খন্দকার নাজমুল হুদা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৫ নং লাইন:
 
== কর্মজীবন ==
[[পাকিস্তান]] সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন খন্দকার নাজমুল হুদা। [[১৯৬৮]] সালের [[৩ জানুয়ারি]] তথাকথিত আগরতলা মামলার অভিযুক্ত হিসেবে আরও অনেকের সঙ্গে আটক হন। তিনি ছিলেন ২৭ নম্বর আসামি। [[১৯৬৯]] সালে [[শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের]] সঙ্গে বেকসুর খালাস পান। কিন্তু চাকরিচ্যুত করা হয়। [[মুক্তিযুদ্ধ]] শুরু হলে তিনি এই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তখন তাঁকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। [[১৯৭৫]] সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নভেম্বরের অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানে তিনি খালেদ মোশাররফ, এ টি এম হায়দারের সঙ্গে নিহত হন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা (খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রন্থ)|lastশেষাংশ= |firstপ্রথমাংশ= |authorlinkলেখক-সংযোগ= |coauthors= |yearবছর=জুন ২০১২ |publisherপ্রকাশক= জনতা ব্যাংক লিমিটেড |locationঅবস্থান= |isbnআইএসবিএন= 978-984-33-5144-9|pageপাতা= ১১১|pagesপাতাসমূহ= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ= |urlইউআরএল=}}</ref>
 
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
[[যশোর জেলা|যশোর জেলার]] [[চৌগাছা উপজেলা|চৌগাছা উপজেলার]] বর্ণী বিওপি। সেখানে ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শক্ত একটি ঘাঁটি। ছিল প্রায় ৭৫ জন পাকিস্তানি সেনা। ওই ঘাঁটির কারণে মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অভ্যন্তরে সহজে অপারেশন করতে পারছিলেন না। আগস্ট মাসের প্রথম দিকে খন্দকার নাজমুল হুদা সিদ্ধান্ত নিলেন সেখানে আক্রমণের। [[৫ আগস্ট]] দুই কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধা তাঁর নেতৃত্বে আক্রমণ চালায়। তাঁর পণ, পাকিস্তানিদের সেখান থেকে তাড়াবেনই। শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর পণ রক্ষা করলেন। মুক্তিবাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি সেনারা তাদের ১৫ জনের লাশ ফেলে রেখেই পালিয়ে গেল। যুদ্ধজয়ের পর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানিদের ফেলে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ নিজেদের ঘাঁটিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। নাজমুল হুদা তা তদারক করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ আরেক দল পাকিস্তানি সেনা পেছন থেকে এসে তাঁদের ওপর আক্রমণ করল। এর জন্য তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন না। এ সময় শুরু হয় আবার ব্যাপক সংঘর্ষ। খন্দকার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সাহসিকতার সঙ্গে পাকিস্তানিদের মোকাবিলা করতে থাকেন। তিনি নিজেও অস্ত্র হাতে সহযোদ্ধাদের পাশে থেকে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন। একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানিদের আওতার মধ্যে পড়ে যান। তখন কয়েকজন সহযোদ্ধা তাঁকে পেছনে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসেন। ফলে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে তিনি অলৌকিকভাবে রক্ষা পান। সেদিন চারজন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে শহীদ এবং কয়েকজন আহত হন। খন্দকার নাজমুল হুদা প্রকৃতপক্ষেই ছিলেন একজন সাহসী যোদ্ধা। ৮ নম্বর সেক্টরের বয়রা সাব-সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তিনি। যুদ্ধের ময়দানে তিনি শুধু অধিনায়কত্ব বা নির্দেশ দিতেন না। বেশির ভাগ সময় নিজেও প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশ নিতেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বয়রা সাব-সেক্টরে অসংখ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়। রঘুনাথপুর, যাদবপুর, বেলতা, গঙ্গানদ, বর্ণী, চৌগাছা-মাসলিয়া, চৌগাছার যুদ্ধ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ২০-২১ নভেম্বর চৌগাছার গরীবপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে ভয়াবহ যুদ্ধ হয়। এছাড়া মুক্তিবাহিনী অসংখ্য অ্যামবুশ, ডিমোলিশন, আকস্মিক আক্রমণ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)|lastশেষাংশ= |firstপ্রথমাংশ= |authorlinkলেখক-সংযোগ= |coauthors= |yearবছর=এপ্রিল ২০১২ |publisherপ্রকাশক= প্রথমা প্রকাশন |locationঅবস্থান= |isbnআইএসবিএন= 978-984-90253-7-5|pageপাতা= ৮৭|pagesপাতাসমূহ= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ= |urlইউআরএল=}}</ref>
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==