বিষয়শ্রেণী:জলবায়ু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Khadem Ashraful Alam (আলোচনা | অবদান)
বিষয়বস্তু যোগ
Khadem Ashraful Alam-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে AftabBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: প্রতিস্থাপিত পুনর্বহাল
১ নং লাইন:
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Climate|জলবায়ু}}
== জলবায়ুবিজ্ঞান ('''Climatology)''' ==
Climate (জলবায়ু) শব্দটি প্রাচীন গ্রিক শব্দ ''klimalogos'' থেকে উৎপত্তি হয়েছে; ''klima'' অর্থ নতি, আনতি (inclination) বা ঢাল (slope) এবং ''logos'' অর্থ পর্যালোচনার বিশদ ব্যাখ্যা। এখানে নতি, আনতি বা ঢাল বলতে অক্ষাংশিক ধারণাকে নির্দেশ করা হয়েছে। জলবায়ুবিজ্ঞান বায়ুমণ্ডলের ভৌত অবস্থা তথা জলবায়ু নিয়ে আলোচনা করে থাকে। কোনো অঞ্চলের দীর্ঘসময়ের প্রেক্ষাপটে গড় আবহাওয়া অবস্থাগুলোর পর্যালোচনা হিসেবে জলবায়ুকে সংজ্ঞায়িত করা হয়। সুতরাং, জলবায়ুবিজ্ঞানে বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাসমূহের (আবহাওয়া ও জলবায়ুর) আঞ্চলিক ও প্রণালিবদ্ধ পর্যালোচনা অন্তর্ভুক্ত। আবহাওয়া বলতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাসমূহ; অর্থাৎ তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা, মেঘাচ্ছন্নতা, অধঃক্ষেপণ ও দৃশ্যমানতার মোট ফলাফলকে বুঝানো হয়। প্রকৃতপক্ষে, আবহাওয়া বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাসমূহের স্বল্পকালীন পার্থক্য নির্দেশ করে এবং এটি খুবই পরিবর্তনশীল। অপরদিকে কোনো অঞ্চলের দীর্ঘকালীন আবহাওয়ার উপাত্তসমূহ পর্যালোচনা করলে যে সামগ্রিক অবস্থা পরিলক্ষিত হয়, তাকে জলবায়ু হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
 
কোনো অঞ্চলের দীর্ঘকালীন বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাসমূহের সামগ্রিক পর্যালোচনা জলবায়ুবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে জলবায়ুবিজ্ঞানের ক্ষেত্র ব্যাপক ও বহুমুখী; এটি জলবায়ুর প্রকৃতি ব্যাখ্যা ও বর্ণনা অনুসন্ধান করে। সংক্ষেপে, জলবায়ুর বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনাকে জলবায়ুবিজ্ঞান হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। এতে বিভিন্ন ধরনের জলবায়ু এবং ভূপৃষ্ঠে এদের বণ্টন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ক্রিটচফিল্ডের (Critchfield) মতে, “জলবায়ুবিজ্ঞান হচ্ছে বিজ্ঞানের সেই শাখা যাতে জলবায়ুর প্রকৃতি, কারণ ও পারিসরিক পার্থক্যের ব্যাখ্যা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদানসমূহ ও মানুষের কর্মকাণ্ডের সাথে এর সম্পৃক্ততা পর্যালোচনা করা হয়।” এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, জলবায়ুবিজ্ঞান হচ্ছে সেই বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান যাতে কোনো স্থান বা অঞ্চলের আবহাওয়া প্রপঞ্চ (phenomenon) ও আবহাওয়ার অবস্থাসমূহকে দীর্ঘ সময়কাল ও বিভিন্ন পারিসরিক পরিমাপে বিবেচনা করা হয়। রিলে ও স্পলটন (Riley and Spolton) “দীর্ঘ সময়কালের আবহাওয়া অবস্থার পর্যালোচনা”কে জলবায়ুবিজ্ঞান হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। অস্টিন মিলারের (Austin Miller) অভিমত হচ্ছে, “জলবায়ুবিজ্ঞান হচ্ছে বিজ্ঞানের সেই শাখা যাতে আবহাওয়ার গড় অবস্থা আলোচনা করা হয়।” আরনল্ড কোর্ট (Arnold Court) জলবায়ুবিজ্ঞানকে আধুনিক জ্ঞানের তিনটি শাখা, যথাক্রমে- আবহবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান ও ভূগোলের সংমিশ্রণ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তাঁর মতে, উল্লেখিত প্রতিটি জ্ঞানের শাখা নিশ্চিতভাবে জলবায়ুবিজ্ঞানকে সম্প্রসারিত ও সমৃদ্ধ করেছে। জলবায়ুবিজ্ঞান এসব জ্ঞানের শাখা থেকে প্রয়োজনীয় নীতি, পর্যবেক্ষণ, পদ্ধতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। <br />
[[বিষয়শ্রেণী:ভূগোল]]