr/tr/kurumsal/tarihce.html |আর্কাইভের-তারিখ=13১৩ Septemberসেপ্টেম্বর 2008২০০৮ |শিরোনাম=PTT Chronology |প্রকাশক=PTT Genel Müdürlüğü |ভাষা=Turkish |তারিখ=13 September 2008 |সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013 |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref><ref name="PTT2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.ptt.gov.tr/index.snet?wapp=histor_en&open=1 |শিরোনাম=History of the Turkish Postal Service |প্রকাশক=Ptt.gov.tr |সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2011 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://www.webcitation.org/60fvalW5U?url=http://www.ptt.gov.tr/index.snet?wapp=histor_en |আর্কাইভের-তারিখ=৪ আগস্ট ২০১১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
[[স্যামুয়েল মোর্স]] ১৮৪৭ সালে সুলতান [[প্রথম আবদুল মজিদ|প্রথম আবদুল মজিদের]] কাছ থেকে [[টেলিগ্রাফ]] নিয়ে প্যাটেন্ট লাভ করেন। সুলতান এই নতুন আবিষ্কার ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা করেছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.istanbulcityguide.com/history/body_mansions_palaces.htm |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071010112702/http://www.istanbulcityguide.com/history/body_mansions_palaces.htm |আর্কাইভের-তারিখ=10১০ Octoberঅক্টোবর 2007২০০৭ |শিরোনাম=Beylerbeyi Palace |প্রকাশক=Istanbul City Guide |সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013 |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}{{dead link|date=April 2014}}</ref> এই সফল পরীক্ষার পর তুরস্কে প্রথমবারের মত ইস্তানবুল-এডির্ন-শুমনু লাইনে টেলিগ্রাফ স্থাপন করা হয়।<ref name="NTVtarih2">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ntvtarih.com.tr/ |সংখ্যা নং=July 2011 |শিরোনাম=Sultan Abdülmecid: İlklerin Padişahı |পাতা=49 |ভাষা=Turkish |প্রকাশক=NTV Tarih |সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}</ref> ১৮৪৭ সালের ৯ আগস্ট এর কার্যক্রম শুরু হয়।<ref name="telekomhistory">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.turktelekom.com.tr/webtech/eng_default.asp?sayfa_id=30 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070928164731/http://www.turktelekom.com.tr/webtech/eng_default.asp?sayfa_id=30 |আর্কাইভের-তারিখ=28২৮ Septemberসেপ্টেম্বর 2007২০০৭ |শিরোনাম=History |প্রকাশক=Türk Telekom |সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013 |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}{{dead link|date=April 2014}}</ref> সংস্কারকালীন সময়ে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। এই প্রথম সংবিধান স্বল্পস্থায়ী ছিল। সংসদ চালু থাকার দুই বছর পর সুলতান তা স্থগিত করেন।
 
সাম্রাজ্যের খ্রিষ্টান নাগরিকরা উচ্চশিক্ষায় মুসলিমদের চেয়ে অগ্রসর হয়ে যায়।<ref name="books.google_b">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Stone|প্রথমাংশ=Norman|সম্পাদক=Mark Erickson, Ljubica Erickson|শিরোনাম=Russia War, Peace And Diplomacy: Essays in Honour of John Erickson|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=xM9wQgAACAAJ|সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|বছর=2005|প্রকাশক=Weidenfeld & Nicolson|আইএসবিএন=978-0-297-84913-1|পাতা=95|অধ্যায়=Turkey in the Russian Mirror}}</ref> ১৮৬১ সালে উসমানীয় খ্রিষ্টানদের জন্য ৫৭১টি প্রাথমিক ও ৯৪টি মাধ্যমিক স্কুল ছিল যার মোট শিক্ষার্থী ছিল ১,৪০,০০০ জন যা সেসময়ে স্কুলে পড়া মুসলিম শিক্ষার্থীদের চেয়ে অনেক বেশি। মুসলিম শিক্ষার্থীরা মূলত আরবি ও ইসলাম বিষয়ে পড়াশোনা করত।<ref name="books.google_b"/> ১৯১১ সালে ইস্তানবুলের ৬৫৪টি পাইকারি কোম্পানির মধ্যে ৫২৮টির মালিক ছিল জাতিগত গ্রীকরা।<ref name="books.google_b"/>
৩৩১ নং লাইন:
১৯শ শতাব্দীতে উসমানীয় সাম্রাজ্যের আধুনিকায়ন শুরু হয়। ১৮২৬ সালে সুলতান [[দ্বিতীয় মাহমুদ]] জানিসারি দলকে বিলুপ্ত করেন এবং আধুনিক উসমানীয় সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। তাদেরকে [[নিজাম-ই জেদিদ]] নাম দেয়া হয়। সেনাবাহিনীতে দক্ষ বিদেশিদের নিয়োগ দেয়া হয় এবং অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে পাঠানো হয়। [[তরুণ তুর্কি]] আন্দোলন শুরু হওয়ার সময় এসব তরুণ ও নতুন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অফিসাররা তাদের শিক্ষা সমাপ্ত করে ফিরে আসছিলেন।
 
ইউরোপে সাম্রাজ্যের বিস্তারে [[উসমানীয় নৌবাহিনী]] বড় ভূমিকা রেখেছিল। উত্তর আফ্রিকা জয়ের মাধ্যমে এর সূচনা হয়। ১৮২১ সালে গ্রীস ও ১৮৩০ সালে আলজেরিয়া হারানোর মাধ্যমে দূরবর্তী অঞ্চলে নৌবাহিনীর প্রভাব কমা শুরু হয়। সুলতান [[আবদুল আজিজ]] শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনের প্রচেষ্টা চালান। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পর বৃহত্তম নৌবহর গড়ে তোলা হয়। ১৮৮৬ সালে ইংল্যান্ডের বেরোর জাহাজ নির্মাণস্থল উসমানীয় সাম্রাজ্যের জন্য প্রথম সাবমেরিন তৈরি করে।<ref name="first submarine at shipyard">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.ellesmereportstandard.co.uk/latest-north-west-news/Petition-created-for-submarine-name.4001190.jp |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080423225019/http://www.ellesmereportstandard.co.uk/latest-north-west-news/Petition-created-for-submarine-name.4001190.jp |আর্কাইভের-তারিখ=23২৩ Aprilএপ্রিল 2008২০০৮ |শিরোনাম=Petition created for submarine name |প্রকাশক=Ellesmere Port Standard |সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013 |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}{{dead link|date=April 2014}}</ref>
 
[[File:Ottoman Navy at the Golden Horn.jpg|thumb|left|[[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] শুরুর দিকে একটি জার্মান পোস্টকার্ডে [[উসমানীয় নৌবাহিনী|উসমানীয় নৌবাহিনীর]] চিত্রায়ন। শীর্ষে বামে সুলতান [[পঞ্চম মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|পঞ্চম মুহাম্মদের]] ছবি।]]
৩৩৯ নং লাইন:
[[File:Turkish pilots in 1912.jpg|thumb|[[উসমানীয় বিমান বাহিনী|উসমানীয় বিমান বাহিনীর]] পাইলট, ১৯১২।]]
 
১৯০৯ সালের জুন থেকে ১৯১১ সালের জুলাইয়ের মধ্যে [[উসমানীয় বিমান বাহিনী]] প্রতিষ্ঠিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.turkeyswar.com/aviation/aviation.htm|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120512225046/http://www.turkeyswar.com/aviation/aviation.htm|আর্কাইভের-তারিখ=12১২ May 2012মে ২০১২|শিরোনাম=Story of Turkish Aviation |প্রকাশক=Turkey in the First World War |সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2011|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}{{dead link|date=April 2014}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.hvkk.tsk.tr/EN/IcerikDetay.aspx?ID=19 |শিরোনাম=Founding |প্রকাশক=Turkish Air Force |সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2011 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20111007104345/http://www.hvkk.tsk.tr/EN/IcerikDetay.aspx?ID=19 |আর্কাইভের-তারিখ=৭ অক্টোবর ২০১১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> উসমানীয় সাম্রাজ্য তার নিজস্ব পাইলট ও প্লেন তৈরি শুরু করে। ১৯১২ সালের ৩ জুলাই এভিয়েশন স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে সাম্রাজ্যের ফ্লাইট অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হত। এভিয়েশন স্কুল প্রতিষ্ঠার ফলে নতুন অনেকে বাহিনীতে তালিকভুক্ত হয় এবং নৌ ও বিমানবাহিনী নতুন পাইলট লাভ করে। ১৯১৪ সালের জুনে নতুন সামরিক একাডেমি, নেভাল এভিয়েশন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া থমকে যায়। যুদ্ধে উসমানীয় বিমানবাহিনী পশ্চিমে গালিসিয়া থেকে পূর্বে ককেসাস ও দক্ষিণে ইয়েমেনে অনেক যুদ্ধক্ষেত্রে অংশ নিয়েছে।
 
==প্রশাসনিক বিভাগ==
{{মূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক বিভাগ}}
[[File:Ottoman Empire (1795).png|thumb|১৭৯৫ সালে এলায়েতসমূহ।]]
উসমানীয় সাম্রাজ্য প্রদেশে বিভক্ত ছিল। এগুলো ছিল নির্দিষ্ট অঞ্চল এবং সুলতান প্রদেশের গভর্নর নিয়োগ দিতেন।<ref name="Imber">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Imber|প্রথমাংশ=Colin|শিরোনাম=The Ottoman Empire, 1300–1650: The Structure of Power|ইউআরএল=http://www.fatih.edu.tr/~ayasar/HIST236/Colin%20_Imber.pdf|বছর=2002|পাতাসমূহ=177–200|সংগ্রহের-তারিখ=২৯ ডিসেম্বর ২০১৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140726115700/http://www.fatih.edu.tr/~ayasar/HIST236/Colin%20_Imber.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=২৬ জুলাই ২০১৪|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
 
[[এলায়েত]] ছিল [[বেলেরবেয়ি|বেলেরবেয়ির]] অফিসের অঞ্চল। এগুলো [[সানজাক|সানজাকে]] বিভক্ত করা হত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|লেখক১=Raymond Detrez|লেখক২=Barbara Segaert|শিরোনাম=Europe and the historical legacies in the Balkans|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=htMUx8qlWCMC&pg=PA167|সংগ্রহের-তারিখ=1 June 2013|তারিখ=1 January 2008|প্রকাশক=Peter Lang|আইএসবিএন=978-90-5201-374-9|পাতা=167}}</ref>
৩৭৫ নং লাইন:
[[File:Bridge and Galata Area, Istanbul, Turkey by Abdullah Frères, ca. 1880-1893 (LOC).jpg|thumb|[[গালাটা|গালাটার]] দৃশ্য এবং [[গোল্ডেন হর্ন|গোল্ডেন হর্নে]] গালাটা সেতু, ১৮৮০-১৮৯৩।]]
 
১৯শ শতাব্দীতে আদমশুমারি শুরু হয়। ১৮৩১ এর পর থেকে এ সংক্রান্ত সরকারি দলিল পাওয়া যায় তবে এতে সমগ্র জনসংখ্যার হিসাব পাওয়া যায় না।<ref name="Kabadayı">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Kabadayı|প্রথমাংশ=M. Erdem|শিরোনাম=Inventory for the Ottoman Empire / Turkish Republic|ইউআরএল=http://www.iisg.nl/research/labourcollab/turkey.pdf|প্রকাশক=Istanbul Bilgi University|আর্কাইভের-তারিখ=28২৮ Octoberঅক্টোবর 2011২০১১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20111028114335/http://www.iisg.nl/research/labourcollab/turkey.pdf|তারিখ=28 October 2011|সংগ্রহের-তারিখ=২৯ ডিসেম্বর ২০১৮|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> প্রথমদিককার হিসাবগুলো জরিপকৃত জনসংখ্যার গঠনের উপর ভিত্তিতে প্রণীত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Shaw|প্রথমাংশ=S J|শিরোনাম=The Ottoman Census System and Population, 1831–1914|বছর=1978|প্রকাশক=Cambridge University Press|পাতা=325|কর্ম=International Journal of Middle East Studies|উক্তি=The Ottomans developed an efficient system for counting the empire's population in 1826, a quarter of a century after such methods were introduced in Britain, France and America}}</ref>
 
১৮০০ সাল জনসংখ্যা নাগাদ ২৫-৩২ মিলিয়নে পৌছায়। এর মধ্যে ইউরোপীয় প্রদেশগুলোতে ছিল প্রায় ১০ মিলিয়ন (প্রাথমিকভাবে বলকানে), এশীয় প্রদেশগুলোতে ১১ মিলিয়ন এবং আফ্রিকান প্রদেশগুলোতে প্রায় ৩ মিলিয়ন। ইউরোপীয় প্রদেশগুলোতে জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল যা ছিল আনাতোলিয়ার দ্বিগুণ। আবার আনাতোলিয়ার জনসংখ্যা ইরাক ও সিরিয়ার তিনগুণ এবং আরবের পাঁচগুণ ছিল।{{sfn|Quataert|2000|pp = 110–111}}
৪১৪ নং লাইন:
দেভশিরমে নামক প্রথা অনুযায়ী বলকান ও আনাতোলিয়া থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক খ্রিষ্টান বালককে তাদের বয়ঃপ্রাপ্তির আগে সেনাবাহিনীতে ভর্তি করা হত এবং মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলা হত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |লেখক=Shaw and Shaw |শিরোনাম=History of the Ottoman Empire |পাতাসমূহ=112–129}}</ref>
 
[[মিল্লাত (উসমানীয় সাম্রাজ্য)|মিল্লাত]] প্রথা অনুযায়ী অমুসলিম নাগরিকরা সাম্রাজ্যের প্রজা হিসেবে বিবেচিত হত তবে ইসলামি আইন তাদের উপর প্রযোজ্য হত না। অর্থোডক্স মিল্লাত তখনও [[করপাস জুরিস সিভিলিস|জাস্টিনিয়ান কোডের]] অনুসরণ করত যা ৯০০ বছর ধরে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যে প্রচলিত ছিল। সর্ববৃহৎ অমুসলিম সম্প্রদায় হওয়ায় অর্থোডক্স মিল্লাতকে রাজনীতি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.loyno.edu/history/journal/1998-9/Krummerich.htm |আর্কাইভের-ইউআরএল=//web.archive.org/web/20090610014150/http://www.loyno.edu/history/journal/1998-9/Krummerich.htm |আর্কাইভের-তারিখ=10 June 2009 |শিরোনাম=The Divinely-Protected, Well-Flourishing Domain: The Establishment of the Ottoman System in the Balkan Peninsula |প্রথমাংশ=Sean |শেষাংশ=Krummerich |সাময়িকী=The Student Historical Journal |খণ্ড=30 |বছর=1998–99 |প্রকাশক=Loyola University New Orleans |তারিখ=10 June 2009 |সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}{{dead link|date=April 2014}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.globaled.org/nyworld/materials/ottoman/turkish.html |শিরোনাম=Turkish Toleration |প্রকাশক=The American Forum for Global Education |সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20010320091629/http://globaled.org/nyworld/materials/ottoman/turkish.html |আর্কাইভের-তারিখ=২০ মার্চ ২০০১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
উসমানীয় ইহুদি সম্প্রদায়ের জন্য অনুরূপ মিল্লাত প্রথা চালু করা হয়। তারা [[হাখাম বাশি]] বা উসমানীয় প্রধান রেবাইয়ের নেতৃত্বে থাকত; আর্মেনিয়ান অর্থোডক্স সম্প্রদায় একজন প্রধান বিশপের অধীনে ছিল; এছাড়া কিছু অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায় ছিল। মিল্লাত প্রথা প্রাক আধুনিক সমাজে ধর্মীয় বহুত্ববাদের উদাহরণ।<ref name=Sachedina>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=The Islamic Roots of Democratic Pluralism |প্রথমাংশ=Abdulaziz Abdulhussein | শেষাংশ =Sachedina |বছর=2001 |প্রকাশক=[[Oxford University Press]] |আইএসবিএন=0-19-513991-7}}</ref>