সৈয়দ হাসান ইমাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ উদ্ধৃতি টেমপ্লেটের তারিখ সংশোধন |
|||
১৪ নং লাইন:
}}
'''সৈয়দ হাসান ইমাম''' (জন্ম: [[জুলাই ২৯|২৯ জুলাই]], [[১৯৩৫]]) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একজন অভিনেতা,আবৃত্তিকার এবং স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== প্রাথমিক জীবন ==
২৩ নং লাইন:
তিনি ১৯৬১ সালে [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্র]] শতবর্ষের কেন্দ্রীয় উৎসবে ডামা সার্কেল প্রযোজিত তাসের দেশ, রাজা ও রানী এবং রক্তকরবী নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন । তিনি ১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী ছিলেন ১৯৬৪ সালে তাঁর অভিষেক হয় টেলিভিশন নাটকে। বেতার ও [[বাংলাদেশ টেলিভিশন|বাংলাদেশ টেলিভিশনের]] জন্মলগ্ন থেকেই তিনি নাটকে নিয়মিত অংশ নেন। টিভির দুই শতাধিক নাটকের মধ্যে তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটক, [[মুস্তাফা মনোয়ার]] নির্দেশিত [[শেক্সপিয়ার|শেক্সপিয়ারের]] মুখরা রমণী বশীকরণ, [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথের]] রক্তকরবী, [[মোস্তফা কামাল সৈয়দ]] প্রযোজিত স্বপ্ন বিলাস ইত্যাদি।১৯৬৬ থেকে '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব সময়ে তিনি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের মঞ্চে নাটক-নাটিকা ও গণসঙ্গীত পরিচালনা করেন। হাসান ইমাম পরিচালিত নাটকগুলোর মধ্যে [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথের]] রক্তকরবী, [[ম্যাক্সিম গোর্কী|ম্যাক্সিম গোর্কীর]] মা, সোমেন চন্দের না ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ১৯৬৯-এর গণ আন্দোলনের সময় সংস্কৃতি সংসদ আয়োজিত প্রায় ১০ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে [[বাংলা একাডেমী]]র বটমূলে মঞ্চায়িত রক্তকরবী নাটকটি বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল।<ref name="Hassan Imam"/>
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
১৯৭১ সালে [[ফেব্রুয়ারি]] মাসে হাসান ইমামকে আহ্বায়ক করে গঠিত হয় শিল্পীদের প্রতিবাদী সংগঠন বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজ যারা [[শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধুর]] নির্দেশে [[পাকিস্তান]] বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান বর্জন করেন। গণআন্দোলনের চাপে পাকিস্তানী সরকার ৮ মার্চ থেকে বেতার টেলিভিশনের দায়িত্ব বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজের হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ২৫ মার্চের পর হাসান ইমাম মুজিব নগরের চলে যান এবং [[মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধে]] যোগ দিয়ে ১৯৭১-এ [[স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র|স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের]] নাট্য বিভাগের প্রধানের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। সৈয়দ হাসান ইমাম মুজিবনগর [[স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র]] থেকে সালেহ আহমেদ নামে বাংলা সংবাদ পাঠ করতেন। <ref name="Hassan Imam"/> হাসান ইমাম ১৬ই [[ডিসেম্বর]] পর্যন্ত সংবাদ পাঠ এবং নাট্য বিভাগের দায়িত্বভার বহন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় [[জহির রায়হান]]কে সভাপতি ও হাসান ইমামকে সাধারণ সম্পাদক করে মুজিব নগরে চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলী সমিতি গঠন করা হয় যাদের উদ্যোগে [[মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধের]] চলচ্চিত্র দলিল 'লেট দেয়ার বি লাইট' নির্মিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর [[শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধুর]] নির্দেশে [[বাংলাদেশ]] [[শিল্পকলা একাডেমী]] প্রতিষ্ঠায় হাসান ইমাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। <ref name="Hassan Imam1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
|
== স্বাধীনতার পর ==
সৈয়দ হাসান ইমাম [[জাহানারা ইমাম|জাহানারা ইমামের]] মৃত্যুর পর বাংলাদেশের প্রধান মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’-এর আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। ২০০১ সালে বিএনপি-[[জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ|জামাত]] জোট ক্ষমতায় আসায় হাসান ইমাম দেশত্যাগে বাধ্য হন। দেশত্যাগের আগ পর্যন্ত তিনি [[বাংলাদেশ টেলিভিশন]] নাট্যশিল্পী ও নাট্যকার সংসদ, বাংলাদেশ [[উদীচী]] শিল্পী গোষ্ঠীসহ বহু সংগঠনের সভাপতি-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন।<ref name="Hassan Imam1"/> হাসান ইমাম টেলিভিশন নাট্যকার, নাট্যশিল্পী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন সুদীর্ঘ ৩৮ বছর।বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান]] হত্যা চক্রান্তের ওপর রচিত [[আবদুল গাফফার চৌধুরী]] রচিত 'পলাশী থেকে ধানমণ্ডি' পরিচালনার কাজেও তিনি নিয়োজিত ছিলেন। চলচ্চিত্রটি তাঁর নির্দেশনায় সফলভাবে মঞ্চায়িত হয় ২০০৪ সালের ২৮ মার্চ লন্ডনের লোগান হলে। <ref name="Hassan Imam2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== ব্যক্তিগত জীবন ==
হাসান ইমাম শিল্পী [[লায়লা হাসান]]কে বিয়ে করেন।লায়লা হাসানের বাবা আওয়াল সাহেব ব্যাংকে যাতেন লেনদেনের কাজে। এভাবে তিনি হাসান ইমামের সাথে পরিচিত হন। পরবর্তীকালে হাসান ইমামের শ্বশুর হন। লায়লা হাসান বলেনঃ “স্বামী হিসেবে হাসান ইমাম এক কথায় অতুলনীয়, যা প্রতিটি মেয়ের একান্ত কাম্য। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ স্বামী, বন্ধু, গাইড ও অভিভাবক। উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর তাঁর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ওর ঐকান্তিক অনুপ্রেরণা ও ইচ্ছাই আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে বাধ্য করেছে। বিবাহিত জীবনে শিল্পী হিসেবে যে প্রতিষ্ঠা আমি পেয়েছি, তার মূলেও তিনিই।” <ref name="Hassan Imam">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
|
== সন্মাননা ==
সৈয়দ হাসান ইমাম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার পান। [[মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধের]] বিশেষ অবদানের জন্য সিকোয়েন্স পুরস্কার লাভ করেন।তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মান [[একুশে পদক]]সহ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাসান ইমাম জুরির দায়িত্ব পালন করেন।<ref name="Hassan Imam1"/> তাঁর সম্পর্কে আতিকুল হক চৌধুরী বলেনঃ "বাংলাদেশের নাট্যশিল্পীদের জন্য এত দরদ দিয়ে সংগঠন তৈরি করা, সংগঠন নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা, সাংগঠনিক কাজ করা এবং বিপদাপদে সংগঠনের শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানো ;এসব কাজে বাংলাদেশে হাসান ইমামের মতো নিষ্ঠাবান মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি।"”<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
|
|
== তথ্যসূত্র ==
|