শিবাজী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[পরীক্ষিত সংশোধন] | [পরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সর্বশেষ সম্পাদিত পরিবর্তন প্রত্যাখ্যান ও আফতাবুজ্জামান-এর করা 3005123 নং সংশোধন পুনরুদ্ধার |
|||
২০ নং লাইন:
|spouse 6 =মঞ্জুলাবাঈ
|spouse 7 =শকবারবাঈ
|spouse 8 =গুণবতীবাঈ<ref>{{
|father =[[শাহজি]]
|mother =[[জিজাবাঈ]]
২৬ নং লাইন:
}}
'''শিবাজী''' ভোঁসলে অথবা ছত্রপতি শিবাজী রাজে ভোঁসলে ([[১৯ ফেব্রুয়ারি]], [[১৬৩০]] - [[৩ এপ্রিল]], [[১৬৮০]]), ([[মারাঠি ভাষা|মারাঠি]] : छत्रपती शिवाजीराजे भोसले) হলেন [[মারাঠা সাম্রাজ্য|মারাঠা সাম্রাজ্যের]] প্রতিষ্ঠাতা। শিবাজী বিজাপুরের আদিলশাহি সালতানাতের সাথে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের সাথে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন এবং হেরে যান।<ref name="jstor.org">url=http://www.jstor.org/pss/2053980</ref> তিনি একটি স্বাধীন মারাঠা সাম্রাজ্যের পত্তন করেন, যার রাজধানী ছিল [[রায়গড়|রায়গড়ে]]।<ref name="ReferenceA">url=http://www.jstor.org/pss/4407933</ref> তিনি ১৬৭৪ সালে মারাঠা সাম্রাজ্যের রাজা''''' '<nowiki/>'''ছত্রপতি''<nowiki/>' হিসেবে মুকুট ধারণ করেন।<ref name="jstor.org"/><ref name="ReferenceA"/>
শিবাজী '''''হিন্দাভী স্বরাজ্যের''''' (স্বাধীনতা) মতবাদকে সমর্থন দান করেন। তিনি মারাঠা শাসন পুণঃপ্রতিষ্ঠা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। তিনি তার সুশৃঙ্খল সামরিক বাহিনী এবং সুগঠিত শাসন কাঠামোর মাধ্যমে একটি দক্ষ শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেন।<ref name="Babasaheb Purandare">{{
== প্রথম জীবন ==
শিবাজি ১৬২৭ খ্রিস্টাব্দে শিবনেরি পার্বত্য দূর্গে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন শাহজী ভোঁসলে ও মাতা জীজাবাঈ। শিবাজির পিতা শাহজী বিজাপুরের সুলতানের অধীনে কার্যভার গ্রহণ করায়, শিশুপুত্র শিবাজীসহ জীজাবাঈ দাদাজী কোণ্ডদেব নামে এক বিচক্ষণ ব্রাহ্মণের তত্ত্বাবধানে পুনায় থেকে যান। ধর্মপরায়ণ মায়ের প্রভাব শিবাজীর জীবনে গভীর রেখাপাত করেছিল। মায়ের কাছে রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনী শুনে শিশুকালেই শিবাজীর মনে বীরত্ব ও দেশপ্রেমের সঞ্চার হয়েছিল। মায়ের মতো কোণ্ডদেবও শিবাজীর চরিত্র গঠনে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।<ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|
== শিবাজীর রাজ্যজয় ==
৪০ নং লাইন:
=== আফজল খাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ===
বিজাপুর রাজ্যে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে শিবাজী ১৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম তোরণা দুর্গটি দখল করে নেন। এরপর তিনি একে একে বড়মতি, রায়গড়, পুরন্দর, প্রভৃতি স্থানের দুর্গগুলি দখল করে নেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং শিবাজীকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিজাপুরের সুলতান শিবাজীর পিতা শাহজীকে কারারুদ্ধ করেন। এই অবস্থায় শিবাজী দাক্ষিণাত্যের মোঘল শাসককর্তা মুরাদের সাহায্য চান। বিজাপুরের সুলতান ভীত হয়ে শাহজীকে মুক্ত করে দেন। কিছুকাল শিবাজী নিশ্চুপ থাকেন। ১৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে দাক্ষিণাত্যের শাসনকর্তা ঔরাঙ্গজেবের সঙ্গে বিজাপুরের সুলতানের সংঘাতের সুযোগ নিয়ে শিবাজী জাওলি নামে এক অঞ্চল দখল করেন। ইতিমধ্যে ঔরাঙ্গজেব শাহজাহানের অসুস্থতার সংবাদে দিল্লী চলে গেলে, বিজাপুরের সুলতান শিবাজীকে দমন করার জন্য সেনাপতি আফজল খাঁকে পাঠান। আফজল খাঁ শিবাজীকে দমন করতে ব্যর্থ হলে প্রতারণার আশ্রয় নেন। আফজল খাঁ শিবাজীকে তার শিবিরে আমন্ত্রণ জানান। শিবাজী আফজল খাঁর দুরভিসন্ধিরর কথা আগেই জানতে পেরেছিলেন। সুতরাং তিনি প্রস্তুত হয়েই আফজল খাঁর শিবিরে আসেন। আফজল খাঁ আলিঙ্গনের সুযোগে শিবাজীকে ছুরির আঘাত করতে উদ্দ্যত হলে শিবাজী লোহার তৈরি '<nowiki/>''বাঘনখ''' অস্ত্রের সাহায্য-এ আফজল খাঁর বক্ষ বিদীর্ণ করেন। সেনাপতির মৃত্যুতে বিজাপুরের সেনাবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে শিবাজী কোলাপুর দখল করে নেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
==শিবাজীর চরিত্র==
৪৯ নং লাইন:
[[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] তাঁর [[শিবাজী উৎসব]] কবিতায় বলেছিলেন:
{{cquote|মারাঠির সাথে আজি, হে বাঙালি, এক কন্ঠে বলো<
'জয়তু শিবাজি'।<
মারাঠির সাথে আজি, হে বাঙালি, এক সঙ্গে চলো<
মহোৎসবে সাজি।<
আজি এক সভাতলে ভারতের পশ্চিম-পুরব<
দক্ষিণে ও বামে<
একত্রে করুক ভোগ একসাথে একটি গৌরব<
এক পুণ্য নামে।।}}<ref>সঞ্চয়িতা, পৃ:৩১২</ref>
৬৩ নং লাইন:
{{মারাঠাসাম্রাজ্য}}
[[বিষয়শ্রেণী:১৬৩০-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৬৮০-এ মৃত্যু]]
|