রক্ত সংবহনতন্ত্রের রোগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

| lastশেষাংশ = Maton

| firstপ্রথমাংশ = Anthea

|author2লেখক২=Jean Hopkins |author3লেখক৩=Charles William McLaughlin |author4লেখক৪=Susan Johnson |author5লেখক৫=Maryanna Quon Warner |author6লেখক৬=David LaHart |author7লেখক৭=Jill D. Wright

| titleশিরোনাম = Human Biology and Health

| publisherপ্রকাশক = Prentice Hall

| yearবছর = 1993

| locationঅবস্থান = Englewood Cliffs, New Jersey

| urlইউআরএল =

| doiডিওআই =

| idআইডি =

| isbnআইএসবিএন = 0-13-981176-1}}</ref>

প্রধানত হৃদসংবহন তন্ত্র, [[মস্তিষ্ক]], [[বৃক্ক]] ও [[প্রান্তিক ধমনী]] সম্পর্কিত, রোগকে হৃদ রোগ বলে।<ref name = Fuster>{{বই উদ্ধৃতি |authorলেখক=Bridget B. Kelly; Institute of Medicine; Fuster, Valentin |titleশিরোনাম=Promoting Cardiovascular Health in the Developing World: A Critical Challenge to Achieve Global Health |publisherপ্রকাশক=National Academies Press |locationঅবস্থান=Washington, D.C |yearবছর=2010 |pagesপাতাসমূহ= |isbnআইএসবিএন=0-309-14774-3 |oclc= |doiডিওআই= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> হৃদরোগের অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে [[উচ্চ রক্তচাপ]] ও [[অ্যাথেরোসক্লোরোসিস]] প্রধান। পাশাপাশি, বয়সের সাথে সাথে হৃৎপিন্ডের গঠনগত ও শারীরবৃত্তিক পরিবর্তন হৃদরোগের জন্য অনেকাংশে দায়ী, যা স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিরও হতে পারে।<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি |authorলেখক=Dantas AP, Jimenez-Altayo F, Vila E |titleশিরোনাম=Vascular aging: facts and factors |journalসাময়িকী=Frontiers in Vascular Physiology |volumeখণ্ড=3 |issueসংখ্যা নং=325 |pagesপাতাসমূহ=1–2 |dateতারিখ=August 2012 |pmid=22934073 |doiডিওআই=10.3389/fphys.2012.00325 |urlইউআরএল=}}</ref>

১৯৭০ সালের পর উন্নত দেশে মৃত্যুহার কমে গগেলেও বিশ্বব্যাপি মৃত্যুর জন্য হৃদরোগ দায়ী। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Countries|firstপ্রথমাংশ=Committee on Preventing the Global Epidemic of Cardiovascular Disease: Meeting the Challenges in Developing|titleশিরোনাম=Promoting cardiovascular health in the developing world : a critical challenge to achieve global health|yearবছর=2010|publisherপ্রকাশক=National Academies Press|locationঅবস্থান=Washington, D.C.|isbnআইএসবিএন=978-0-309-14774-3|pagesপাতাসমূহ=Chapter 2|urlইউআরএল=http://www.ncbi.nlm.nih.gov/books/NBK45688/|coauthors=Fuster, Board on Global Health ; Valentin; Academies, Bridget B. Kelly, editors ; Institute of Medicine of the National}}</ref><ref>{{Citation | title = Global Atlas on cardiovascular disease prevention and control | year = 2011 | isbn = 978-92-4-156437-3 | last1 = Mendis| first1 = S. | last2 = Puska | first2 = P. | last3 = Norrving| first3 = B.(editors)}}</ref> একই সাথে, মধ্য ও স্বল্প আয়ের দেশগুলিতে হৃদরোগের সংখ্যা ও এর কারণে মৃত্যু দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। <ref name=Finegold>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Finegold|firstপ্রথমাংশ=JA|author2লেখক২=Asaria, P |author3লেখক৩=Francis, DP |titleশিরোনাম=Mortality from ischaemic heart disease by country, region, and age: Statistics from World Health Organisation and United Nations.|journalসাময়িকী=International journal of cardiology|dateতারিখ=Dec 4, 2012|pmid=23218570|doiডিওআই=10.1016/j.ijcard.2012.10.046|volumeখণ্ড=168|issueসংখ্যা নং=2|pagesপাতাসমূহ=934–945}}</ref> যদিও হৃদরোগ প্রাপ্ত ববয়স্কদের হয়, কিন্তু হৃদরোগের পূর্বাবস্থা অ্যাথেরোসক্লোরোসিস অনেক আগে থেকেই শুরু হয়।<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি |authorলেখক=McGill HC, McMahan CA, Gidding SS |titleশিরোনাম=Preventing heart disease in the 21st century: implications of the Pathobiological Determinants of Atherosclerosis in Youth (PDAY) study |journalসাময়িকী=Circulation |volumeখণ্ড=117 |issueসংখ্যা নং=9 |pagesপাতাসমূহ=1216–27 |dateতারিখ=March 2008 |pmid=18316498 |doiডিওআই=10.1161/CIRCULATIONAHA.107.717033 |urlইউআরএল=}}</ref> সেজন্যই পুষ্টিকর খাদ্য, শারীরিক পরিশ্রম, তামাক জাতীয় খাদ্য পরিহারের মাধ্যমে হৃদরোগ প্রতিরোধের উপর জোর দেওয়া হয়।

হৃদ রোগের জন্য অনেক কিছুই দায়ী : বয়স, [[লিঙ্গ]], [[উচ্চ রক্তচাপ]], উচ্চ লিপিড, ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস, ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ, পারিবারিক ইতিহাস, স্থূলতা, স্বল্প শারীরিক পরিশ্রম এবং বায়ু দূষণ । এক এক এলাকার জন্যে এক এক কারণ দায়ী হলেও সামগ্রিকভাবে এরা সকলেই হৃদ রোগের কারণ। তবে জীবন যাপনের ধরন পরিবর্তন, সামাজিক পরিবর্তন, ঔষধ সেবন এবং ঊচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ লিপিড ও [[বহুমূত্র]] প্রতিরোধের মাধ্যমে হৃদ রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব।

বয়স বৃদ্ধির সাথে হৃদরোগ কেন বেড়ে যায়, তার একাধিক ব্যাখ্যা প্রস্তাব করা হয়েছে। তার একটি সিরাম কোলেস্টেরল এর সাথে সম্পর্কযুক্ত।<ref name=Jou99>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি | authorলেখক = Jousilahti Vartiainen, Tuomilehto Puska | yearবছর = 1999 | titleশিরোনাম = Sex, Age,Cardiovascular Risk Factors, and coronary heart disease | urlইউআরএল = | journalসাময়িকী = Circulation | volumeখণ্ড = 99 | issueসংখ্যা নং = | pagesপাতাসমূহ = 1165–1172 | doiডিওআই=10.1161/01.cir.99.9.1165}}</ref> অধিকাংশ জনগোষ্ঠীতে বয়স বৃদ্ধির সাথে সিরাম কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়ে। পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪৫ থেকে ৫০ বছর এবং নারীদের ৬০ থেকে ৬৫ বছরের আগে নয়। <ref name=Jou99/>

বয়স রক্তবাহিকার গাত্রে গাঠনিক পরিবর্তন আনে, যার ফলে ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়, পরিণামে করোনারি ধমনী রোগ হয়।<ref name="autogenerated357">{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি | authorলেখক = Jani B, Rajkumar C | yearবছর = 2006 | titleশিরোনাম = Ageing and vascular ageing | urlইউআরএল = | journalসাময়িকী = Postgrad Med J | volumeখণ্ড = 82 | issueসংখ্যা নং = | pagesপাতাসমূহ = 357–362 | doiডিওআই=10.1136/pgmj.2005.036053}}</ref>

প্রজননে সক্ষম নারীর তুলনায় পুরুষদের হৃদরোগ হবার ঝুঁকি বেশি।<ref name=Finegold/><ref name=WHF>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.world-heart-federation.org/cardiovascular-health/cardiovascular-disease-risk-factors|titleশিরোনাম=Cardiovascular disease risk factors|publisherপ্রকাশক=}}</ref> প্রজননের সময়সীমা পার হয়ে গেলে, নারীদের হৃদরোগ হবার সম্ভাবনা পুরুষদের মতই।<ref name=WHF/> .<ref name=Finegold/> যদি কোন নারীর [[বহুমূত্র]] থাকে, তার হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বহুমূত্রে আক্রান্ত পুরুষের চেয়ে বেশি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.npr.org/blogs/health/2014/05/22/314869923/diabetes-raises-womens-risk-of-heart-disease-more-than-for-men|titleশিরোনাম=Diabetes raises women's risk of heart disease more than for men|workকর্ম=NPR.org|dateতারিখ=May 22, 2014|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=May 23, 2014}}</ref>

জনসংখ্যা ভিত্তিক গবেষণায় দেখা যায়, অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস শৈশব থেকেই শুরু হ্য়, যা হৃদরোগের পূর্ব লক্ষণ। জনসংখ্যা ভিত্তিক গবেষণায় দেখা যায়, হৃদ রোগের পূর্বসূরী অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস শৈশব থেকেই শুরু হয়।<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি |authorলেখক=Vanhecke TE, Miller WM, Franklin BA, Weber JE, McCullough PA |titleশিরোনাম=Awareness, knowledge, and perception of heart disease among adolescents |journalসাময়িকী=Eur J Cardiovasc Prev Rehabil. |volumeখণ্ড=13 |issueসংখ্যা নং=5 |pagesপাতাসমূহ=718–23 |dateতারিখ=Oct 2006 |pmid=17001210 |doiডিওআই=10.1097/01.hjr.0000214611.91490.5e |urlইউআরএল=}}</ref>

স্থূলতা এবং ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস হৃদরোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত।<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি | authorলেখক = Highlander P, Shaw GP | yearবছর = 2010 | titleশিরোনাম = Current pharmacotherapeutic concepts for the treatment of cardiovascular disease in diabetics | urlইউআরএল = | journalসাময়িকী = Ther Adv Cardiovasc Dis. | volumeখণ্ড = 4 | issueসংখ্যা নং = | pagesপাতাসমূহ = 43–54 | doiডিওআই=10.1177/1753944709354305}}</ref> এগুলি ক্রনিক কিডনি রোগের পূর্বলক্ষণও বটে। <ref name="nps01">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=NPS Prescribing Practice Review 53: Managing lipids |urlইউআরএল=http://www.nps.org.au/health_professionals/publications/prescribing_practice_review/current/prescribing_practice_review_53 |authorলেখক=NPS Medicinewise |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=1 August 2011 |dateতারিখ=1 March 2011}}</ref> প্রকৃতপক্ষে, ডায়াবেটিসের সাথে সম্পর্কযুক্ত হৃদ রোগ সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর কারণ।<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি | authorলেখক = Kvan E., Pettersen K.I., Sandvik L., Reikvam A. | yearবছর = 2007 | titleশিরোনাম = High mortality in diabetic patient with acute myocardial infarction: cardiovascular co-morbidities contribute most to the high risk | urlইউআরএল = | journalসাময়িকী = Int J Cardiol | volumeখণ্ড = 121 | issueসংখ্যা নং = | pagesপাতাসমূহ = 184–188 | doiডিওআই=10.1016/j.ijcard.2006.11.003}}</ref><ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি | authorলেখক = Norhammar A., Malmberg K., Diderhol E., Lagerqvist B., Lindahl B., Ryde et al. | yearবছর = 2004 | titleশিরোনাম = Diabetes mellitus: the major risk factor in unstable coronary artery disease even after consideration of the extent of coronary artery disease and benefits of revascularization. J | urlইউআরএল = | journalসাময়িকী = Am Coll Cardiol | volumeখণ্ড = 43 | issueসংখ্যা নং = | pagesপাতাসমূহ = 585–591 | doiডিওআই=10.1016/j.jacc.2003.08.050}}</ref><ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি | authorলেখক = DECODE , European Diabetes Epidemiology Group | yearবছর = 1999 | titleশিরোনাম = Glucose tolerance and mortality: comparison of WHO and American Diabetes Association diagnostic criteria | urlইউআরএল = | journalসাময়িকী = Lancet | volumeখণ্ড = 354 | issueসংখ্যা নং = | pagesপাতাসমূহ = 617–621 | doiডিওআই=10.1016/S0140-6736(98)12131-1 | pmid=10466661}}</ref>

হৃদরোগের সবচেয়ে সচরাচর উপসর্গ হলো বুক ব্যথা বা অস্বস্তি। তবে এটি সবসময় একমাত্র উপসর্গ নয়। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, পাকস্থলির উপররের দিকে অসহনীয় ব্যাথা অনুভব করা, মাথা হালকা লাগা, শরীরের ওপরের অংশে যেমন—পিঠ, পেট, গলা, বাম বাহুতে ব্যাথা, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.arthosuchak.com/archives/19774/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC/|titleশিরোনাম=লক্ষণ জানুন, হৃদরোগ থেকে বাঁচুন|authorলেখক=arthosuchak|workকর্ম=ArthoSuchak}}</ref>

[[File:Cardiovascular diseases world map - DALY - WHO2004.svg|thumb|250px|২০০৪ সালে প্রতি ১,০০,০০০ জনে হৃদ রোগের জন্য অক্ষমতা সমন্বয়কৃত জীবন বছর<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.who.int/healthinfo/global_burden_disease/estimates_country/en/index.html |titleশিরোনাম=WHO Disease and injury country estimates |yearবছর=2009 |workকর্ম=World Health Organization |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=Nov 11, 2009}}</ref>