আয়মান আল-জাওয়াহিরি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আ হ ম সাকিব (আলোচনা | অবদান) + ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
১০৬ নং লাইন:
== পেশা ==
আয়মান আল-জাওয়াহিরি চিকিৎসার ক্ষেত্রে [[সার্জন]] ছিলেন। ১৯৮৫ সালে আল-জাওয়াহিরি [[হজ্জ]] করতে সৌদি আরব গমন করেন। সেখানে তিনি একবছরের জন্য চিকিৎসাবিদ্যায় অনুশীলন করতে [[জেদ্দা]]য় থেকে যান।<ref>Wright, p. 60.</ref> তিনি একজন যোগ্যতাসম্পন্ন সার্জন হওয়ায়, [[ওসামা বিন লাদেন#আল কায়েদার ইতিহাস|বিন লাদেনের]] আল কায়েদার সাথে নিজ সংগঠনকে একীভূত করতে তিনি বিন লাদেনের ব্যক্তিগত উপদেষ্টা এবং চিকিৎসক হন। তার বিন লাদেনের সাথে প্রথম সাক্ষাত হয় ১৯৮ সালে, [[জেদ্দা]]য়।<ref name="Atkins2011">{{
১৯৮১ সালে আয়মান আল-জাওয়াহিরি পাকিস্তানেও ভ্রমণ করেন। তিনি পাকিস্তানের [[পেশাওয়ার, পাকিস্তান|পেশাওয়ারে]] একটি [[রেড ক্রিসেন্ট]] হাসপাতালে আহত শরণার্থীদের চিকিৎসা করতেন। সেখানে তিনি আহমেদ খদরের বন্ধু হন এবং তারা দুজনে ইসলামী শাসন ও আফগান জনগণের প্রয়োজন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে আলোচনা করেন।<ref name="child">[[Michelle Shephard]], "Guantanamo's Child", 2008.</ref><ref>{{
১৯৯৩ সালে আল-জাওয়াহিরি আমেরিকা ভ্রমণ করেন। সেখানে তিনি তার [[ছদ্মনাম]] ''আব্দুল মুঈয'' নামে [[ক্যালিফোর্নিয়া]]র বিভিন্ন [[মসজিদ|মসজিদে]] পরিচিত হন। এসবের প্রামাণ্য তথ্য হচ্ছে, সোভিয়েত [[ল্যান্ড মাইন|ল্যান্ড মাইনে]] পক্ষাঘাতগ্রস্ত আফগান শিশুদের জন্য কুয়েতি [[আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন|রেড ক্রিসেন্টে]] তার মুদ্রা বৃদ্ধিকরণ—তিনি একাই ২০০০ [[মিলিয়ন]] ডলার বৃদ্ধি করেন।<ref>Wright, p. 179.</ref>
১১৫ নং লাইন:
=== আত্মগোপন অবস্থা ===
====মিসর====
১৯৮১ সালে আয়মান আল-জাওয়াহিরি [[প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে গুপ্তহত্যা]]র অভিযোগে অন্যান্য অনেকের মতো গ্রেফতার হন।<ref>{{
আল-যায়াত তার বই "Al-Zawahiri as I Knew Him" ({{lang-bn|আল-জাওয়াহিরি: আমি তাকে যেমন জানি}}) বইয়ে আল-জাওয়াহিরি মিসরীয় পুলিশ দ্বারা নির্যাতিত হবার কথা উল্লেখ করেছেন। যখন তাকে ১৯৮১ সালে সাদাতহত্যার সাথে সংযুক্ত হবার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। তখন আল-জাওয়াহিরি আল-জিহাদের মাদি শাখার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি [[ইসসাম আল-কামারি]]র গোপন অবস্থান প্রকাশ করে দেন, যা ইসসামকে বন্দিত্ব, এমনকি ফাঁসি পর্যন্ত নিয়ে যায়।<ref>{{
Cited in {{
</ref>
১২৮ নং লাইন:
১৯৯৫ সালে [[মিসরীয় দূতাবাসে হামলা (পাকিস্তান)|পাকিস্তানের ইসলামাবাদস্থ মিসরীয় দূতাবাসে হামলা]] ছিল আল-জাওয়াহিরির নেতৃত্বে [[মিসরীয় ইসলামি জিহাদ|মিসরীয় ইসলামি জিহাদের]] প্রথম সফল আক্রমণ। কিন্তু বিন লাদেন এই আক্রমণ পছন্দ করেননি। এই বোমা হামলা পাকস্তানকে "আফগানিস্তানের প্রতিচ্ছবি বানাবার সর্বোত্তম পথ" ছিল।<ref>Wright, ''Looming Towers'', 2006, p. 217.</ref>
২০০৭ সালের জুলাইয়ে আল-জাওয়াহিরি [[লাল মসজিদ অবরোধ]] করতে দিকনির্দেশনা দেন। যেই অভিযানের নাম ছিল- "নীরব অভিযান।" এটাই প্রথমবার ছিল, যাতে আল-জাওয়াহিরি পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ রাখেন। এবং ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীকে পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নির্দেশনা প্রদান করেন। [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী]] এবং বিশেষ সামরিক দল [[ইসলামাবাদ]]স্থ [[লাল মসজিদ|লাল মসজিদের]] নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয়। তারা সেখানে আল-জাওয়াহিরি প্রেরিত নির্দেশনামূলক চিঠি পায়। যা লাল মসজিদ এবং [[জামেয়া হাফসা]] মহিলা মাদ্রাসার পরিচালনাকারী [[আব্দুর রশিদ গাজি]] এবং [[আব্দুল আযিয গাজি]]র নিকট প্রেরণ করা হয়েছিল। এই সংঘাতে ১০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল।<ref>{{
২০০৭ সালের ২৭শে ডিসেম্বরে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী [[বেনজির ভুট্টো]]কে হত্যার সাথে আল-জাওয়াহিরি জড়িত ছিলেন।<ref>{{
==== সুদান ====
১৯৯৪ সালে [[আহমদ সালামা মাবরুক]] এবং [[মুহাম্মাদ শারাফ|মুহাম্মাদ শারাফের]] সন্তানদের আল-জাওয়াহিরির নেতৃত্বে [[মিসরীয় ইসলামি জিহাদ|মিসরীয় ইসলামি জিহাদের]] সাথে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। তখন এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে সুদান ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।<ref>al-Shafey, Mohammed. [[Asharq Alawsat]], [http://www.asharq-e.com/news.asp?section=3&id=485 Al-Qaeda's secret Emails: Part Four] {{
== অংশগ্রহণ ==
|