জুন, ২০০৯ সালে লাফবোরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুশীলনী চলাকালে উদীয়মান [[রিস টপলি|রিস টপলির]] বোলিংয়ে আহত হন। এরপর পিটারসনকে দ্রুত লিচেস্টার রয়্যাল ইনফার্মারিতে প্রেরণ করা হয় এবং তার কানে সেলাই করতে হয়। এ ঘটনার পর টপলি'র আদর্শ পিটারসন তাকে স্বাক্ষর সম্বলিত ব্যাট উপহার দেন।
ইংল্যান্ড দল পিটারসনের ধারাবাহিক সাফল্যে উজ্জ্বীবিত হয়ে ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে [[ঘরোয়া ক্রিকেট|ঘরোয়া ক্রিকেটে]] [[হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|হ্যাম্পশায়ারের]] পক্ষে তাকে শুধুমাত্র একটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়। ১৭ জুন, ২০১০ তারিখে পিটারসন ঘোষণা করেন যে, তিনি হ্যাম্পশায়ার থেকে চলে যেতে ইচ্ছুক।<ref name="leaving hampshire cricinfo">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.cricinfo.com/countycricket2010/content/current/story/463579.html|titleশিরোনাম=Kevin Pietersen set for Hampshire talks|lastশেষাংশ=Dobell|firstপ্রথমাংশ=George|workকর্ম=[[Cricinfo]]|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=17 June 2010}}</ref> এর পরপরই তিনি [[সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|সারে দলের]] হয়ে ধারকৃত [[খেলোয়াড়]] হিসেবে বাকী [[মৌসুম (ক্রীড়া)|মৌসুম]] চালিয়ে যান ও ২০১১ সাল থেকে স্থায়ীভাবে ঐ দলে যোগ দেন।<ref name="in.reuters.com">{{সংবাদ উদ্ধৃতি| urlইউআরএল=http://in.reuters.com/article/idINIndia-51189720100831 |agencyএজেন্সি=Reuters | titleশিরোনাম=Pietersen dropped by England, joins Surrey | dateতারিখ=31 August 2010}}</ref><ref name="sur-per">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.independent.co.uk/sport/cricket/kevin-pietersen-signs-deal-with-surrey-2140676.html|titleশিরোনাম=Kevin Pietersen signs deal with Surrey|workকর্ম=The Independent |locationঅবস্থান=UK |dateতারিখ=22 November 2010|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=15 January 2011|first1প্রথমাংশ১=Guy|last1শেষাংশ১=Aspin}}</ref>
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
টেস্ট ক্রিকেট ও [[একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট|একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে]] পিটারসন [[অধিনায়ক (ক্রিকেট)|অধিনায়কের]] দায়িত্ব পালন করেন। ৪ আগস্ট, ২০০৮ থেকে ৭ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখ পর্যন্ত ইংরেজ অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি মাত্র তিনটি টেস্ট ও নয়টি ওডিআইযে অংশ নেন। দায়িত্ব থেকে অব্যহতিকালে একইদিনে ইংল্যান্ডের [[কোচ (ক্রীড়া)|কোচ]] [[পিটার মুরেজ|পিটার মুরেজও]] অব্যহতি নেন।<ref name=kpout>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/sport1/hi/cricket/england/7815038.stm |titleশিরোনাম= England captain Pietersen resigns |publisherপ্রকাশক=BBC Sport |dateতারিখ=7 January 2008 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=7 January 2008}}</ref> [[ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড|ইসিবি’র]] সাথে তার সম্পর্কের তেমন উত্তোরণ ঘটেনি। ২০১২ সালে সময়সূচীর সাথে একাত্মতা পোষণ না করায় ৩১ মে তারিখে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| urlইউআরএল= http://timesofindia.indiatimes.com/sports/cricket/top-stories/Kevin-Pietersen-retires-from-limited-overs-cricket-ECB/articleshow/13687318.cms| titleশিরোনাম= Kevin Pietersen retires from limited overs cricket: ECB| dateতারিখ=31 May 2012}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| urlইউআরএল= http://www.wisdenindia.com/pietersen-quits-odis-t20-internationals | titleশিরোনাম= Pietersen quits ODIs, T20 internationals| publisherপ্রকাশক = Wisden India | dateতারিখ=13 July 2012}}</ref> পরবর্তীতে তিনি অবসরের চিন্তা-ভাবনা থেকে দূরে সরে আসেন এবং ইসিবি ও দলীয় খেলোয়াড়দের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে [[South African cricket team in England in 2012|দক্ষিণ আফ্রিকার]] বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত সিরিজে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| urlইউআরএল= http://www.wisdenindia.com/pietersen-hints-at-test-retirement| titleশিরোনাম= Pietersen hints at Test retirement| publisherপ্রকাশক = Wisden India | dateতারিখ=6 August 2012}}</ref> তবে, তিনি সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে দল থেকে বাদ পড়ে যান।<ref name="espncricinfo.com">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল= http://www.espncricinfo.com/england-v-south-africa-2012/content/current/story/577063.html |titleশিরোনাম= Pietersen dropped over text messages |dateতারিখ=12 August 2012}}</ref>
== বিতর্ক ==
২০০৯ সালের শুরুতে ভারত সফরে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে সিরিজ হারলে ইসিবি ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেভিন পিটারসনকে জরুরী সভায় তলব করে ও দলে মুরেজের কোচিংয়ের মান ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।<ref name=cricinfob>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://content-usa.cricinfo.com/england/content/story/384869.html|titleশিরোনাম=Pietersen wants crisis talks with ECB |publisherপ্রকাশক=[[Cricinfo]] |dateতারিখ=1 January 2009 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2009-01-07}}</ref> পরদিন পিটারসন গণমাধ্যমে ঐ সভায় দলের ‘অস্বাস্থ্যকর অবস্থার’ কথা তুলে ধরেন ও শীঘ্রই মুরেজকে কোচের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে জানান।<ref name=cricinfo2>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://content-usa.cricinfo.com/england/content/story/385414.html|titleশিরোনাম=Moores on the brink after row |publisherপ্রকাশক=[[Cricinfo]] |dateতারিখ=5 January 2009 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2009-01-07}}</ref> দলের প্রশিক্ষণ, সম্ভাব্য ও সাবেক অধিনায়ক [[মাইকেল ভন|মাইকেল ভনকে]] সামনের ওয়েস্ট সফরে অধিনায়ক হিসেবে মনোনয়ন ইত্যাদি বিষয়ে মুরেজ ও পিটারসনের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকতো। ফলশ্রুতিতে ৭ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে মুরজে কোচের দায়িত্ব থেকে ইসিবি অব্যহতি দেয় ও পিটারসন অধিনায়ক থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের অব্যবহিত পরই ইংরেজ ক্রিকেটের সাথে জড়িত বেশ কয়েকজন ধারাভাষ্যকার মনে করেন, মুরেজের পদত্যাগের বিষয়ে পিটারসন উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।<ref name=reaction>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/cricket/england/7815729.stm |titleশিরোনাম=Reactions to England cricket chaos |publisherপ্রকাশক=BBC Sport |dateতারিখ=7 January 2009 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=7 January 2009}}</ref> কয়েকদিন পর এক স্বাক্ষাৎকারে পিটারসন জানান যে, অধিনায়কের পদ থেকে অব্যহতির ইচ্ছে না থাকলেও ইসিবি কর্মকর্তাগণ তাকে পদচ্যুতির কথা জানিয়েছিলেন।<ref name=Pietersenforced>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://content-usa.cricinfo.com/england/content/current/story/386067.html |titleশিরোনাম=Cricinfo – Pietersen says he was forced to quit |dateতারিখ= 11 January 2009 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 January 2009|publisherপ্রকাশক=[[Cricinfo]]}}</ref> তবে, ইসিবি’র সহ-সভাপতি [[ডেনিস অ্যামিস]] পিটারসনের বক্তব্যকে উদ্বৃতি দিয়ে জানান যে, মুরেজের পদত্যাগের বিষয়টি তিনি ফাঁস করেননি। অ্যামিস বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি না যে, কেভিন পিটারসন তথ্য ফাঁস করেছেন। তাঁর আবেগ তাড়নার ফলেই অন্যান্য সুবিধাবাদী গোষ্ঠী কাজে লাগিয়েছে।’<ref name=Pietersendidntleak>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |urlইউআরএল= http://www.telegraph.co.uk/sport/cricket/international/england/4217380/Kevin-Pietersen-didnt-leak-England-cricket-crisis-talks-ECB.html|titleশিরোনাম= Kevin Pietersen didn't leak crisis talks: ECB|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=15 January 2009 |workকর্ম=The Daily Telegraph |locationঅবস্থান=UK |dateতারিখ=11 January 2009 }}</ref> দলের অধিনায়কের দায়িত্বে [[অ্যান্ড্রু স্ট্রস|অ্যান্ড্রু স্ট্রসের]] নাম পরবর্তীকালে ঘোষণা করা হয়েছিল।<ref name=kpout/>
