ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ Tapabrata Dey Sarkar-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Salim Khandoker-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল |
|||
৮ নং লাইন:
যেসকল প্রধান এশীয় ভাষা এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দেওয়া হত, সেগুলি হল আরবি, হিন্দুস্তানি, ফার্সি, সংস্কৃত ও বাংলা। পরবর্তীকালে [[মারাঠি ভাষা|মারাঠি]] ও [[চীনা ভাষা|চীনা]] ভাষা শিক্ষা দেওয়াও শুরু হয়।<ref name="College">{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
}}</ref> কলেজের প্রতিটি বিভাগের শিক্ষকেরা ছিলেন সেযুগের বিশিষ্ট পণ্ডিত ব্যক্তি। ফার্সি বিভাগের প্রধান ছিলেন সরকারি ফার্সি অনুবাদক নেইল বি. এডমন্ডস্টোন। তাঁর সহকারী শিক্ষক ছিলেন সদর দেওয়ানি আদালতের বিচারক জন এইচ. হ্যারিংটন ও সেনা কূটনীতিবিদ ফ্রান্সিস গ্ল্যাডউইন। আরবি শিক্ষা দিতেন বিশিষ্ট আরবিবিদ লেফট্যানেন্ট জন বেইলি। [[হিন্দুস্তানি ভাষা]] বিভাগটির দায়িত্ব ছিল বিশিষ্ট ভারততত্ত্ববিদ [[জন বোর্থউইক গিলক্রিস্ট|জন বোর্থউইক গিলক্রিস্টের]] উপর। বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ এইচ. টি. কোলব্রুক ছিলেন সংস্কৃত বিভাগের প্রধান। দেশীয় ভাষা বিভাগের প্রধান ছিলেন বেসরকারি মিশনারি ও একাধিক ভারতীয় ভাষাবিদ [[উইলিয়াম কেরি]]।<ref name = "Banglapedia">{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
}}</ref> বিভিন্ন ভাষা শিক্ষাদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হলেও সেযুগে কলকাতায় বাংলা শিক্ষা দেওয়ার জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। সেযুগের ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা কেবল সংস্কৃত শিক্ষা করতেন। তাঁরা সংস্কৃতকে দেবভাষা মনে করতেন। বাংলা শিক্ষা তাঁরা করতেন না। কলেজ কর্তৃপক্ষ [[শ্রীরামপুর|শ্রীরামপুরের]] ব্যাপটিস্ট মিশনের কেরিকে এই বিভাগে নিয়োগ করেন। কেরি [[মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার|মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারকে]] হেড পণ্ডিত, রামমোহন বাচস্পতিকে সেকেন্ড পণ্ডিত ও রামরাম বসুকে অন্যতম সহকারী পণ্ডিতের পদে নিয়োগ করেন।<ref name = "Mukhopadhyay">Mukhopadhyay, Prabhatkumar, Rammohun O Tatkalin Samaj O Sahitya, 1965, pp. 47–51, Viswa Bharati Granthan Bibhag {{Bn icon}}.</ref>
৩৩ নং লাইন:
[[চিত্র:FtWilliam2.jpg|thumb|300px|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বইয়ে ব্যবহৃত স্ট্যাম্প]]
শিক্ষাদানের প্রয়োজনে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে একটি গ্রন্থাগার গড়ে ওঠে। এই গ্রন্থাগারে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত পুথিপত্র এবং কলেজের নিজস্ব প্রকাশনার বইপত্র রাখা হয়।<ref name="College"/> পরবর্তীকালে বহু ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বই এখানে সংরক্ষণও করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
}}</ref> কলেজ ভেঙে দেওয়ার সময় এই বিরাট গ্রন্থসংগ্রহ নবগঠিত ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরিকে (অধুনা [[ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগার]]) দান করা হয়।<ref name="College"/>
৫০ নং লাইন:
একাধিক বিশিষ্ট পণ্ডিত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে শিক্ষাদান করেছেন। ভারতীয় ভাষাগুলির বিকাশে এদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এঁদের কয়েকজনের তালিকা নিচে দেওয়া হল।
* [[
* [[জন বোর্থউইক গিলক্রিস্ট]] (জুন ১৭৫৯ – ১৮৪১)
* [[মৃত্যুঞ্জয় তর্কালঙ্কার]] (১৭৬২ (?) – ১৮১৯) ছিলেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রথম হেড পণ্ডিত। তিনি একাধিক পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন। তাঁকে বাংলা গদ্যের প্রথম ‘সচেতন শিল্পী’ মনে করা হয়।<ref>Acharya, Poromesh, ''Education in Old Calcutta'', in ''Calcutta, the Living City'', Vol I, edited by Sukanta Chaudhuri, pp. 108–9, Oxford University Press, {{আইএসবিএন|0-19-563696-1}}.</ref> সংস্কৃত পণ্ডিত হয়েও তিনি কলেজের প্রয়োজনে বাংলা লিখতে শুরু করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল ''বত্রিশ সিংহাসন'' (১৮০২), ''হিতোপদেশ'' (১৮০৮) ও ''রাজাবলী'' (১৮০৮)। মৃত্যুঞ্জয় ইংরেজি জানতেন না। সম্ভবত কলেজের ইংরেজি-জানা পণ্ডিতদের থেকে তিনি তাঁর বইয়ের উপাদান সংগ্রহ করেন।<ref name = "Mukhopadhyay"/>
|