আনোয়ার পারভেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''আনোয়ার পারভেজ''' (মৃত্যু [[১৭ জুন]], [[২০০৬]]) একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] শীর্ষস্থানীয় সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, সঙ্গীতজ্ঞ ও শব্দসৈনিক। [[২০০৬]] খ্রিস্টাব্দের [[জুন ১৭|১৭ জুন]] তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বিবিসির জরিপে যে ২০টি বাংলা গান সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বলে স্বীকৃতি পেয়েছে তার সুরকৃত তিনটি গান "জয় বাংলা বাংলার জয়", "একবার যেতে দে না" এবং "একতারা তুই দেশের কথা"৷<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.bbc.com/bengali/news/story/2006/05/printable/060502_mbsheragaan.shtml |titleশিরোনাম=সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গান |newspaperসংবাদপত্র=[[বিবিসি বাংলা]] |dateতারিখ=৩ মে ২০০৬ |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৮ আগস্ট ২০১৭}}</ref> তার সুরারোপিত ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটি [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে]] [[স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র]] থেকে প্রচারিত বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় ছিল৷ সঙ্গীতে অবদানের জন্য [[বাংলাদেশ সরকার]] তাঁকে ২০০৭ সালে মরণোত্তর [[একুশে পদক|একুশে পদকে]] ভূষিত করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/2007/02/21/d7022101139.htm |titleশিরোনাম=Five receive Ekushey Padak |newspaperসংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]] |dateতারিখ=২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৮ আগস্ট ২০১৭}}</ref>

ষাটের দশকের গোড়ায় তিনি পেশাদার সঙ্গীত জীবন শুরু করেন চট্টগ্রাম বেতারে সুরকার পদে যোগ দিয়ে৷ পরে ঢাকায় এসে বিভিন্ন মাধ্যমে সঙ্গীত পরিচালনা করেন। [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]] চলাকালীন তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে "জয় বাংলা বাংলার জয়" গানের সুর করেন। এছাড়া তার সুরকৃত [[শাহনাজ রহমতুল্লাহ]]র কণ্ঠে "একতারা তুই দেশের কথা" ও "একবার যেতে দে না আমার" গান দুটি জনপ্রিয়তা লাভ করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |firstপ্রথমাংশ=Sadya Afreen |;ast=Mallick |urlইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/2004/12/16/d41216140188.htm |titleশিরোনাম=Anwar Pervez talks about his invaluable patriotic song |newspaperসংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]] |dateতারিখ=১৬ ডিসেম্বর ২০০৪ |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৮ আগস্ট ২০১৭}}</ref> স্বাধীনতার পরই বাংলাদেশের একটি অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি ''[[রংবাজ (১৯৭৩-এর চলচ্চিত্র)|রংবাজ]]''-এর সুরকারও ছিলেন তিনি৷ সে সময় "সে যে কেন এলো না কিছু ভালো লাগে না" বা "এই পথে পথে", "আমি একা চলি"- এ গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে৷ এছাড়া ''[[দি রেইন]]'' (১৯৭৬) চলচ্চিত্রে সুর করেও তিনি সমালোচকদের দৃষ্টি কেড়েছিলেন৷ সঙ্গীত জীবনের ৪০ বছরে দুই হাজারেরও বেশি গানে সুর দিয়েছেন৷<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/2006/06/18/d606181402144.htm |titleশিরোনাম=Anwar Parvez no more |newspaperসংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]] |dateতারিখ=১৮ জুন ২০০৬ |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৮ আগস্ট ২০১৭}}</ref>

দীর্ঘদিন ধরেই তিনি প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ২০০৫ সালে তা তার হার্ট অবধি ছড়িয়ে পড়েছিল৷<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/2005/08/21/d508211402110.htm |titleশিরোনাম=Anwar Parvez in critical condition |newspaperসংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]] |dateতারিখ=২১ আগস্ট ২০০৫ |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৮ আগস্ট ২০১৭}}</ref> ভীষণ অসুস্থ অবস্থায় তাকে ঢাকার জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশনে নেয়ার পর পরই কোমায় চলে যান তিনি এবং ২০০৬ সালে ১৭ জুন মধ্যরাতে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://bdnews24.com/bangladesh/2006/06/16/eminent-music-composer-anwar-parvez-passes-away |titleশিরোনাম=Eminent music composer Anwar Parvez passes away |newspaperসংবাদপত্র=[[বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]] |dateতারিখ=১৬ জুন ২০০৬ |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৮ আগস্ট ২০১৭}}</ref> তাকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়৷<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/magazine/2006/06/04/news.htm |titleশিরোনাম=Bidding farewell to a cultural icon |newspaperসংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|স্টার উইকেন্ড]] |dateতারিখ=২৩ জুন ২০০৬ |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৮ আগস্ট ২০১৭}}</ref>

* বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি থেকে আজীবন সম্মাননা (২০০৬)<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/2006/03/07/d603071404100.htm |titleশিরোনাম=Lifetime Achievement Award for film personalities |newspaperসংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|স্টার উইকেন্ড]] |dateতারিখ=৭ মার্চ ২০০৬ |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৮ আগস্ট ২০১৭}}</ref>